লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, এপ্রিল ৩০

বিবিক্ত

এক

দোটানা একটা শাসন , আমাকেই ধমকাই । আমি বিমর্শ-এর নিপীড়ক কামড় শান্ত গভীরতায় সমাধান খুঁজি । দোঁয়েল ফিঙেরা ঠাট্টা করে ডাকে-“ সততার প্রতীক ” । সে কি লজ্জা । অতি পরিবর্ধন রবার লজ্জা ।

দুই

বিবেকী মোচিত । আপাতত থাক । রাজনীতি হলো না । প্রমূখ ইত্যাদী । প্রলীন দেহ । এক পায়ে বক । বয়সে বয়স বাড়ে । কথায় বাড়ে বিপদ । অতি উগ্র বাম বিরোধীরা । একদিন ক্ষমা চাইবে । প্ররোচক । তাকে জিজ্ঞেস করে দেখো । এই পর্যন্তই আজ থাক ।

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৭

ইচ্ছে পুরণের ভাষা

অনুগল্প
ছোটবেলায় কাদা মাটি দিয়ে পিরামিট বানাতাম । পাড়ার এক দাদুর কাছে যেনেছিলাম পিরামিটে মরা মানুষ ভূত হয়ে বসবাস করে । আমি অবশ্য কখনই বিশ্বাস করতাম না ভূত-টূত বলে কিছু আছে । তবে কোনো এক কারণে মানুষ মারা জান । পিরামিড বানাতে বানাতে আমি ভাবতাম । বড় হলে আমি বিজ্ঞানী হব । মানুষ মারা গেলেই তাদের আমি বাঁচিয়ে তুলব । ওয়ান থেকে টু । টু থেকে থ্রী । আমার জীবনের পরিবর্তন ঘটতে লাগল । আমি যত বড় হতে লাগলাম বিজ্ঞানী হবার ইচ্ছাটা ততই ভিতরে দানা বাঁধতে লাগল । ভাবতাম সারা পৃথিবীর একটি মানুষকেও মরতে দেওয়া যাবে না । আমি তখনও অবদি জানতাম না বিজ্ঞানী কি করে হতে হয় । ভাবতাম এই কাদা মাটির পিরামিড বানাতে বানাতেই একদিন আমি বিজ্ঞানী হয়ে যাব ।
আমি বড় হতে হতে একদিন জানলাম । বিজ্ঞানী হতে গেলে প্রচুর বই পড়তে হয় । আমার পাশের বাড়ির এক মাস্টামোশার বাড়ি গিয়ে দেখি । আলমারি ভর্তি বই । ইংরাজি ও বাংলায় লেখার প্রচুর বই ।

মাস্টামোশাইকে জীঞ্জেস করলাম , এটা কি বই ?

মাস্টামোশাই বলে বসল , এটা মানুষ কেমন করে পৃথিবীতে এলো সেই নিয়ে বই ।

বইটা হাতে নিয়ে দেখলাম ইংরাজিতে লেখা । মনে মনে ভাবলাম দুর আমি তো ইংরাজি পড়তেই পারি না । পাশের আলমারি থেকে একটা বই বের করলাম । বইটা বাংলাতেই লেখা । কভার পেজে বড় বড় করে লেখা আছে শরৎ রচনা বলি । বইটা তাকে রেখে মাস্টামোশার দিকে তাকালাম । মাস্টামোশা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল , কি হয়েছে ? হঠাৎ বই-এর পিছনে কেন লাগলি ।

আমি করুণ আর নরম গলায় বললাম , বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের লেখা বই পড়ব ।

মাস্টামোশাই বলল, ওসব বই তো সব ইংরাজিতে লেখা ।

মনে মনে ভাবলাম । তবে কি হবে আমার বিজ্ঞানী হবার । আমি কি তবে পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে বাঁচাতে পারব না ? না , আজও এতটা বড় হয়েও বিজ্ঞানী হতে পারিনি । বিজ্ঞান বিষয়ের বইগুলো যে সব ইংরাজিতে লেখা । আমার স্বপ্নের পিরামিড আর বিজ্ঞানী হবার লুপ্ত বাসনা আস্তে আস্তে ইচ্ছাদের ডানায় উড়ে নিরুদ্দেশ হতে লাগল । মানুষ মরে । প্রতিদিন মরে । হয়তো আমিও একদিন মরে যাব । তবুও আমার বিজ্ঞানী হওয়া হবে না । আমার মাতৃভায় আমি কাঁদি হাসি , খিদে পেলে মাকে বলি । বড় জোড় কাউকে খিস্তি দেওয়া যায় । কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা করা যায় না ।

বীরত্ব

বাঙালীর অতীত ইতিহাস বীরের । তবে এই বীরত্বটা ছিল উদ্দেশ্য হীন । বাঙালীর এই বীরত্বের আসল উদ্দেশ্য কি ছিল ? কারু কি জানা আছে ? যদি উদ্দেশ্যটা জানা থাকত তবে অধিকার ছাড়তেন না । রক্ত দিয়ে , ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাটা যদি উদ্দেশ্য হীন বীরত্ব হয় । তবে ইতিহাস এই সভ্যতাকে ক্ষমা করবে না ।

বাঙালীর বরাবরই ব্রহ্মজ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান কম ছিল । জ্ঞান চর্চার জন্য বই পড়লেও কাণ্ডজ্ঞান বাড়ানোর জন্য আত্মজ্ঞান চর্চা করতেন না । আর তার জন্যই নিশফল বীরেত্বের মূল কারণ ছিল ।

তারপর সহস্র লাইন ভালবাসা

এক

আমার একজন শাব্দিক প্রেমিকা ছিল । তার আদ্যাক্ষর ‘ঝ’ । আমার সামনে এসে যখন দাঁড়াত । তখন চুমু দিতে মিথুক সাজতাম । তার বুকের মধ্যে আমার দু’চোখ দাঁড়াতেই আমি কাপুরুষ হয়ে উঠতাম । তার পায়ের কাছে আমার পা । তার হাতের কাছে আমার হাত । তার অনেক কিছুর কাছেই আমি অনুপস্থিত ছিলাম গণতন্ত্রের মত ।

দুই

ভোরে আর পাখি ডাকে না । তাই গাছেরা আর ভৈরবী গায় না । ছাগলের ডাকে ঘুম ভাঙে । অতৃপ্ত সকাল আমায় মাঝ রাস্তায় নিয়ে এসে ফেলে । আমি মানুষ খুঁজি । পথ চলতে যত রাস্তা পেরয় ততই মানুষের অনুপস্থিতি অনুভব করি । ডান বাঁ-এর দরজা জানলায় মানুষহীন গন্ধ অগণতান্ত্রিক ।

তিন
আমি প্রতিদিন এক মিনিট করে নীরবতা পালন করি । সূর্য যখন সাড়ে আট মিনিটে চোখের সামনে এসে দাঁড়ায় । তখনও অবধি তুমি আসমুদ্র হিমাচলে বিপদ গ্রস্ত সূর্য উদয় । তুমি আমার সেই গণতন্ত্র । যা শব্দে আছে , দৃশ্যে অনুপস্থিত ঈশ্বরের মত ।

চার

উত্তাপ কে বন্দি করি বসন্তের শুক্ন ডালে । পড়ন্ত বিকেল নিস্তেজ ঠাণ্ডা জলের রিং-এ । নুয়ে আছে আমার চোখের কোণে । পাশাপাশি বহু বছর ছাড়াছাড়ি নিয়তিলিপ্ত ছোঁয়া-ছুঁয়ি । কে কোথায় দু’জনেরই অজানা ফাঁকা মাঠে জাদু  । উপগ্রহের আলোর মত স্মৃতি রৌদ্দুর জ্যোৎস্না । সমন্তোরাল তুমি আমি পূর্ণগ্রাস বিচ্ছেদ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শহরের ক্যাফে ।

পাঁচ

আমি তোমার শরীরের গর্তে ফেলে দিব আমার বেদনাদায়ক মৃত্যু । তোমার হতাশার থুতু ফেলা শ্বাস ,আমার চোখ জুড়ে ছুঁয়ে নিবে কান্না । তোমার শেষ শব্দ ছিল , ভালবাসার এক-টুকরো স্মরণ অভিলাষ । আমি ততক্ষণে পাঁজর ছুঁয়ে দেখি , গভীর বর্ষণ দাগ আঙুলে নড়ে-চড়ে । আমার স্বপ্নেরা রাতের গর্তে চলতে থাকে । আর , এই শহর । আমার পায়ের উপর ক্লান্তে ঘুড়ে-বেড়ায় । ট্রামে-বাসে-নিউ মার্কেটের রেস্তোরাঁয় ......।



বুধবার, এপ্রিল ২৬

নাথুরাম গডসের জবান বন্দি

গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসের কিছু জবানবন্দী :-
**********************************************

