লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৭

যে মেয়েটি কবিতা হয়েছে

বৃষ্টি বৃষ্টি খেলা আমার পাশে, তার
কবিতা বিকেল পুরনো মেঘ ঘামে ৷

এত সত্য, সত্যের কাছে এত আতসী
ফিরে ফিরে আসে কলমের কাধে দাঁড়িয়ে

কত রকমের কেনো,
গোলাপ বনের খাতায় মেয়েটি কবিতা
দৈব্যবাণী শ্লোক স্তব
মেয়েটি স্তবক

পায়ের আঙুল হাতের আঙুল-
চাটে আমার জিভ

( তবু) দু'ফোঁটা চোখের জল ওড়ে, সাঁতরায়
আঁকা-বাঁকা ফিরে চায় কবিতার মৌমাছি
তবু উদ্ভিদ, আমি মাটি রস বীর্য্য গন্ধ মধু রাই

তুমি কতরকমের পাখি ৷
সারাদিন বুকে ওড়ো
এত জঙ্গল তবুও৷ চোখে ওড়ো ,
এত বড়ো আকাশ , তবু ওড়ো নিশ্বাসে

ওগো! কবিতা মেঘ,
সূর্য্য ছিঁড়ে-
কবিতা আঙুল চেটে চাটো
…………………গ্রীষ্ম
বর্ষা
শরৎ
বসন্ত ৷

শনিবার, ডিসেম্বর ২৬

যে দেহটি ঘুমায়নি

হাসির ছায়া ওড়ে ।

ভেসে গেছে মহাকাশ আলো । ফাঁকা নগরীতে
জলের নীচে অন্ধকার ; ফিরব বলে ডুবিনি
দু-হাতে জাপটে ধরি বানবাসি স্রোত
ভাগ্যরেখার সূতো ছিঁড়ে যাক ।খেলার মাঠে ;

আদিখ্যেতার সীমানায় দাঁড়িয়ে
কতটা ভাল থাকা যায় সেটাই দেখার ।
পরিশ্রমের ঘামে নিঃশ্বাস ছুঁড়ে
শীতের রাত কাটানো
এরচে ভাল , বড় সাদামাটা জীবন ।

কুণ্ডুলি পাকিয়ে রিপু পূজা ক'রে
যে দেহটি ঘুমায়নি
তার কাছে বন্ধু ভীক্ষে নেও-
সবুজ আগুনের দেশ থেকে ।।

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৫

বুড়ো ঈশ্বরের সাথে কিছুক্ষণ


তিরোভূত প্রচ্ছায়ায় একটা চাঁদ উঠল
উঠল পাতকী জ্যোস্না
করকর করছে হনহন করছে বিদ্বান বিদ্বেষ্টা
কখনও মুখ তুলে , আলো দেখে
আলোতে চোখ বুজে
চোখ বুজে গর্ব করে
মৎস বর্ষের ঘাঁ-এর রোগ
আমরাই প্রথম ধরেছি ।

ভাই বিধাতা তখন জংগলে ঘুড়ে বিধিবৎ
আঙ্গুলে খোঁচা দেয় ডাক্তার কাকু

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৪

এসো মনোনাথ রজঃস্বলা কাপুড়ে

'…… তাই, চোর হয়ে চুরি করি তোমার বুকের বোতাম '

রংকরা গান ড্রয়িং রুমে গ্রীন ব্রজবুলি
তানপুরা বাদল বাতাস আমার অভিসার
নাচে বৃষ্টি পদাবলী সমস্তদিন গলে-পচে

এসো আমার কানে
এসো আমার লোমে
এসো আমার চোখে

এই মাত্র বুঝতে পারলাম
মাথার চুলে সু়ড়সুড়ি বেড়ায়
আমার কত রকম জ্বালা
অসহ্য কথা প্লাটফর্মে চুমু
কৃষ্ণ ছেলেটি রাধা যুবতীর পিছু-পিছু

লিভটুগেদার লিভিংরুমে
ঈশারা তোমার সুঠাম
ঈশারা বাঁচায় হলুদ পাখি
এসো প্রাণনাথ বাথরুমে

