লেখার ডাগর মাঠ


সোমবার, মে ৩০

ওগো দেশ আমি পশ্চিমে

ঘাসের উপর পায়ের প্রতীক
গাছের সাথে খেলি
ছোট্ট বেলায় এই খানেতেই
চাঁদের কান মলি ।
:
মেঘের ছবি গাছে গাছে
লাটায়ে প্যাঁচ তুলি
শেষ আকাশে ঔ ঘুড়িটা
ঘুরছে ওলি-গোলি ।
:
থাকার কথা , থাকছি কোথা
কেউ রাখিনি আমায়
রাত্রি হলে খেয়ে দেয়ে
অন্য ঘরে ঘুমায় ।
:
মাটির পরে মাটি যখন
হয়েছিল ভাগ
কার কি এল , কার কি গেল
কেউ করেনি রাগ ।
:
নদীর গানে স্তব্ধ গানে
ফিসফিসিয়ে বলি
বলছি যা , বলো গিয়ে
আমার গানের কলি ।
:
জন্ম কোথা , মরছি কোথা
ভিজে আছে শশ্মান
কে জানে , কে কি ছিল
হিন্দু মুসলমান ।
:
ওগো দেশ ! ওগো মাটি !!
আলের পর আল্
পশ্চিমবঙ্গে এসে আমি
হয়ে গেছি বাঙাল ।

মাটি মরে গেছে

বিষ্টি , মেঘকে -
আমি বিশ্বাস.করি না ;
আমাকে দাঁড়িয়ে রেখে ভিজিয়ে-
দেওয়া তার রোজকার ব্যস্ততা ঃ

মাটি মরে গেছে কাঁদার নরমে
মানুষের ছায়া , মেঘের মৃগনাভীতে একসা ;

কতটুকু দিয়ে যাব , জানিনা ,
হিসেব করে পাবার সম্ভবনা কম ,
অন্তর্জলী প্রতীক্ষা স্বেচ্চাচারী চণ্ডাল-
ঘাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে ঃ

বিশ্বাস নিয়ে , আত্মবিশ্বাস-
ফিরানো যায় না , বুঝতে পারি ;

গোপন মমিতে বুক পেতে জন্মান্তর খুঁজি
ছায়ার গোলায় আলোর ভঙ্গুর
আসে মন্দ , যায় ভাল ; নৈঋত বাড়িতে-
মানুষের আত্মবিশ্বাস , শেষ দুপুর ,
বাস্তুসাপ খোলস ফেলে যা়য়
মৃত্যুবাচক শব্দের পিঠে. ঃ

বানী

ফিরে দেখা ভাল ।
ভুল-ত্রুটির নাকছাবি , কিশোরির পরাক্রম বুক ।
সাঁতারে ডুবে গেলে
জীবনের অভিজ্ঞতা প্রেসারকুকারের শেষধূয়া ।

মৃত্যুর পর আকাশ ভুলে ভরা
ঠিক ঈশ্বরের আদল ।
মৃত্যুর আগে বেঁচে থাকা
ক্ষমতার জন্য একপেশি গোল্লাছুট ।

আমি যা যা বলি
কখনই কবিতা হয়নি , কবি হয়েছে
আমি যা যা ভাবি
ভাবনা হয়নি , উত্তপ্ত ছায়া হয়েছে-বাণীতে

সতীত্বের রক্ত

শাদা বিছানা , সমাজ সমাজ-
রক্তের দাগ । পূর্ণ তৃপ্তি স্বামীবন্ধুটি ।

আটপৌড়ে যৌবনে সন্তান কিনা যায়
সতীত্ব অর্জন করা যায় হাতছাবি ,
কি মুস্কিল ব্যপার-
যুবতীদের সতিত্বের পরীক্ষা
মহিলাদের মা হবার পরীক্ষা
রীতিমত জেঁকে বসেছে শাদা বিছানায় ।

বনের পর বন , অন্ধকারের পর অন্ধকার
আলোর পর চোখ ঝাপসা উলঙ্গ শরীর , বাঁচা স্বার্থক ।

ভৃগু দাদুকে বলতে দেখেছি,
আরে মশাই ,ছিঃ ছিঃ !চরম নৈরাজ্য । শরীর আর শরীর নেই ।

হায় শাদা বিছানা , কার জন্য এত
ধুলাই , সযত্নের শরীর ।

ভৃগু দাদু হাত তুলে তোমার ঈশ্বরকে বলো , শাদা বিছানা হতে চাই পরজন্মে । সতীত্বের নক্সা সূচ-সুতোয় ডাল-পালা এঁকে ।

বড়াই-এর মহৎ

আহাঃ ! কি মহৎ আপনি ,
ফেস্টুন , ব্যানার , জ্বালাময় ভাষণে
আপনি মহৎ । প্রত্যাষার দ্বিগুণেও দেখেছি । আপনি মহৎ !
প্রতীকিতেও আপনি মহৎ
আপনি মহৎ ! মহৎ !! মহৎ !!!

ঝুকে ঝুকে অস্থির , দোম ফেলে বিশ্রাম নেই
মেঘের ছায়া , গাছ-পালাহীন প্রতীক্ষা
নিজের প্রতিবিম্বে ঘামের গন্ধ শুকোয়
তবুও আপনি মহৎ ।
:
ধর্ষণটা যদি খোদ্দের মেটান হয়
শিক্ষক পেটান যদি ছোট্ট ঘটণা ,
ঘুষের টেলিকাস্টে
আপনার কতরকম তুলনা ;
প্রাচীন চৌষট্টিকে সমুদ্রশাসনের
জলে ছুড়লেন ।
:
আপনি মহৎ ! তবুও বড়াই ।
বারবার বড়াই , বড়াই-এর মহৎ ;
প্রায় সাড়ে দু'কোটি আলামত
অন্ধ হয়ে আছে রাতকানা জ্বরে
প্লীজ , এদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুণ
কেননা আপনি মহৎ ।

পঞ্চদশ প্রেম

উলঙ্গ সূর্যের চোখে পূনরায় বিশ্বাস-
আমার নিমজ্জিত করি ।
যেখানে মাটি সরে গেছে , ভরাট করি আগুন ।

বন্ধুতের ছলে যা কিছু রাগঢাক-
না রেখে বল সবার সামনে
তা থেকে অদৃশ্য মন খুলে নিতে চাই ।

যা-কে আমি আজও আকাশ বলে ভাবি
হেমন্তের দুপুর এলে যার গন্ধে
মুর্ছিত হই , ভেসে উঠি মুক্ত মেঘে

যার কাধে হাত রেখে বসন্তের ঠোঁট খুঁজি
যার টানে , ব্যস্ত তৃষ্ণা মারাই দেয় বুকে
কাতরতা গলে গেলে ঘুমের কাজল দু'চোখ ভরে

সেই তুমি , আমাকে বসিয়ে দাও
অন্তর্জলী প্রতীক্ষায় , মায়ার খেতে ?

খুঁজি পথের ধুলোয় তোমার পদাঙ্ক গন্ধ
মনে হয় আবার শুরু করি শূন্য থেকে ………

শনিবার, মে ২৮

প্রতীক


আহাঃ ! কি মহৎ আপনি ,
ফেস্টুন , ব্যানার , জ্বালাময় ভাষণে
আপনি মহৎ । প্রত্যাষার দ্বিগুণেও দেখেছি । আপনি মহৎ !
প্রতীকিতেও আপনি মহৎ
আপনি মহৎ ! মহৎ !! মহৎ !!!
ঝুকে ঝুকে অস্থির , দোম ফেলে বিশ্রাম নেই
মেঘের ছায়া , গাছ-পালাহীন প্রতীক্ষা
নিজের প্রতিবিম্বে ঘামের গন্ধ শুকোয়
তবুও আপনি মহৎ ।
:
ধর্ষণটা যদি খোদ্দের মেটান হয়
শিক্ষক পেটান যদি ছোট্ট ঘটণা ,
ঘুষের টেলিকাস্টে
আপনার কতরকম তুলনা ;
প্রাচীন চৌষট্টিকে সমুদ্রশাসনের
জলে ছুড়লেন ।
:
আপনি মহৎ ! তবুও বড়াই ।
বারবার বড়াই , বড়াই-এর মহৎ ;
প্রায় সাড়ে দু'কোটি আলামত
অন্ধ হয়ে আছে রাতকানা জ্বরে
প্লীজ , এদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুণ
কেননা আপনি মহৎ ।

শপথের দুইভাগ





বিপর্ণ সূর্য , নষ্ট হলুদ , নির্জন ফুটপাত ।
মাঝে মাঝে বিশ্বস্ত মৃত্যু মেঘ হয়ে যায় ।
যা ছিল , তাই আছে শহর , গ্রাম
উচ্ছল ক্লান্ত নির্জন স্বপ্ন , ডিমলাইট জ্যোস্না
আমাদের টুকিটাকি চাওয়া-পাওয়া ।

তবুও তো আগে উপসর্গ ছিল
দক্ষিণ নদীর জানলায়
ঘুমটা দেওয়া চাঁদ ছিল
ছাপাশাড়ির গন্ধ , ঠাম্মার লম্বা কুমারী হাসি
গোপন পৃথিবীর টানে জেগে উঠতো ;
কত সঙ্গম শস্যপ্রয়াসী বটুয়ায় ভরে
মুঠো মুঠো চাঁদিয়াল হাসির গোলা ভরত
শৈশব , যৌবন বোঝত না যারা
কতটা থাকলে দুধে-ভাতে হাসা যায়
নিরাপদ ভালবাসায় সন্তান জন্মান যায়
তারও প্রতিশ্রুতির স্থাপত্যে বিশ্বাস গাঁথত

অতীত বিষ্টিতে যে নদী
চিকন চুম্বনে শরীর ফোটাত
তারও আজ হাহাকারের হাততালি
পৌঁছে দেয় আদিম পিগম্যালিয়ানের কাছে ।
এখন চারদিকে শুনশান
ঠোঁট ঘষে উড়ে যায় পাখি
অপ্রকাশিত শাসক জ্ঞানশূন্য বাতাস
মুখস্থ উনন্নয়নের দীর্ঘ ছায়াকাব্য
প্রতীকি ধর্মনিরপেক্ষতা ঈশ্বর আল্লা
শপথের শরীর ভাগ করে……
:
বড় জোড় যা হল
যার আসার কথা ছিল না
সে আগমণের পথে রইল……

সোমবার, মে ২

গ্রীষ্মের ছুটি , চুমু চুমু



একগুচ্ছ বসন্ত । অবারিত অন্ধকার
একটু একটু করে ফুরাত ফুরাতে চৌকাঠ পেরিয়ে
দ্বিধাহীন মাঠে দাঁড়িয়ে থাকে-আমার গান কবিতা ।
তবে প্রশ্ন হতে পারে , কেনো তার নিঃশব্দ ঠোঁটে
অন্ধকার হয়ে ঘুমিয়ে আছে ,হাড়িয়ে যাওয়া স্রোত……

উদাস মন লুকিয়ে লুকিয়ে
মোহরির কলমের মত কাঁদে দু'চোখ ভরে ,
উঁচু উঁচু আল্ , স্থবির মাঠ , জমি
থই থই উদাস জল আঁকে

সেই প্রথম দিনে শুভাকাঙ্খী সকাল
তখন ছিল স্কুল "গ্রীষ্মের ছুটি "
আমার জন্মান্তর আকাশ জুড়ে
ভোরের আধখাওয়া চাঁদটা অন্ধ আলোতে
ঝিলিক দিয়ে আমার হাতের মুঠোয় এসেছিল
তার নরম হাতের আলো……

রবীন্দ্র নাথ লিখেছিলেন… " ভোরের তারা এলো সাঁঝের তারার বেশে "
আর , আমি বলি--
তুমি নক্ষত্রজন্মা , খরস্রোতা সূর্য , একলব্য ভালবাসা
বৃষ্টি বৃষ্টি খেলা , ঠোঁটে জলের দাগ , চোখ বুজে হাই তোলে
চিবুক , বুক , স্তন , নাভী , পদাঙুল
জৈষ্ঠ্যের আকাশে , বাতাস ছোঁয়া ঠোঁট
গ্রীষ্ম তোমায় চুমু চুমু চুমু
হাতের উল্টো পিঠে
তাকে আমি আমাকে সে ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০