পাঞ্জাবের অম্বালা কারাগারে নাথুরাম গডসে এবং নারায়ন আপ্তেকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল ১৫ই নভেম্বর, ১৯৪৯ খ্রীস্টাব্দে। মৃত্যুর সময় তারা উচ্চারন করেছিল, "অখণ্ড ভারত অমর রাহে, বন্দেমাতরম।" বিচারপতি জি.ডি. খোসলা ভেবেছিলেন নাথুরাম উচ্চতর আদালতে আত্মপক্ষের সমর্থনে আবেদন করবেন কিন্তু জবানবন্দী দেবার পরে নাথুরাম গডসে কোন অবেদন করেন নি। ৩০২ ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

গান্ধী হত্যার পরে নাথুরাম গডসেকে আদালতে তুলে প্রধান বিচারপতি জি.ডি খোসলা আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কিছু বলতে বলেন। প্রায় একসপ্তাহ ধরে চলেছিল এই বিচার পর্ব। গান্ধীজীকে হত্যার পেছনে একটা দুটো নয় অন্ততপক্ষে ১৫০ টা কারন দেখিয়ে ছিলেন নাথুরাম গডসে। নাথুরামের যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি সহ আদালতে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ আশ্চর্যচকিত হয়ে গেছিলেন। শেষে বিচারপতি খোসলা বলেন, "আদালতে নাথুরামের জবানবন্দী সবচেয়ে আকর্ষনের জিনিস ছিল। আমি যদি উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সকলকে বলতাম আপনারাই নাথুরামের বিচার করুন তাহলে অধিকাংশ ব্যক্তি নাথুরামকে নির্দোষ ঘোষনা করত সেটাই আমার বিশ্বাস।" নাথুরামের জবানবন্দী যাতে জনসমক্ষে না আসে সেইজন্য তৎকালিন ভারত সরকার নাথুরামের জবানবন্দীকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু নাথুরামের ভাই গোপাল গডসে কয়েক দশক ধরে আইনি লড়াই চালান। শেষে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে ভারত সরকার নাথুরামের জবানবন্দীর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।

জবানবন্দীর কিছু অংশ....
************************
১. হিন্দু দর্শন, শাস্ত্র পড়ার পরে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি......

২. আমি জীবনে গোখলে, বিবেকানন্দ সহ আরো অনেক মহাপুরুষের জীবনী পাঠ করেছি। সবচেয়ে বেশি কাউকে নিয়ে যদি পড়াশোনা করে থাকি তবে সেটা নিঃসন্দেহে গান্ধীজী। উনার দ্বারা খুব প্রভাবিত হয়েছিলাম......

৩. আমি জানি আমি কি করেছি। আমি গান্ধীজীর মত নেতাকে মেরেফেলেছি। আমি আমার জীবন নষ্ট করে ফেলেছি। আগামীদিনের ভারতবাসীর কাছে আমি জাতীর জনকের হত্যাকারী রূপে চিহ্নিত হব। আমার কোন দুঃখ নেই আমি গান্ধীকে মেরেছি.....

৪. গান্ধী অহিংসা, অহিংসা করে এতটাই মত্ত হয়ে উঠেছিলেন যে হিংসা এবং অহিংসার মধ্যে পার্থক্য কি সেটাই ভুলতে বসেছিলেন......

৫. গান্ধী হিন্দুদের জন্য কিছু করেন নি। কংগ্রেস চলত গান্ধীর কথায়। করাচি থেকে দিল্লী পর্যন্ত লক্ষ হিন্দু মারা গেছে স্রেফ গান্ধীর জন্য.......

৬. লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে ভাল ভাইসরয় যে লোকটা ধর্মের ভিত্তিতে একটা দেশকে দুই ভাগে ভাগ করে দিল। দেশ ভাগের জন্যও গান্ধী দায়ী.......

৭. জুলাই, ১৯৪৭ সালের কংগ্রেস মিটিংয়ে অধিকাংশ নেতা দেশভাগের বিরোধিতা করেন কিন্তু মিটিং শেষ হবার আগে গান্ধী সেখানে গিয়ে দেশভাগের সমর্থনে চুড়ান্ত সইটি করেন। এক সময় যিনি বলেছিলেন "কংগ্রেস দেশ ভাগে উদ্যোগী হলে সেটা যেন আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে হয়।"..........

৮. ১৯৪৮ সানে ৩০শে ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার ১০ মাস আগেই দেশের একটা খণ্ড নিয়ে আরেকটা দেশ বানিয়ে দেওয়া হল। এসবের জন্য গান্ধী দায়ী........

৯. কখন সত্যাগ্রহ আন্দোলন করতে হবে, কখন সেটা প্রত্যাহার করে নিতে হবে সেটা গান্ধীই জানত। ভারতের আর কেউ জানত না। সত্যাগ্রহ প্রকৃতপক্ষে কি জিনিস সেটা গান্ধী হয়ত নিজেই জানত না.....

১০. দেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা বজার রাখার জন্য হিংসার আশ্রয় নিতে হয়। এর মধ্যে আমি কোন পাপ দেখি না। মহারানা প্রতাপ সিং, ছত্রপতি শিবাজী, গুরুগোবিন্দ সিং এরাও তো হিংসার পথেই চলেছিল। হিংসা মানেই গান্ধীর চোখে সেটা পাপ......

১১. ১৯৩৯ সালে হরিপুরা অধিবেশনে নেতাজী সভাপতি নির্বাচিত হন কিন্তু এই গান্ধী পরাজিত পট্টভি সীতারামাইয়ার পক্ষ অবলম্বন করে নেতাজির বিরোধিতা করেন এবং নেতাজিকে দল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এটা কি কোন হিংসার পথ নয়?......  

১২. ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং শুকদেবের ফাঁসি রধের জন্য ভারতবাসীরা গান্ধীর শরনাপন্ন হয়েছিল তখন গান্ধী তাদের আবেদনের বিরোধিতা করে ভগৎ সিংদের বিপথগামী তরুন আখ্যা দিয়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশকে সমর্থন করেন........

১৩. জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পরে ক্ষিপ্ত ভারতীয়রা চেয়েছিল ডায়ারের বিচার হোক কিন্তু গান্ধী সেই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন। উধম সিং জেনারেল ডায়ার কে হত্যা করলে গান্ধী প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করে উধম সিংকে বিপথগামী তরুন আখ্যা দেন.........

১৪. ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ১ জন অনুপুস্থিত ছিলেন। ১৪ ভোটের মধ্যে সর্দার প্যাটেল ১৩ - ১ ব্যবধানে নেহেরুকে পরাজিত করেন। গান্ধীই, সর্দার প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহনে বাঁধা দেন এবং নেহেরুকে গদিতে বসান.........

১৫. দেশভাগের পরে হিন্দু শরনার্থীরা দিল্লির মসজিদে কিছুদিনের জন্য আশ্রয় নিলে গান্ধী তার প্রবল বিরোধিতা করেন এবং সেইসব শরনার্থীদের রাস্তায় বাস করতে বাধ্য করেন.......

১৬. গান্ধী হচ্ছে সেই লোক যে সশস্ত্র দেশীয় বিপ্লবীদের বখে যাওয়া তরুন বলে ভৎসনা করে অথচ বুলেদের আঘাতে হাজার হাজার ভারতবাসীর প্রান নিয়ে নেওয়া ইংরেজদের বিশ্বযুদ্ধের মত সশস্ত্র ও হিংস্রতায় পরিপূর্ন প্রানঘাতী যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্য দিয়ে সাহায্য করার সময় সেখানে হিংসাকে আন্তরীকভাবে সমর্থন জানান........

১৭. গান্ধী ভারতের জাতির জনক হতেই পারেন না কারন গান্ধী অখণ্ড ভারত গড়েন নি। গান্ধী ভারতবর্ষের জন্মদাতাও নন তার থেকে গান্ধীকে পাকিস্তানের জনক বলাই ভাল কারন গান্ধীর জন্যই ভারত দেশের একটা অংশ কেটে নিয়ে অন্য একটা দেশ পাকিস্তান বানিয়ে দেওয়া হল.......

১৮. গান্ধীর দ্বারা দেশের কোন উপকার হবার ছিল না। আমার কাছে সবার আগে দেশ, তার আগে কেউ না। গান্ধীও না। আমার মনে হয় না গান্ধীকে মেরে আমি কোন অপরাধ করেছি.......

                    ..........(ধন্যবাদ).........

কৃতজ্ঞতা স্বীকার :-
*****************
১. ইনটারনেট ও গুগল।
২. নাথুরাম গডসে সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিওগ্রাফি।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৫

কথা

ধর্মের ব্যপারটাই খটোমটো লাগে । আজ থেকে কয়েক হাজার বছর হলো এই ধর্মের আগমন । কিন্তু এই ধার্মীক ও ধর্মমানা মানুষগুলো ধর্ম কেমন হওয়া উচিৎ আজও মানুষকে বুঝাতে ব্যর্থ ।

       - নাস্তিক দেব

কথা

পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ ধর্ম মেনে নিয়েছে এবং পালনো করে ।
কেউ কেউ বলে তারজন্যেই নাকি ধর্ম নামক ব্যপারটা ঠিক । আমি কিন্তু পোষাকি ধর্মের কথা বলছি । যাই হোক কথাটা আমাকে প্রায় প্রায় শুনতে হয় । হুম এই যুক্তি যদি সত্য হয় । তবে এও তো সত্য ,পৃথিবীতে খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ বেশি । তবে কি খ্রিস্টান ধর্ম সব ধর্মের চাইতে শ্রেষ্ট ধর্ম ?

             - নাস্তিক দেব

ছোটোর মধ্যে আমি

♣ ছোটোর মধ্যে আমি ♦

গীটার কে মন প্রাণ দিয়েই ভালবেসে ছিলাম। কবিতা লিখি কিন্তু কবিরা ছাড়া কবিতা কেউ পড়ে না । মাঝে মাঝে কবিতা লেখার খেই হারিয়ে ফেলি । আর্ট তো জীবনের সাথে ধুকে ধুকে মরে গেল । অবশিষ্ট রইলাম নির্বোধ এক জোড়া পা নিয়ে । ভালবাসলাম । জানা ছিল না পায়ে নাকি ভালবাসা থাকে । পুরো জীবনটা নিজের কাছে নিজেই হীরো হয়ে থাকলাম । চরম অবহেলা যদি কিছু থেকে থাকে তা হলো , কি বলব ভেবে পাচ্ছি না ।  কথাটা বললে কাউকে আঘাত করা হবে । তাই বিরত থাকলাম । জীবনের কাছে আর কোন কিছু চাইবার ইচ্ছে নাই । ইচ্ছেদের ছুটি দিয়েছি । একটা কালো মেঘের মধ্যে ওড়ে গেছে সে সব ইচ্ছেরা ।  কেননা বড় বিপদে আছি । তাই মাতাল হয়ে এই বিপদের দিনে আর মাতালকে বিশ্বাস করতে পারছিনা ।

তাই শেষে বলব , ঈশ্বর যদি সত্যিই থেকে থাকেন তবে সংখ্যালঘু করে কোন মাতৃক্রোড়ে যেনো না দেওয়া হয় । এই বলে রাখলাম ।

বানী

জাত ধর্ম যাওয়ার ভয়ে আমরা মানুষ হতে পারি না ?

      -নাস্তিক দেব

রবিবার, এপ্রিল ২৩

দূরবর্তী বন্ধু

অনুগল্প
♥ দূরবর্তী বন্ধু ♥

দেবজ্যোতিকাজল

সংস্কারমুক্ত পাগলাটে মেয়ে...
জীবন শুরু অনলাইন world.in FB.....
সে অনলাইনে সত্যিকারে একজন বন্ধু খোঁজে বেড়ায়...
একটি ছেলে ... ..তার সাথে চ্যাট শুরু । ছেলেটি মেয়েটির মনোভাব জানতে আগ্রহী ....
বহু ছেলেই ছিল মেয়েটির উপেক্ষিত ...ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে তার ভালবাসার কথা জানায় । মেয়েটি যে ছেলেটিকে ভালবাসে শুধু এইটুকু কথা জানাতে এক বছর সময় নিয়ে নেয়...মেয়েটি তার সাথে নতুন প্রেমের জীবন শুরু করে । তারা উভয়েই একে অপরকে ভালবাসতে শুরু করে । ফেসবুক ছিল তাদের ভালবাসা আদান-প্রদানের চিঠি । কবেই তো শেষ হয়েছে লাভ লেটার লেখার যুগ । এখন FB , whatsapp , ভিডিও কল ও ডেটিং । বলা হয় এখন নাকি প্রেমের স্বর্ণ যুগ । পবিত্র প্রেম-ট্রেম বলে এখন কিছু হয় না । পবিত্র প্রেম বলতে  টাচ না করা । এ সব এখন বস্তা পচা সংস্কার । আজ-কালকার ছেলে মেয়েরা ভাবে , এসব কুসংস্কার । এমন কখনও হয় নাকি ! পাশাপাশি একটা ছেলে একটা মেয়ে , আর নাকি  ডন্ট টার্চ ! যত সব ভাড়ামি..........

দূর্ভাগ্যবশত ...তাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয় । ছেলেটি ছিল বাতিকগ্রস্ত ও neurotic.....। হলুদ রঙের পোষাককে সে লাকী রঙ মনে করে । আর প্রতি মাসের তেরো তারিখ ছিল তারকাছে  unlucky....। তার কারণে ছেলেটি...মানে রুহীন মেয়েটির সাথে প্রতি মাসের তেরো তারিখে ফেসবুকের অনলাইনে থাকলেও মেয়েটির সাথে চ্যাট করত না । অনিয়ন্ত্রিত চরম আবেগের কাছে রুহীন কে প্রেম হারাবার ভয় দেখত ।  তাই ছোট ছোট টোটকা আর কুসংস্কার কে সঙ্গ করে নিজের আত্মবিশ্বাস কে দৃঢ় করত  ........কিন্তু মেয়েটি ছিল এসবের উল্টো । বলা যেতে পারে ...একটু নাস্তিক স্টাইলের....এবং ওপে-মাইণ্ডেড । এই সব নিয়েই দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে । আমি বাঙালী অনেক ছেলে-মেয়েকে দেখেছি । তারা পোষাকে-আষাকেই শুধু আধুনীক । কুসংস্কার আর বাতিকগ্রস্ত জীবনটাকে তারা সুখ ধরবার টোপ মনে করে । এ যেনো বিজ্ঞান আর কুসংস্কারের টাগ-অব-ওয়ার ।

কিন্তু......

মেয়েটি মানে.....প্রীজা , রুহীন কে প্রচণ্ড ভালবাসত । নিজেকে ভাগ্যবান মনে করত রুহীন কে ভালবাসতে পেরে । প্রীজা যখন জানতে পেরেছিল যে , রুহীন অন্য একটি মেয়েকে সে বিয়ে করেছে । চিৎকার করে প্রীজা কেঁদেছিল । শব্দহীন মেঘের মত নীরব নীথর হয়ে গিয়েছিল । বুকের মধ্যে যারা কষ্ট দিত তাদেরকে ছোঁয়ে দেখত না । প্রীজার কোন অভিযোগ ছিল না । রুহীনকে কখনই বলেনি । কেনো এমনটা করল । আবার নিজেকে হালকা করতে কাউকে কখনও নিজের কষ্টের কথা শুনায়নি । প্রীজা গোপনে নিজেকে ছিঁড়তো ।

কয়েক মাস পর  রুহীন প্রীজাকে বলল , সে নাকি বিয়ে করে অতীত সম্পর্কের জন্য সুখী হতে পারেনি । তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রীজা প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে আছে । বিছানায় , রাস্তায় , পার্কে , মার্কেটে , সিনেমা হলে , খাবার দোকানে ; এমন কি গাড়ির সীটেও ।  রুহীন স্বীকার করেছে তার ভুলের কথা ।

প্রীজা কথাটা শুনে খুশী হয়েছিল এই ভেবে যে , সে রুহীনকে সত্যিকারের ভালবাসতে পেরেছিল । সে কথা আজ আর মিথ্যে নয় । রুহীনকে হারানোর পরও প্রীজা স্বপ্ন দেখত । রুহীনের সুন্দর হাতটা তার হাতকে স্পর্শ করে আছে ।

প্রীজাই রুহীনকে হাড়িয়েছিল । কারণটাও ছিল রুহীন । সে রুহীনকে সব কিছু দিয়ে ভালবাসত । তার জীবন থেকে রুহীন অনেক দূরে চলে গেছে । মাঝে রেখে গেছে কিছু অনুকম্পা সময় । সে সময় কে ধরে প্রীজা উড়ে বেড়ায় । হাড়িয়ে যায় নীজের মধ্যে । রুহীন তবুও সে আমার কারণেই অসুখী । তার স্ত্রী নিখুঁদ থাকা স্বত্ত্বেও । প্রীজা এখন রুহীনের জীবনে বহিরাগত প্রেমিকা । কিন্তু রুহীনকে সে আজও একই মাত্রায় ভালবাসে । তার একটাই পৃথিবী সে হলো রুহীন । রুহীনও জানিয়েছে প্রীজাও তার আর একটা পৃথিবী । তা আর হয় না । রুহীন তুমি সুখী হও । আমি তোমাকে সুখী দেখতে চাই । অনেক .....অনেক সুখী দেখতে চায় । প্রীজা নিজেকে সামলিয়ে ভাবে । না । রুহীন কে নতুন করে তার প্রতি দূর্বলতা হতে দেওয়া যাবে না । প্রীজা রুহীনকে বুঝতে চেষ্টা করে ।

....কিন্তু প্রীজাও....এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না কেনো ! সে নিজেকে বিচারের আসনে বসিয়ে নির্পেক্ষ বিচার করতে পারছে না কেনও ! এবার প্রীজা নিজেকে সামলায় । প্রীজা দরিদ্র মেয়ে । মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে । রুহীর সাথে তার আর কখনও দেখা হবে না ....। এ হতেও পারে না . .। রুহীন শুধুই ভালবাসা হয়ে বেঁচে থাকবে তার মৃত্যু অবদি । রুহীন তো তার সেকেণ্ডের ভালবাসা ছিল না । রুহীন তার জীবন এলোমেলো করা ভালোবাসা । এখন সে দূরবর্তী বন্ধু । অনেক দূরের একটা আধোনেভা তারা......