এসো মনোনাথ রজস্বলা কাপড়ে
এসো হূদয়নাথ আঁশটা গন্ধে
এসো…এসো… ইস্ কোলে ৷৷

বুধবার, ডিসেম্বর ২৩

প্রেম গন্ধ নয় , কাম গন্ধ


কতবড় স্পর্ধা , ভালবাসাতে আগুন দিলে
আগুন আর জলহীন আইন
তোমাকে পরিত্র করল ?
না । বাইরে কানপেতে শোন
রক্ত পোড়া অঙ্গার
ধূলির গৃহে ।

তুমি নারী ! না-মনুসংহীতার দুশ্চরিত্রা
তুমি নারী !! না-কামকলা পটিয়সি
মোহ তোমার উদ্দামের ইচ্ছা
ভাঙ্গা-গড়ার লজ্জা
পোড়া অঙ্গার
তোমার মৃত অস্থি ।

আজ ১৫ই আগষ্ট , উন্মাদনার স্বাধীনতা
স্বাধীনতা লিখতে গেলে হাত কাঁপে
কবিতা আসেনা জয়ের । ঘৃণা
আর , তোমার স্পর্দায় অবাক
করে । একি করলে ;
একি করলে তুমি ।

ভাবতে দাও সমাজ ,ভাবতে দাও
বাহিরে যারা চিৎকার করে ,তারা
ধনতান্ত্রিকে বিশ্বাসি , ওরা
স্বামী-স্ত্রী'র সম্পর্ক বোঝেনা ,
বোঝেনা ভালবাসা ,আইন-আদালত
তাই স্বাধীনতা লিখতে ভয় করে ,হাত কাঁপে
কিন্তু, আমি ভুলতে পারিনা ,ভাবতে হয়

একি করলে তুমি
কাকে খুশি করতে ?
নিজেকে না সমাজ কে ?

-তাং ১৫/০৮/১৩

শ্রী কৃষ্ণ হল সেই নায়ক


বাংলা ভাষার দ্বিতীপ্রাপ্ত নিদর্শন 'শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন' বড়ু চণ্ডীদাসের এই কাব্য মোটামোটি চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতাব্দিতে রচিত বলে ধরা হয় ৷ কেউ কেউ আর একুটু এগিয়ে কালসীমা নির্দেশ করেছেন ১৩৫০-১৪০০ খ্রীস্টাব্দ ৷ চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে দুটি মত-

ক) অষ্ট থেকে দশম শতাব্দী অথাৎ ৭০০ -৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ ৷

খ) দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী
অথাৎ ৯০০ - ১২০০ খ্রিস্টাব্দ ৷

শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে দেখা যাচ্ছে, বাংলা ভাষা অধিকতর বাংলা হয়ে এসেছে ৷ চর্যাপদের সন্ধ্যা ভাষা'র ব্যবধান এড়িয়ে যেতে হয় কাব্যাস্বাদে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন ভাষা তত বাধা নয় ৷

শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে পাওয়া যাচ্ছে ' মজুরিআঁ ' শব্দটি ' বেগার' পেরথার বদলে আরবি রীতি অনুযায়ী মজুরীদান সমাজে চালু হয়ে গেছে ৷ বোঝা যাচ্ছে ৷ সব মিলিয়ে ৪৩টি শব্দ পাওয়া যায় শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে ৷ রচনা কাঠামোর মধ্যে আরবি ফারসি সাবিত্য যে ভাবে দেবতার থেকে মানুষের প্রেমে জোড় দেওয়া হয় ৷ কিন্তু বড়ু চণ্ডিদাস তুর্কি শাসকদের বদান্যতা পেয়েছেন ৷ এমন কোন কথা শোনা যায়নি, প্রমান মেলেনি ৷

এই সময় বাঙলি হিন্দু সমাজ নায়ক খুঁজছিল ৷ সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য , শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের নাক ছিল প্রেমিক, কারো কারো মতে শরীরী ভালোবাসার প্রেমিক ৷ কিন্তু ' শ্রীকৃষ্ণবিজয় '- এর শ্রীকৃষ্ণ হলো ঐশ্বর্যভারের প্রতীক ৷ ভগবতের অনুসারী শ্রীকৃষ্ণ ৷ এই কাব্য যিনি রচনা করলেন তিনি কিন্তু শাসকের অনুগ্রহ পেলেন ৷ এবং এই প্রথম একজন কবি বাংলা ভাষায় লিখে পাজ সন্মান, খেতাব এবং অর্থ পেলেন ৷

