লেখার ডাগর মাঠ


শনিবার, ডিসেম্বর ৩১

অনুকবিতা

আমার , আমিটা কই ,যে আমি ভ্রূণাঙ্কুরে
জীবাশ্মে ঘাপটি মেরে আছে সহস্রাব্দেও
যে আমি অঙ্গুল দিয়ে না ছুঁয়েও বুঝতে পারি
স্তন ,যৌনাঙ্গ, ঠোঁট, জিভ, উচ্চারিত টেলিপ্যাথিকে

আমার ,আমিটা চাঁদে গলে যাওয়াশেং রেখেছি
তাই কলংকিত সে আমি তোমার যৌনাঙ্গে দিলাম

শব্দ যাদুকর , সুতরাং সসীম

তার ঠোঁটের স্বাদ , চুলের গন্ধ
অন্তত ঠিকঠাক ছিল আমার কাছে ।

তার হাসি বায়ু তরঙ্গায়িত
কণ্ঠস্বর অনুভূতি শহর পথ ।

তার অগোছালো শরীর
আমার মেরুদণ্ড সোজা করে ।

তাকে আমি অনুশাসন বলি
সংজ্ঞায়িত ভালবাসা বলি ।

নৈরাজ্য ছন্দ পতন বিকারগ্রস্ত ভালবাসা চাই
সমস্ত শরীর , বিশুদ্ধ , জটিল , সোজা,- সুতরাং সসীম ।

আমি এখন সময় গ্রহন করে দেখি
নিখুঁত অন্তত পারফেক্ট আমার কাছে...।

শুক্রবার, ডিসেম্বর ৩০

দেশভাগের কাঁটাতার

আমাদের কোন দোষ ছিলনা গো মজিবর চাচা
আমরা যে এমনি-এমনি ভাগ হয়ে গেলাম
হাতে কাঠের রাংতায় মোড়ানো তরয়াল
সে তো ছিল ছোট বেলার
এমনি যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
দত্তপাড়ার মাঠে আরতি দি'র
চোখ বাঁধা কানামাছি ,তহমিনার টীপ
বৃষ্টি পেলে ভিজতে ভিজতে
রাস্তা ঘুরে বাদাবি খেলা ওলি-গোলি ।

ওই দ্যাখ মা কে অ্যাচছে ?
মজিবর চাচা ।
বারান্দার দাওয়ায় বসে শীতের রোদে
তাই না , মজিবর চাচা ,সঙ্গে মুড়ি
মজিবর চাচা , মজিবর চাচা
কোন দোষ ছিল না গো আমাদের
দেশ ভাগের
রাংতায় মোড়া তীর ধনুকে ফুলের টীপ
কেউ ছিল না আমাদের শ্রেনী শত্রু
আমরা তো যুদ্ধ যুদ্ধ খেলিনি
আমাদের কোন দেশ ভাগ ছিলনা ।

তবু কেনো দেওয়া হলো কাঁটাতার ?
ভাগ হয়ে গেল মন ,জাতি ,সম্পদ
বুবুমাসি মনে পড়ে দু'শালিকের দিন শুরু
তুমি হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়তে
আমার অশুভ দিন শুরুর
এক চোখেতে হাত দিয়ে ।

কি বিচিত্র সব ঘুমের মধ্যে আতকে ওঠা
নির্মম নিয়ম একটু একটুতে বেড়ে ওঠা
আর ,
দুই শালিকের এক শালিক ওপাড়ে রেখে
এই পাড়েতে এক চোখ দেখা অশুভরা সব বাস করে ।

ফ্লোরাল মিথ্যাচার

সত্য বিধ্বংসী
ভাল এবং আরামদায়ক মিথ্যা

একটি অসুবিধাজনক শব্দ সত্য
একটি সুবিধাজনক শব্দ মিথ্যা

সত্য চলে গেলে
দাঁড়িয়ে থাকে টকটকে মিথ্যা
এখন উপায় কি ?

মাঝে মাঝে মনে হয় সকল উপায় মিথ্যা
ভালবাসার সাথে আমি দৈনন্দিন অসুন্দর
গোল গোল কবিতা , একসঙ্গে বসবাস, তাসের ঘর
শুধু কয়েক গজ দূরে পিচ কালো শূন্যস্থান ,
রুথ রাজ্য ।

অসাড় অবস্থায় হৃদয় ও মন
সত্য বিশ্বাসী মিথ্যার উপর চিন্তা
ভার্জিন সাদা চোখ
প্রলুব্ধকর মিথ্যা হলুদ স্পষ্ট
সেই সুবর্ণ চোখ বিশ্বাস করে না
সামান্য উঁকি দেয় টুটাফাঁটা জার্নালে ।

রোহিঙ্গাদের সত্য বাংলাদেশে এসে মিথ্যা হয়
সত্য ঘুমিয়ে স্বপ্ন , মিথ্যা বালিশে রাত্রি জাগে
অন্ধভাবে যে সম্পর্কের দাম চুকায় চিরকুমার
ডাক পিয়নের কাছে দেওয়া আছে কৈফিৎ চিঠিটি ।

মাঝে মাঝে মনে হয় মিথ্যা অনিবার্য টকটকে লাল
হ্যাঁ ঠিক ফ্লোরাল মিথ্যাচার......।

বাণী

দুর্ভাগ্যবশত, আমি বিশ্বাস করি না যে বিশ্বাস ও যৌক্তিকতা একই নিঃশ্বাসে মধ্যে আবহমান । দর্শন প্রমাণের সম্পূর্ণ অভাব (ধর্মমত ) কিছু বিশ্বাস করতে ।

হে প্রেম

তোমার স্তনের উপর উড়ন্ত ঠোঁট প্রজাপতি
নিসঙ্গ রোদ ,ফুলময় মিষ্টি লাল লীলিয়া
তুমি তুমি নিহত শব্দ বিছানা জুড়ে ।

স্পর্শে বিহ্বল , উত্তেজনায় বন্য নীল ঢেউ
গরম হাওয়া নীল বোধ, সমুদ্র গিলে খায়
তুমি আমার হাতের মধ্যে খেলছ কুমারী হাসিতে
দিবস থেকে দিবসে , স্থগিত করেছ চলা ।

তারপর-
অদ্ভূত এক আলো জ্বলে ,তাতে জ্বলজ্বল
অন্ধকার তরঙ্গ , পাতা মরমরে রাত্রিবেলা
চমৎকার জাদুতে দিন ফুরিয়ে রাত আসে-
জানান না দিয়ে । আমাদের প্রেম প্রমোদে

হঠাৎ তোমার আঙ্গুল নরম অথচ দৃঢ় উদ্দাম
এক মুহূর্ত থেমে ঠোঁটের উৎসে হাসির ডোরাকাটা রসিক প্রদীপ্ত ,তোমার চোখে-মুখে

হে প্রেম তুমি হরিণ কামনায় গন্ধ মৃগনাভি ।

বিকেলের রঙ


শীতের দাঁতে আলতু কামুড় নলেন গুড়ের মজা
বারদুয়ারীর হাটের ভিড়ে খেতাম তিলের খাজা ।

সকাল বেলায় খেঁজুর রসে
শীতের রোদ্দুর থাকত বশে

বুকের মধ্যে শেরপুর জ্বলে,শীতের উমের সাজা ।

“আমার যাবার সময় হলো” নজরুলের গান

ক্যালেণ্ডারের রেড লেটারটি সৌরভের শেষ রান ।

বাবার মত চলে গেল ,গেল দু হাজার ষোলো

ভাল-মন্দ যা আছে সব মান্নাদের গানে রইল

আমার চেনা গলি বেরে ওঠা শেরপুরিয়া প্রান ।


বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৯

ঈশ্বর বনাম মানুষ

ঈশ্বরের নির্মিত পৃথিবী
মানুষের সৃষ্টি ধ্বংস
ঈশ্বর গাছ সৃষ্টি করেছেন
মানুষ সৃষ্টি করেছেন প্রধ্বংস
ঈশ্বরের সৃষ্টি বৃষ্টি
মানুষের তৈরী দূষণ ।

ঈশ্বরের উত্পন্ন ত্যাগ
মানুষের সৃষ্টি আকাঙ্ক্ষা
ঈশ্বরের সৃষ্টি প্রেম
মানুষের সৃষ্টি ঠকানো ।

ঈশ্বরের বর্ষিত শান্তি
মানুষের সৃষ্টি মৃত্যুদণ্ড
ঈশ্বরের সৃষ্টি বিশ্রাম
মানুষের সৃষ্টি মৃত্যু ।

ঈশ্বরের সৃষ্টি বিধি
মানুষের সৃষ্টি আইন
আমাদের স্রষ্টা ঈশ্বর
অবিশ্বাসের স্রষ্টা আমরা ।

বুধবার, ডিসেম্বর ২৮

ধাক্কা

আমি ভাবিনি , তুমি পালন করবে ভূমিকা
ভাবিনি তুমি হবে হৃদয় খাক ।

বোকার মত বিশ্বাস ছিল ,সুন্দর সূচনা
পৃথক হবার ধাক্কাটা বুঝতে পারিনি ।

আমি এই অনুভব করতে পারব না
এ সত্যিই অপ্রত্যাশী বজ্র নীরব ঠাট্টা ।

তুমি আমার অদ্ভূত চালিত শক্তি
খুশি করেছ বারবার পথহীন সুগন্ধিতে ।

কি ভাবে করতে খুশি , বলো ! যদি-
ঘৃণাই করতে হবে শেষ বিকেলে !

ভিক্ষাপাত্রে ঈশ্বর

জল খেয়ে পেট রুগ্ন. ¦

ঈশ্বরের পায়েসের থালায়
ভাগ্য ফিরানোর ব্রতী , বোষ্টোমী
নাসীর চাচা , জগা জেঠুর...
ভিক্ষাপাত্রে ঈশ্বর. ¦

পরিপূর্ণ প্রার্থনা , জীবন্ত প্রার্থনা !
শূন্য অন্ধকারে হেসে ফেলে ঈশ্বর
বাতাস এবং রৌদ্রের ত্বকে চামড়া পোড়ে
মুক্তকণ্ঠে গান জগ জেঠুর , নগ্ন পেটে

প্রতিবেশি থেকে প্রতিবেশি , আত্মার বাসভবন
লাঙল , হাপড় , হাতুরী হতাশার নীচে পারদ
শোষণ , শোষক-
মোবাইল ব্যালেন্স কথার শেষে
স্টার এক দুই তিন হ্যাস ¦

জনতার মুখোমুখি ঈশ্বরকে কখনও দাঁড়াতে হয়নি
অন্তর্বাসের নিচেই উত্তাপে গোপন রইলেন
কাকে বাঁচান , কেইবা বাঁচে প্রকাশ লুপ্ত

রুগ্ন , রুষ্টো স্পন্দিত জনপথ
বিচ্ছিন্নবাসে ঈশ্বর বুঝি মায়াখেলে ...

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৭

আঁচড়

মেঘ গুড়গুড় মাদল বাজে
ধু-ধু বাঁশি , ভালবাসা , সুরের ফিটব্যাক
চৈত্র টাটা , বাই বাই রেড লেটার
ভেজা গান ,পুরাতন সুর , তোলা থাক ।

তোমার জন্য কবিতা , প্রপাত প্লেব্যাগ
চলে গেছে যে-দিন, কিশোরী নখের আঁচড়
জ্বরের গন্ধ ধূসর তুমি ,কামনায় বৃষ্টি দংশন
জোয়াড়ে গা ভাসিয়ে , খেলি জোড়-বিজোড় ।

লক্ষণ সেন পালয়ন করেনি


ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির আগমণ শুনেই লক্ষণ সেন ভয়ে কাপুরুষের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলে বাংলা মুসলিম শাসনের অধিনে চলে আসে- এরকম ডাঁহা মিথ্যা ইতিহাস দিয়েই আমাদের চিন্তার ঊষা লগ্নের সূচনা ঘটে। এরকম ইতিহাস মুসলমান ঘরের ছেলেমেয়েরা মুখস্থ করে দুটি জিনিস রপ্ত করে তাদের জীবনের একদম শুরুতে- এক, নিজেকে একমাত্র মুসলিম পরিচয়ে আবিষ্কার করে মুসলিম বীরত্বে গর্বিত হওয়া, দুই- হিন্দুদের পরাজিত প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাবতে শেখা।
বখতিয়ার খিলজি আদতেই ‘বঙ্গ বিজয়’ করেনি। তিনি ১২০৩ ও ১২০৪ সালে নদীয়া ও নবদ্বীপের কিছু অংশ জয় করেছিলেন মাত্র। এদিকে লক্ষণ সেন ১১৭০ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ও রাজত্ব করছিলেন। ইতিহাসবিদ ভিনসেন্ট স্মিথ মত দেন এ সময়কালে লক্ষণ সেন মারা গিয়েছিলেন। তাহলে কি করে বখতিয়ার খিলজির ভয়ে লক্ষণ সেন খড়কি দিয়ে পলায়ণ করেছিলেন? মুসিলম ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই সিরাজ তার ইতিহাস বইতে লক্ষণ সেনের কাপুরুষের মত পলায়নের কাহিনী লিপিবদ্ধ করেন বখতিয়ারের নদীয়া জয়ের ৪৩ বছর পর নিজামউদ্দীন ও সামসুদ্দীন নামক দুই ভ্রাতৃদ্বয়ের মুখে শুনে। এই একই বইতে তিনি নিজেই লিখেছেন তখন পর্যন্ত লক্ষণ সেনের বংশধররা পূর্ববঙ্গ রাজত্ব করছিল। ‘তবকাৎ-ই-নাসিরী গ্রন্থ মিনহাজ শেষ করেন ১২৬০ সালে। ১১৭০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে লক্ষণ সেনের তিন পুত্র মাধব সেন, বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেনের পূর্ববঙ্গ শাসনের তাম্রলিপি নির্দশন পাওয়া গেছে। তাছাড়া মিনহাজ নিজেই ১২৬০ পর্যন্ত বঙ্গে সেন রাজাদের শাসন চলার কথা স্বীকার করছেন। বুঝাই যাচ্ছে বখতিয়ার খিলজি সুবিশাল বঙ্গের নদীয়া ও নবদ্বীপের খানিকটা দখল করেছিলেন স্থানীয় সেন রাজাদের অনুগত কোন সামন্তকে পরাজিত করে।
এই নদীয়া জয়ের কাহিনীও যে অতিরঞ্জিত ও কাল্পনিক সেটা বখতিয়ারের ১৮ জন সৈন্য নিয়ে বঙ্গ বিজয়ের কথা শুনলেই বুঝা যায়। এই কাহিনী বিশ্বাস করতে হলে প্রচুর কল্পনা শক্তির অধিকারী হতে হয়। লক্ষণ সেনের বিরাট সৈন্য বাহিনীর কথা জেনেও বখতিয়ার কি করে মাত্র ১৮ জন সৈন্য নিয়ে নদীয়া-নবদ্বীপ দখল করতে সাহস করবেন? এ কারণেই পরবর্তীকালের সমস্ত ঐতিহাসিকরাই বখতিয়ার খিলজিকে ‘বঙ্গ বিজয়ী’ বলেননি। আসল সত্য হচ্ছে ত্রয়োদশ শতাব্দির পূর্বে বাংলায় মুসলিম শাসনের কোন অস্বিত্ব পাওয়া যায় না। ১২৮৯ সালেও মধু সেন নামের একজন শাসকের নাম পাওয়া যায় যিনি পূর্ববঙ্গ শাসন করছিলেন। কাজেই বেশির ভাগ ঐতিহাসিকের মতে বখতিয়ার খিলজির বঙ্গের রাজধানী নদীয়া বিজয়ের কাহিনী অলীক, কল্পাশ্রয়ী। বখতিয়ারের বঙ্গ বিজয় ও লক্ষণ সেনের খিড়কি দিয়ে কাপুরুষের মত পলায়ন এই গল্প বঙ্গের মুসলিমদের কাছে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও প্রতিবেশী হিন্দুদের থেকে দুরত্ব তৈরি করতেই যুগ যুগ ধরে পঠিত হয়ে আসছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আজো বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে বখতিয়ারের এই কল্পিত বঙ্গ বিজয় ও লক্ষণ সেনের খিড়কি দিয়ে ‘কাপুরুষের মত’ পলায়ন কাহিনী অপরিবর্তিত থেকে যাওয়া সেই সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মিশনকে বাস্তবায়নের অবিরাম চেষ্টা মাত্র।

শেষ সুন্দরটা স্রোত

তোমার জন্য কবিতা লিখি
ভালবাসা , অন্তরবাস তাই খুলে রাখি
সাওতালী হয়ে বুকনি পড়ি
যা-তে খুলে না পরে যৌবন ।

তোমার জন্য আমি নারী
যত্ন করে রাখি তোমার প্রসাধনী দেহ
বিব্রত বোধ করি না চুমু দিতে
নির্বোধ যুদ্ধটাও তোমার জন্য তুলে রাখি ।

অনুমতি দিলাম-
আমাকে পয়েন্ট আউট কর
এই সন্ধ্যা তোমার জন্য উৎসর্গ
পুরো বিশ্ব অস্বীকার করলেও ‘তোমার ’
চমৎকার আবহাওয়া , সুন্দর শিল্প
চোখ খোলা অধিকার নিয়ে প্রতীক্ষা
আগুন আহ্লাদ তৃষ্ণার্ত উষ্ণ সূর্য্য ।

কত রকমের সুন্দর দাঁড়িয়ে আছে পাশে
একটি সুন্দর মিথ্যা
একটি সুন্দর দীর্ঘশ্বাস
একটি সুন্দর শব্দ
একটি সুন্দর শৈলী
একটি সুন্দর স্রোত......

তুমি ভেবনা , লজ্জা পেলে অন্ধকার দ্বীপ হয়ে এসো
সমাজ কে লুকিয়ে রেখে এসো
জীবিত সৌন্দর্যের ঐশ্বরিক ঈশ্বর
অবিশ্বাস স্থাপন করেছি ‘এই সন্ধ্যায়

আমার নরম ঠোঁট ঘড়ির কাঁটায় সরব ।

সোমবার, ডিসেম্বর ২৬

শব্দ

অনেক কথা শব্দের মধ্যে
মাছ হয়ে খেলে সৌখিন অ্যাকুরিয়ামে ।

চৈত্রধূলা অবির হয়ে উড়ে -
ঝড়কে কুড়িয়ে আনতে
বন , মরুভূমি , সমুদ্র চোরাবালি
ভেঙ্গেচূড়ে মনে করিয়ে দেয়
হাজার বৈশাখের মিষ্টি কাণ্ডকীর্তি ।

দূর্ভিক্ষ জ্যোৎস্না নিথর আল পথে
সমাবেশ আলো-ছায়া , দোলে পেণ্ডুলাম ।
বাতাসের শ্বাস-প্রশ্বাস ,কুমারী বায়ুতে
গল্প শুধিয়ে বলে ,
তুমি বাতাস
আমি শ্বাস ।

সমাজে এঁরা কারা ?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে : 
*"***********†***********†********

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস । প্রথমেই আমার সহযোদ্ধা প্রতিবন্ধী ভাই ও বোনেদের বয়স অনুযায়ী শ্রদ্ধা জানায় ।
“ জীবনের শারীরীক অক্ষমতা একটা খারাপ মনের মধ্যে বসবাস করে । সমাজের মর্য্যদার মধ্যে বসবাস করে । সামাজিকতার মধ্যে বসবাস করে । এমন কি ধর্মের ধর্মমতের মধ্যেও বসবাস করে । তাতে মানসিক অমর্য্যদা ঘটে । সামাজীক অমর্য্যদা ঘটে । তাই তোমার সমাজ , ধর্ম ও নৈতিকতার কাছে দায়ব্ধতা নাই । তুমি যেহেতু করুণার পাত্র । নৈতিকতার পাত্র নও। তাই তোমার পথটা আত্মবিশ্বাসের শক্তিতে উপলব্ধি করতে হবে । ”

“যে , যে পথ দিয়ে চলে চলে , তার গৃহে ফেরার পথ হয় সেইটি । যেহেতু তুমি প্রতিবন্ধী । তাই তোমার চলার পথ মস্তিষ্কের মধ্যে খোঁজ । মনোযোগ দাও তাতে তৈরী হবে তোমার বাঁচার পথ ।”

আমাদের দাবি ও প্রতিবাদঃ-
°°°°°°°°°′°°°°°°°°°°°°°°°°
@যে সব প্রতিবন্ধী কাজ করার মত সক্ষম তাদের কাজ দিতে হবে।

@যারা কাজ করার মত অক্ষম তাদের বাজার অনুযাযী পেনশন দিতে হবে ।

@ প্রত্যেক অফিস , স্কুল , কলেজ এবং বেসরকারি সংস্থায় প্রতিবন্ধী পরিবেশ দিতে হবে ।

@ যে কোন উৎসবে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে । যাতে তারা উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে ।

@ সারা ভারতে প্রত্যেক বাস্ট্যাণ্ডে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বাতরুমের ব্যবস্থা করতে হবে ।

@ প্রত্যেক জেলা ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল ও কলেজ তৈরী করতে হবে ।

@ সারা ভারতের প্রতিবন্ধীদের সরকারী আওতায় নিয়ে আসতে হবে ।

@সরকারী ভাবে প্রতিবন্ধী দের হুইলচেয়ার ও নানা প্রতিবন্ধী সরঞ্জাম দিতে হবে প্রতি বছর ।

@রেল ও বাসে প্রতিবন্ধী কার্ড ছাড়াই বিনাপয়সায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে । সেই ক্ষেত্রে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।

@যে সব প্রতিবন্ধী চিকিৎসা পেলে স্বাভাবিক জীবন পাবে তাদের চিকিৎসা ভার সরকারকে নিতে হবে ।

@প্রতিবন্ধীদের পেনশন প্রতি মাসেরটা প্রতিমাসে দিতে হবে ।

@যারা একদম অক্ষম প্রতিবন্ধী তাদের সরকারি হোমে রেখে বাকি জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে ।

@ প্রতিবন্ধী শব্দ তুলে দিয়ে লিখতে হবে “ অন্য উপায়ে সক্ষম” ।

আসুন আমরা প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ায় । এ সমাজে যারা অন্য উপায়ে সক্ষম আছেন তাদের আমরা সমাজিক মর্য্যদা দিয়ে সুন্দর ভাবে বাঁচতে সহযোগিতা করি ।

=°=°=°=°=°=°=°=°=°=°=°=°=°=°=°=°

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

৩৯ বার পঠিত০২ ৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::

১. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২ ০
রাজু আহমেদ তন্ময় বলেছেন:
২. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০ ০
সুমন কর বলেছেন: দাবিগুলো তো খারাপ নয় !!
৩. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩ ০
কল্পদ্রুম বলেছেন: দাবিগুলো প্রয়োজনীয়।তবে সবার আগে পরিবারগুলোতে মানুষিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
৪. ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮ ০
ইতি সামিয়া বলেছেন: সকল দাবি সকল চাওয়া বাস্তবায়ন হোক।

জন্মভূমিতে এখন আমি অতিথি । হায় স্বাধীনতা !

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে : 
--------------------------------------

“চাষাদের মোটেদের মজুরের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ, সব মানুষের, সব মানুষের।”

এটা বাংলাদেশের দেশ ভক্তির গা ন । গানটা আমার গীটারে তোলা ছিল । আমি আর একটা দেশভক্তির গান খুর বাজাতাম ।

“প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে
প্রতিদিন তোমায় দেখে হৃদয় জাগে
সে আমার দেশ প্রিয় বাংলাদেশ ।”

গানটা এখনও গীটার নিয়ে বসলে বাজানোর চেষ্টা করি কিন্তু বাজাতে পারি না । কান্নায় মনটা ভেঙ্গে পরে । আমি গানটা বাজাবার সময় যখন কান্না করি মা আমার ঘর থেকে বেরিয়ে জান । মা জানে কাজল কেন কাঁদছে । গানটার সাথে জীবনের বাস্তব পরিস্থিতি পাল্টে গেছে । জীবনের মানেটাও এখন আর এক নেই । আমাকে কেও জীঞ্জেস করলে এই বলতে হয় ,“আমি পশ্চিমবঙ্গবাসি” । এটা আমরা পরিচয় না । আমার পরিচয় দোঁয়াশ মাঠির মত হয়ে গিয়েছে । কি মর্মি বেদনা । যে পেয়েছে সেই জানে ।দেশ আর মা সমান ।যাই হোক ।

এবার বাবার কথায় আসি ।দেশ ত্যাগ করে আমার বাবা পাঁচ বছর বেঁচে ছিলেন । মানে কারু সাথে কথা বলতেন না । সব সময় একটা উদাসীনতা লক্ষ করতাম। তিনি এখানে এসে বোবা হয়ে গিয়েছিলেন । দেশ ত্যাগের কষ্টটা চেপে রাখতে রাখতে হঠাৎ একদিন স্টোক হয়ে বিছানায় পরে যান । তারপর বোঝা গেল বাবার এততাড়াতাড়ি চলে যাবার কারণটা । বাবা যখন বিছানায় পরে যান তখন আমাকে বলতেন , আমি মারা গেলে আমার দেশের উত্তরবাহী শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পোড়াবী । তার দেশের বাড়ির কথা অসুখের ঘোরে বলে উঠতেন । এই টানের নাম জন্মভূমি ।এটান জন্মগত । বড়ই বেদনার । বাংলাদেশের লোক এসব ইতিহাস জানেন না দেশ ত্যাগিদের দিনগুলোর কথা । তাদের দুঃখের দিনের কথাও জানেন না । যেখানটায় নিরাপদ থাকা শুরু সেখান থেকেই বেদনা ,ক্ষুধা আর মানসিক যন্ত্রণা শুরু । দুয়ের মিশ্রনে তৈরী হয় এক বিকৃত মানুষ ।
আমাকেও কষ্ট দেয় । যে দেশটাকে প্রিয় ও জন্মভূমি ভেবেছিলাম সে দেশ নাকি আমার এখন পরদেশ ভাবতে হয় । ।

•••••••••••••••••••••••••••••••••••••

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২
১০০ বার পঠিত০৫ ৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
----------------------------------------
১. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪ ০

আহা রুবন বলেছেন: স্বাধীনতা অর্জন জীবনে স্বস্তি আনে। আমাদের এখানে কারও কারও জীবনে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে অনিশ্চয়তা, জন্মভূমি হারানোর যন্ত্রণা। উপমহাদেশের বাইরে হয়ত এমন দ্বিতীয় কোনও উদাহরণ নেই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪ ০
লেখক বলেছেন: পৃথিবী একটি জাগতেই অশান্ত ,আমরা বুঝি কিন্তু চুপচাপ থাকি
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪ ০
লেখক বলেছেন: পৃথিবী একটি জাগতেই অশান্ত ,আমরা বুঝি কিন্তু চুপচাপ থাকি
২. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২১ ০
সেলিনা ইসলাম বলেছেন: একটা যুদ্ধ শুধু হতাহত করেনি,করেছে মানুষের ভালবাসাকে দ্বিখণ্ডিত! যা সত্যিই দুঃখজনক। ঈশ্বর আপনার বাবাকে শান্তিদান করুণ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬ ১
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ,সহমর্মিতার জন্য

৩. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০১ ০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যেখানে মানস পড়ে থাকে , শিকড়ের সন্ধানে ঘরত্যাগী দেশত্যগী তার খুঁজ নেয় বাড়ে বাড়ে । তার কথা প্রকাশে থাকেনা কোন দ্বিধা সংশয়; অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এ ব্যথার কোনো শেষ নাই । সভ্যতার শরীরে যতো সব আবর্জনা, নোংরার বিচরণ দেখা যায় হয় যখন জন্মভুমির বিভাজন । যেখানে মানস কেবলই পড়ে থাকে হাজার লাখ কোটি বছর কাল অমানুষিক মানসিক নির্যাতনে। বাধ্যতামুলক দেশত্যগীদের মনে মুক্তিগন্ধ নেই , মুক্তির বাতাস পানি ভূমি নেই কেবলই আভা আছে কেবলই পীড়ন আছে তার প্রতাপের। ভারি ভারী পাথরের মতন গীটারের সঙ্গীত দুমড়ে মুচড়ে দেয়, মানসের সবটুকু স্তর ভেঙে খান খান হয় । আবার জোড়া লাগার কয়েক মুহূর্ত আবার দহন দংশন পীড়ন প্রপাত। জন্মস্থানের মাটিতে মানস পড়ে থাকে গাছের ছায়ায় শসানের সীমানায়। দেশ ভাগের স্তুপিকৃত যন্ত্রনায় যা এখন আর নড়তে চড়তে পারেনা, হয় পরিণতিহীন। সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়ীকতার কু প্রভাবে স্বার্থান্বেশীদের ছোঁড়া অসংখ্য ঘুণ পোকার দখলে আর্তনাদ ছোঁড়ে। এইসব মানসের ছবি, চেতনার ধার দৃশ্যের পর দৃশ্যে সজ্জিত হয় উপায়হীন পারিপার্শ্বে; খুঁজে দেখা যায় এ ব্যথায় কারো সহনের চোখ নেই, গ্রহণের বুক নেই, হৃদয়ের সংবেদনায় নীজ দেশে হয় পরবাসী ।
কস্ট লাগল গল্পটি পড়ে ঈশ্বর আপনার বাবাকে শান্তিদান করুন এ কামনাই করি ।
শুভেচ্ছা রইল

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮ ০
লেখক বলেছেন: ডাঃ ভাইকে ধন্যবাদ সমব্যথি হবার জন্য

৪. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫ ০
কলাবাগান১ বলেছেন: " যেখানটায় নিরাপদ থাকা শুরু সেখান থেকেই বেদনা ,ক্ষুধা আর মানসিক যন্ত্রণা শুরু । দুয়ের মিশ্রনে তৈরী হয় এক বিকৃত মানুষ ।"

৫. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০ ০
সুমন কর বলেছেন: মর্মস্পর্শী লেখা।

ভালো লাগা রইলো।

৬. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১ ০
supriy mahapatr বলেছেন: দারুণ বলেছেন

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ

বাংলাদেশ হিন্দুদের দেশ না । কেনো ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার কারণে বিডির হিন্দুরা সংখ্যার দিক থেকে তাঁরা দূর্বল হয়ে পরেছেন । এটা অতি সত্য কথা । কিন্তু এই হিন্দু চলে আসা ঠ্যাকানোর জন্য বাংলাদেশের উচ্চমহলের কোনও কি ব্যবস্থা তাঁরা কখনই নিয়েছেন ? না নেননি । কেনোনো

বাংলাদেশ হিন্দুদের দেশ না । কেনো ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে : 
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆

বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার কারণে বিডির হিন্দুরা সংখ্যার দিক থেকে তাঁরা দূর্বল হয়ে পরেছেন । এটা অতি সত্য কথা । কিন্তু এই হিন্দু চলে আসা ঠ্যাকানোর জন্য বাংলাদেশের উচ্চমহলের কোনও কি ব্যবস্থা তাঁরা কখনই নিয়েছেন ? না নেননি । কেনো নেননি ? কেনও তারা হাত ঝেরে দিলেন ? কর্তব্য ভুলে গেলেন । যে আওয়ামীলীগ বলতে হিন্দুরা পাগল সেই আওয়ামীলীগ কেও এই ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি । কেনও এই অবহেলা ? দেশের জন্য তো হিন্দুরাও হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন । তাঁরাও তো এদেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন । বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর বেঁচে ছিলেন । তিনিও কোন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি না আমার জানা নেই । কেননা অর্পিত সম্পত্তি আইন হিন্দুদের গলা কাঁটা ছিল । তিনি কিন্তু ইচ্ছা করলে এই আইনটি বাতিল করতে পারতেন । কেননা আওয়ামীলীগ তখন ছিল সংখ্যা গরিষ্ট । একটা আইন বাতিল করতে একদিনের ব্যপার । সেখানে তিনি সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন । এখান থেকেই বোঝা যায় । তিনিও হিন্দুদের প্রতি অবহেলা করেছেন ।

°°°°°°′°°°°°°°°°°°°°°′°°°°′°°°°°°°°°°°°°°°°°
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
৬৭২ বার পঠিত০০ ৩২টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

-------------------------------------------
১. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭ ১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব দুঃখজনক। জন্মভূমি ছেড়ে কেন কিছু মানুষ অন্য দেশে চলে যাবে, সে হিন্দুই হোক বা মুসলিমই হোক? দেশভাগের সময় ছাড়া ভারতের মুসলিমরা তাদের জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে যায়নি। কিন্তু হিন্দুরা দেশত্যাগ করেই চলেছে। নিশ্চয় শখ করে নয়। আপনি যাদের এ জন্য দায়ী করেছেন, তারা দায় এড়াতে পারেন না। আবার এ দেশের হিন্দুরাও তাদের জন্মভূমির অধিকার রক্ষায় যথেষ্ট সচেতন নয়। ভারতের গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সত্ত্বেও কোন মুসলিম দেশ ত্যাগ করেনি। ভারতে যেমন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু অসাম্প্রদায়িক, বাংলাদেশেও তেমনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অসাম্প্রদায়িক। গুটি কয় সাম্প্রদায়িক সুযোগ সন্ধানী লোকের জন্য কোন ধর্মের মানুষের নিজ জন্মভূমি ছেড়ে যাওয়া উচিৎ নয়।
আমি সব সময় বলি, বাংলাদেশের হিন্দু ভাইরা একতাবদ্ধ হোন, প্রশাসন ও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন, নিজেদের জন্মভূমির অধিকার আদায়ে সচেতন হোন, সর্বোপরি দেশ ত্যাগ বন্ধ করুন। এ দেশে মুসলিম হিসাবে আমার যেমন বসবাসের অধিকার আছে, তেমনি সমান অধিকার আপনারও আছে। একই দেশের জল হাওয়ায় আমরা সবাই জন্মেছি এবং বেড়ে উঠেছি। নিশ্চয় সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আপনাদের পাশে আছে।

আর আসুন, আমরা সবাই যার যার ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শিখি। ধন্যবাদ ভাই দেবজ্যোতিকাজল।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩ ০
লেখক বলেছেন: গুজরাটে দাঙ্গার পর ভারতের প্রশাসন , বুদ্ধিজীবি , সর্বস্তরের মানুষ পীড়িত লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছে । এখনও বিরোধীদলের নেতারা তাদের হয়ে কথা বলেন । কিন্তু বাংলাদেশ বোধহয় এর একটু ব্যতিক্রম । আপনার হয় তো মনে আছে আকলাখকে মারার পর কতজন বুদ্ধিজীবি পদক ত্যাগ করেছিলেন । কলকার বুকে প্রতিবাদ হিসেরে ওপেন ফর্মে গোরুর মাংসা খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল । তাতে হিন্দু মুসলিম গোরুর মাংস খেয়ে প্রদিবাদ করেছিল । বাংলাদেশে এমন কোন নজির নেই যার ভরসায় তারা মাতৃভূমি কে আকরে ধরে বাঁচবে । আর ভারতে এই ঘটণাগুলো বহু বছর পরপর হয় । আর বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা ।
২. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫ ০
শরতের ছবি বলেছেন:

কখনও ভেদাভেদ ছিল না ।এখনও নেই আপামর জনতার । আর যেটুকু দেখছেন ধ্বংসলীলা ,আগুন ---এই ষড়যন্ত্র । বিশ্বকে দেখানো । এরা ৭১ এর বিরোধী ,পাপী ,অমানুষদের কাজ । এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ । আমার এমনদেশ চাই না । চাই নিচের গানের মত একটি দেশ --এটি সেই সময়কার গান যখন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটেছি । এ জঙ্গিবাদের হোতাদের কাজ।

--------------------------------
চাষাদের মোটেদের মজুরের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ, সব মানুষের, সব মানুষের।
ছোটদের বড়দের সকলের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের।।
নেই ভেদাভেদ হেথা কুলি আর কামারে।
নেই ভেদাভেদ হেথা চাষা আর চামারে,
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, দেশ মাতা এক সকলের।
লাঙলের সাথে আজ চাকা ঘুরে এক তালে
এক হয়ে মিশে গেছি আমারা সে যে কোন কালে।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জার আবাহনে।
বাণী শুনি একই সুরের।
ছোটদের বড়দের সকলের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯ ১
লেখক বলেছেন: তোমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের প্রতিবাদের হাত শক্ত কর দেখবে একটা হিন্দুও দেশ ছাড়বেনা । তাঁরা দেশকে ভালবাসে বলেই তো একাত্তুরে ভারতে এসেও বিজয়ের স্বাদ নিতে দেশে ফিরেছিলে ।
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রতিমন্তব্যের সকল তথ্য আমার জানা আছে। সেই কারণেই আমি বলেছি ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু অসাম্প্রদায়িক। বাংলাদেশের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমও অসাম্প্রদায়িক। এ দেশে কট্টর হিন্দু বিরোধী কিছু মানুষ আছে, সেটা সবাই জানে। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা । আপনার এই বক্তব্যের সাথে একমত হতে পারছি না। দুঃখিত।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪ ০
লেখক বলেছেন: আপনাদের টিভি চ্যানেল ,পেপার পড়েই বা দেই বলছি । জমি দখল , প্রতিমা ভাঙ্গা , হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়া , ধর্ষণ এসব তো মাসে পাঁচ ছয়টা করে নিউজ দেখি বা পড়ি ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫ ০
লেখক বলেছেন: আমি কিন্তু এটাই বুঝাতে চেয়েছি বিডির সর্বস্তরের মানুষ হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে একটা প্রতিবাদ কেনও গড়ে ওঠে না । যদি বেশির ভাগ মানুষ অসাম্প্রদায়িক হয় । বিরোধী দলও নিশ্চুপ । মাঝেমাঝে এরশাদ দেখি একটু উচ্চবাচ্য করছেন । আপনারা পাশে দাঁড়ান ওপেন ফর্মে , দেখবেন একটা হিন্দুও আসবে না ভারতে । তারা ভারতে এসে যে কষ্ট করে তা চোখে দেখার মত না । না পায় সরকারি স্বকৃতি না চলে পেট । বড়ই বেদনার কথা । এ চোখে না দেখলে বুঝবেন না
৪. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭ ০
আহলান বলেছেন: গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান, বাউল আর জারি সারি, মুর্শিদি গাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা

গানটার মতোই গলাগলি ধরে ছিলো আমাদের বসবাস। কিছু স্বার্থনেস্বী মহল এই আন্তরিকতায় গরল ঢালার চেষ্টায় লিপ্ত। সব হিন্দু যে বিপদে পড়ে দেশ ত্যাগ করছে, তাও নয়, অনেকে সুখ সুবিধার কথা ভেবেও চলে গেছেন। এই দেশের নাগরিক হয়ে সবাই সুখ সুবিধা পাবেন, এটাই প্রত্যাশা। ধর্ম কোন সুবিধা পাবার ক্যটাগরি হতে পারে না ..
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬ ০
লেখক বলেছেন: এটা ঠিক সবাই অত্যাচারিত হয়ে দেশ ছাড়ছেন না। তবে ভয় ও পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবেও দেশ ছাড়ছেন । কেউই সুখে দেশ ছাড়ছেন না । কেননা ইণ্ডিয়ায় এসে তাঁরা বেশিরভাগ মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন ।
৫. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭ ১
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা ...................

নাটক, নাটক...........
৬. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯ ০
সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: হিন্দুরা এদেশ ছেড়ে যায় এতে অন্যের কিছু করার নেই কারণ তারা এদেশ কে কখনও আপন মনে করে না। তারা ভাবে রেন্ডিয়াই সব। সেখানে তীর্থ স্থান আছে। পুণ্যাহ্ করার পর্যান্ত ব্যবস্থা আছে।
কিন্তু বাংলাদেশের নাঙল কোট আর গঙ্গার পানি তাদের পোষায় না। কারণ এই পানি ওপারের দাদারা দূষিত ও অপবিত্র করে দেয় তা চুইয়ে চুইয়ে ভাটিরটানে বাঙালায় আসে। আমাদের দেশে কিছু বিশেষ + অজ্ঞ= বিশেষজ্ঞ অথবা কিছু মাতাল আছে যারা এই বিষয়ে নিয়ে অহেতুক ক্যাচাল পারে। তারা আগে হিন্দুদের মাঝে দেশ প্রেমে জাগ্রত করুক তারপর দেখুক কোন হিন্দু বাঙালা ছেড়ে যায় কিনা। অনেকে বলতে পারেন বাঙলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে! আমার কথা হলো সংখ্যালঘু কোন দেশে নির্যাতন হয়না? এমরিকায় মসজিদে ঢুকে গুলি করে মানুষ মারে, চাইনায় ইউঘুর মুসলমানরা নির্যাতনের খড়ঙ্গ পোহাচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে অনিরাপদ সংখ্যালঘুরা। কই কোন ভারতীয় মুসলমান পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে আসার নজির নেই। এখান থেকে যারা যাচ্ছে তারা হয়- উন্নত জীবন লাভের আশায় যাচ্ছে নয়তবা ধর্মকর্মে- ধার্মিক হওয়ার জন্য যাচ্ছে। এটা দোষের কিছু না।
আরে জানতে পড়ুন: Click This Link
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪ ০
লেখক বলেছেন: রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে কেনও ? তাদের কি দেশ প্রেম নেই ?
৭. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২ ১
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: বড় দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কমেন্টটি লিখছি, ছোট থেকেই একটা হিন্দু ফ্যামিলির সাথে আমাদের যাতায়াত আছে। তারা আমার কাকাত বোনকে ধর্মবোন বানিয়েছে। তাদের বাড়ীর সমস্ত উৎসব পার্বনে এখনও আমাদের বাড়ীর সকলের নিমন্ত্রন থাকে। আমার দুলাভাইকে তারা আপন জামাইয়ের মত দেখে। তারাও আমাদের ঈদ বিয়ে সহ সকল অনুষ্টানে পুরো পরিবার উপস্থিত হয়। ধর্ম তো কোন বাধা হয়নি। তাদের মুখে কখনও "ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস" টাইপের কথা শুনি নি।
আবার কিছু লোকের সাথে পরিচয় আছে যারা সারা বছর বলে অমুক পাতিনেতা আমার এই ক্ষতি করল সেই ক্ষতি করল, আবার ভোটের সময় তাদেরকেই বলে দাদা আপনার সাথেই আছি।
কিছু লোক সত্যিকারের বিপদে পড়েই দেশ ত্যাগ করে। আর বেশির ভাগই স্বপ্নে দেখে ওপার গিয়ে আমার অমুক আত্মীয় হাতি-ঘোড়া মারছে।
লেখক বলেছেন: না স্বপ্ন দেখে কেউ দেশ ত্যাগ করে না । তা হলে সবাই কি অত্যাচারিত হয়ে গেশ ত্যাগ করছেন ? না । তাদের মধ্যে আছে তারা আগাম ভয়ে দেশ ত্যাগ করছেন কিছু আছেন পরবর্তী প্রজন্মকে নিরাপদ দিতে দেশ ত্যাগ করেন । তোমরা বল বাংলাদেশ মুসলিমদেশ দেশ হিন্দুরা ভাবে তবে আর কি । সময় থাকতে চলে যাওয়াই ভাল । বিভিন্ন চিন্তা ভাবনায় তারা দেশ ত্যাগ করছেন । কিন্তু আমার পোস্টটা ছিল যে সব হিন্দু অত্যাচারিত হচ্ছে তাদের পাশে রাষ্ট্র , জনগণ , বুদ্ধিজীবিরা কিভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । যদি না দাঁড়িয়ে থাকে তবে কেনও তারা দাঁড়ান না
৮. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪ ১
জগতারন বলেছেন:
অনেকে বলতে পারেন বাঙলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে! আমার কথা হলো সংখ্যালঘু কোন দেশে নির্যাতন হয়না? এমরিকায় মসজিদে ঢুকে গুলি করে মানুষ মারে, চাইনায় ইউঘুর মুসলমানরা নির্যাতনের খড়ঙ্গ পোহাচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে অনিরাপদ সংখ্যালঘুরা। কই কোন ভারতীয় মুসলমান পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে আসার নজির নেই। এখান থেকে যারা যাচ্ছে তারা হয়- উন্নত জীবন লাভের আশায় যাচ্ছে নয়তবা ধর্মকর্মে- ধার্মিক হওয়ার জন্য যাচ্ছে। এটা দোষের কিছু না।

