লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

বিদ্যা সাগরের বিধবা বিবাহের আনন্দ ধারা

বিদ্যা সাগর আমার জীবনের আইকন । আমি মনে করি পৃথিবীর সমস্ত হিন্দু বাঙালিরা যদি তাদের শরীরের চামড়া দিয়ে জুতো বানিয়ে দেয় । তবুও তাঁর ঋণ শোধ করা যাবেনা ।

বিদ্যা সাগর সমাজটাকে নিয়ে শুধুই ভাবেননি । নিজেন জীবন ও সারা জীবনের অর্জিত অর্থ ব্যয়ে চেয়েছিলেন হিন্দু সমাজের পরিবর্তন । কিন্তু আমি বিশ্বাস করি । আজও বিদ্যা সাগর যেমন সমাজটি দেখতে চেয়েছিলেন তা হয়ে ওঠেনি । হিন্দুরা এদিক থেকে ব্যর্থ ।

১৮৫৬ সালের ৭ই ডিসেম্বর উক্ত আইনের বলে নিজ তত্বাবধানে প্রথম হিন্দু বিধবা বিবাহ সম্পন্ন করেন । ১২৯ বছর হলো । তবুও আজ সমস্ত হিন্দু সমাজ মেনে নিতে পারল না বিধবাদের বিবাহের ব্যপারে । বাস্তবে সময় পরিবর্তন হলেও সমাজ ব্যবস্তার পরিবর্তন হয়নি । পুরনো ধ্যান ধারনায় চলছে সমাজ ।

কিন্তু তারা জানেন না যে , এই বিধবা বিবাহের জন্য তিনি অকাতরে অর্থব্যয় করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত কপর্দক শূন্য হয়ে পড়েন ।

জানা যায় ততকালি ৯৬ হাজার টাকা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য ব্যয় করেছিলেন ।

এমন কি তাঁর পুত্র নারায়নচন্দ্র কে এক বাল-বিধবাকে দিয়ে বিবাহ দেন । কিন্তু সেই দিন তাঁর আত্মিয় স্বজন এই বিবাহে আপত্তি জানিয়েছিলেন । পরে অবশ্য এই আত্মীয়রা পিতা পুত্রের মধ্যে একটা বিবাদ স্থাপন করেন ।

তাঁর পুত্র যখন তার বিবাহিত স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চাইল , কিন্তু ন্যায়নিষ্ট বিদ্যাসাগর তাতে প্রবল আপত্তি জানালেন এবং তাঁর উইলে পুত্রবধুকেই তাঁর নীজ সম্পত্তির অধিকার দিলেন । তবুও নিজ পুত্রকে এককানা কড়িও দেননি ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন