লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, জুলাই ২৯

কবিতা লেখার খাতা- পৃষ্ঠা ১

বুকহীন অন্ধকার উড়ে গেল
রাত্রি যাপন প্রহরী পেঁচায়
তুমি জেগে আছ ,
আমাকে জাগিয়ে ,
শরৎ আকাশে চিমটি কেটে ।

যত প্রকারের “ তুমি ” আছে
তুমি আমার সেই দেহোজ তুমি
যে আমার দেহের সাধ আহ্লাদ ,
কাননবালা কাঁটাওয়ালা ফুল ।
................................
কেবলি দীর্ঘ মায়া
একে অপরের প্রতি
...............................
কবি হব ব’লে
কখনও কলম কিনি নি
পৃষ্ঠার সাদা গন্ধ
আমাকে কবি করে উড়িয়ে দেয়
সদ্যজাত বীর্য্যপাত আকাশে ।

আমি আজ কবিতা শ্রুতি ,
ফুল→গন্ধময়  শ্রোতা  খুঁজি
কবিতার গুহায় পালিয়ে ।

আমাকে একদিন কবিতারা বলেছিলো,
একটা সঙ্গী জুগিয়ে দিবে ,
বাঁকি সময়টা কাটাতে ।

তাই বিনা কারণেই আমি
আজও সংসার করে যাচ্ছি ,
মধ্যবিত্ত কিছু শব্দ নিয়ে 
                        ছন্দে-গদ্যে।

শারীরিক সম্পর্কটাকে
বালিশের নীচে চাপিয়ে রেখে ;
থেঁতলে যাওয়া সময়টাকে
বলছি , ছিঃ আমরা মধ্যবিত্ত কবি ।
--------------------------------------------
মিছিলের কাছে প্রশ্ন রাখি
তুমি কার ব্যথায় চিৎকার কর

...............................................
আমার হাত
তোমার ঈশ্বরীয় দেহকে সরিয়ে দিয়েছে
যা তুমি বারবার অনিচ্ছাকৃত ঢেকেছিলে
তোমার কামনা তোমাকে উদলা করেছে
তোমার গৃহপালিত দেহটাকে দিতে মুক্তি  ।

আমার হাত
তোমার জীবনযাত্রা ছুঁয়ে দেখেছে
সৃষ্টি করতে অন্য একটি জীবন কে ।

..................................   .............

অটুট প্রার্থনা

বাতাসের হাতে ছেড়ে দাও
তোমার অকুণ্ঠ উন্মত্ত নিঃশ্বাস
সাগরের ঢেউ-তোলা ছাপা-
বিছানার হাতে ছেড়ে দাও
তোমার বুক খোলা যৌবন ।

উঠে বসো নির্বাক ঘাস পাতা শিশিরে
আতঙ্ক পথ পরিস্কার কর অ-সাম্রাজ্যে ।

মুক্তির আরেক নাম ,চলে যাওয়া নোই
বিদায়ের আরেক নাম , হতে পারে,
                    আবার ফিরে আসা ।

বাতাসের ভেতর যে শহর
যৌবনসুলভ আচরণ করে
তার মধ্যে আকাশি-শহর-হয় ; নগরী ।

ফিরে এসো এক সাইক্লোন স্মৃতির লোভে ।

তোমার আমার সনাতন আলিঙ্গন
যে নগরীর হৃদয় হাড় সাক্ষী থাকে ।
তার সরল রোমাঞ্চ দাঁড়িয়ে ফিরে
সাত শো কোটি অধরা চুম্বনে ।

হে বাতাস !
হাত ছেড়ে ,ঝড় হোয়ো না
বিছানা এলোমেলো করো না
ক্লান্ত শরীর তবে
মৃত্যুর কালশিটে গুনবে
ভালবাসার উপরে ।
................................................

নীল দেশ , জানলা দিয়ে দেখি

শবদেহের কাছে
আমার দেশ ঘুমায়
রেখা চিত্রে আঁকা
সে মানচিত্রের বর্ম
লাটায়ের টানে ছিঁড়ে
      এই বাসন্তী বিকেলে ।

ওরা কারা ?
যারা শীতের রাতে
স্বামীকে হারায়
বর্ষার দুপুরে হারায়
স্ত্রী’র অন্তর্বাস ,
এই রাত যাদের
স্বপ্ন পাখী ডানা
তাদের এই মাটি
         আর ডাকে না
আট প্রহর ঋতুময় মাঠে ।

ভ্রান্ত খাবারে মৃত জমি
মিছিলের শ্লোগান রুগ্ন হর্ষ
কান হয়ে যায় চোখ
বুক হয়ে যায় বেহুলা
আয়নায় কিছু প্রতিশব্দ
তৈরি করে প্রশ্রয়
চোখের পিছনে তার
                     গন্ধ পাই ।
শাসন । শোষণ । পীড়ন
পাথর ছুরে কাঁচের ঘরে
ভেঙে যায় বিরক্তিকর ভাগ্য ।

অন্ধ সাগর -
      চেপে বসে কাঁধে
উপত্যকায় বাঁধে যুদ্ধ
শাসন হয়ে যায় পাথর
মৃত্যুহীন মস্তিষ্কে
        জড়িয়ে ধরে বাঁশি ।

বদলায় ধর্ম । ঈশ্বর । মানুষ
সব বদলায় । অন্ধকার , আলো ,
        বদলায় না দেশ । নিরাপত্তা ।
বদলায় না গণতন্ত্র । হিংসা
বদলায় না পোষাকী মুখোশ ।

হাতের কর গুনে
দ্বিখণ্ডিত হোই । বিশ্বাস
দু আঙুলে ধ’রে বয়স ,
জীর্ণ এ শরীর মাটি খোঁজে
খোঁজে পায়ের জুতো ;
পথ হয়ে যায় ছেঁড়া পা ।
আমার নেই কোন মাটি
নেই কোন শিশু দেশ
নেই কোন আকাশ তল ।

আমার দেশ একাত্তুর ।
তিন প্রহরের অপ মৃত্যু-
আমাকে সংখ্যা করে তোলে,
ধর্ষণের গন্ধে মরে স্বাধীনতা
শিশু পা কেঁদে ফিরে বিবর্ণে
নদী হয়ে যায় অ-আঁকা-বাঁকা
                   দিকভ্রান্ত অন্ধগলি ,

শেষমেষ আমার
মেরুদণ্ড বেয়ে সোজা
পথ কেটে কেটে
                 বিপথ ঘুরে

উদ্বাস্তু হয়ে চলে যাই
অ-মাতৃভূমি গভীর অরণ্যে

        

:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
যারা ঘুমায় না
তাদের চোখ মানুষের নয় ।
একাকীত্বের ।
অন্ধকারের ।
অন্ধকার চোখ , কালোতে পূর্ণ ।
স্মৃতিতে গলে ,স্বপ্নায়াতু ছদ্মবেশ

চোখ কাঁদছে । কারণ ।
তাদের অন্তর কাঁদে না ,
অন্যাথায় সে মরে যাবে -
কাঁদতে না পারলে মেঘ চোখে ।

মানুষ বলে , চোখ নাকি মনের জানালা ;
জানলায় উঁকি দেওয়া কাঁচের চোখ ।
তাই তাকে নিরাপদে রাখতে হয় ,
যখন ঘুমাতে যাওয়া;বিছানার উপরে ।
নিরাপদে রেখে দেই দেরাজে ।

প্রতি দিন , প্রতি দুপুর , প্রতি রাতে ।

বড়ো বড়ো তার কাঁচের চোখ
আমার মারফত তাকায় স্থবিরে
আমি তার নাম দিয়েছি,“তৃণমণি চোখ”
                   যা তীক্ষ্ন গ্লাস
      অন্ধকারে চূর্ণ হয়ে থাকা বিছানা
      রক্তাক্ত চাঁদরের মৃত চোখ পাখি

                             যে চোখ
                           কোন প্রশ্ন করেনা
                         দেয় না কোন উত্তর
                      সে চোখই মৃত চোখ

********************************

তোমার জীবনের মুখোমুখি
যে ব্যথা ওড়ে বেড়ায়
শেষ পর্যন্ত আনন্দ উপভোগ করতে
তাকে কোন পথে ছেড়ে দিয়েছো ।
কি আবিষ্কার করতে ?

***************************
তাকাও আমার মুখের দিকে সন্ধ্যাতারা
দেখাও তোমার পোষাকের বাক্সে
খুঁজে পাওয়া ইন্দ্রিয় ভাঁজ জ্যোৎস্না
প্রেম তোমার কাঁপে লালসায়
কথারা যায় হারিয়ে মধ্যরাত্রি
ডুবে যাওয়া চাঁদে । একাকী ।
তোমার সকল শরীর ধ্বংস করে
আমার সকল অদম্য পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে

******************************

পৃথিবীতে যখন হেমন্ত নেমে আসে
কৃষকের লাঙলে তোমার যৌনতা দেখি

*****************************
মানুষের মৃত্যু আমাকে দূর্বল করে
ঈশ্বর আজ অবধি যত মানুষ মেরেছেন
তার বিচার কেউ কখনও চায় নি

******************************

বৃষ্টিতে ভিজে চুমু । ধূসর কবোষ্ণ ঠোঁট । শ্রাবণ মেঘে জমে ধূসর স্বর্গ ।
বৃষ্টিতে ভিজে , স্মৃতি ভেঁজা চুমু ।

কোমল ঝাঁপসা স্মৃতি রিনরিন শব্দে
থাকো তুমি সুকোমন স্তনের মতো সোহাগ ছায়ায় নশ্বর বাহুতে ।
দুজনার সাবালকত্ব পাশাপাশি কাঁদে
ভিজে যায় , ধুয়ে যায় , স্মৃতির চুমু ।

######################

অবিরাম বৃষ্টি চাই
গরম দেহ ধূয়ে দিতে
অবিরাম মেঘ চাই
ক্লান্ত ও শান্ত চোখের কপাটে

ওগো বাতাস !
তুমি সুর ছুঁয়ে , আগুন হয়ে
শিহরীত করো , শিশুতোষ মন ,
অগভীর মুখের উপরে বৃষ্টি হও
আমার উপমা অনাবিল ঘেঁষে ।

যে গান তোমার নিঃশ্বাস খোঁজে
প্রশ্বাসে চুরি করো তার অমরত্ব হৃদয়
আমি দুঃখ পেলে । যে,খুশীতে হাসে
তার এক খণ্ড মহাশূন্যের
আরোহীকে দিয়ে দাও স্বরলিপিকারে ।
তারপর । ধূলি । ধূঁয়া । জমাট ইচ্ছায়
জন্ম নিবে গানওয়ালা । শহর । গলি ।
ফিসফিসে কোলাহল পেঁচার চোখে ঘুমায় ।

ওগো গানওয়ালা !
তোমার বেপরোয়া ভাটির সুর ,
নদীর মত যে গান
উড়ে যাবে মৃত্যুর খোঁজে অর্জুনবাণে ।
ওগো বাতাস !
যে গান তোমার দেহে আছরে পরে
তার সুরের মালায় ছিঁড়ে পরে ফুল
কান অবধি পৌঁছায় না সে গান কখনও ,
পাখিরা যতক্ষণ না ফিরে , মেঘ হয়ে ঘরে।

আমার নগ্ন অপেক্ষা ধর্ষিত হতে হতে

ওগো বৃষ্টি !

######################

অবিরাম বৃষ্টি চাই
গরম দেহ ধূয়ে নিতে
অবিরাম মেঘ চাই
ক্লান্ত ও শান্ত চোখের কপাটে ।

ওগো বাতাস !
তুমি সুর ছুঁয়ে , আগুন হয়ে
শিহরিত করো , শিশুতোষ মন ,
অগভীর মুখের উপরে বৃষ্টি হও
আমার উপমা অনাবিল ঘেঁষে ।

যে গান তোমার নিঃশ্বাস খোঁজে
প্রশ্বাসে চুরি করো তার অমরত্ব হৃদয়
আমি দুঃখ পেলে । যে,খুশীতে হাসে
তার এক খণ্ড মহাশূন্যের-
আরোহীকে দিয়ে দাও স্বরলিপিকারে ।

তারপর । ধূলি । ধূঁয়া । জমাট ইচ্ছায়-
জন্ম নিবে গানওয়ালা । শহর । গলি ।
ফিসফিসে কোলাহল পেঁচার চোখে ঘুমাবে ।
আমি জেগে রোই জীবন দাগ টেনে ।

ওগো গানওয়ালা !
তোমার বেপরোয়া ভাটির সুর ,
নদীর মত গান হয়ে
উড়ে যাবে মৃত্যুর খোঁজে অর্জুনবাণ ছুঁড়ে ছুঁড়ে ,
তাকে আমি বুক পেতে নিব উল্কা এঁকে ।

ওগো বাতাস !
যে গান তোমার দেহে আছরে পরে
তার সুরের মালায় ছিঁড়ে পরে ফুল ,
কান অবধি পৌঁছায় না
সে গান কখনও আমার
পাখিরা যতক্ষণ না ফিরে , মেঘ হয়ে ঘরে
আমার অপেক্ষার দরজা ঠেলে ।

::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::

বঙ্গবন্ধু আমারও নেতা ছিলেন
বঙ্গবন্ধু , আমারও জাতির পিতা ছিলো
বঙ্গবন্ধু , আমারও গণতান্ত্রীক স্বপ্নদূষ্টা ছিল
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর শোক
আমাকেও বিহ্বল করত
..........................................

স্বপ্নচূড়ায় ঝরে পরা উৎস নদী
সাঁতার কাটা স্মৃতির সমুদ্র

+++++++++++++++!+++++++

আর না । এতদিন যার ঘরের পাশে ঘর ছিল আমার । সে এখন ভীত মন ।

................................................

।। ঈশ্বরীয় ভগ্নাংশে নারী ।।

আমার লেখা কবিতাক্ষর গুলো
বসন্তাশ্রয়ী অপ্রতিম দেহ অর্গান
আমি ভুল ভেবে ক্ষেপা ঠোঁটে
চুমু দিতে গিয়ে বুঝেছিলাম
কতটা আরক্তিম হলে
এমন কবিতা লেখা যায়
অভিন্ন দেহ , শিশ্ন সমকোণে ।

কাপড়ের নীচে যে মেয়েটি বেড়ে ওঠে
তার গর্ভবতী বুকে জন্ম নেয় যমজ স্তন
নিম্নাঙ্গ কেঁদে ওঠে। ধর্ষক । স্বপ্ন ভগ ।
যে নারীর পেটে জন্ম নেয় উপম  ঈশ্বর । আর ,
সেই নারীর দেহ হতে পারে
                  পাশা খেলার বাজি !

আমি জেনেছি-
তার সবটুকু দেহই নাকি ঈশ্বরের তৈরি ; তিনিই নাকি ছিলেন পুরুষ প্রজাপতি !

আমার লেখা কবিতাক্ষর গুলো
এখন বেশ-অন্যরকম
                    চক্রবাত নাস্তিক ।

আমি আরও জেনেছি ,
যে মেয়েটি এতদিন বড় হতে হতে
পুরুষ শরীরী গন্ধে অতকে উঠত
তার ভয়ের জঙ্গলে নাকি মধু জমেছে ।

মেয়েটি এখন লুকিয়ে থাকে
পৃষ্ঠার ভাজে ভাজে ,
দেবতার আশির্বাদী ফুল-বেলপাতায় ,

ঋতুস্নাতা মেয়েটিই একদিন
ধর্ষিত হয়েছিল ঈশ্বর বন্ধুর চাতুরীতে

আমি তখন ঈশ্বর কে জিজ্ঞেস করেছিলাম , এই বাঁচার আত্মনাদটি কার ?
আপনার না , মেয়েটির ?

ঈশ্বর আমার প্রতিউত্তরে জানিয়েছিলেন , পুরুষটি আমার সৃষ্টি । নারীটি পুরুষের দেহ থেকে সৃষ্টি । একাকীত্ব ঘোচাতে । তাই পুরুষকে তুষ্ট করাই আমার একান্ত কর্তব্য ।

নারীটি যখন অপারগ মৎস্যগন্ধা
তখন পুরুষটি হয় পরাশর
নারীটি যখন দ্রৌপদী হয়
তখন পুরুষটি হয় দূর্যোধন
নারীটি যখন ভঙ্গিশূন্য অহল্যা
তখন পুরুষটি হয় ইন্দ্র....
নারীটা যখন কুমারী কুন্তী হয়
তখন পুরুষটি হয় তেজস্বী সূর্য ;

আমার ক্ষ্যাপা কবিতাক্ষরগুলো
নির্নিমেষ চোখালে প্রশ্ন করে...
                         তবে ধর্ষক কে ?

*******************************

ঈশ্বর ধর্ষক কে দিয়েছেন আশীর্বাদ
ধর্ষীতা কে দিয়েছেন অভিশাপ

বুধবার, জুলাই ২৫

আজ আমার জন্মদিন

আগামী কাল আমি আকাশের নীচে আসব । বুকের কাছে থাকবে ঈশ্বর ও নাস্তিক । ঈশ্বরের ফলিত হাড়ে জন্মাবে আমার তর্জনি বন্ধু । আমাকে পথ দেখাবে । তাই, ভেবে আনন্দ হোই । হঠাৎ একদিন সে-বন্ধুও আমার ক্রসওয়ার্ডে হারিয়ে যাবে । তারপর আবার আমি একলা । বেপরোয়া রাতের জঙ্গলের মত একলা । তার ফলে , মেঘের উপর রাত জমবে । নিষ্প্রাণ কাফানালয়ে , সূর্য অনন্তশ্বাস ছাড়বে । আমার নতুন পুরনো শ্বাসগুলো পাইরা হয়ে ওড়বে ।

পুরনো পৃথিবীটা কুঁচকে গিয়ে , নীল নতুনের কচ্ছপ ভোরায়-কে গ্রাস করবে । বিশুদ্ধ চাঁদটা কাতরায় । জগৎ যন্ত্রণায় কাতরায় । রাতের বাগানে তারাফুল খুঁজতে । কাঠের ফুলে গন্ধ বেরোয় । বীর্য্যগলা গন্ধ ।   আমি ঈশ্বরের পা খুঁজতে সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়ায় । না , পায়ের বদলে খুঁজে পাই মহিলা কুমারীত্ব রাত । তখন আমি ঈশ্বর কণা হয়ে উঠি । ঈশ্বর বড়ো বেহায়া । নিলর্জ্জ দু’কান কাটা । আমি সাহায্য পেতে ঈশ্বরের কাছে গিয়েছিলাম । তিনি আমাকে সাহায্যের বদলে দড়ি দিয়েছিলেন । সেই মূহুর্তে আমার উপলব্ধি হয়েছে । ঈশ্বর মৃত । তিনি মানুষের জন্য সৃষ্টি করলেন সারিবদ্ধ পাপ । সৃষ্টি করলেন কুকুর লিঙ্গ । হাতের মুঠোয় দিলেন স্বসৃষ্টি ধ্বংসের তরোয়াল । ময়ুর চোখে দিলেন ভয়ঙ্কর ঘৃণা ও অদ্ভুত প্রকৃতি স্বভাব । আমাকে তোমরা স্পর্শ করো না । ঈশ্বর বললেন ।

আমি দখল হয়ে গেছি ঘুমপাড়ানি মেঘের ওপাড়ে । আমার কাছে থেকো না । আমি স্পর্ধার শরীরে বুড়ো আঙ্গুল জুরে গোসপেলের মত সত্য বাণীও বাণ ছুড়েছি । যাকে তোমরা ধর্ম মত বলো । তার প্রকাশ , এক্স মানুষের মুখে, ঈশ্বরীয় মুখশ্রুতি ।

আমি এতকাল যা শুনেছি । ভুল শুনেছি । ভুল অন্তর্বাসের মত । অবাঞ্চিত গর্ভপাতের মত ।

আগামী কাল আমার জন্মদিন ছিল । নাস্তিক হবার জন্মদিন । ঈশ্বর কে অস্বিকার করার জন্মদিন । এই দিনেই আমি আমার পুরুষ্ঠ লিঙ্গ খুঁজে পেয়েছি । সক্রিটিসের মত মেরুদণ্ডও পেয়েছি । পেয়েছি ‘হ্যাঁ’ ‘না’ বলা অথবা মেনে নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা । আর পেয়েছি মানুষ প্রাণ । মানুষ ঘ্রাণ ।

রবিবার, জুলাই ২২

ঝোড়ো শ্লোক

জানলা খুলে দেই
নির্বাক বাতাস অলিগলি ঘুড়ে এসে
অন্ধকার রেখে যায় ঘরে
ছোট চাকার মত চাঁদটা
আমায় হতাশা ঢেলে দেয়
                        প্রসারিত সারাংশে
আমি একজন মানুষ নই
আমি একজন মানুষ নই
আমি একজন অনুভূতি ;
                   গণ্ডক বিষ বৃক্ষ ।

জীবনের দৈর্ঘ্য-প্রস্ত
নদীর এপাড়-ওপাড়

আমি তোমায় দেখেছি
নীরব থাকতে
শীতকালীন গাছে
বর্বর শাখায় ,
দেখেছি সেলুয়েট আঙুলে
দখল নিতে
গর্ভবতী চাঁদের কলঙ্ক ।

অনেক কথা শব্দের মধ্যে
মাছ হয়ে খেলে সৌখিন অ্যাকুরিয়ামে ।

চৈত্রধূলা আবির হয়ে উড়ে চলে
ঝড়কে কুড়িয়ে আনতে
বন , মরুভূমি , সমুদ্র চোরাবালি
ভেঙ্গেচূড়ে মনে করিয়ে দেয়
হাজার বৈশাখের মিষ্টি কাণ্ডকীর্তি

দূর্ভিক্ষ জ্যোৎস্না নিথর আল পথে
সমাবেশ আলো-ছায়া , দোলে পেণ্ডুলাম ।

বাতাসের শ্বাস-প্রশ্বাস ,কুমারী বায়ুতে
গল্প শুধিয়ে বলে ,
তুমি বাতাস
আমি শ্বাস ।

আর উঁকি দেয় না মরণ ।

জুতোর মধ্যে মোজার মত
লুকিয়ে থাকে ধুকপুক
আমি ছদ্মবেশি মরণ ,
অনেক আগেই সে দেহ
জীবনকে দিয়েছে তর্পন ।

আমি আছি
মায়ের আঁচলে আধুলি হয়ে বাঁধা
আমি আছি
সমাজের আড়ালে নুলো অক্সিজেনে

আমার দেহে-
আর উঁকি দেয় না মরণ
দীঘল চোখের মত ছলনায় হাসে
মরণের নাকে –
আমি খোদাই ক’রা নিঃশ্বাস নথ ;
আর-
এই আসা যাওয়া '
দরজায় ঝুলে থাকা শিকল
কখন তাতে তালা পড়বে
কে জানে ।

আমার সদর দরজা খোলা আছে
জন্মান্তরবাদের গীতার প্রচ্ছদে
আঠারো দিনে পাল্টে গেলো
জ্ঞাতীর অপমৃত্যুর ইতিহাস ।
বিধবাদের সিঁদুরে তাই-
আমি দেখতে পায় অর্জুনের মুখ
অর্জুনের তীরের ফালায়
আমি ছিলাম যুদ্ধ জয়ের রক্তাক্ত বাণ....।

বুকহীন অন্ধকার উড়ে গেল
রাত্রি যাপন প্রহরী পেঁচায়
তুমি জেগে আছ ,
আমাকে জাগিয়ে ,
শরৎ আকাশে চিমটি কেটে ।

যত প্রকারের “ তুমি ” আছে
তুমি আমার সেই দেহোজ তুমি
যে আমার দেহের সাধ আহ্লাদ ,
কাননবালা কাঁটাওয়ালা ফুল ।

আমি কবি হব ব’লে
কখনও কলম কিনি নি
পৃষ্ঠার সাদা গন্ধ
আমাকে কবি করে উড়িয়ে দেয়
সদ্যজাত বীর্য্যপাত আকাশে ।

আমি আজ কবিতা শ্রুতি ,
ফুল→গন্ধময়  শ্রোতা  খুঁজি
কবিতার গুহায় পালিয়ে ।

আমাকে কবিতারা একদিন বলেছিলো,
একটা সঙ্গী জুগিয়ে দিবে ,
বাঁকি সময়টা কাটাতে ।

তাই বিনা কারণেই
আজও সংসার করে যাচ্ছি ,
শারীরিক সম্পর্কটাকে
বালিশের নীচে চাপিয়ে রেখে ;
থেঁতলে যাওয়া সময়টাকে
বলছি , ছিঃ আমরা মধ্যবিত্ত কবি ।

বুধবার, জুলাই ১১

ঝোড় শ্লোক

যখন জীবনের প্রত্যেকটি সুন্দর দিন কাটানোর জন্য কেউ রবে না

তখন নগ্ন পরিসংখ্যান কবিতারা
আমার পা জড়িয়ে সন্তান হবে

আমি তখন মাটিতে বসে কবিতা লিখব

আমাদের বিদায়ী কবিতা

কেননা ,
কবিরাই শুধু জানেন
কবিতারা কাঁদেন কিভাবে....


একজন কবি মানে
যিনি প্রত্যেক লেখায়
তাঁর হৃদয়ের অংশ রাখেন


তোমার প্রবাহ ভালবাসা
একটি সহজলভ্য নদী
তুমি যদি
কখনও আমাকে ছেড়ে যাও
তখন আমার হৃদয় কাঁদবে উচ্ছ্বাসে


একটি মৃত দেহ

শেষ রাস্তার সঙ্কেত


নিঃশ্বাস নাও ,
নিঃশ্বাস ছাড়

ঠাণ্ডা বাতাসের বাইরে মেঘের ঝাঁক
এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয় মৃত্যু ।

শ্বাস নাও ,
শ্বাস ছাড়ো

আমরা সবাই মৃত্যুর অস্তিত্ব
আমরা কখনই অপরাজেয় নই ।


চাঁদ থেকে গড়িয়ে পরে শূন্যচিন্তা
জ্বলন্ত মোমের মত
আমার গায়ের গন্ধে
মাঠের গায়ে মাঠ লেগেছে
নশ্বর জামা-প্যান্টে

আমি জানি
চলে যাওয়া সময় আর ফিরে না
যেমন ফিরবে না
আমার পড়ন্ত যৌবন

এই ভাবেই হারিয়ে যায়
শত শত সত্য ও ভালবাসা


আমার আগ্রহ
ব্যর্থ হয়ে শুরু
আমার হিসেব
অন্ধকারে হয়েছে হত্যা

আমি উড়ে যেতে চাই
খালি কক্ষের মত ,
নিঃসঙ্গ ফুলের গন্ধ থেকে


তুমি রোদ ছিলে
      বৃষ্টি-কে ভালবেসে ;
আমি বৃষ্টি ছিলাম
      আমার সূর্যস্নানে ,
রোদ-কে ভালবেসে ।

আমরা বিপরীত টানে
মিলিত হতে পারি না
                প্রেমের আর্কাইভে ।

কখনও যদি প্রানবন্ত ঘটনা ঘটে
            তবেই আমরা ভাগ্যবান ,
             তৈরি করতে রামধনু ।

সর্বস্বান্ত ভোরে
এলো একটি গঙ্গা-ফোড়িং
আমার জানালার পাথরে
বদল নিয়ে সমান্তরাল অনুবাদে
আরও বৃষ্টি পড়ে যখন

যারা সত্য দেখে পালায়
তারা অনিবার্য মৌলবাদী

যে সমাজে ধর্ষক থাকে না
সে সমাজ ঈশ্বর হীন সমাজ

আমি নিজেকে দেখতে চাই
প্রতিটি শেষ সূর্যাস্ত পর্যন্ত জ্বলতে

যদি আমি এইটি বুঝাতে পারি
তবে একদিন হয়ে যাব
আকাশের অংশ

ভালবাসা হলো বিবর্তন জানলা

বৃহস্পতিবার, জুলাই ৫

রোদ ও বৃষ্টি

তুমি রোদ ছিলে
      বৃষ্টি-কে ভালবেসে ;
আমি বৃষ্টি ছিলাম
      আমার সূর্যস্নানে ,
রোদ-কে ভালবেসে ।

আমরা বিপরীত টানে
মিলিত হতে পারি না
                প্রেমের আর্কাইভে ।

কখনও যদি প্রানবন্ত ঘটনা ঘটে
            তবেই আমরা ভাগ্যবান ,
             তৈরি করতে রামধনু ।