যে অদ্ভূত শূন্য বোধ
দেবজ্যোতিকাজল
হ্যাঁ, আমি ভীষণ দুঃখিত ।
অনুতাপ , ক্ষমার চেয়েও খারাপ ।
আমার মস্তিষ্কে এক পা দু পা শূন্য পথ
তাই , গন্তব্যে পৌঁছোতে পারিনি হেসে
মাঝেমাঝেই আচ্ছন্ন চোখ শূন্য ডিগ্রীতে
বাতাসে ভাসে অবাধ্য চকচকে থ্রেড
গোপন ছুটে আসে মসীবর্ণ ছুরিকাঘাতে ।
আমাকে ছিঁড়ে ফেলি গৌণটানে ।
অনুতাপের মৌল পাগল রঙে
আমার সব কিছু , আমি আঁকি
ভালবাসা ধ্বংস করতে দু হাতে ।
----------;-----;-----;-------;------:-----;---
বিছানার চাদরে চাঁদের আলো
দেবজ্যোতিকাজল
এখন ঘুমাও । সময় হ’লে ।
সত্য খুঁজতে জেগে ওঠো ।
তোমার পাশে কেউ নেই , স্পষ্ট ভাবে
ঘুমিয়ে পড় একাকী বোবা বন্ধু হয়ে ।
শুধু একটি বালক । যারা
এখনও যৌবন স্খলন যুবক ।
এখন ঘুমাও
শাশ্বত শান্ত হও অপঠিত বইয়ে ।
আমি শূন্যতার নীচে , সান্ত্বনা চোখে
আলগা ভাবে দাঁড়িয়ে আছি আর্কাইভে ।
তুমি আমার পৃষ্ঠার মধ্যে থেকো
গল্প কিম্বা কবিতা হয়ে ।
--------------------------------------------
দীর্ঘ নৈঃশব্দ্যের পরে
দেবজ্যোতিকাজল
এত সুদীর্ঘ সময়ের পর
আবার কথা বললে , আমি অশ্রু প্রতীক
আর এটাই সত্য
প্রায় একুশে ,
আমি তাকে ধরে রাখি-
বিকলাঙ্গ মানুষের মেঘে
ঝরে পরা অশ্রুর নীচে ।
তোমার সুসময় কোনটা বুঝতে দিবে কি ?
আমি তোমার অশরীরি
কবিতা পাঠের আয়োজন করি
মন থেকে একটা নিঃশ্বাস পালিয়ে যায় মধ্যরাতে
তার তরল ধূয়া থেকে শক্ত কামনা সে নিয়ে যাবে
নিঃশ্বাস মনটাকে বলয়ে দেবে অনন্ত সময় পর ।
আহার আমাকে আজ-কাল দাঁড়িয়ে রাখে ক্ষুধার্তে
যেনো আমি দুর্ভিক্ষ আন্দোলনের দুঃস্বপ্ন মাঠ
যদিও আমি শুধু রোমান সংখ্যার ভিতর দিয়ে হাঁটি ।
বুঝে ওঠা সব চলে যায় ,
যে কোন অতিথির হাত ধরে ।
চলে যাওয়ার আগে দেখে নিতে চাই ,
জানলা
পর্দা
গলি-ঘুঁজি
যেনো বক্ষস্থল মন্থনের প্রথম ব্যথার মত
বয়সের প্রথম যৌন শাসন হারানোর মত
তবু চোখের মধ্যে বসে থাকে অসাধিত সেবক
নিদ্রালু কান্নায় ।
-----------------------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন