লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, আগস্ট ৪

যে অদ্ভূত শূন্য বোধ

যে অদ্ভূশূন্য বোধ
দেবজ্যোতিকাজল

হ্যাঁ, আমি ভীষণ দুঃখিত ।

অনুতাপ , ক্ষমার চেয়েও খারাপ ।

আমার মস্তিষ্কে এক পা দু পা শূন্য পথ
তাই , গন্তব্যে পৌঁছোতে পারিনি হেসে

মাঝেমাঝেই আচ্ছন্ন চোখ শূন্য ডিগ্রীতে
বাতাসে ভাসে অবাধ্য চকচকে থ্রেড
গোপন ছুটে আসে মসীবর্ণ ছুরিকাঘাতে ।

আমাকে ছিঁড়ে ফেলি গৌণটানে ।

অনুতাপের মৌল পাগল রঙে
আমার সব কিছু , আমি আঁকি
ভালবাসা  ধ্বংস করতে দু হাতে ।

----------;-----;-----;-------;------:-----;---

বিছানার চাদরে চাঁদের আলো
দেবজ্যোতিকাজল

এখন ঘুমাও । সময় হ’লে ।
সত্য খুঁজতে জেগে ওঠো ।

তোমার পাশে কেউ নেই , স্পষ্ট ভাবে
ঘুমিয়ে ড় একাকী বোবা বন্ধু হয়ে ।

শুধু একটি বালক । যারা
এখনও যৌবন স্খলন যুবক ।

এখন ঘুমাও
শাশ্বত শান্ত হও অপঠিত বইয়ে ।

আমি শূন্যতার নীচে , সান্ত্বনা চোখে
আলগা ভাবে দাঁড়িয়ে আছি আর্কাইভে ।

তুমি আমার পৃষ্ঠার মধ্যে থেকো
              গল্প কিম্বা কবিতা হয়ে ।

--------------------------------------------

দীর্ঘ নৈঃশব্দ্যের পরে
দেবজ্যোতিকাজল

এত সুদীর্ঘ সময়ের পর
আবার কথা বললে , আমি অশ্রু প্রতীক

আর এটাই সত্য
প্রায় একুশে ,

আমি তাকে ধরে রাখি-
বিকলাঙ্গ মানুষের মেঘে

ঝরে পরা অশ্রুর নীচে ।

তোমার সুসময় কোনটা বুঝতে দিবে কি ?

আমি তোমার অশরীরি
কবিতা পাঠের আয়োজন করি

মন থেকে একটা নিঃশ্বাস পালিয়ে যায় মধ্যরাতে
তার তরল ধূয়া থেকে শক্ত কামনা সে নিয়ে যাবে

নিঃশ্বাস মনটাকে বলয়ে দেবে অনন্ত সময় পর ।

আহার আমাকে আজ-কাল দাঁড়িয়ে রাখে ক্ষুধার্তে
যেনো আমি দুর্ভিক্ষ আন্দোলনের দুঃস্বপ্ন মাঠ

যদিও আমি শুধু রোমান সংখ্যার ভিতর দিয়ে হাঁটি  ।

বুঝে ওঠা সব চলে যায় ,
যে কোন অতিথির হাত ধরে ।

চলে যাওয়ার আগে দেখে নিতে চাই ,

জানলা

পর্দা

গলি-ঘুঁজি

যেনো বক্ষস্থল মন্থনের প্রথম ব্যথার মত

বয়সের প্রথম যৌন শাসন হারানোর মত

তবু চোখের মধ্যে বসে থাকে অসাধিত সেবক
                            নিদ্রালু কান্নায় ।

-----------------------------------------------

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন