আমার শ্বাসের চড়ুই
অন্ধকারে উড়ে বেড়াই । ডেকে বেড়াই ।
মরুভূমির মত বালি আর নির্জনতা থম থমে
বুকের মধ্যে সারাক্ষণ ঝিঁঝিঁ'র সরদ ।
কোথাও কেউ নেই । পাহাড় সমান ধূঁধূঁ । মৃত হিমালয় ।
শুধুই প্রবাহিত কবিদের মায়াকান্না ।
তোমরা তো গাল-মন্দ কর , কেন লিখি ,
মন খারাপের খাতায় দমবন্ধ ঘরে ।
তোমরা জাননা , আমিযে অজ্ঞাত ক্রীতদাসের দাস ।
পাকানো সাদা ধূঁয়ায় বাঁধা পড়েছি-
আমার উন্মাদ অন্ধত্বে ।
রোদ পড়লে বিলাসের লতা জানলা মুখো হয় ।
শৈশব , যৌবন কিছু জানিনে , বুঝতেও পারিনে
কতটা সঞ্চিত হলে দেহ জাগে-
প্যাচ খাওয়া সাপের মিলনে ,
ডিএনএ-এর পাকস্থলিতে ।
কতটা পরিশ্রম করলে যৌবন জাগে
শৈশবের বিছানায় , আমি জানিনে
শরীর মনের বালাই বুঝিনে ,
বুঝতেও চাইনে ।
বিছানার দু'পাশে নদী । তাতে আকাশ গভীর ।
মাছেদের খেলা দেখি পাখির চোখে ।
আমার নিরাপদ কান্নাগুলোকে কবিতা ভাবি
শিল্পীর হাত ধরে স্থাপত্যের ছবি আঁকি
হাহাকারের রক্তরং মুছি চোখেচোখ রেখে ।
তোমরা ভেবনা
এই অন্ধকার , নিখোঁজ সকাল খুঁজব
বিষ্টি ভাঙ্গা মেঘের গোলিতে দাঁড়িয়ে সূর্য্যকে আহ্বান করে ।