লেখার ডাগর মাঠ


মঙ্গলবার, আগস্ট ২৯

ঈশ্বর ও প্রকৃতি

বিদ্যাসাগর বলেছিলেন - “এই দেশের উদ্ধার হতে বহু বিলম্ব আছে । সাত পুরু মাটি উপরে ফেলে নতুন মানুষের চাষ করতে হবে ।”

কেনো বলেছিলেন জানেন , তিনি পোষাকী ধর্ম ও ধর্ম মতকে মানতেন না । তিনি একদম নিখাদ মানবিক ছিলেন । একজন জীবনিকার তো বলেছেন , তিনি নাকি নাস্তিক ছিলেন । যাই হোক , তিনি যে একজন মানুষ ছিলেন এই বিতর্কে বোধহয় কেউ যাবেন না । হুম । তাই তিনি মানুষই  ছিলেন ।

মানুষ, মানুষকে : মানুষ ভাববে, এটাই মানুষের ভাবনা চিন্তা হওয়ার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা হয় নি । তা না হয়ে , হয়ে গেছে কেউ মুসলিম কেউ বা হিন্দু । এই সত্যকে মেনে নিলে । প্রকৃতিকে অস্বীকার করা হয় । মানুষ প্রকৃতির সন্তান । এই প্রকৃতি মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন । কেউ কেউ বলতে পারেন । প্রকৃতি তো ঈশ্বরের সৃষ্টি । শ্রষ্টা ছাড়া আবার কোনো কিছুর সৃষ্টি হয় নাকি ! কেনো হয় না বলুন তো ? এই তত্ত্ব মানলে তবে তো বলতে হয় ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করলেন ? কি তাই না ! আপনি হয়তো বলবেন , ঈশ্বর স্বয়ংম্ভূ । ঠিক ধরেছেন । তবে প্রকৃতি স্বয়ংম্ভূ ভাবতে আপনার অসুবিধা কোথায় । অসুবিধা আছে । প্রকৃতিকে স্বয়ংম্ভূ ভাবলে ঈশ্বর মিথ্যা হয়ে যায় । কি ? তাই না ?

মানুষের বড় ভুল । তিনি তাঁর আত্মবিশ্বাসকে বিকৃত করেছেন । স্বাধীন নির্ভর না করে , সেই আত্মবিশ্বাস কে ঈশ্বর নির্ভর করেছেন । নিজের ব্যর্থতা হওয়ার কারণ না খুঁজে । শান্তনা পেতে ঈশ্বরকে বিচারকের আসনে বসিয়েছেন । কর্মবাদ আর ভাগ্যবাদ যে শোষিত ও অত্যাচারিত লোককে প্রতিবাদ বিমুখ করেন ; এই ধারণাকে তারা বুদ্ধির দ্বারা উপলব্ধি করতে পারেন নি । তাই মানুষ স্বাধীনতার মানে বুঝেও  স্বাধীনতা পরিপূর্ণ ভাবে ভোগ করতে পারেন না । কিন্তু একটা পাখি ? সে তো জানে না স্বাধীনতার মানে কি । কিন্তু সেই পাখি বেঁচে থাকা অবধি গাছে গাছে উড়ে স্বাধীনতা ভোগ করে যায় ।

মানুষ প্রকৃতি নির্ভর জীব । আগেই বলেছি । মানুষ তার প্রকৃতি স্বত্বাকে অস্বীকার করেছেন ।  জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মানুষ সেই প্রকৃতিকে অস্বীকার করে অদৃশ্য এক ঈশ্বর কে তাদের পরকাল ইহকাল বলে ভেবে আসছেন । ভেবে এসেছে মৃত্যুর পর কি হবে । কোথায় তার স্বর্গ কোথায় বা তার নরক । সে সুখ ও যন্ত্রণার কথা ভেবে মানুষ ঈশ্বর প্রাপ্তিতে মরিয়া । আপনি সারা জীবন ঈশ্বরের সাধনা করার পর যে আপনি ঈশ্বর প্রাপ্তি বা স্বর্গবাসি হবেন এই গ্যারেন্টি আপনাকে কে দিবেন ! নাকি মানুষের জীবনের গ্যারেন্টি নেই ভেবে সুকৌশলে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ফাঁদ ফেদেছেন ?  একটা অন্ধকারে পথ না খুঁজে । আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ হয়ে বাঁচাটাই বোধহয় “আমি মানুষ ” এবং ভেবে নেওয়া । এই প্রকৃতি আপনাকে ধর্ম দান করেছেন । তাই আপনি দুঃখ পেলে কষ্ট পান বা কেঁদে ভাসান । আনন্দে হাসেন । ন্যায় অন্যায় বোধ বুঝতে পারেন । যা মানুষ ভেদে বিভক্ত নয় । আপানার শুরু ও শেষ পথ আছে ।
কিন্তু এরা জানে না ,মানুষের  মৃত্যুটা মানুষে শেষ পথ । তারপর আর কোন রাস্তা নেই । আছে নদীর কূল । সামনে অন্ধ জল । এই সত্য যে মানুষ বুঝেনা । ঠিক তা কিন্তু নয় । কেননা মানুষ ঈশ্বর কে বিশ্বাস করলেও বাস্তব কে গ্রহন করতে দেরি করে না । তাই মানুষই বোধহয় পৃথিবীতে একমাত্র জীব যারা জেনে শুনে ভুল করেন । 

       - নাস্তিক দেব


বিদ্যাসাগর বলেছিলেন - “এই দেশের উদ্ধার হতে বহু বিলম্ব আছে । সাত পুরু মাটি উপরে ফেলে নতুন মানুষের চাষ করতে হবে ।”

কেনো বলেছিলেন জানেন , তিনি পোষাকী ধর্ম ও ধর্ম মতকে মানতেন না । তিনি একদম নিখাদ মানবিক ছিলেন । একজন জীবনিকার তো বলেছেন , তিনি নাকি নাস্তিক ছিলেন । যাই হোক , তিনি যে একজন মানুষ ছিলেন এই বিতর্কে বোধহয় কেউ যাবেন না । হুম । তাই তিনি মানুষই  ছিলেন ।

মানুষ, মানুষকে : মানুষ ভাববে, এটাই মানুষের ভাবনা চিন্তা হওয়ার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা হয় নি । তা না হয়ে , হয়ে গেছে কেউ মুসলিম কেউ বা হিন্দু । এই সত্যকে মেনে নিলে । প্রকৃতিকে অস্বীকার করা হয় । মানুষ প্রকৃতির সন্তান । এই প্রকৃতি মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন । কেউ কেউ বলতে পারেন । প্রকৃতি তো ঈশ্বরের সৃষ্টি । শ্রষ্টা ছাড়া আবার কোনো কিছুর সৃষ্টি হয় নাকি ! কেনো হয় না বলুন তো ? এই তত্ত্ব মানলে তবে তো বলতে হয় ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করলেন ? কি তাই না ! আপনি হয়তো বলবেন , ঈশ্বর স্বয়ংম্ভূ । ঠিক ধরেছেন । তবে প্রকৃতি স্বয়ংম্ভূ ভাবতে আপনার অসুবিধা কোথায় । অসুবিধা আছে । প্রকৃতিকে স্বয়ংম্ভূ ভাবলে ঈশ্বর মিথ্যা হয়ে যায় । কি ? তাই না ?

মানুষের বড় ভুল । তিনি তাঁর আত্মবিশ্বাসকে বিকৃত করেছেন । স্বাধীন নির্ভর না করে , সেই আত্মবিশ্বাস কে ঈশ্বর নির্ভর করেছেন । নিজের ব্যর্থতা হওয়ার কারণ না খুঁজে । শান্তনা পেতে ঈশ্বরকে বিচারকের আসনে বসিয়েছেন । কর্মবাদ আর ভাগ্যবাদ যে শোষিত ও অত্যাচারিত লোককে প্রতিবাদ বিমুখ করেন ; এই ধারণাকে তারা বুদ্ধির দ্বারা উপলব্ধি করতে পারেন নি । তাই মানুষ স্বাধীনতার মানে বুঝেও  স্বাধীনতা পরিপূর্ণ ভাবে ভোগ করতে পারেন না । কিন্তু একটা পাখি ? সে তো জানে না স্বাধীনতার মানে কি । কিন্তু সেই পাখি বেঁচে থাকা অবধি গাছে গাছে উড়ে স্বাধীনতা ভোগ করে যায় ।

মানুষ প্রকৃতি নির্ভর জীব । আগেই বলেছি । মানুষ তার প্রকৃতি স্বত্বাকে অস্বীকার করেছেন ।  জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মানুষ সেই প্রকৃতিকে অস্বীকার করে অদৃশ্য এক ঈশ্বর কে তাদের পরকাল ইহকাল বলে ভেবে আসছেন । ভেবে এসেছে মৃত্যুর পর কি হবে । কোথায় তার স্বর্গ কোথায় বা তার নরক । সে সুখ ও যন্ত্রণার কথা ভেবে মানুষ ঈশ্বর প্রাপ্তিতে মরিয়া । আপনি সারা জীবন ঈশ্বরের সাধনা করার পর যে আপনি ঈশ্বর প্রাপ্তি বা স্বর্গবাসি হবেন এই গ্যারেন্টি আপনাকে কে দিবেন ! একটা অন্ধকারে পথ না খুঁজে । আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ হয়ে বাঁচাটাই বোধহয় “আমি মানুষ ” এবং ভেবে নেওয়া । এই প্রকৃতি আপনাকে ধর্ম দান করেছেন । তাই আপনি দুঃখ পেলে কষ্ট পান বা কেঁদে ভাসান । আনন্দে হাসেন । ন্যায় অন্যায় বোধ বুঝতে পারেন । যা মানুষ ভেদে বিভক্ত নয় । আপানার শুরু ও শেষ পথ আছে ।
কিন্তু এরা জানে না ,মানুষের  মৃত্যুটা মানুষে শেষ পথ । তারপর আর কোন রাস্তা নেই । আছে নদীর কূল । সামনে অন্ধ জল । এই সত্য যে মানুষ বুঝেনা । ঠিক তা কিন্তু নয় । কেননা মানুষ ঈশ্বর কে বিশ্বাস করলেও বাস্তব কে গ্রহন করতে দেরি করে না । তাই মানুষই বোধহয় পৃথিবীতে একমাত্র জীব যারা জেনে শুনে ভুল করেন । 

       - নাস্তিক দেব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন