লেখার ডাগর মাঠ


বুধবার, আগস্ট ৩০

তুমি অভিমান

তুমি অভিমান

এক

তোমার চোখে , আমি দেখেছি
মাইলের পর মাইল সৈকত
তোমার দ্বীপে অগোছালে-
এই যে আমি থেকেছি ক্ষণকাল ।

এবং হেসেছি । এবং
করেছি খুনশুঁটি
এটিই ছিল , সেরা ইতিবাচক ,
একটি মেঘলা দিনে
তোমায় ভুলাতে অভিমান ।

তুমিও ছিলে শিশু সুলোভ
আমিও ছিলাম শিশু সুলোভ
একই কাপড় থেকে কাটা
একসঙ্গে সেলাই , এপাশ ওপাশ
আমরা নিজেদের কে খুঁজে পেতে
তুমি শিখা
আমি মথ.....।।

দুই

কখনও কখনও
একটি বা দু’টি শব্দ
সব বলে দেয় ।
কখনও কখনও
বলা কথা ,ঠোঁটে এসে
বাতাসে হাড়িয়ে যায় ।

কখনও কখনও
একটি বা দুটি মজা
বিশাল আকাশে মেঘ চিহ্ন
কখনও কখনও
মেঘের আড়ালে
লুকিয়ে পড়া সূর্যে
ডেকে আনে জলের ছিটে ।

দুঃখ বা জয়
কে জানে ,
কখন আসে , কখন যায় ;
একটি শ্বাস বা দীর্ঘশ্বাস
দূর্গন্ধ তাজা বাতাস ।
একটি কবিতা
কবিতার শেষ পরিপূরক ।

মঙ্গলবার, আগস্ট ২৯

ঈশ্বর ও প্রকৃতি

বিদ্যাসাগর বলেছিলেন - “এই দেশের উদ্ধার হতে বহু বিলম্ব আছে । সাত পুরু মাটি উপরে ফেলে নতুন মানুষের চাষ করতে হবে ।”

কেনো বলেছিলেন জানেন , তিনি পোষাকী ধর্ম ও ধর্ম মতকে মানতেন না । তিনি একদম নিখাদ মানবিক ছিলেন । একজন জীবনিকার তো বলেছেন , তিনি নাকি নাস্তিক ছিলেন । যাই হোক , তিনি যে একজন মানুষ ছিলেন এই বিতর্কে বোধহয় কেউ যাবেন না । হুম । তাই তিনি মানুষই  ছিলেন ।

মানুষ, মানুষকে : মানুষ ভাববে, এটাই মানুষের ভাবনা চিন্তা হওয়ার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা হয় নি । তা না হয়ে , হয়ে গেছে কেউ মুসলিম কেউ বা হিন্দু । এই সত্যকে মেনে নিলে । প্রকৃতিকে অস্বীকার করা হয় । মানুষ প্রকৃতির সন্তান । এই প্রকৃতি মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন । কেউ কেউ বলতে পারেন । প্রকৃতি তো ঈশ্বরের সৃষ্টি । শ্রষ্টা ছাড়া আবার কোনো কিছুর সৃষ্টি হয় নাকি ! কেনো হয় না বলুন তো ? এই তত্ত্ব মানলে তবে তো বলতে হয় ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করলেন ? কি তাই না ! আপনি হয়তো বলবেন , ঈশ্বর স্বয়ংম্ভূ । ঠিক ধরেছেন । তবে প্রকৃতি স্বয়ংম্ভূ ভাবতে আপনার অসুবিধা কোথায় । অসুবিধা আছে । প্রকৃতিকে স্বয়ংম্ভূ ভাবলে ঈশ্বর মিথ্যা হয়ে যায় । কি ? তাই না ?

মানুষের বড় ভুল । তিনি তাঁর আত্মবিশ্বাসকে বিকৃত করেছেন । স্বাধীন নির্ভর না করে , সেই আত্মবিশ্বাস কে ঈশ্বর নির্ভর করেছেন । নিজের ব্যর্থতা হওয়ার কারণ না খুঁজে । শান্তনা পেতে ঈশ্বরকে বিচারকের আসনে বসিয়েছেন । কর্মবাদ আর ভাগ্যবাদ যে শোষিত ও অত্যাচারিত লোককে প্রতিবাদ বিমুখ করেন ; এই ধারণাকে তারা বুদ্ধির দ্বারা উপলব্ধি করতে পারেন নি । তাই মানুষ স্বাধীনতার মানে বুঝেও  স্বাধীনতা পরিপূর্ণ ভাবে ভোগ করতে পারেন না । কিন্তু একটা পাখি ? সে তো জানে না স্বাধীনতার মানে কি । কিন্তু সেই পাখি বেঁচে থাকা অবধি গাছে গাছে উড়ে স্বাধীনতা ভোগ করে যায় ।

মানুষ প্রকৃতি নির্ভর জীব । আগেই বলেছি । মানুষ তার প্রকৃতি স্বত্বাকে অস্বীকার করেছেন ।  জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মানুষ সেই প্রকৃতিকে অস্বীকার করে অদৃশ্য এক ঈশ্বর কে তাদের পরকাল ইহকাল বলে ভেবে আসছেন । ভেবে এসেছে মৃত্যুর পর কি হবে । কোথায় তার স্বর্গ কোথায় বা তার নরক । সে সুখ ও যন্ত্রণার কথা ভেবে মানুষ ঈশ্বর প্রাপ্তিতে মরিয়া । আপনি সারা জীবন ঈশ্বরের সাধনা করার পর যে আপনি ঈশ্বর প্রাপ্তি বা স্বর্গবাসি হবেন এই গ্যারেন্টি আপনাকে কে দিবেন ! নাকি মানুষের জীবনের গ্যারেন্টি নেই ভেবে সুকৌশলে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ফাঁদ ফেদেছেন ?  একটা অন্ধকারে পথ না খুঁজে । আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ হয়ে বাঁচাটাই বোধহয় “আমি মানুষ ” এবং ভেবে নেওয়া । এই প্রকৃতি আপনাকে ধর্ম দান করেছেন । তাই আপনি দুঃখ পেলে কষ্ট পান বা কেঁদে ভাসান । আনন্দে হাসেন । ন্যায় অন্যায় বোধ বুঝতে পারেন । যা মানুষ ভেদে বিভক্ত নয় । আপানার শুরু ও শেষ পথ আছে ।
কিন্তু এরা জানে না ,মানুষের  মৃত্যুটা মানুষে শেষ পথ । তারপর আর কোন রাস্তা নেই । আছে নদীর কূল । সামনে অন্ধ জল । এই সত্য যে মানুষ বুঝেনা । ঠিক তা কিন্তু নয় । কেননা মানুষ ঈশ্বর কে বিশ্বাস করলেও বাস্তব কে গ্রহন করতে দেরি করে না । তাই মানুষই বোধহয় পৃথিবীতে একমাত্র জীব যারা জেনে শুনে ভুল করেন । 

       - নাস্তিক দেব


বিদ্যাসাগর বলেছিলেন - “এই দেশের উদ্ধার হতে বহু বিলম্ব আছে । সাত পুরু মাটি উপরে ফেলে নতুন মানুষের চাষ করতে হবে ।”

কেনো বলেছিলেন জানেন , তিনি পোষাকী ধর্ম ও ধর্ম মতকে মানতেন না । তিনি একদম নিখাদ মানবিক ছিলেন । একজন জীবনিকার তো বলেছেন , তিনি নাকি নাস্তিক ছিলেন । যাই হোক , তিনি যে একজন মানুষ ছিলেন এই বিতর্কে বোধহয় কেউ যাবেন না । হুম । তাই তিনি মানুষই  ছিলেন ।

মানুষ, মানুষকে : মানুষ ভাববে, এটাই মানুষের ভাবনা চিন্তা হওয়ার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা হয় নি । তা না হয়ে , হয়ে গেছে কেউ মুসলিম কেউ বা হিন্দু । এই সত্যকে মেনে নিলে । প্রকৃতিকে অস্বীকার করা হয় । মানুষ প্রকৃতির সন্তান । এই প্রকৃতি মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন । কেউ কেউ বলতে পারেন । প্রকৃতি তো ঈশ্বরের সৃষ্টি । শ্রষ্টা ছাড়া আবার কোনো কিছুর সৃষ্টি হয় নাকি ! কেনো হয় না বলুন তো ? এই তত্ত্ব মানলে তবে তো বলতে হয় ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করলেন ? কি তাই না ! আপনি হয়তো বলবেন , ঈশ্বর স্বয়ংম্ভূ । ঠিক ধরেছেন । তবে প্রকৃতি স্বয়ংম্ভূ ভাবতে আপনার অসুবিধা কোথায় । অসুবিধা আছে । প্রকৃতিকে স্বয়ংম্ভূ ভাবলে ঈশ্বর মিথ্যা হয়ে যায় । কি ? তাই না ?

মানুষের বড় ভুল । তিনি তাঁর আত্মবিশ্বাসকে বিকৃত করেছেন । স্বাধীন নির্ভর না করে , সেই আত্মবিশ্বাস কে ঈশ্বর নির্ভর করেছেন । নিজের ব্যর্থতা হওয়ার কারণ না খুঁজে । শান্তনা পেতে ঈশ্বরকে বিচারকের আসনে বসিয়েছেন । কর্মবাদ আর ভাগ্যবাদ যে শোষিত ও অত্যাচারিত লোককে প্রতিবাদ বিমুখ করেন ; এই ধারণাকে তারা বুদ্ধির দ্বারা উপলব্ধি করতে পারেন নি । তাই মানুষ স্বাধীনতার মানে বুঝেও  স্বাধীনতা পরিপূর্ণ ভাবে ভোগ করতে পারেন না । কিন্তু একটা পাখি ? সে তো জানে না স্বাধীনতার মানে কি । কিন্তু সেই পাখি বেঁচে থাকা অবধি গাছে গাছে উড়ে স্বাধীনতা ভোগ করে যায় ।

