লেখার ডাগর মাঠ


বুধবার, অক্টোবর ৩১

উচিৎ কর্তব্য

উচিৎ কর্তব্যঃ-

1.সাপের ভয়ে মনসা পূজা না করে,বাড়ীতে কার্বলিক অ্যাসিড/ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা উচিত।
2.শত্রুর ভয়ে কালীপূজা করে সময় নষ্ট না করে,আগে শত্রুকে পরাজিত করার চেষ্টা করা উচিত।
3.সন্তান কামনায় গোপাল পূজা/কার্ত্তিক পূজা না করে,চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বা সন্তান                দত্তক নেওয়া উচিত।
4.পক্সের ভয়ে শীতলাপূজা না করে বাচ্চাদের টিকা/ঔষধ দেওয়া উচিত।
5.গ্রহদোষ কাটাতে শনিপূজা না করে গ্রহ,নক্ষত্রের সম্বন্ধে জানা উচিত।
6.বিপদের ভয়ে বিপদতারিনীর পূজা না করে,বিপদ সম্বন্ধে সদা সতর্ক থাকা উচিত।
7.অ্যাক্সিডেন্টের ভয়ে গাড়ীতে দেবদেবীর ছবি এবং লেবু-লংকা না ঝুলিয়ে বাবা-মায়ের ছবি রাখা উচিত।ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং সদা সতর্ক থাকা উচিত।
8.মৃত বাবা-মাকে অলীক স্বর্গে পাঠাতে লোভী ব্রাহ্মণের ফাঁদে পা দিয়ে,ব্রাহ্মণকে অকাতরে দান-ধ্যান না করে,জীবিতাবস্থায় বাবা-মাকে সেবা করা উচিত।
9.ধন-সম্পদের লোভে লক্ষ্ণীপূজা করে ধনী হওয়ার আশা না করে,পরিশ্রমী হওয়া উচিত।
10.গঙ্গাপূজা/ছটপূজার নামে নদীর জলদূষণ না করে,নদীর জলদূষণ প্রতিরোধ করা উচিত।
11.সরস্বতী পূজা করলেই বিদ্যা অর্জিত হবে না, মন দিয়ে পড়াশুনা করা উচিত।
12.ধর্মের নামে পশুবলী না দিয়ে,নিজের পশুত্বকে বলী দেওয়া উচিত।
13.ধর্মের নির্দেশে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা না করে,নিজের ধর্মান্ধতাকে হত্যা করা উচিত।
14.মিথ্যা আশীর্বাদের লোভে এবং মিথ্যা অভিশাপের ভয়ে ব্রাহ্মণ সেবা না করে মানব সেবা করা উচিত।
15.ধর্মীয় শিক্ষা অপেক্ষা আধুনিক শিক্ষা মূল্যবান।সব ধর্মের মানুষকে আধুনিক ও বিজ্ঞানসন্মত শিক্ষা গ্রহনে বেশী যত্নবান হওয়া উচিত।
16.জঘ্ণ্য, আত্মঘাতী জাতিভেদ বা বর্ণপ্রথায় ডুবে না মরে,বর্ণপ্রথাকে নির্মূল করা উচিত।
17.পৃথিবীর কোনোও ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ আকাশ থেকে পড়েনি,এসব মানুষের মস্তিষ্ক প্রসূত।এই চরম সত্যটি সবার স্বীকার করা উচিত।

মন্তব্য:ব্যক্তিগত।শেয়ার করুন।
Prasanta Kumar Mondal
                                                                                                                          @Prasanta
সংগ্রহ

আসুন হিসেবটা মিলিয়ে নিই

#ধর্ম

বশিষ্ঠ ধর্মশাস্ত্র এবং মনু সংহিতায় জাতপাতের প্রথা ও ভেদাভেদকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দেওয়া হয় এবং জাতিভেদ অনুযায়ী মানুষের পেশাকেও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় । বশিষ্ঠ ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ীঃ-

১) জাত ( বর্ণ ) চার প্রকার , ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র ।
২ ) তিনটি জাত ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের বলা হয় দ্বিজ ।
৩ ) তাদের প্রথম জন্ম হয় তাদের মাতার দ্বারা , দ্বিতীয় জন্ম হয় পবিত্র সূত্রের দ্বারা তার অভিষেকের পর...

বশিষ্ঠের বিধান অনুযায়ী  প্রথম তিন বর্ণের পৈতা ধারণ করার অধিকার আছে , শূদ্রদের নেই ।

মনু তাঁর বিধানে এই চার জাতের মানুষের পেশা জন্মগতভাবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন : মনু সংহিতা অনুযায়ীঃ~
‘ ৮৮ ’ ব্রাহ্মণদের জন্য তিনি ( অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা-লেখক ) নির্দিষ্ট করেন শিক্ষা প্রদান এবং অধ্যায়ন ( বেদ ) , নিজের ও অপরের মঙ্গলের জন্য যাগ-যজ্ঞাদি পরিচালনা করা , ( ভিক্ষা ) প্রদান ও ভিক্ষা গ্রহন করা ।

‘ ৮৯’ ক্ষত্রিয়কে তিনি আদেশ করেন জনগণকে রক্ষার জন্য, উপহার প্রদান করার জন্য , যাগ-যজ্ঞাদি অনুষ্ঠান করা , অধ্যায়ন করা ( বেদ ) , এবং ইন্দ্রিয় সুখভোগ থেকে বিরত থাকবার জন্য ।

‘৯০’ বৈশ্যকে আদেশ করেন পশুপালন করা উপহার প্রদান করা , যাগ-যজ্ঞাদি করা , অধ্যায়ন করা ( বেদ ) , ব্যবসা করা , অর্থ ঋণ দেওয়া এবং কৃষিকার্যে লিপ্ত হওয়ার জন্য ।

‘৯১’ শূদ্রদের জন্য সৃষ্টিকর্তা একটিই পেশা সুনির্দিষ্ট করেছেন , তা হলো অপর তিন জাতিকে নীরবে সেবা করা ।

মনু এখানেই ক্ষান্ত হননি । তিনি ব্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং শূদ্রদের নীচত্ব পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠা জন্যও কতকগুলি বিধান দিয়ে গেছেন । ব্রাহ্মণদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘৯৮’ একজন ব্রাহ্মণের জন্মই হলো পবিত্র শাস্ত্রের চিরন্তন মুর্ততা , কারণ তাঁর জন্ম হয় পবিত্র শাস্ত্রের পরিপূর্ণতার জন্য এবং তিনি যান ব্রাহ্মণের সঙ্গে একাত্ব ।

রবিবার, অক্টোবর ২৮

রামায়ণ

#রামায়ণ

রামের মহিমা প্রচারের জন্য কৃত্তিবাস লিখেছেন,  রামের চরণ স্পর্শে কাঠের নৌকা সোনা হয়ে গেল -এরকম আজগুবী কথা মূল রামায়ণে লেখা নেই ।

কৃত্তিবাস লিখেছেন-

সূর্যকে ধরিয়া হনু করে কোলাকোলি
সাপটিয়া সূর্যেরে পুরিল কক্ষতলি ।
পর্বত লইয়া উঠে গগন মণ্ডলে
মাথায় পর্বত তুলি লৈল হনুমান ।
পর্বত লইয়া চলে দক্ষিন মুখেতে ।

সূর্যকে বগলে পুরে গন্ধমাদন পর্বত মাথায় করে আনার অদ্ভূত কাণ্ড মূল রাময়ণে নাই ।

শনিবার, অক্টোবর ২৭

মহাভারত

#মহাভারত

কৃষ্ণ জানতেন , দ্রৌপদীর প্রতি কর্ণের গোপন আসক্তি ছিল । তাই দুষ্ট অভিসন্ধি পরায়ণ মানুষের মত কৃষ্ণ একথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না যে , “ দ্রৌপদী দিবসের ষষ্ঠভাগে তোমার সমীপে আগমন করিবেন । ”- এরচেয়ে হীন প্রস্তাব কল্পনাও করা যায় না ।

ছিঃ ছিঃ ! এই কি একটা ভগবানের মতো কথা হল ? ভীমের দ্বারা “ কুকুর ” অভিধায় লাঞ্চিত কর্ণকে দেবতা ও পুরোহিতদের স্বার্থে কৃষ্ণের আজ বিশেষ প্রয়োজন । তিনি তাকে রাজ্যের লোভ দেখিয়ে দলে টানতে চায় ।

কুপ্রস্তাবে টলানো গেল না কর্ণকে । কৃষ্ণ কে কর্ণ বললেন,............কুন্তী আমাকে আমার অমঙ্গল উদ্দেশ্যেই পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । ”
বললেন, ওদিকে আমার পালক পিতা অধিরথ ও মাতা রাধা আমাকে সস্নেহে পালন করেছেন ।  আমি তাঁদেরই জাতিকুল বিবাহ করে যে ভার্যা ও পুত্রপৌত্র লাভ করেছি , ভালবাসি আমি তাঁদের । না না , কৃষ্ণ ,“ অখণ্ড ভূমণ্ডল বা রাশীকৃত সুবর্ণের বিনিময়ে , হর্ষ বা ভয়ে এই সকল অন্যথা করিতে আমার সামর্থ্য নাই ।
বললেন , দুর্যোধন আমাকে রাজ্য দান করেছেন , বন্ধুভাবে গ্রহন করেছেন এবং আমারই উপর নির্ভর করে আছেন ।
“ আর আমিই যদি সেই সুবিস্তীর্ণ রাজ্য প্রাপ্ত হই, তাহা দুর্যোধন কেই প্রদান করিব ।

ম্লান হয়ে গেলেন কৃষ্ণ কর্ণদ্যুতির প্রখর ঔজ্জ্বল্য ।

( কুন্তী কর্ণকে ত্যাগ করে আজ এই প্রবাদ বাক্য মিথ্যা হয়ে গেছে “ কুপুত্র যদিবা হয় কুমাতা কখনো নয় । ) কিন্তু জনশ্রুতিটির শেষ দুটি শব্দ কে মানতে পারছি না । কুন্তী ছিলেন কুমাতাই ।

কর্ণ তার কানীন পুত্র ( বিবাহ পূর্বে জাত সন্তান ) । সেকথা সেই দিন সেই রণক্রিড়া ভূমিতে বললে ঘটনার গতিপ্রকৃতিই বদলে যেত , সে কথা আজ পঞ্চপাণ্ডবের প্রানভিক্ষা করতে এসে উচ্চারণ করতে কুন্তীর জিহ্বা অসাড় হয়ে গেল না ।

আবাক হয়ে শুনলাম , শুধু পরিচয়ই নয় , কুন্তী কর্ণকে ধর্মোপদেশও দান করছেন ।

বলছেন, “ হে বৎস ! তুমি আমার গৃহে , আমার গর্ভে জন্মগ্রহন পূর্বক মোহবশতঃস্বীয় ভ্রাতৃগণের সহিত সৌহার্দ্য না করিয়া এক্ষণে যে দুর্যোধনের সেবা করিতেছ ইহা কি তোমার সমুচিত কর্ম ? মহাত্মাগণ ধর্মবিনিশ্চয় বিষয়ে পিতামাতাকে সন্তুষ্ট করা পুত্রের প্রধান ধর্ম বলিয়া কীর্তন করিয়াছেন ।

কর্ণ বললেন ,“ ক্ষত্রিয়ে ! ( না , মাতা বলে এ নারীকে সম্বোধন করতে ঘৃণা বোধ করেন রাধেয় কর্ণ ) আমি আপনার বাক্যে আস্থা করি না , আপনার বাক্যানুরূপ কার্য করিলে আমার ধর্মহানি হইবে । .........আমি ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহন করিয়াছিলাম । কিন্তু আপনার নিমিত্তই ক্ষত্রিয়ের ন্যায় সৎকার প্রাপ্ত হই নাই । অতএব আরকোন শত্রু আপনা অপেক্ষা আমার অধিক ক্ষতি করিবে ? আপনি ক্ষত্রসংস্কার প্রাপ্তিকালে আমার প্রতি অদৃশ্য নির্দয় ব্যবহার করিয়া এক্ষণে আমাকে আপনার কার্যসাধনে অনুরোধ করিয়াছেন । আপনি পূর্বে মাতার ন্যায় আমার হিতচেষ্টা না করিয়া এক্ষণে স্বকীয় হিতবাসনায় আমাকে পুত্র বলিয়া সম্বোধন করিয়াছেন । ”

জগতে কুন্তীর মত কু-মাতা বস্ততই বিরল । আর কর্ণের মত সত্যনিষ্ঠ ত্যাগী মহাত্মাও অদ্বিতীয় ।

          সুত্র  -কুরুক্ষেত্রে দেবশিবির / বীরেন্দ্র মিত্র

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৬

Religion শব্দটা কি ?

যে Religion শব্দ ,তারও উৎপত্তি Religare অর্থাৎ to bind বা “ বেঁধে রাখা ” শব্দ থেকে । ধর্ম সুতরাং পরমার্থ লাভের উপায় নয় ; ধর্ম এক বন্ধনরজ্জু যা একটি মতলববাজ ও পোষাকী মানুষকে পরমেশ্বর সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক শোষণের কারাগারে অদৃশ্য জেলারের  ভূমিকায় খাড়া রাখে , এইজন্যই কায়েকীস্বার্থের প্রভুরা ঈশ্বরহীন সমাজকে ভয় পান ।

       -বীরেন্দ্র মিত্র

বিদুরের ধর্ম

সভাসদ্বৃন্দকে রাজা ধৃতরাষ্ট্র প্রশ্ন করছিলেন,“ মহাশয়েরা সকলে উপস্থিত আছেন । রাজপুত্র যুধিষ্ঠির সর্বজ্যোষ্ঠ ও গুণবান । অতএব এ রাজ্য তিনিই পাইবেন , তদ্বিষয়ে আমার কিছুমাত্র বক্তব্য নাই । এইক্ষণে এই জিজ্ঞাস্য যে , আমার এই জ্যেষ্ঠপুত্র , যুধিষ্ঠিরের পর রাজ্যভাগী হইবে কি না ? আপনারা কি বিবেচনা করেন , বলুন ।” ( আদিপর্ব/কালীপ্রসন্ন )

অস্বীকার করার উপায় নেই , রাজা ধৃতরাষ্ট্রের এমত আচরণ যথার্থ গণতান্ত্রিক । সেদিন বিদুরগোষ্ঠীর প্রভাবে একটি অত্যন্ত অমানবিক ও নিষ্ঠুর রায় দিয়ে না বসত , তাহলে হয়ত খণ্ডিত ইন্দ্রপ্রস্থের নয় , সমগ্র করুরাজ্যেরই সম্রাট হতেন যুধিষ্ঠির ।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য , ধার্মিক বিদুর রাজ প্রশ্নের উত্তরে সভায় রাখলেন একটি নির্দয় প্রস্তাব , ভবিষ্যতে কে রাজা হবেন , সে তো অনেক দুরের কথা , দুর্যোধন

বিদুর তাঁর শিখাধারী ব্রাক্ষণগোষ্ঠীসহ উথ্থাপন করলেন , অদ্ভূত দাবি । বললেন , রাজা ধৃতরাষ্ট্রের উচিৎ , এই মুহুর্তে তাঁর প্রথমজাত সন্তানকে পরিত্যাগ করা । কেননা সন্তানটি বিবিধ দুর্লক্ষণ নিয়ে জন্মগ্রহন করেছে । তার জন্মমূহুর্তে দেখা যাচ্ছে সমঊহ অশুভ চিহ্ন ।

কি সেই দুর্লক্ষণ ?

মহাভারত বলেছেন , “ সে সময় বায়ু প্রবলবেগে বহিতে লাগিল , দিগদাহ আরম্ভ হইল । ফলতঃ তৎকালে অশেষাবিধ অমঙ্গলসূচক ঘটনা উপস্থিত হইল ।

হতে পারে দুর্যোধন জন্মকালে প্রচণ্ড ঝড় ও ব্রজঘাত হয়েছিল । সম্পূর্ণ প্রকৃতির ঘটনা । কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের জন্মকালেও তো এমন প্রকৃতি ছিল । তিনি হয়ে গেলেন ভগবান আর দুর্যোধন হয়েগেলেন দুরাত্মা !

দুর্যোধনের জন্ম হয়েছিলে চৈত্রমাসের কাক ভোরে ( রাত্রী ছয় ঘটিকায় )

কোনো মানুষ দুরাত্মা ও পুণ্যাত্মা হয়ে জন্ম গ্রহন করেন না ।

রবিবার, অক্টোবর ১৪

এই কর্মবাদ ও আত্মার দেহান্তরবাদের তত্ত্ব একটি নতুন ও আকর্ষিক ভাবেই আবির্ভূত হয় ?

দার্শনিকভাবে আত্মার দেহান্তরবাদের তত্ত্বের উল্লেখ প্রথম বৃহদারণ্যক উপনিষদেই পাওয়া যায় । উপনিষদের মধ্যে এটাই হলো প্রাচীনতম এবং দীর্ঘতম এবং ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের সঙ্গে এই উপনিষদটি সম্পর্কিত ।

বৃহদারণ্যক উপনিষদের অন্যত্রও যাজ্ঞবল্ক্য তাঁর এই পাপ পুণ্যের তত্ত্বকে উথ্থাপন করেছেন নানা উদাহরণ সহকারে । প্রথমবার যাজ্ঞবল্ক্য তাঁর তত্ত্বকে গোপন রেখেছিলেন । কিন্তু পরে রাজা জনকের রাজসভায় প্রকাশ্য এবং আরও স্পষ্ট ভাষাতেই যাজ্ঞবল্ক্য তাঁর এই তত্ত্বটিকে বিশ্লেষণ করেন ।

পরে অন্যান্য উপনিষদেও পাপ-পূণ্য এবং জন্মান্তরবাদের তত্ত্ব হয়েছে । এমনকি ছান্দোগ্য উপনিষদে একথাও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে । যে এক জন্মের পূণ্যের ফলেই অপর জন্ম উচ্চ জাতিতে এবং এক জন্ম পাপের ফলেই অপর জন্মে নীচ জাতিতে মানুষের জন্ম হয় ।

শুক্রবার, অক্টোবর ১২

বৈদিক সমাজের নারী

বৈদিক সমাজও পিতৃশাসিত ছিল । বৈদিক সমাজে পিতার সম্পত্তিতে বিবাহিত নারীদের অধিকার ছিল না ।এখানে আর একটা বিষয় লক্ষনীয় যে, ঋকগুলিতে পুত্র লাভের জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে ।কন্যা লাভের জন্য না । আমরা এথেকে ভেবে নিতে পারি পিতৃশাসিত সমাজ নারী ও পুরুষের মধ্যে মর্যদাষ একটা ভেদাভেদ ছিল বৈদিক সমাজেও । পরবর্তীকালে এই ভেদাভেদ আরও প্রক্রোব হয় । নারীদের বেদ পাঠ ও যজ্ঞ করা নিষিদ্ধ ছিল । বাল্যবিবাহ শুরু হয় ।বহুবিবাহ চালু হয় । বিধবা বিবাহ বন্ধ হয় । সতীদাহ প্রথা প্রচলন করে এসবের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ।

এমন কি ঋতু কালীন নারীরা অপবিত্র হয় কেন তারও উদ্ভট কারন দর্শিয়েছে বশিষ্ঠ । বশিষ্ঠের বক্তব্যে আছে - ইন্দ্র যখন ত্বশত্রির ত্রি-মুণ্ড সমন্বিত পুত্র বৃত্রকে বধ করেন তখন তিনি পাপ ভারাকান্ত হয়ে পড়লে সকলে তাকে ব্রাক্ষণ হত্যার নিন্দা করে । তিনি তখন এই পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্ত্রী লোকদের কাছে ছুটে যান এবং তাদের বলেন- ব্রাহ্মণ হত্যা জনিত পাপের তৃতীয় অংশ তোমরা বহন কর ।
তখন তারা জিজ্ঞেস করলেন , তোমার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমরা কী লাভ করব ?
ইন্দ্র বলেন, তোমরা বেছে নাও ।
নারীরা বলেন , যখন স্বামীরা ইচ্ছা করবে । আমরা যেনো ঠিক ঋতুতে সন্তান উৎপাদন করতে পারি । আমরা যেনো সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত আনন্দ উপভোগ করতে পারি ।
ইন্দ্র বলেন ,তাই হবে । ( তখন ) তাঁরা ( পাপের তৃতীয় অংশ ) নিজেদের উপর দিলেন , ব্রাহ্মণ হত্যার ঐ পাপই প্রতিমাসে ঋতুস্রাব হিসেবে নিঃসৃত হয় । তাই ঋতুকালীন কোন নারী কর্ত্বক প্রদত্ত খাদ্য ভক্ষণ করা হয় না । কারণ নারী তখন ব্রাহ্মণ হত্যা জনিত পাপের রূপ ধারণ করেন ।

বশিষ্ঠের এসব শরীরবিদ্যা বিরোধী গাঁজাখোড়ি কথা । আর বিজ্ঞান এসব ধর্মের কথাকে বারবার মিথ্যা প্রমান করেছে । ধর্ম নারীকে ঘৃণা করে ।ধর্ম নারীকে প্রতারক ভাবে । আর আজ সেই নারী রক্ষা করছেন ধর্ম । নারীর হাতে এই চক্রান্তকারী পুরোহিতরা তুলে দিয়েছে  নানা ব্রত ।

মঙ্গলবার, অক্টোবর ৯

মহাভারত

কৃষ্ণ কর্ণ

#মহাভারত

শল্য ( মাদ্রীর ভাই ) নিজেই শক্তিমান এক প্রথম শ্রেণীর রাজা । তিনিই বা কোন্ দুঃখে হঠাৎ সসৈন্যে দুর্যোধনের দাসত্ব করতে আসলেন ? তিনিও বলেছেন , তিনি দুর্যোধনের অর্থভোগী দাস ?

স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে , গল্পটা বানানো । বানানো বলেই চার সম্মানিত ব্যক্তির মুখে একই বয়ান লক্ষ করা যায় । ( চার ব্যক্তি হলেন , ভীষ্ম , দ্রোণ , কৃপা ও শল্য )

হস্তিনাপুর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় কর্ণকে শ্রীকৃষ্ণ দুর্যোধন শিবির থেকে ভাঙিয়ে আনার চেষ্টা করে বিফল হয়েছিলেন ।

কর্ণের কানে কানে তিনি ( কৃষ্ণ ) বললেন , “ শ্রুত হইলাম তুমি ভীষ্মদ্বেষী , সংগ্রামস্থলে ভীষ্ম বর্তমান থাকিতে তুমি যুদ্ধ করিবে না । অতএব যে পর্যন্ত ভীষ্ম নিহত না হয়েছে , সেই পর্যন্ত আমাদের পক্ষহইয়া সংগ্রাম কর । ভীষ্ম নিহত না হইলে পুনরায় দুর্যোধনের পক্ষে হইবে ।” ( ভীষ্ম পর্ব , কালীপ্রসন্ন )

ভগবান ধরা পড়ে গেলেন অতি নিকৃষ্ট মানুষ রূপে । কৃষ্ণ স্বীকার করলেন , তিনি পক্ষপাতহীন নন ।

মহাভারতের এই প্রচারও সুতরাং মিথ্যা । তিনি পাণ্ডবপক্ষীয় ।

রবিবার, অক্টোবর ৭

প্রতিমা পুজো কবে থেকে শুরু

প্রতিমা পুজো

প্রতিমা পূজার প্রচলন হয়েছে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের আগে । প্রতিমা পূজা বেদাক্ত নয় ; পুরানোক্ত ।

বসু রাজই প্রথম ইন্দ্রের প্রতিমা পূজার প্রচলন করেন ।

    সূত্র- কুরুক্ষেত্রে দেবশিবির

ঈশ্বর চন্দ্র


``````````````

মহাভারত

শ্রীকৃষ্ণ
``````````````

কৃষ্ণ নিহত হয়েছেন সামান্য এক ব্যাধশরে । যার অর্থ , অনার্য বীরের অস্ত্রাঘাতে তাঁকে নিতান্ত মামুলীভাবে মরতে হয়েছে । আর মহাভারতের মুখ্যচরিত্র অর্জুন অতি দীনভাবে পরাজিত হয়েছেন সামান্য কতিপয় ডাকাতের হাতে পড়ে । এঁদের বীরত্বের বহর দেবতাদের ও জানা ছিল না । কৃষ্ণের মুখে তার স্বীকৃতিও পাওয়া যায় । যুদ্ধান্তে কৃষ্ণ বলেছিলেন , যুদ্ধের আগেই কংস জরাসন্ধ শিশুপালের মতো দেশীয় বীরদের কৌশলে নিহত করা না হলে এবং যুদ্ধের নিয়মানুন যথাযথ মান্য করে পাণ্ডবরা যুদ্ধ করলে পাণ্ডবপক্ষের পরাজয় ছিল অনিবার্য ।

মহাভারত

দুর্যোধন

বিদুর তাঁর শিখাধারী ব্রাক্ষণগোষ্ঠীসহ উথ্থাপন করলেন , অদ্ভূত দাবি । বললেন , রাজা ধৃতরাষ্ট্রের উচিৎ , এই মুহুর্তে তাঁর প্রথমজাত সন্তানকে পরিত্যাগ করা । কেননা সন্তানটি বিবিধ দুর্লক্ষণ নিয়ে জন্মগ্রহন করেছে । তার জন্মমূহুর্তে দেখা যাচ্ছে সমঊহ অশুভ চিহ্ন ।

কি সেই দুর্লক্ষণ ?

মহাভারত বলেছেন , “ সে সময় বায়ু প্রবলবেগে বহিতে লাগিল , দিগদাহ আরম্ভ হইল । ফলতঃ তৎকালে অশেষাবিধ অমঙ্গলসূচক ঘটনা উপস্থিত হইল ।

হতে পারে দুর্যোধন জন্মকালে প্রচণ্ড ঝড় ও ব্রজঘাত হয়েছিল । সম্পূর্ণ প্রকৃতির ঘটনা । কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের জন্মকালেও তো এমন প্রকৃতি ছিল । তিনি হয়ে গেলেন ভগবান আর দুর্যোধন হয়েগেলেন দুরাত্মা !

দুর্যোধনের জন্ম হয়েছিলে চৈত্রমাসের কাক ভোরে ( রাত্রী ছয় ঘটিকায় )

কোনো মানুষ দুরাত্মা ও পুণ্যাত্মা হয়ে জন্ম গ্রহন করেন না ।

মহাভারত

প্রতিমাপূজা

#প্রতিমাপূজা

প্রতিমা পূজার প্রচলন হয়েছে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের আগে । প্রতিমা পূজা বেদাক্ত নয় ; পুরানোক্ত ।

বসু রাজই প্রথম ইন্দ্রের প্রতিমা পূজার প্রচলন করেন ।

    সূত্র- কুরুক্ষেত্রে দেবশিবির

মহাভারত

শ্রীকৃষ্ণ

মহাভারতে ও পুরানে কৃষ্ণের জন্ম কর্ম জাতি ও বাসস্থানের ইতিহাস পাওয়া যায় । যে ঈশ্বরের জন্ম কর্ম ও কোষ্ঠী আমরাই তৈরী করতে পারি তাঁকে আর ভগবান বলে খাতির করতে যাব কেন ?

মহাভারতীয় তথ্যই বলছে , বাসুদেব কৃষ্ণ স্বয়ং নারায়ন নন , কিন্তু লক্ষ্মীদেবী নারায়নেরই প্রিয়তমা । তাই তাঁকে নারায়ন বানানো হলে এবং কৃষ্ণপ্রিয়ার বদলে বিষ্ণুপ্রিয়াকে আমদানি করা হলে আমদানিকারকে হয় ভেজাল দাতা বলব , নয় তো বলব , চোর ।

কেননা কৃষ্ণ  চরিত্রকে ভগবানত্বে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মহাভারত কারকে যত গল্প রচনা করতে হয়েছে, সেগুলির চাপে বহু সত্য শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সমাধিস্থ হয়ে গেছে

মহাভারত

মহাভারতে প্রধান তিন :

দুর্যোধনের প্রতিজ্ঞা, ‘ বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী । ’ যদি এই প্রতিজ্ঞা কেবলমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত অহঙ্কার হত , তবে তিনি কুরুক্ষেত্রে তামাম ভারতবর্ষকে তাঁর অনুগামী হিসেবে লাভ করতে সমর্থ হতেন না ।

মহাভারতের তিন প্রধান ভীষ্ম , দ্রোন ও কৃপ দুর্যোধনের সঙ্গে ছিলেন । যুদ্ধে তাঁরাই বা নিরপেক্ষ থাকতে পারলেন না কেনো ?

ভীষ্মের উক্তি ছিল , “মানুষ টাকার দাস , অন্নের দাস , তাই দাসত্ব নিবন্ধন তাঁকে দুর্যোধনের চাকরি করতে হচ্ছে ।” এও কি একটা যুক্তি ? অন্তত সর্বত্যাগী ভীষ্মের মুখে এ যুক্তি বসালে কোন্ যুক্তিবাদীর  সন্দেহ উদৃক্ত না হয়ে পারে ? দ্রোণ তো উভয় পক্ষেরই অস্ত্রগুরু । অর্জুন তার প্রিয়তম শিষ্য ।তা তিনিও কোন্ বিশেষ কারণে গেঁথে রইলেই রাজা দুর্যোধনের শিবিরে ? শিক্ষাগুরু কৃপাচার্যের বৃদ্ধ বয়সেও কি লোভই ছিল নিরপেক্ষতা অবলম্বনের প্রধান বাধা ?

     সূত্র- কুরুক্ষেত্রে দেবশিবির

রামায়ণ

বাল্মীকি মরা মরা নাম করে সিদ্ধিলাভ করেন নি । এ কথা মূল রামায়ণে নাই । কিন্তু কৃত্তিবাস লিখেছেন--

মড়া নয় মরা বলি জপ অবিশ্রাম

..............................................

মরা মরা বলিয়া আইল রাম নাম
পাইল সকল পাপে দস্যু পরিত্রান ।
তুলারাশি যেমন অগ্নিতে ভষ্ম হয়
একবার রাম নামে সর্ব পাপ ক্ষয় ।।

রাম নাম জপে সর্ব পাপক্ষয় হয় একথা বাল্মীকি লেখেন নাই । ( মরা মরা জপের রহস্য পড়ুন ধর্ম ও সাধনা ঘিরে সংস্কার )

@ রামের জন্মের ৬০,০০০ বছর পূর্বে বাল্মীকি রাময়ণ রচনা করেছেন একথা মিথ্যা । রাম ছিলেন বাল্মীকির সমসাময়িক । মূল রামায়ণে স্পষ্ট উল্লেখ আছে-

প্রাপ্ত রাজ্যস্য রামস্য বাল্মীকি ভগবান ঋষিঃ
চকার চরিতং কৃৎস্নং বিচিত্র পদমর্থবৎ ।। ১
( আদি কান্ড ৪ সর্গ ১ম শ্লোক )

★ কৃত্তিবাস বর্ণিত রামচন্দ্রের দূর্গাপূজা বা অকাল বোধন বাল্মীকি রামায়ণে নাই । ( সূত্র - ধর্ম ও সাধনা ঘিরে সংস্কার )

মহাভারত

মধুসূদন মানে শ্রীকৃষ্ণ কোন নারী’র প্রতি অনুরক্তা হয়ে “ রাক্ষসবিবাহ” করেছিলেন ?

গোত্র ও টাইটেল

বলুন তো , শ্রীকৃষ্ণের গোত্র কি ছিলো ?
শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন শুনক গোত্রধারী । যার টোটেম হল ‘কুকুর’ ।

শাণ্ডিল্য মানে ষাঁড় ।
গৌতম অর্থ গরু ।
ভরদ্বাজ মানে ভরত পাখি ।
মৌদ্গল্য হলো মাগুড় মাছ ।
কাশ্যপ মানে কচ্ছপ ।

আদিবাসিদের মধ্যে হাঁসদার টোটেম হলো হাঁস ।
হেমব্রেম-- সুপারী ।সরেন-- আমলকিগাছ । মারাণ্ডি-- ঘাস । মাণ্ডি--পিয়াল গাছ ।

লোধাদের গোত্র হল শুশুক ।

এই থেকে জানা যায় মানুষের জীবন ছিল বন ভিত্তিক ।

মহাভারত

কুন্তী

জগতে কুন্তীর মত কু-মাতা বস্তুতই বিরল । আর কর্ণের মত সত্যনিষ্ঠ ত্যাগীমহাত্মাও অদ্বিতয় ।

আর সেই কারণেই জননী কুন্তী তেঁনার দুই পুত্রের কাছেই শেষ জীবনে শুধুই অভিসম্পাতই পেলেন ।

ঈশ্বর কতটা ভঙ্গুর

শরৎ চন্দ্রের ঈশ্বর

শনিবার, অক্টোবর ৬

আত্মা’র ক্যারিক্যাচাল

নাগা ও অও নাগাদের বিশ্বাস প্রত্যেক মানুষেরই একটি করে স্বচ্ছ আত্মা আছে । এই স্বচ্ছ আত্মা থাকে আকাশে ।

অসমের লোখে উপজাতির বিশ্বাস করে , প্রতিটি মানুষের আত্মা দেখতে তারই মত , এবং একই আয়তনের ।

ছোটনাগপুর ও মধ্যপ্রদশের আদীবাসীদের বিশ্বাস আত্মা হল মানুষটির ছায়া ।

কুকি ও মণিপুরের পুরুষ সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের বিশ্বাস, প্রতিটি মানুষের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি করে আত্মা ।

বীরহোড়রা মনে করে মানুষের মধ্যে রয়েছে তিনটি করে আত্মা । তিনটি আত্মার একটিকে প্রায়ই দেখা যায় , সে হলো মানুষটির ছায়া ।

নীলগিরির টোডা সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশ্বাস অসমের লোকের কাছাকাছি ।

ইহুদিরা মনে করে প্রাণই আত্মা ; আত্মাই প্রাণ ।তাদের বিশ্বাস জেহোবা  মানুষের নাকে ফুঁ দিয়ে দেহে প্রানময় আত্মার সঞ্চার করেছিলেন । এ বিষয়ে তাদের বিশ্বাস আত্মার অবস্থান হৃদপিণ্ডে ।

গ্রিস দেশের অধিবাসীরা বিশ্বাস করতেন শ্বাসই হল আত্মা ।

নব প্লেটোপন্থীরা আত্মা বিষয়ে যে বিশ্বাসের কথা প্রচার করেছিলেন , তাই গ্রিসবাসীদের বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছিল ।তাদের মতে- আত্মাই চিন্তা বা চেতনা  এবং আত্মাই অমর ।

প্রাচীন  জার্মানরা বিশ্বাস করত , আত্মাই শ্বাস । দেখতে ছায়ার মত । থাকে হৃদপিণ্ডে ।

মালয়ের বহু মানুষের বিশ্বাস, আত্মার রং রক্তের মত লাল । আয়তনে ভুট্টার দানার মত ।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অনেকের ধারণা , আত্মা তরন ।

অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদের অনেকে আজও বিশ্বাস করে , আত্মা থাকে বুকের বাঁ দিকে হৃদয়ের গভীরে ।আয়তনে খুব ছোট ।

বহু জাপানি আজও এই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে আছে, আত্মার রঙ কালো ।

প্রাচীন মিশরীরা বিশ্বাস করত , প্রত্যেক মানুষের ভেতর হাত , পা  ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে আর একটা ছোট্ট মানুষ বাস করে । সেটা হল  “ দ্বিতীয় সত্ত্বা বা আত্মা ” । তারা এও মনে করত , শরীরের কোনো অঙ্গ হানি হলে আত্মাও অঙ্গহানি হয় ।