লেখার ডাগর মাঠ


বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৬

আমার কথা



আমি 97-98 সাল থেকে কোন রকম ধর্মীয় উৎসবে সামিল হই না । সারাদিনে একবারও ঈশ্বরের নাম নিই না । তার কাছে হাত জোড় করে প্রার্থনা করে কখনই আর বলি না, ঠাকুর তুমি আমায় ভাল রেখো । তখন আমি তরুন ঈশ্বর অবিশ্বাসী । তখন প্রথম প্রথম ভগবান শব্দটা মুখ ফসকে বেরোলেও । এখন মুখ ফসকানোটা আর হয় না । সুযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে বলতে পিছ পা হয় না । তিনি যে মিথ্যা, এই বিশ্বাসটাকে একদম অন্তরস্থলে প্রতিস্থাপন করতে পেরেছি । তাই আর তার বিরুদ্ধে বলতে পাপের ভয় লাগে না । কৈ তবুও তো আমি বেশ আছি । আগের তুলনায় অনেক ভাল আছি । বরং যখন ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিলাম তখনকার দিনগুলো, মানে শরীরের অসুখে আমি ভীষণ কষ্টে থাকতাম । এখন আমি বিশ্বাস করি, আত্মশক্তিই একজন মানুষের বড়ো জীবনীশক্তি । জীবন মনেই চড়াই উৎরাই । আত্মশক্তি থাকলে একজন মৃত মানুষ পূর্ণর জীবন ফিরে পায় । আমার জীবনীশক্তি বাড়িয়েছে , প্রথম ডেলকার্নিগী ,পরে বিভিন্ন বই । আমি নিজেকে চেনবার চেষ্টা করি । নিজের ভেতরে যেটি আছে তাকে ধরার চেষ্টা করি । যত রকম কারণ আছে , তার বাস্তব ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করি । তাই আমার আর ঈশ্বরের প্রযোজন হয় না । ঈশ্বর কে ডাকার প্রয়োজনীতা বোধকরি না । 

আমার জীবনটা আমার । আমার কষ্ট ও আনন্দটা আমার । তাই আমি আমাকেই ভক্তি করি । আর মনে মনে বলি হে ঈশ্বর তুমি যদি সত্যিই থেকে থাকো তবে তোমাকে চ্যালেঞ্জ আমাকে তুমি দুঃখ কষ্ট দিয়ে হারাতে পারবে না । আর যদি তুমি ( ভগবান ) না থাক তবে আমি ঠিক, তুমি মিথ্যা । যারা তোমার মিথ্যার পিছনে ছুটছে তাদের নিজেকে চেনার উপায় নেই বলেই তোমাকে আকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি আমার বর্তমান জীবনকে । যে সত্য ,আমার কাছে সত্য তা শুধু বিশ্বাস না রীতিমতো পরীক্ষিত । তুমি যে সত্য তার কোন প্রমান আমি পাই নি । তোমার ভূমিকার কোনো বহিরপ্রকাশ আমি দেখি নি । তুমি যে আছো তার একটা সলিড প্রমান বা যুক্তি চাই । তুমি যে শুধুই বিশ্বাস , এ পর্যন্তই তুমি শেষ ।

তবে হ্যাঁ, আমি 97-98 সাল থেকে যে জীবন অতিবাহিত করছি । তার সঙ্গে আমার মা’কে যুক্ত করতে পারি নি । তার ঠাকুরের নকুল দানা, ধুপকাঠি থেকে যা চাহিদা তার সব কিছুই আমি জোগান দেই । তবে মাঝে মাঝে মা’কে প্রশ্ন করি, এই সংসারের সুখের জন্য যত পুজো ব্রত করেছো তার কি হোদিস তুমি পেয়েছো ? পাও নি । এত গুরু সঙ্গ , প্রতি মাসে কিছু না কিছু পুজো বা ব্রত । সারা বছর দেখেছি চলছে । এখন এটাই বাস্তব, পরের বাড়িতে থাক , এই বয়সে এসেও রান্না না করলে খাওয়া জোটে না । তাহলে কেনো এত বিশ্বাস যে ঈশ্বর আছেন । তিন সন্তান তিন জায়গায় । কেউ প্রতিবন্ধী, কেউ দূরাগ্যব্যধি নিয়ে জীবন যাপন করছেন । আবার আরেক সন্তান তুমি বেচে আছো না মারা গেছো সেটুকুর খোঁজ নেবার কর্তব্যবোধ কর না । তাহলে কার মঙ্গলের জন্য এত কিছু করেছো । মা শুধু শুনে । বোঝার চেষ্টা করলেও হয় তো নিজের বিশ্বাসের কাছে হেরে জান । যাই হোক আমি কারুর মনের উপর খবরদারির পক্ষে নন । আমি আমার কথা বলতে পারি । যার যেমন জ্ঞান সে তেমন করে গ্রহন করবে এই লজিকেই আমি বিশ্বাসী ।

সোমবার, অক্টোবর ৩

ঝোড়ো শ্লোক

বাহির দরজা যে দেয় পাহারা
সে আমার দেহোজ প্রহরি
হতে পারে 
আবার নাও হতে পারে সে
কোন লাঠিওয়ালা ক্লাস টিচার
                           কিম্বা দোহার

সোমবার, এপ্রিল ১১

বাণী

ধর্মের নামে বুদ্ধিজীবী হত্যা, একটা রাষ্ট্রকে মেধা শূন্য করা ।
মেধা শূন্য রাষ্ট্র ধর্ম নির্ভর শোষণ ব্যবস্থা কায়েম করা সহজ।

      -নাস্তিক_দেব

শনিবার, মার্চ ১২

একদিন ঈশ্বরের বদলে, বিজ্ঞান পৃথিবী শাসন করবে

যুদ্ধ মানুষ করে, আর ঈশ্বর তামশা দেখে । কেনো না ন্যায় অন্যায় বোধে হার-জিৎ থাকে না, হার-জিৎ ক্ষমতাবানের পক্ষে । সে কথা সবাই জানে ।

এ যুদ্ধে ঈশ্বরের কোন ভূমিকা নেই । কে অন্যায় করলো ,কে কাকে বিনা কারণে মারল তার কোন হিসাব ঈশ্বরের কাছে বোধহয় নেই । থাকলে যে ইংরেজরা এত অত্যাচার করার পরও তারা আজ কতই না উন্নত ও অর্থবান । ভাবলে ঈশ্বরের ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে যায় । যারা একদিন হিরোসীমা নাকাশাকি ঘটিয়েছিল ,তাদের ঈশ্বর শাস্তির বদলে পৃথিবীকে শাসন করার ক্ষমতা দিয়েছেন । কি অদ্ভূত তাই না , ঈশ্বরের বিচার । যে ইহুদীরা এত অত্যাচারি বলে ভাবেন । ঈশ্বর তাদেই বা কি বিচার করেছেন । বরং তারা এতটাই ক্ষমতাবান সারা বিশ্ব তাদের সমিহ করে চলে । কি বলেন ? তাই না??

”একদিন ঈশ্বরের বদলে, বিজ্ঞান পৃথিবী শাসন করবে ।"

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৫

নীরব বোতাম

রোদেরা কথা বলে না । নিজের আত্মার সাথেও কথা বলে না । যত ভাব-ভালবাসা ছায়াদের সঙ্গে । পাতারা নড়লে ভালোবাসা বোতাম খুলে বুক দেখায় । বুক পেতে দেয় । বুকের লোমগুলো গাল ছুঁয়ে গেলে । শান্ত দিঘিতে ঝুপ করে জলের রিং-এ লাফিয়ে পড়ে শিকারী পাখি মাছরাঙ্গা হয়ে  । মাধবী তখন শীতল উচ্চস্বরে বলে , গায়ে যে লেপটে থাকে ছায়ারা তাকে সঙ্গে নিয়ে ডাল পাতা বানাও । আমার তোমার বুকের কাছে । তুমি তবুও দাও না তারে ধরা  । মাটির ছায়ায় বুকটা স্তন হয়ে ফুটে ওঠে । নীরব আর নিবিড়ের মাঝে আমি শুধু বানানে পার্থক্য । নিবন্ত রোদ আহ্বান করে সমুদ্রে ভাসা আগুন । রোদ গলে গিয়েছে সমুদ্রের নোনা জলে । মাধবী নিজের শরীরের ছায়া খোঁজে কৃত্রিম প্রকৃতিতে । রোদ মরে গেছে, ওর কাছে । প্রতিদিনের বেমানানো দিনের ধুলোবালি । কপালটাতে দাঁতাল বিকেল হয়ে গলে পড়ে  । স্তব্ধবাগ ঠোঁটে সন্ধ্যামালতী ফোটে । মাধবীর বুকের মধ্যে একটা হাতের স্পর্শ । শরীরে আস্তিক কীটের কামোড় ।  উত্তেজনায় ঘর বাড়ি রোদের গায়ে দুমরে-মুচরে পড়ে । সেই প্রথম রোদ উচ্চস্বরে ডেকে বলেছিল, মাধবী !