লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, মে ১০

আমার সুখ

আমার সুখ
শান্ত ভোর
জাগ্রত সকাল
তৃপ্তি দেওয়া কফি ।

আমার সুখ
উজ্জ্বল চোখ
মুঠোয় ধরা হাত
মায়ের ডাকে কাছে যাওয়া ।

আমার সুখ
খালি পা স্পর্শ মাটি
মাটির মধ্যের শিকড়
পৃথিবী কে করায় স্মরণ ।

  আমার সুখ
বৃষ্টি ভেজা চুল
মুখ খোলা আকাশ
আলাপচারিতায় দেতো হাসি ।

 আমার সুখ
নরম ও রুক্ষ
মার্জিত বিস্ফোরণ
চুপচাপ চেয়ে থাকা যতদূর ।

 আমার সুখ
তারায় তারায় সন্ধ্যা
প্রতিশ্রুতির রাত্রি ঘুম
গভীর রাতের বিছানা ।

 আমার সুখ *

বৃহস্পতিবার, মে ৭

সংজ্ঞায়িত মৃত্যু

আমি মরণ কে মরণ বলি না
দমরে মুচড়ে 
পড়ে যাওয়া-কে বলি মরণ ।

তা-হলে এবার বুঝলে তো
আমার মরণের সংজ্ঞাটি কি !

আশ্চার্য হলে বুঝবো
তুমি ঈশ্বরের নতুন নামকরণ করেছো ।
খোঁজার নামে খুঁজে পাও
ঘাস-পাতা , আঁচল-নিশ্চাচোল
পাখি আর পথিকের রুদ্র শ্বাস বয়ে যাওয়া শিশু থেকে কিশোর বয়সী বয়সটি ।

তবুও আমি মরণ কে মরণ বলি না
যেমন বলি না ঈশ্বর কে অস্তিতপূর্ণ বিশ্বাস ,
যাদের মরণ মস্তিষ্কে থাকে
তারা মৃত্যু-কে জলবায়ু বলে ,
আর
বেঁচে থাকা কে বলে মিথ্যা নৈবচঃ 

বিষ ও বৃষ্টি

যে আমায় শক্তি দেয়
যে আমায় শক্তি চেনায়
যে আমায় শক্তি  জোগায়
তাকে আমি ঝোলায় ঝুলিয়ে রাখি কাধে ।

যে আমায় বাঁচিয়ে রাখে
যে আমায় বাঁচিয়ে দেয়
যে আমায় বাঁচিয়ে তোলে
তাকে আমি কলমে লিখে বন্দি করি খাতায় ।

এত কিছুর পরও যাকে 
আমি প্রত্যেহ খুঁজি উদ্ভ্রান্ত বাদরে , চোখে
সে আমায় চিনতে শেখায় মরণ 
সে আমায় দেখতে শেখায় ধরণ
সে আমায় বুঝতে শেখায় 
আকাশ কেনো এত বড়ো নীল বিশলতায় 
বহন করে বিষ ও বৃষ্টি ।

শক্তি

বাঁকী রইল যত কাজ
তার মাঝে রয়ে গেল আমার-
এলোমেলো চুল , যাকে বলে চিন্তা ।

পথে মাঝে যার সঙ্গে দেখা
সে-তো আমার অপরিচিত পথিক
ভাগ্যবাদের কাছে 
যে আমায় পাঠায় , সে পথিক 
আমার পরিচিত , পরিনীত ভালবাসা ।

আর
যাকে আমি সব সময় বাঁধি , খুঁজি
সে অনাবিল আনন্দে দুঃখ দেয়
তাই আজ
পেট ভরাতে গৃহহীন যাযাবর আমি ।

ঈশ্বরের কালো হাত

ঈশ্বরের কালো হাত