মানুষ প্রকৃতি নির্ভর জীব । আগেই বলেছি । মানুষ তার প্রকৃতি স্বত্বাকে অস্বীকার করেছেন ।  জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মানুষ সেই প্রকৃতিকে অস্বীকার করে অদৃশ্য এক ঈশ্বর কে তাদের পরকাল ইহকাল বলে ভেবে আসছেন । ভেবে এসেছে মৃত্যুর পর কি হবে । কোথায় তার স্বর্গ কোথায় বা তার নরক । সে সুখ ও যন্ত্রণার কথা ভেবে মানুষ ঈশ্বর প্রাপ্তিতে মরিয়া । আপনি সারা জীবন ঈশ্বরের সাধনা করার পর যে আপনি ঈশ্বর প্রাপ্তি বা স্বর্গবাসি হবেন এই গ্যারেন্টি আপনাকে কে দিবেন ! একটা অন্ধকারে পথ না খুঁজে । আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ হয়ে বাঁচাটাই বোধহয় “আমি মানুষ ” এবং ভেবে নেওয়া । এই প্রকৃতি আপনাকে ধর্ম দান করেছেন । তাই আপনি দুঃখ পেলে কষ্ট পান বা কেঁদে ভাসান । আনন্দে হাসেন । ন্যায় অন্যায় বোধ বুঝতে পারেন । যা মানুষ ভেদে বিভক্ত নয় । আপানার শুরু ও শেষ পথ আছে ।
কিন্তু এরা জানে না ,মানুষের  মৃত্যুটা মানুষে শেষ পথ । তারপর আর কোন রাস্তা নেই । আছে নদীর কূল । সামনে অন্ধ জল । এই সত্য যে মানুষ বুঝেনা । ঠিক তা কিন্তু নয় । কেননা মানুষ ঈশ্বর কে বিশ্বাস করলেও বাস্তব কে গ্রহন করতে দেরি করে না । তাই মানুষই বোধহয় পৃথিবীতে একমাত্র জীব যারা জেনে শুনে ভুল করেন । 

       - নাস্তিক দেব

শনিবার, আগস্ট ২৬

অনুকবিতা

এক

গদ্যে তোমার ভালবাসার রঙ ধরুক
আমার সারা পৃথিবী ছড়িয়ে ছিটিয়ে
তাই খুলে যাক তোমার আলো ।

দুই

আমার ভালবাসা , ছবি আঁকা তুলির মত
সমস্ত আঁকা ছবি , আমার আকাঙ্ক্ষার অস্তিত্ব

শেরপুর

আমার প্রতিটা ভোরের স্বপ্নে
একটা শহর হানা দেয় চোখে

যেখানে আমার শৈশব

মঙ্গলবার, আগস্ট ২২

ধর্ম ও শোষণ

ধর্মমত মানুষকে শাসন করে না ; করে শোষণ । এইটি বহুল প্রমানীত ।  এই 2017 সালের সমাজ ও জীবন যাপন অনেক পরিবর্তনশীল । তাই যে কোন আইন বর্তমান সমাজ অনুযায়ী হলে সেখানে কারু অসুবিধা হওয়া উচিৎ না । বিশ্বাস আর বাস্তব পরিস্থিতী এক রকম হয় না । আমি বিশ্বাস করতে পারি । আমি ঈশ্বর কে সঠিক ভাবে মান্য করে । তার বানী ও নিয়ম অনুযায়ী চলার পরও যে আমি স্বর্গবাসি হব এই গ্যারেন্টি কে দিবেন ?

পৃথিবীর কোন ধর্মই নারীদের অধিকার দেয় নি । ধর্ম যদি নারীদের অধিকার দিত ,পুরুষরা আর যাই হোক ধর্ম নিয়ে এত মাতামাতি করতেন না । ধর্মের মূল ভিত নারী আর গরিবদের দুর্বল করার চেষ্টা ।
ধর্ম যদি গরিবদের অধিকার ফিরে দিতে বিধান দিত তবে তত কালীন রাজা বাদশারা ধর্ম কে আড়াল করেই তারা রাজ্য পাট চালাতেন । যেহেতু পুঁজিপতিদের অনুকূলে ধর্ম তাই তারা ধর্মরক্ষা নামে বিভিন্ন সময় সমাজকে কুক্খিগত করে রেখে ধর্ম কে হাইলাইট করেছেন । আমি ছোট্ট একটা উদাহরন দিলেই ব্যপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে । গরিবদের দান করা পূণ্যের কাজ ।  তার মানে , দান কখনও কারু স্থায়ী সমস্যার সমাধান দিতে পারে না । বরং গরিব গরিবই থাকে চিরকাল । এখন যদি বলত ধর্মশাস্ত্রে , গরিবদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা যে কোনো মূল্যে ফিরিয়ে দিয়ে তাকে সমাজে প্রতিষ্ঠীত করতে হবে । দান দেওয়া পাপ কাজ । প্রতি মানুষের মাথা পিছু পাঁচ বিঘা জমির বেশি থাকা মানে পাপ কাজ । আপনি বলুন তো এই রাজা জমিদারা ধর্ম প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতেন ? কখনই নয় । বরং উল্টে গরিবদের ধর্ম উপদেশ দিয়েছেন । লোভ করা মহা পাপ । লোভে পাপ ,পাপে মৃত্যু । টাটা বা পুঁজিপতিরা কিন্তু এই উপদেশ মানেন না । এই উপদেশ শুধু গরিবদের জন্য । গরিবদের ধর্ম অধিকার দিয়েছেন শুধু দান নিতে । তিনি দান গ্রহন করে যুগ যুগ ধরে পুঁজিপাতিদের তাবেদারি করে যাবেন । এই ছিল ধর্মের অনুসন্ধি ।

-নাস্তিক দেব

অস্পৃশ্য বিলুপ্তি 17 ধারা

সংবিধানপ্রণেতারা সংবিধানের গোড়াতেই একটি ধারা অন্তর্ভূক্ত করে অস্পৃশ্যতার বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন। সংবিধানের ১৭ নম্বর ধারায় বিষয়টি উল্লেখিত রয়েছে। তখন কেউ বলতেই পারতেন যে, অস্পৃশ্যতা হিন্দুধর্মের বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সংবিধান প্রণেতারা গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছিলেন।তেমনি বিচারবিভাগের সিদ্ধান্ত মুসলিম মহিলাদের অধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক একটি বিষয়ের অবলুপ্তি ঘটাল।

শুক্রবার, আগস্ট ১৮

বাংলাদেশে হিন্দু নাম বদল

বাংলাদেশে হিন্দু নাম মুছার কাজ অনেক দিন ধরেই চলছে । হিন্দু দেব-দেবী আর জমিদারের নামে নামকরণকৃত স্থানগুলি অনেক দিন ধরেই চলছে । হিন্দু নামে রাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হিন্দু নাম মুছে ফেলার জন্য , হিন্দু মুছে ফেলার জন্য  হিন্দু নামের সংক্ষেপন করে কলেজের নাম হচ্ছে ।

যেমন - কালীগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা ,
জয়দেবপুর থেকে গাজীপুর ,
বিক্রমপুর থেকে মুন্সীগঞ্জ ,
সুবর্ণ গ্রাম থেকে নোয়াখালী
ঋষি পাড়া ( ঢাকা ) থেকে ইসলাম পুর

বর্তমানে ওলামালীগের প্রস্তাবিত যে সব :
ব্রাহ্মনবাড়িয়া কে আমানকড়িয়া
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) কে রসুল পুর

এবং যে সব হিন্দু নাম দিয়ে বা দেব দেবী দিয়ে স্কুলের নাম আছে তাকে মুছে দিয়ে করা হচ্ছে ।
জয়নাল আবেদীন স্কুল বা বেগম রোকেয়া স্কুল

বুধবার, আগস্ট ১৬

ভণ্ড সেকুলার


ভণ্ড সেকুলারবাদীদের মুখোশ ও ইসলামিক মৌলবাদীদের নৃশংসতা

১৯২৬ সাল ২৩ ডিসেম্বর , দিল্লিতে নিজের বাড়িতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন আর্য সমাজের নেতা স্বামী শ্রদ্ধানন্দ । ডাক্তারের নিষেধ ছিলেন কথাবার্তা বলার । আর্য নেতার ব্যক্তিগত সহকারী ধর্ম সিং তাঁর দেখ-ভাল্ করতেন । ২৩ ডিসেম্বর বিকালে স্বামী শ্রদ্ধানন্দের সাথে দিল্লির বাসভবনে আব্দুল রশিদ নামে এক যুবক এসে হাজির হলেন । স্বামীজির ব্যক্তিগত সহকারী ধর্ম সিংকে ওই যুবক জানায় , ইসলাম ধর্মের কিছু বিষয় নিয়ে তার কিছু আপত্তি আছে । সেই ব্যপারেই স্বামীজির সঙ্গে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন । কিন্তু ধর্ম সিং যুবকটিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন স্বামীজির সঙ্গে এখন দেখা হবে না ।
ধর্ম সিংহের এই কথা শুনার পরও যুবকটি না গিয়ে দেখা করার জন্য জোড়াজোড়ি করতে থাকেন । খবরটা স্বামী শ্রদ্ধানন্দের কাছে যায় । শ্রদ্ধানন্দের আদেশে যুবকটিকে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হয় । স্বামীজি যুবকটিকে বলেন- অসুস্থ একটু কাটলে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে । এরপর যুবকটি স্বামীজির ব্যক্তিগত সহকারী ধর্ম সিংহের কাছে জল খেতে চায় । ধর্ম সিং ভিতরে জল নিয়ে আসতে গেলে যুবকটি জামার ভিতর থেকে রিভলবার বের করে স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে লক্ষ করে দু'বার গুলি চালায় । ( ঠিক যেনো লিলয় নীলের মত ঘটনা ) ঘটনার স্থলেই স্বামীজির মৃত্যু হয় । গুলির শব্দ শুনে শ্রদ্ধানন্দের সহকারী ধর্ম সিং ছুটে এলে তাঁকে লক্ষ করেও একটি গুলি চালায় । পরে অনুসন্ধান করে জানা যায় , আব্দুল রশিদ একটি মৌলবাদী ইসলামিক গোষ্ঠীর সদস্য ।
মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর হত্যাকাণ্ডকে কোনো রকম সমর্থন না করেই বলছি-গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পিছনে যাঁরা সর্বদা হিন্দু মৌলবাদ , রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ইত্যাদীর যারা ছায়া খুঁজে বেরান তাঁরা কিন্তু স্বামী শ্রদ্ধানন্দের এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বরাবরই নীরব থেকেছেন । অথচ স্বামী শ্রদ্ধানন্দের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিচলিত ব্যথিত রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর একটি নিবন্ধে ( 'স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ' প্রবাসী 'মাঘ' /১৩৩৩ সালে লিখেছিলেন ,………………… । ' তোমরা ক্রর হোয়োনা , তোমরা ভালো হও , নরহত্যার উপরে কোন ধর্মের ভিত্তি হতে পারে না ।'………………………।
এই ভাবেই ভারতের সেকুলারবাদীদের ভণ্ডরূপ ফোটে ওঠে । তাঁরা বারবার প্রমাণ করেছে যে , ভারতের ইসলামিক মৌলবাদকে এড়িয়ে চলার । এমন কী এইসব সেকুলারবাদীদের চলাফেরাতেও সন্দেহের গন্ধ আঁচ করা যায় । আমরা মাঝে মাঝেই গুজরাটের দাঙ্গা নিয়ে মাতি । প্রতিবাদি হতেও ছাড় দেয়না । কোন দাঙ্গাকে সমর্থন না করেই বলছি , এই ভণ্ড সেকুলার লেবেরল কে যদি প্রশ্ন করা হয় । বাবরির জন্য মুম্বাই ব্লাস্ট হয়েছে খুব সত্য কথা , তবে বলছেন না কেনো গোধরার জন্য গুজরাট দাঙ্গা হয়েছে । এই ভণ্ড সেকুলাররা গোধরা নিয়ে কোনো কথা না বললেও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তাঁরা ঢের প্রতিবাদি ।

মঙ্গলবার, আগস্ট ১৫

হলডেনের থিওরী , পৃথিবী সৃষ্টির

#ধাপ ১।
* হাইড্রোকার্বন উৎপাদন ( মুক্ত পরমানুগুচ্ছ. CH ও CH2 এর বিক্রিয়া, বাষ্পের সাথে মেটালিক কার্বাইডের বিক্রিয়া)
* হাইড্রোকার্বনের অক্সি ও হাইড্রক্সি উপজাতের উৎপাদন
( বাষ্প ও হাইড্রোকার্বনের বিক্রিয়ায় এল্ডিহাইড,কিটোন উৎপাদন)
* কার্বোহাইড্রেট উৎপাদন ( গ্লুকোজ,  ফ্রুক্টোজ আর ঘনীভবনের ফলে চিনি, স্টার্চ গ্লাইকোজেন) ফ্যাটি এসিড
ও গ্লিসারলের উৎপত্তি (ফ্যাট বা চর্বীর ঘনী ভবন) 
এমাইনো এসিড গঠন ( হাইড্রোকার্বন,  এমোনিয়া আর জলের বিক্রিয়া)
#ধাপ ২। 
জটিল জৈব অনুর উৎপত্তি ( পলিমার গঠন)
*প্রোটিনয়েড মাইক্রোস্ফিয়ার।
*কো এসারভেট

#ধাপ ৩। 
পলিনিওক্লিওটাইড  বা নিউক্লিক এসিড গঠন। 
#ধাপ ৪। 
নিওক্লিওপ্রোটিন গঠন।
#ধাপ ৫। 
আদিকোষ বা ইউবায়োন্ট গঠন ( কোএসারভিটিরের  ভিতরে নিউক্লিও প্রোটিন আর আন্যান্য অনু একত্রিত হয়ে লিপোপ্রোটিন ঝিল্লী দিয়ে আবদ্ধ  প্রথম কোষ,  প্রথম জীবন) 
#ধাপ ৬। 
শক্তির উৎস ও সরবরাহ ( শক্তির ঘাটতি দেখা দেওয়ায় প্রকৃতিতে টিকে রইল তারাই যারা  প্রোটিন কে এঞ্জাইমে রুপান্তরিত করে সরল উপাদানকে জটিল বস্তু তৈরী করতে পারত।  আর সেসব দ্রব্য থেকে শক্তি নির্গত করতে পারত। ) 
#ধাপ ৭। 
অক্সিজেন বিপ্লব  ( অক্সিজেন হীন বিজারকীয় আবহাওয়া অক্সিজেন ময় জারকীয় আবহাওয়ায় রুপান্তরিত হোল আজ থেকে দুশো কোটি বছর আগে।) 
#ধাপ ৮।  প্রকৃত কোষী জীবের উৎপত্তি ( প্রোক্যারিওট থেকে ইউক্যারিওট)  
#ধাপ ৯। 
জৈব বিবর্তন বা বায়ো জেনেসিস। 

যে সব বিজ্ঞানিরা  এর উপর বহুদিন ধরে গবেঢবা করে এর স্ত্যতা প্রমান করেছেন।
তাদের নামের লিস্ট দিয়ে দিলাম। 

শনিবার, আগস্ট ১২

একাকীত্বে একদিন

একাকীত্ব একদিন.    ।। কবিতা ।।
দে ব জ্যো তি কা জ ল 

আমি উষ্ণ সূর্যাস্ত দেখতে গেলাম
   কি-ভাবে একটা রেড-সার্কেল
   আকাশে ছিটকে পড়ে থাকে ভেবে ।

   সূর্যাস্তটি যেনো একটি আহত দম্পত্তি
       তুমি আর আমি পাশাপাশি হাঁটছি
                   একজন চিত্রশিল্পীর রঙে 
                                 আমরা দুজনই ,
                   হুবাহু সূর্যাস্তের আকাশে ।

ততক্ষণে তৃণভূমিটি শান্ত রেড পাণ্ডা
      সেখানে কেউ নেই ; আমি ছাড়া
              গুমোট নিরাকার পরিবেশ 
                আমি প্রশস্ত নিশ্বাস , 
                 ভিতরে টেনে নিতেই
         আমার হৃদয় দৌঁড়ে ছুটে গেল-
                        তার উড়ন্ত আঁচলে ।
            এ যেনো তোমারই ছদ্মবেশ ।

আকাশ কে আমার লিভিং ছাদ মনে হ'লো
      তারপর এক ঝাঁক পাগল পাখি
         ডানা ঝাপটায় উড়তে উড়তে
            একটি পরিবারের মত
        আকস্মিক বিদ্যুৎ চমকায় চোখে
 তার রোমাঞ্চ শ্বাসের হাত স্পর্শ করে ।

অন্তর্ধান দূরত্বে , স্ট্রীটলাইটের প্রাচীন মায়া
      রোমিও উজ্জ্বলতার চিকণ আভা
রাত্রিকে আকার দেয় মহাকায় হলমার্কে
  আমি দ্রবনীয় জল , আচরণীয় মেঘ ।
   দু মুঠো অন্ধকার উপরে ছুড়ে দেই
                      বৃষ্টি হয়ে ফিরে আসে 
                        তোমার পায়ে পায়ে ।
  

নদীর রজঃস্বলা বাতাস চুলে ঝড় তুলে
   ভিতরে টান দেয় তার দীর্ঘ বাহু
এই সন্ধ্যায় শরৎ মুখোমুখি দাঁড়ায়
                      একেক রাতের মত ।

আমি পরিস্কার শুনতে পায় নীরবতায়
  বাতাসে ভেসে আসা গানের সিম্ফনি
অন্ধ সুরের গতি অণু তরঙ্গে পরমাণুতে ভাঙ্গে
          অতীত কাছে এসে বসে 
         আমার রক্ত তোমাকে ছুঁয়ে
বেদনার সূর্যাস্তে আমি অশ্বারোহী
সব মিলে আমার-
ব্যর্থতার ছোট পাখিটি গেয়ে ওঠে ,
                এই করেছ ভাল , নিঠুর ,
                           এই করেছ ভাল 
                  এমনি করে হৃদয়ে মোর 
                          তীব্র দাহন জ্বালো ।...  ... ..

ঝোড়ো শ্লোক

শুক্রবার, আগস্ট ১১

একাকীত্ব একদিন

আমি উষ্ণ সূর্যাস্ত দেখতে গেলাম
   কি-ভাবে একটা রেড-সার্কেল
    আকাশে ছিটকে পড়ে থাকে ।

ততক্ষণে তৃণভূমিটি শান্ত রেড পাণ্ডা
           আমি প্রশস্ত নিশ্বাস ,
                 ভিতরে টেনে নিতেই
         আমার হৃদয় দৌঁড়ে ছুটে গেল-
                        তার উড়ন্ত আঁচলে ।

আকাশ কে আমার লিভিং ছাদ মনে হ'লো
      তারপর এক ঝাঁক পাগল পাখি
         ডানা ঝাপটায় উড়তে উড়তে
            একটি পরিবারের মত
        আকস্মিক বিদ্যুৎ চমকায় চোখে
       তার রোমাঞ্চ শ্বাসের বায়ু খামে ।

অন্তর্ধান দূরত্বে , স্ট্রীটলাইটের প্রাচীন মায়া
      রোমিও উজ্জ্বলতার চিকণ আভা
রাত্রিকে আকার দেয় মহাকায় হলমার্কে
  আমি দ্রবনীয় জল , আচরণীয় মেঘ ।

নদীর রজঃস্বলা বাতাস চুলে ঝড় তুলে
   ভিতরে টান দেয় তার দীর্ঘ বাহু
এই সন্ধ্যায় শরৎ মুখোমুখি দাঁড়ায়
                      একেক রাতের মত ।

আমি পরিস্কার শুনতে পায় নীরবতায়
  বাতাসে ভেসে আসা গানের সিম্ফনি
অন্ধ সুরের গতি পরমাণু তরঙ্গে অণুতে ভাঙ্গে
          অতীত কাছে এসে বসে
         আমার রক্ত তোমাকে ছুঁয়ে
বেদনার সূর্যাস্তে আমি অশ্বারোহণ
সব মিলে আমার-
ব্যর্থতার ছোট পাখিটি গেয়ে ওঠে ,
                এই করেছ ভাল , নিঠুর ,
                           এই করেছ ভাল
                  এমনি করে হৃদয়ে মোর
                          তীব্র দাহন জ্বালো ।...  ... ..

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১০

বুধবার, আগস্ট ৯

ঝোড়ো শ্লোক

তুমি এখন নরম জল
গভীর নীল , বিবর্ণ ধূসর-
                   বিকৃত অশ্রু ।

বিব্রত শীতল বাতাসে-
তুমি থর্নী ট্রী রোমাঞ্চ
               লবন-গোলাপ ।

আমি এখন অন্ধকার-
তোমার বন্ধ মরু চোখে ।
তাই, ধীরে ধীরে গলে যাই
আমার মন দখল করে-পালঙ্কে ।



ঝোড়ো শ্লোক


কোন আকাশ নেই
নেই কোন পৃথিবী
তবু ক্ষিদে পায়
অক্সিজেন জমে বুকে

ঝোড়ো শ্লোক

         শার্সি রাত ; উড়ন্ত চাঁদ
  আমার দোআব প্রতিবাসী । তার
   সুরের মৃদু ভাঁজে কুমারী বাঁশি

যন্ত্রণার দূরে ! আরও অনেক দূরে ,
                বিষাদ বেসুরো গান ভাসে ।

শনিবার, আগস্ট ৫

বিছানার চাদরে চাঁদের আলো

বিছানার চাদরে চাঁদের আলো
দেবজ্যোতিকাজল

এখন ঘুমাও । সময় হ’লে ।
সত্য খুঁজতে জেগে ওঠো ।

তোমার পাশে কেউ নেই , স্পষ্ট ভাবে
ঘুমিয়ে ড় একাকী বোবা বন্ধু হয়ে ।

শুধু একটি বালক । যারা
এখনও যৌবন স্খলন যুবক ।

এখন ঘুমাও
শাশ্বত শান্ত হও অপঠিত বইয়ে ।

আমি শূন্যতার নীচে , সান্ত্বনা চোখে
আলগা ভাবে দাঁড়িয়ে আছি আর্কাইভে ।

তুমি আমার পৃষ্ঠার মধ্যে থেকো
              গল্প কিম্বা কবিতা হয়ে ।

শুক্রবার, আগস্ট ৪

ধর্ষণ

দেবজ্যোতিকাজলে’র অনুগল্প
ধর্ষণ

বিছানায় শুতে গিয়ে আইমা চমকে উঠল । তার বালিশের পাশেই ছিল একটা মাকড়সা । বাঁ হাতের ঝটকায় মাকড়সাটা ফেলে দিয়ে । তাঁর স্বামীর বালিশটা তুললো । বালিশের নীচে একটা সাদা খাম দেখতে পেলো আইমা । কৌতূহলী মন নিয়ে আইমা খামটা হাতে তুলে নিয়ে । খামটা খোলার চেষ্টা করল । আইমা খামের মুখটা খুলতেই একটা অল্প বয়সি মেয়ের ছবি দেখতে পেলো । কে এ ! এক ঝটকা ভাবতেই । আইমার ঘুম বেমালুম উবে গেল । ঝাপসা চোখ পরিস্কার হতেই । গাঢ় দৃষ্টিতে আইমা ছবির মেয়েটাকে চেনার চেষ্টা করল । কিন্তু চিনতে পারল না । বুক কেঁপে উঠল । সুমনকে আইমা ভালবেসে বিয়ে করেছিল । তাই আইমার ছোট পিসি  আইমাকে মজা করে মাঝে মাঝে বলতেন , “প্রেম করে তো বিয়ে করলি । ছোঁড়াটাকে চোখে চোখে রাখিস । এই প্রেমে পড়া ছোঁড়ারা মেয়ে মানুষ দেখলেই বারবার প্রেমে পড়তে চায় । ” সত্যি তো তাই । সুমনকে বিয়ে করে এক দিনের জন্যেও শান্তি পেলো না সে । বাবা মায়ের অমতে বিয়ে করে সুমনের সব খারাপ আচরণ হজম করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না । বাবা-মাকে বললেই হয়তো বলবে , “ তুমি যেহেতু নিজের পছন্দে বিয়ে করেছো । সম্পর্কের ভাল-মন্দ তোমার ।” সেই ভেবেই হজম করা ছাড়া তার আর কোন উপায় ছিল না । আইমা এখন নিঃসঙ্গ হয়ে গেছে । সংসারের এক কোণে কখন যে ফেলনা হয়ে রয়ে গেল তা বুঝে ওঠার আগেই মানসিক মৃত্যু ঘটে গেছে । কোনো ভাবেই সুমনের সাথে অ্যাডজাস্টমেন্ট করে উঠতে পারছে না আইমা । হয় তো আর পারবেও না । আটে না হলে তা যে আশিতেও হয় না । এ হচ্ছে গুণী জনের কথা । মানুষের একটা বা দুটো বদ অন্যায় কে মেনে নেওয়া যায় । কিন্তু একাধিক অন্যায় ক্ষমা করার মত মানসিক জোড় বা ভরসা কোনটাই ছিল না আইমার । অতীত বড় নিষ্ঠুর হয়ে বুকে চেপে বসেছে । যে অতীত আইমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল । বিশ্বাস করতে শিখিয়েছিল । পথ চলতে শিখিয়ে ছিল । আর আজ সে সব ভুলের মাশুল হয়ে কাঁদায় । তাকে কোনো ভাবেই ভুল বলে হেসে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।

সুমন যখন আইমার প্রেমিক ছিল । তখন ওর ঔ সহজ সরলতায় আইমাকে বোকা বানিয়ে রেখেছিল । সুমন বারবার আইমাকে বলত । প্রেম না কি গরিব বড়লোক মানে না । বয়সের ভার মানে না । এমন কি ,  ধর্মেরও কারণ হয়ে ওঠে না । মিথ্যা কথা । একদম ডাহা মিথ্যা কথা । প্রেম যদি ধর্মই না মানবে , তবে বিয়ে করতে গেলে ধর্মান্তরের প্রশ্ন উঠে কেনো ? রিমার ব্যাপারটা তো সচক্ষেই দেখলাম । রিমা যখন আসাদকে বিয়ের চাপ দিচ্ছিল । তখন আসাদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিল । ধর্মান্তর না হলে নাকি আসাদ বিয়ে করতে পারবে না রিমা কে । রিমা অবশ্য আসাদকে বলেছিল , “আমি তো তোমার ধর্ম দেখে । তোমাকে ভালবাসি নি ! এখন এসব প্রশ্ন উঠছে কেনো ? ” কিন্তু আসাদ ছিল নাছড়-বান্দা । তাই , রিমা কোন পথ খুঁজে না পেয়ে । কালমা পড়ে আসাদকে বিয়ে করেছিল । সত্যি প্রেমের বই-এ কত না প্রকারের ফেক কোটেশন আছে । যা শুধু মিথ্যাই না , ডাহা মিথ্যা । এই ধর্ম পরিবর্তন ব্যপারটাই যেনো । আমার কাছে বড্ড গোলমেলে । ধর্ম কি পোষাক ! যে ,পছন্দ হলো না । ফেলে দিয়ে আর একটা পোষাক পড়ে নিলাম । ধর্ম আর প্রেম দুটো দুই প্রান্তের সামাজিক বাঁধন । মোহের আরাক নাম যদি প্রেম হয় । ধর্ম সেই মোহের শরীরে দেয় সিল মোহর ।
তবে কেনো বাপু এই মিথ্যা জ্ঞানের শিয়ালীপনা তরপাও । অনেক প্রকারের মিথ্যার মধ্যে, এই একটা মিথ্যা যুগ য়ুগ ধরে চলে আসছে । ভাবলেই গা গুলিয়ে ওঠে । যে “ প্রেম ভালবাসায় নাকি ধর্ম নেই ।”

আইমা সুমনকে বারবার চিৎকার করে তারার-সপ্তমে গলা চড়িয়ে ডাকতে লাগল ,“ কি গো শুনছো ? এ দিকে একটু এসো না । অনেক তো জ্বালালে । আর কিভাবে জ্বালিয়ে তুমি সুখি হবে ।"

সুমন বিরক্তি ভাব নিয়ে । আইমার সামনে দাঁড়াতেই । আইমা ছবির খামটা সুমনের দিকে বাড়িয়ে ধরল । সুমন খামটা হাতে নিয়ে । তাপ বা অনুতাপ না দেখিয়ে মেজাজ চড়িয়ে বলল , “তো.... ”

সুমনের নির্লজ্জপনা কথা শুনে । আইমার মেজাজও খিটমিটিয়ে গেল । আইমা তখন চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করল । এক সময়ে সেই ঝগড়াটা চরম মাত্রায় গিয়ে পৌঁছাল । আইমা যতটা গলা চড়িয়েছে । সুমন ছিল , তার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে । সুমনে হাতে যে সিগারেটটা ছিল । তা আইমার কাধে চেপে ধরে দাঁত কিটিমিটি করে বলল ,“ বেশ করেছি । ”

আইমা এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত  হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে । এরপর যা ঘটল তা যেনো ভালবাসার চরম লজ্জার  । অন্ধকার রাস্তা আইমাকে তিরস্কার করতে লাগল । পিসির কথাটা এতই মূল্যবান ছিল ! তা আগে কখনও ভেবে ওঠতে পারে নি আইমা ।

এদিকে সুমন ১০ মিনিটের মধ্যে ৫/৭ জন বন্ধুকে নিয়ে । আইমাকে এক অন্ধকার গলির মধ্যে ধরে ফেলে । সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সুমন তার ভালবাসার বৌটিকে গণ ধর্ষণ করালো । আইমা সুমন কে চিনতে পেরেছিল । যখন সুমন আইমার উপর শারিরীক অত্যাচার চালাচ্ছিলো । বহুদিনের অভ্যাস গত বেডপার্টনার ছিল সুমন । তাই সুমনকে চিনতে অসুবিধা হলো না । সুমনের লালসার মধ্যে সুমন ধরে পড়ে গেল । সেই চেনা বেডপার্টনার আজ ধর্ষক ।

হঠাৎ পরিবেশটা নিস্তব্ধ হয়ে গেল । সুমন এক সেকেণ্ড কি যেনো ভেবে । আইমার কাছে এসে দাঁড়ালো । আইমা অচৈতন্যে মুখ বাঁধা অবস্থায় মাঠের এক কোণে পড়ে আছে । সুমন প্রমান লোপাড করতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সুমন চায় না আইমার কাছে সে ধরা পোরুক । তাই ,আইনি প্রমান লোপাড করতে ।  আইমার শরীরে কেরসিনের তেল ঢেলে । জ্বালিয়ে দিতে ভুললো না । এই মানুষ সুমনটা কখন যে কনভার্ট হয়ে জানোয়ার হয়ে গেল । বেমালুম বুঝতে পারল না আইমা । আইমার মুখ বাঁধা ছিল বলে বলতে পারল না ,“ সুমন । তুমি কি সেই অতীতের সহজ সরল সুমন ! যাকে চিনতে এতটাই ভুল হয়ে গেল ।”