গর্ভবতী মেঘ


বিশ্বময় পায়ে পায়ে অন্ধকা
সবাই বসে আছে-
বকের মত কিম্বা বেড়ালের মত ওৎ পেতে
কিইবা করার আছে আশ্রয়ে বসে থাকা
ছাড়া

আমি বিনীত ভাবেই
সারাদিন আমার চারপাশে ঘুরি
ঠা ঠা রোদে দীর্ঘ মাঠ পেরোতে
যতটা নিশ্বাস লাগে
বুকের মধ্যে হাঁটু মুড়ে বসে আছে

চির পাওয়া প্রেম-প্রীতি
শরীরে জড়িয়ে নিয়ে গর্ভবতী মেঘ
হীম যন্ত্রণা জড়িয়ে লতাপাতা ।
চারপাশটা হাতরিয়ে চলতে চলতে
হাত রাখার অপূর্ণতা পিছু হাঁটে
এ সময়কে পেরোতে গেলে
বানান লুপ্ত হয়ে যাওয়া ছাড়া
আর কি-বা উপায় ।

খসড়া

এক

যখন দুপুর নেমে আসে
বিপন্ন সন্ধ্যাসেতু অকৃতজ্ঞে হাসে
থামে না কিছুতেই ৷
প্রেম চলে গেছে ঈশ্বরের সাথে ৷

দুই

সকাল থেকে বিকেল এলে
রাত্তির ভাবতে থাকে প্রেম আর উষ্ণতা
হঠাৎ যা চলে গেছে ' মৌসুমি বায়ু '
শুরু হল না শেষ ৷

তিন

কাদার শরীর ছেনে মুর্তি গড়লাম
হলুদ মাখা ভোর দেখব বলে
সবটুকু অপেক্ষা সাক্ষাতে দাঁড়ায়ে
প্রান্ত উল্লাস ময়ূর সিংহাসনে, ধ্বনির অনুরণন
সুসময় আর অসময়ের মধ্যেকার ফাটল জুড়ে ৷

চার

শুধু দিনান্তে এক উদাস বাউল
আজ আনমনে বিরাগ বাজায়
চুরমার হওয়া বাস্তব
পর্দা ঝোলে দেখা সাক্ষাতে ৷

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৭

ভারতে জ্যোতিষবিদ্যার আগমন

হ্যাঁ , ভারতীয় হিসেবে গর্ব হয় যখন দেখি চীন মিশর গ্রীস সকল সভ্যতায় জ্যোতিষী'র কথাবার্তা থাকলেও ভারতীয় সভ্যতায় তার ছায়া মাত্র নেই গ্রীক সভ্যতা বাদ দিলে বাকি সব সভ্যতায় এই জ্যোতিষচর্চা রাজ রাজরাদের বাড়ির বিষয় ছিল সব রাজায় একজন বা একের অধিক রাজজ্যোতিষী রাখতেন ।
কখন যুদ্ধে যেতে পারলে জয় হবে , কখন সিংহাসনে রাজপুত্রের অভিষেক হবে,কখন রাজকন্যাকে বিবাহ দিলে ভাল হয় -এসব কথা রাজজ্যোতিষীদের গোনা-গোনি করে বলতে হয় সাধারণ মানুষ 'রাজাউজির'দের নিয়ে মাথা ঘামাতেন না । গ্রিক সভ্যতায় এসে দেখলাম জ্যোতীষ বিষয়টা আটপৌরে চরিত্র অর্জন করছে ।সাদামাটা মানুষও জ্যোতীষ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে । ভাল মন্দ জানতে মানুষ জ্যোতীষের কাছে যাচ্ছে নিশ্চয় সেইযুগে কোন কারসাজি ছিল রাজার বাড়ির আচার বাইরে ছড়াতে পারলে ব্যবসা বাড়ে অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে একদল মানুষকে এই কাজ করতে হয়েছে যেখানে মানুষের বসতি সেখানে জ্যোতীষির আলোচনা করতে হয়েছেবিজ্ঞানের ইতিহাস পড়লে আমরা দেখি , গ্রিস দেশের পণ্ডিতরা একটা বিষয়ে খুব অহংকারি ছিলেন কি বিষয় ? গ্রীক সভ্যতার আগে নাকি কোন বিজ্ঞান ছিল না কি ছিল তবে ? ওঁরা বলত, জ্ঞান ছিল , বিজ্ঞান ছিলনা আমরাও জানি কথা দুটির আলাদা মানে জ্ঞান বলতে কত কি হতে পারে কিন্তু বিজ্ঞান বলতে নিয়ম কানন মেনে কথা বলতে হয়

ভারতে কি ভাবে জ্যোতিষবিদ্যার আগমন

গ্রিক সভ্যতার শেষ দিকে ছিল ব্যাবিলন সভ্যতা সেই সভ্যতারই একজন রাজা ছিলেন আলেকজাণ্ডার আলেকজাণ্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সালের কাছাকাছি আমাদের দেশ আক্রমণ করেন তখনই ওদের দেশ থেকে এই দেশে জ্যোতিষবিদ্যা'র আমদানি ঘটে গ্রীক সভ্যতার আমলে জ্যোতিষচর্চা ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে কোষ্ঠি তৈরি হয়
বাইরে থেকে কোন কিছু এলেই তা বেঁচে থাকে না তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় প্রথম যে নামকরা মানুষ জ্যোতিষ বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয় তিনি ছিলেন বরাহমিহির ছয় শতকের চরিত্র বরাহমিহির পণ্ডিত মানুষ নানা বিষয়ে তাঁর বই রয়েছে গণিত জ্যোতিষ ভূগোল এমন কি প্রাণীবিদ্যাতেও তাঁর উঁচ্চমানের বই ছিল তার কথা বলতে গেলে দুটো বই-এর কথা বলতে হয় পঞ্চসিদ্ধান্তি আর বৃহৎসংহিতা প্রথম বইটিতে হিন্দু জ্যোতিষবিদ্যার নানা ভাবনা চিন্তা রয়েছে
আমাদের দেশের বিশিষ্ট জ্যোতিষবিজ্ঞানী জয়ন্তু বিষ্ণু নারলিকার ১৬ই জুন ২০০১ তারিখের 'ইকোনমিক অ্যাণ্ড পলিটিকাল উইকালি' পত্রিকায় পরিষ্কার লিখেছেন, বৈদিক জ্যোতীষবিদ্যা 'বৈদিক' নয় , বিজ্ঞান'ও নয় আমাদের বেদের কোথাও এই বিষয়ে কথা নেই বরং বলা যায় আর্যভট্ট প্রথম (পঞ্চম শতাব্দ) থেকে শুরু করে ভাস্কর দ্বিতীয় ( দ্বাদশ শতাব্দ ) পর্যন্ত আমাদের জ্যোতিবিজ্ঞান চর্চা ঈর্ষণীয় মৌলিকত্বের স্বাক্ষর রেখেছে ।

কবিতা কথা

বারবার ভালবাসা প্রার্থনায়
হাত বাড়িয়েছিলাম
সে হাত দংশনে রক্তাক্ত
তুমি স্রোতের মুখে লুকালে
আলোর চোখ বুজে
অতীতকে ভুল্লে কি হয়
হয়তো ভান করছো, কালো রংবেরং
শিকারী পাখির মত বক ধার্মিক
মোবাইল নম্বরটা ডিলেট করেছো ?

জানি পারবে না ৷ কারণ -
তবে আর কাটবে কে অতীত
তুমি নাই নাই করে হাড়িয়ে যাবে যেদিন
তখন খোঁজবে তোমার আত্মবিশ্বাস
গুড বাই ভাল থেকো ৷

পৃথিবীতে একটাই কঠিন শব্দ
ভালবাসা গ্রহন করার সন্মতি
মানলে ভাল হতো
নীতি কথাকে বিকৃত করো না
শীতে ভীজে যাবে শরীর
তুমি ভাল থেকো
তোমার প্রতি আমার প্রতিহিংসা রইল ৷