লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, আগস্ট ২৪

বাণী

দেশ কে ভালবাসুন
দেশের মানুষ কে ভালবাসুন
ধর্ম ও জাতি কে নয়

        -নাস্তিকদেব

শনিবার, আগস্ট ১৮

মিথ্যা নয়

মিথ্যা নয়

দেবজ্যোতিকাজল
পশ্চিমবঙ্গ

ভালবাসা একটি নদীর মত
এর প্রবাহ অশেষ আঁকা-বাঁকা
ভালবাসা  একে অপর কে
উত্তর দিতে স্বপ্ন দেখায় অনুপল ।

ভালবাসা স্থির-দূরত্ব গাছের মত,
বিচ্ছেদেও এর দূরত্ব বাড়ায় না
ভালবাসা একে অপর কে
মৃত্যুহীন অলংঙ্কার পরিয়ে দেয় ।

ভালবাসা একটি স্বপ্ন দৃশ্যের মত
স্বপ্নচূড়ায় ঝরে পরা উৎস নদী
সাঁতার কাটা সমুদ্রময়ী স্মৃতি
ভালবাসা একে অপর কে খোঁজে
পথভ্রষ্ট দরজা বন্ধ পথের মাঝে ।

সোমবার, আগস্ট ১৩

আমার অপেক্ষার দরজা ঠেলে

আমার অপেক্ষার দরজা ঠেলে
দেবজ্যোতিকাজল

অবিরাম বৃষ্টি চাই
গরম দেহ ধূয়ে নিতে
অবিরাম মেঘ চাই
ক্লান্ত ও শান্ত চোখের কপাটে ।

ওগো বাতাস !
তুমি সুর ছুঁয়ে , আগুন হয়ে
শিহরিত করো , শিশুতোষ মন ,
অগভীর মুখের উপরে বৃষ্টি হও
আমার উপমা অনাবিল ঘেঁষে ।

যে গান তোমার নিঃশ্বাস খোঁজে
প্রশ্বাসে চুরি করো তার অমরত্ব হৃদয়
আমি দুঃখ পেলে । যে,খুশীতে হাসে
তার এক খণ্ড মহাশূন্যের-
আরোহীকে দিয়ে দাও স্বরলিপিকারে ।

তারপর । ধূলি । ধূঁয়া । জমাট ইচ্ছায়-
জন্ম নিবে গানওয়ালা । শহর । গলি ।
ফিসফিসে কোলাহল পেঁচার চোখে ঘুমায় ।
আমি জেগে রোই জীবন দাগ টেনে ।

ওগো গানওয়ালা !
তোমার বেপরোয়া ভাটির সুর ,
নদীর মত গান হয়ে
উড়ে যাবে মৃত্যুর খোঁজে অর্জুনবাণ ছুঁড়ে ছুঁড়ে ,
তাকে আমি বুক পেতে নিব উল্কা এঁকে ।

ওগো বাতাস !
যে গান তোমার দেহে আছরে পরে
তার সুরের মালায় ছিঁড়ে পরে ফুল ,
কান অবধি পৌঁছায় না
সে গান কখনও আমার
পাখিরা যতক্ষণ না ফিরে , মেঘ হয়ে ঘরে
আমার অপেক্ষার দরজা ঠেলে ।

শুক্রবার, আগস্ট ১০

হৃদয় কাঁপিয়ে গেছে প্রেম

হৃদয় কাঁপিয়ে গেছে প্রেম
দেবজ্যোতিকাজল

তাকাও আমার মুখের দিকে সন্ধ্যাতারা
দেখাও তোমার পোষাকের বাক্সে
খুঁজে পাওয়া ইন্দ্রিয় ভাঁজ জ্যোৎস্না
প্রেম তোমার কাঁপে লালসায়
কথারা যায় হারিয়ে মধ্যরাত্রি
ডুবে যাওয়া চাঁদ । একাকী ।
তোমার সকল শরীর ধ্বংস কর
আমার সকল অদম্য পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে

বুধবার, আগস্ট ৮

বর্তমান

বর্তমান
দেবজ্যোতিকাজল

টেবিলের ওপ্রান্তে কলম নদীর গতিমুখ
আর , এপ্রান্তে অতীত বিবাদীয় বর্তমান
তাতে দু’প্রান্তে তোলপার ক’রে কমলমতি মেঘ

যদি সাহস দিয়ে কেউ
নখদ স্রোতগুলো ভেজে তুলে তেলে
তবে বর্তমান বড়ো বেশি বেমানান আকাশ

বাতাসে নেই অক্সিজেন
মেঘের ওপাড়ে শূন্য হাসে
বিধাতা মানুষের বিবাদ
নাস্তিক্যবাদের যুক্তিতে থামে ।

ছন্দ আর ছুটে না ,
বাট শী ইজ ভেরি স্লো ।

দ্বন্দ আর দণ্ড ,
নট সো গুড অহিংসা পরম স্বার্থ

কৃত্রিম জলাবন্দীতে
থেমে গেছে রোদের উত্তাপ ।

অহংকার আর অবিশ্বাস ঈশ্বর হয়ে গেছে
হয়ে গেছে রাজনীতিয় অস্পৃশ্যতা ;
তাই এরা আর
এক সঙ্গে বাঁচার স্বপ্ন দেখে না
মুখোশের আড়ালে
ধর্মের মুখ লুকিয়ে যারা মহাপুরুষ হয়
তারাই মানুষের সমাজকে গিলে খায় ।

রবিবার, আগস্ট ৫

শুধু একদিন....

এক

শুধু একদিন
তুমি আমাকে ,
তোমার পাশে বসতে দিবে কি ?

শুধু একদিন
আমার সব কথা
তুমি কি মন দিয়ে শুনবে ?

আমার নিঃসঙ্গতা
ঘন্টা , মিনিট , সেকেণ্ড
গণনা হয়ে যে বয়ে যায় উদ্বেগে

শুধু একদিনের জন্য
আমরা দু’জন নিয়মের সীমানা
অতিক্রম করে
পাহাড় পেরিয়ে হাঁটব

আকাশ ছাড়িয়ে ধরবো উড়ন্ত মেঘ
উত্তাল সমুদ্র-কে ছাড়াইয়া যাব
               পারিজাত ফুলের দেশে

দুই

এই দিন
এই রাত
এই অন্ধকার
এই আলো

কালো অথবা সাদা

অপর যে-কোন
          যে-কোন উপায়ে
          শুধু একদিন ।
        
            শুধু একদিনের জন্য
                     ভেবে দেখো ।

শুধু একদিন
তুমি আমাকে পছন্দ কর
               উল্টো দিকে
        অথবা সিধা দিকে
          
  অথবা যে-কোন দিকের মুদ্রার মত
                            সূর্যের তলদেশে
                     কিম্বা
                চাঁদের মধু অরণ্য মাঝে ।

ঈশ্বর বুদ্ধির ফসল

আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর ব’লে কোন বস্তু নেই ; কিন্তু বিশ্বাস করি মানুষের বুদ্ধি ব’লে কোন বস্তু আছে....।

সেই বুদ্ধির ফসল “ঈশ্বর”