শুক্রবার, এপ্রিল ২১

অনুকবিতা

নদীকে সাগর ভাব ,ভালবাসা ফুরাবে না
ছাদকে আকাশ ভাব উদরতা ফুরাবে না

যে চলে গেছে , রেখে গেছে তারি ছায়া
শূন্য এ ঘরে , অন্ধকারে মিশে আছে মায়া

সন্ধ্যা নামে দেহের ভাজে
চোখ ডুবে যায় অন্ধকারে
খুঁজতে গিয়ে নিজে হারায়
ফিরে দেখি , বুকেই ওড়ে ।।

বুধবার, এপ্রিল ১৯

বানী

ধর্ম যারা পালন করতে বলে তাদের ধর্ম ভাত দেয় আর যারা পালন করে তাদের ধর্ম ভাত দেয় না

বাণী

ধর্ম কোনো কুসংস্কার নয় । কুসংস্কার ধর্মকে ছোটো করে দেয় । তাই বিজ্ঞান মনস্ক ধর্ম শ্রেয়

71 সাল

৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্য মারা গিয়েছিল এক হাজারেও বেশি ।

আর বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ক্ষতি ( প্রতিবন্ধী ) হয়ে আছে আজও আট হাজারেও বেশি ।

বাংলাদেশের আঠারো কোটি লোকের মধ্যে কত % লোক এই ইতিহাস জানে ?

নারী

তোমরাই তো বলো নারীর জাত নেই । আবার সেই নারী যখন ধর্মান্তরিত হয় তখন তোমাদের সমাজে ও মুখে চুন কালি পড়ে......।

কি বিজ্ঞ সব সমাজ পতি  আর ধর্ম বিশেষজ্ঞ

আমার কথা

আমি সব সময় কুসংস্কারের উল্টো পথে হাঁটি । এই জীবনে অনেক কুসংস্কার গোপনে ও প্রকাশে ভেঙেছি । মানি নি । হয়তো মানব না । কখনই মানব না । কুসংস্কার নিজের আত্মবিশ্বাস কে আপমান করে । নিজের শিক্ষা ও মর্য্যদার অপমান করে । বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তা ভাবনার ভাটিড় টান দেয় । ছোট বেলা থেকে যে সব কুসংস্কার পারিবারিক হিসেবে পাওয়া তা এক নিমিষে মন ও মনন থেকে তাড়িয়েছি ।

কুসংস্কার মনের মধ্যে তৈরি হয় আত্মবিশ্বাসের অভাবে । আত্মবিশ্বাস একটি চেতনার শক্তি । এ শক্তি ত্যাগ করতে পড়াশোনো লাগে না । লাগে বাস্তব ও বস্তুমুখি চিন্তা ।

আসুন নতুন বছরে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গড়র । আগমী শিশুদের জন্য একটা নতুন পৃথিবী রেখে যাব । যেখানে বিজ্ঞান ও জীবনের সংগ্রাম রয়ে যাবে । সেই সংগ্রাম হবে ক্ষুধা দুঃখ তাপ পরিতাপ দূরিকরণের ।

আমার কথা

♥ মমতা দিদিকে পুরির মন্দিরে পুজো দিতে দিলেন না ♦

আমি একটা গ্রামে পনের বছর বসবাস করেছি । সেখানকার সবাই জানত আমি নাস্তিক । গ্রাম বলে আমার নাস্তিকতা গ্রাম শুদ্ধ লোক সহজ ভাবে মেনে নেয়নি । ধর্ম নিয়ে এতটাই সমলোচনা করতাম অনেক সময়ি মৌখিক রোষে মুখে পড়ত হতো । আমি ঐ গ্রামটায় ভাড়া বাড়িতে থাকতাম । এমন একটা সময় এলো আমাকে আর বাড়ি ভাড়া কেও দিতে চাইল না । শেষ অবদি শহরে চলে এলাম ।

ঐ গ্রামে একটা বিশাল কালী প্রতিমার মন্দির আছে । প্রতি বছর সেখানে মেলা ও পূজো হয় । গ্রামের কোন পূজো আসলে আমার কাছে চাঁদা চাইতে আসত । আমি ওদের বলতাম , নাস্তিকের টাকায় তোমাদের ঠাকুর পূজো নিবে ?
ওরা আমার কথায় কোন জবাব দিত না । আমি এক শো , পঞ্চাশ দিয়ে দিতাম ।

মেলা শুরু । মন্দিরে পুজো হচ্ছে । আমি যদি কোন কারণে মন্দিরের সামনে যেতাম সবাই আমার দিকে চেয়ে থাকত । আবার কেউ কেউ বলত , কি মাষ্টারমশা আপনি তো নাস্তিক মন্দিরের সামনে কেনো ।

বলুন তো কি বিকৃত মানসিকতার এই আস্তিকগুলো । আমার চাঁদা নেবার সময় ওদের এসব কথা মনে পড়ত না । কিন্তু সুযোগ পেলে কথা বলতে ছাড়ত না ।

আমার কথা

ধর্ম যেমন সরল শিশুর মত ঠিক তেমনি আবার নির্মম জাল্লাদের মত । আমি অনেক কাছে থেকে দেখেছি এই দুই ধারার সরল ও কঠিন কে ।

সেই গ্রাম । যে গ্রামটা আমার বুকের উপর বসে আছে । শুধু যে খারাপ স্মৃতি আছে তা নয় । গ্রামটার বাজারের মধ্যে একটা বিশাল পাকুর গাছ ছিল । গাছটার নীচে গরমের দিনে সকাল থেকে অনেক রাত অবদি আড্ডা হতো । নানা আলোচনা । ধর্ম , রাজনীতি , কার বৌ কার সাথে পরক্রিয়া করছে , কার মেয়ে কার সাথে প্রেম করছে । মাঝে মাঝে খেলা , টিভি সরিয়াল থেকে শুরু করে সব থাকত তাতে । যাই হোক ।

আমাকে ওরা মাঝে মাঝেই জিজ্ঞেস করত । আপনার মা মারা গেলে উতুরী বা শ্রাদ্ধ করবেন না ।

আমি এক সেকেণ্ড দেরি না করে উত্তর দিতাম , প্রশ্নই আসে না এসব পালন করা ।

হুম । ওরা আমার কথা শুনে সহজ সরল ভাষায় বলত , সে আপনের ব্যক্তিগত ব্যপার । নাই করতে পারেন ।

বেশ কিছু দিন পর । এক কমরেডের মা মারা জান । কমরেড সিদ্ধান্ত নেয় তিনি পারলিক ক্রিয়া করবেন না । যথা রীতি তাই করলেন ।

কিন্তু শেষ অবদি যা ঘটল আমি অবাক হয়ে গেলাম । সারা গ্রামের লোক কমরেডের নামে যা-তা বলে বেড়াতে লাগল । কমরেড মাস দুয়েক পর বাড়িতে একটা মাকে নিয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করল । এবং গ্রামের লোকদের নিমন্ত্রণ করল । কি আশ্চার্য একটা প্রানীও খেতে এলেন না । কমরেডের পাটির লোকদের নিয়ে কর্মটা শেষ করল । প্রচুর খাবার নষ্ট হলো । আমিও সেই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলাম ।

সেই পাকুড় গাছের নিচে একদিন অনেকেই আড্ডা দিচ্ছিল । আমার এক বন্ধু আমাকে ডাকল । গিয়ে দেখি আড্ডাটা বেশ জমেছে । অনেকেই আছে সেখানে । আমি ওদের সবার উদ্দেশ্যে বললাম , বিপুল দার বাড়িতে তোমরা কেউ গেলে না কেনো ?

সরাসরি একজন কর্কশ ভাষায় উত্তর দিলেন , ও শালা মানুষ নাকি । যে মায়ের পারলিক ক্রিয়া করে সে তো জানোয়ার সমতুল্য ।

আমি বললাম , সে তো তাঁর মায়ের ভাল মন্দ সবাই দেখেছেন বেঁচে থাকতে । আর তাছাড়া তোমরা যে আমাকে বলতে ,কে কি পালন করবে তার সেটি ব্যক্তিগত ব্যপার । কিন্তু এখন তো বুঝতে পারছি সবটাই গ্রাম্য সমাজের ব্যপার ।

নাস্তিকদের বলছি খবরদার আস্তিকদের কথা বিশ্বাস করবেন না । ওরা মুখে যা থাকে ওদের ভীতরে অন্য থাকে