লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

ধর্ম ও নারী ।। পর্ব~ ৫

ধর্ম বারবার নারীর উপর আঘাত হেনেছে ৷ ধর্মের মূলনীতি ছিলো গরীব শ্রেনীকে শোষণ করা আর নারীকে ঘরবন্দি করা ৷৷
=================================
এবার আমরা মৈত্রায়নী সংহিতায় কি বলেছে ,দেখা যাক৷ বলেছে-"নারী অশুভ যজ্ঞকালে কুকুর, শূদ্র ও নারীর দিকে তাকাবে না ৷"( নারীকে কুকুরের চেয়েও ছোটো করেছে এখন)
( গৃহ্যসূত্রে ১১/৪/১১) বলেছেন-জীর্ণ জুতো কাপড় দামকে দেবার এবং খেয়ে এঁটোটা স্ত্রী'কে দেবার বিধান শাস্ত্রে দিয়েছেন ৷

ছিঃ ছিঃ এত ঘৃণা নারীর প্রতি ধর্মে ৷ আজ এসব মেনে নেওয়া মানে নারীকে ছোটো করা ৷ এসব নীতি ধর্মের নীতি হতে পারে না ৷ কেননা আজকের সমাজ নারীর অগ্রগতী মেনে নিয়েছে ৷ আমরা এমন ধর্মনীতিকে ছুঁড়ে দিবো ৷ আমরা মানিনা মনু, পরাশর, মোজেস, পল ও ঈশ্বরের মিথ্যা বাণী ৷স্ত্রী স্বামীর পরে খাবে ৷ এঁটোখেয়ে স্ত্রীর জীবন চলবে ৷ আমরা মানিনা ৷ বাবা মাকে যৌতুক দিয়ে তাদের মেয়েদের যৌনসঙ্গী কিনতে হবে, এমন সমাজ ও ধর্মনীতি মানি না
নারী কলঙ্কিত হলে বর্ণ সংকর হয়
মহাভারতে কৃষ্ণ বলেছেন-"নারী কলঙ্কিতা হলে বর্ণ সংকর হয় ৷তা থেকে চূরান্ত সর্বনাশ হয় ৷" শ্রীকৃষ্ণ থাকলে জীঞ্জেস করতাম ৷ তিনি অনার্য পরমা সুন্দরী জাম্ববতীকে কেনো বিয়ে করেছিলেন ৷ বর্ণ সংকর যদি খারাপই হবে আপনি কেনো ক্ষত্রিয় হয়ে অনার্য জাম্বতীকে বিয়ে করেছিলেন ৷ এমন কি তার গর্ভে শাম্ব একটি সন্তানেরও জন্ম দিয়েছিলেন ৷ আসলে আপনি হলেন জ্ঞানপাপী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ৷ আপনার মনে আছে কী? কর্ণকে কী বলেছিলেন? বলেছিলেন-শ্রত ইহ হইলাম ৷ তুমি ভীষ্মদ্বেষী, সংগ্রামস্থলে ভীষ্ম বর্তমান থাকিতে তুমি যুদ্ধ করিবেনা, অতএব যে পর্যন্ত ভীষ্ম নিহত না হয়েন ৷ সে পর্যন্ত আমাদের পক্ষ হইয়া সংগ্রাম কর, ভীষ্ম নিহত হইলে পুনরায় দূর্যোধনের পক্ষ হইবে ৷"

আপনি সেই নিকৃষ্ট মানুষ ৷ দুষ্টু অভিসন্ধি নিয়ে কর্ণকে আপনার দলে টানবার জন্য বললেন-" দ্রৌপদী দিবালোকের ষষ্ঠভাগে তোমার ( সঙ্গে থাকতে) সমীপে আগমন ( লিভটুগেদার) করিবেন ৷"

ছিঃ কৃষ্ণ আপনিনা ভগবান ৷ যে দ্রৌপদীকে আপনি বস্ত্র দিয়ে ইজ্জত রক্ষা করেছিলেন ৷ আর সেই আপনি দ্রৌপদীকে যুদ্ধে জেতার জন্য ব্যবহার করছেন ৷ কর্ণকে উপঢৌকন ( বিছানার সঙ্গী) হিসেবে দ্রৌপদীকে বিছানাসঙ্গী? এই কি ভগবানের আচৱণের কথা ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন