লেখার ডাগর মাঠ


মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৮

তাকে পাবার পর

দে ব জ্যো তি কা জ ল
তাকে পাবার পর...

সে আমায় প্রতিদিন
ধারণ করত ঠোঁটে । বিষ ভেবে ।
মৃত আলিঙ্গনে
এ ভঙ্গুর দেহ ভাঙতে ।

যখন বালিশে-বিছানায়
এ-দেহ হতো অন্ধকার নদী
মাছেদের চোখ
তাকে দেখাতো আলোক বিন্দু ।
     

আমি বিষ আলো হয়ে
অন্ধকার প্রহরে এগোতাম
আর এগোতাম
ক্ষয়ে যাওয়া স্তব্ধত্বার পায়ে পায়ে
        তার আলোর লেশ কেন্দ্রে ।

প্রজ্বলিত অন্ধ ভাঁজে
যে দেহ পেয়েছিলাম
বাবা অথবা মা’য়ের কাছে থেকে
তারা এখন হয়ে গেছে জীবন্ত গাছ ।
অচেনা পথ । ঈশ্বরীয় পাথর ।

সে এখন আমায় আবার জন্ম দেয় ,
ম্যাজিক জীবন করে যাদুয়া মঞ্চে ।

শনিবার, সেপ্টেম্বর ১

দশ লাখ

রির্টানে পাশ করে যখন
ভাইভার কার্ড পেলাম
তখন “ চলো দিল্লী যাই ” বলে কলকাতায় গেলাম ।

রাজপুতের বাচ্চারা বসে আছেন-
আমাদের জড়িপ করতে
সেখানে অনেকেই ছিলেন ,
মহাশয় , মহাদয় , মাননীয় , মাননীয়া
এমন কি ইংরাজী শব্দার্থের স্যারও

আমি তাদের সামনে গিয়ে
ওভেশন দিলাম ,
জড়াগ্রস্ত হয়ে আছে মন,
অনুভব করলাম
আমার দগ্ধ মন কোটেশন হয়ে গেছে ,
ভাবলাম
আমার অতিরিক্ত সাধনা কি আজ
ওভ্যারিতে ওভ্যাল হয়ে যাবে !
নটির মত নাট্যমঞ্চেই নাচবে !!
না-কি
পিরীত করে অসতীত্বের সিঁড়ি গুনবে !

হে গড !
তুমি তারচে আমায় মুক্তি দাও ।

এই বলতেই ,
ঈশ্বর দু’হাত বাড়িয়ে মৃত্যু যন্ত্রণা পাঠিয়ে দিলেন ।
সঙ্গে এক বোতল ফিনাইল ,

ঈশ্বর যে অবিনয়ী লম্পট, ইতর
তা আমি অনেক আগেই জেনেছিলাম ,
একাত্তুরের যুদ্ধে তিন লাখ মহিলার শরীরের-
ঈশ্বর ছিলেন দর্শক আর পাকিস্তানীরা ছিলেন খেলোয়ার ।

আমি গুছিয়ে উঠতেই
আধাপাকা ভদ্র গোছের
এক স্যার জিজ্ঞেস করলেন ,
“ এদেশের অর্থ মন্ত্রী কে ?”
আমি গলা চুলকিয়ে উত্তর দিলাম ,
                                 ডিনামাইট;
                                 ডাইন্যাস্টি ।

পড়ুয়া জীবনে তোমার সাবজেক্ট কি ছিল ?
                                   এথনলজি ;
                                    এথিকস্ ।

ভাইবা আমার চাঙ্গা । ভাবতেই ।
বুকের মধ্যে জয়ের ভূড়ভূড়ি চমক দিলো,
অন্য একটা চমক আমাকে জানালো ,

ইকোনোমিক্স নিয়ে আমার
কিছু জানা উচিৎ ছিল
তবেই না-কি
আমার চাকরিটা হতো..।