ব্লগার সত্যের ছায়া (সংস্করণ) অভিমতের সাথে সহমত পোষন করছি।
৯. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪ ১
জগতারন বলেছেন:
অনেকে বলতে পারেন বাঙলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে! আমার কথা হলো সংখ্যালঘু কোন দেশে নির্যাতন হয়না? এমরিকায় মসজিদে ঢুকে গুলি করে মানুষ মারে, চাইনায় ইউঘুর মুসলমানরা নির্যাতনের খড়ঙ্গ পোহাচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে অনিরাপদ সংখ্যালঘুরা। কই কোন ভারতীয় মুসলমান পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে আসার নজির নেই। এখান থেকে যারা যাচ্ছে তারা হয়- উন্নত জীবন লাভের আশায় যাচ্ছে নয়তবা ধর্মকর্মে- ধার্মিক হওয়ার জন্য যাচ্ছে। এটা দোষের কিছু না।

ব্লগার সত্যের ছায়া (সংস্করণ) অভিমতের সাথে সহমত পোষন করছি।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭ ০
লেখক বলেছেন: রোহিঙ্গারা তরে বাংলাদেশে আসছে উন্নত জীবনের আশায়
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪ ০
লেখক বলেছেন: ভারতে মুসলিমরা অনিরাপদ হলে রোহিঙ্গাদের মত হয় বাংলাদেশে ঢুকতে হত না হয় পাকিস্তানে যেতে হতো ।
১০. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩ ০
অেসন বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় লেখার জন্য।
@সত্যের ছায়া (সংস্করণ), আপনাদের (সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়) এই ধরনের মনোভাবই হিন্দুদের দেশ তাগের মুল কারন। আমেরিকা, ভারতের উদাহারন দিলেন। সেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়। কিন্তু সব ঘটনাই আইনের আওতায় বিচার হয়। ওখানে আইন সবার জন্য সমান। বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হয়েছে ? তদন্ত কমিটি, লোকদেখানো কিছু সাময়িক গ্রেফতার ছাড়া আর কি হয়েছে একটু বলবেন ? এই দেশ যে হিন্দুদেরও তা আপ্নারাই ভাবতে দেন না। যারা হিন্দুদের পাশে দাড়ায় তাদের আপনারা মাতাল বলেন। কিছু দিন পর নাসিরনগর, অভয়নগর হিন্দু শূন্য হলে বলবেন, ওখানকার হিন্দুরা জেলে থেকে উন্নত জীবন জাপনের জন্য দেশ ছেড়েছে। আপনারা চরম অসাম্প্রদায়িক !
@আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, আপনার মন্তব্য আমার খুব ভাল লেগেছে। তবে একটি বিষয় , হিন্দুরা একতাবদ্ধ হলে হবে না তাদের পাশে থাকতে হবে আপনাদেরও (সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়)।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪ ০
লেখক বলেছেন: এটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি যে সবাইকে এগিয়ে আসতেহবে । আখলাখ কে মারার জন্য যদি দেশের সেরা সেরা বুদ্ধিজীবিরা পদক ত্যাগ করে , কলকাতায় প্রতিবাদ হিসেবে ওপেন ফরমে হিন্দু মুসলিম মিলে গোরুর মাংস খেয়ে প্রতিবাদ করতে পারে । তবে বাংলাদেশ এধরনের কি নজির রেখেছে সংখ্যালঘুদের অত্যাচারে ।
১১. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩ ০
আহা রুবন বলেছেন: যা কিছু ঘটুক ঐ কেষ্ট বেটাই চোর টাইপের ঘটনা তো অহরহ ঘটছে। কিছু একটা ঘটলেই আক্রোশ গিয়ে পড়ে হিন্দুদের ওপর। হাতে গোণা দু-একটি বাদে কোনটারই বিচার হয় না। সংখ্যাগুরুদের খুব কম সংখ্যকই হিন্দু নির্যাতনের বিপক্ষে সরব হয়। তার অর্থ এই নয় যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি সাম্প্রদায়িক। এরা ভাবে আমার তো কিছু হয়নি আমি চুপ থাকলেই ভাল, ঝামেলা বাড়িয়ে লাভ কী। এই মনোভাব সকল ক্ষেত্রেই। রাস্তায় মেয়েটিকে টিজ করছে দেখেও কেউ কিছু বলে না, যতক্ষণ না তার নিজের কেউ বিপদে পড়ছে। প্রতিবাদ করার, কারও বিপদে এগিয়ে আসার মানসিকতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর একটি কথা হিন্দুরা একতাবদ্ধ নয়। সে তুলনায় খৃস্টানেরা নিজেরা অনেক সংঘবদ্ধ, এরা হিন্দুদের তুলনায় ভাল অবস্থানে আছে।
১২. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫ ০
সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: @সত্যের ছায়া (সংস্করণ), আপনাদের (সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়) এই ধরনের মনোভাবই হিন্দুদের দেশ তাগের মুল কারন। আমেরিকা, ভারতের উদাহারন দিলেন। সেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়। কিন্তু সব ঘটনাই আইনের আওতায় বিচার হয়। ওখানে আইন সবার জন্য সমান। বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হয়েছে ?
তদন্ত কমিটি, লোকদেখানো কিছু সাময়িক গ্রেফতার ছাড়া আর কি হয়েছে একটু বলবেন ? এই দেশ যে হিন্দুদেরও তা আপ্নারাই ভাবতে দেন না। যারা হিন্দুদের পাশে দাড়ায় তাদের আপনারা মাতাল বলেন। কিছু দিন পর নাসিরনগর, অভয়নগর হিন্দু শূন্য হলে বলবেন, ওখানকার হিন্দুরা জেলে থেকে উন্নত জীবন জাপনের জন্য দেশ ছেড়েছে। আপনারা চরম অসাম্প্রদায়িক !
@আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, আপনার মন্তব্য আমার খুব ভাল লেগেছে। তবে একটি বিষয় , হিন্দুরা একতাবদ্ধ হলে হবে না তাদের পাশে থাকতে হবে আপনাদেরও (সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়)।

সংখ্যালঘু বিষয়টি নিয়ে আমাদের দেশে একশ্রেণির মানুষের এলার্জি আছে। আমাদের দেশে মূর্তি ভাঙ্গা হয়, মন্দিরের ক্ষতি সাধন করা হয় তা অস্বীকার করার উপায় নেই বা এটা দিবা সত্য।
কিন্তু সংবিধান বা আইনে বা রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা আইন তৈরী বা ব্যবস্থা নিতে পারেন না। কেননা সংবিধান অনুযায়ী সকল মানুষ সমান। সকলেই বাংলাদেশী। এবং সকলের নিরাপত্তার জন্য আইন তৈরী করা আছে। সে হিন্দু হউক আর খ্রিষ্টান হউক কিংবা মুসলমান।

আমাদের দেশে একশ্রেণির অতিউৎসাহী ধর্মকারী মানুষ ভিন্নমতাবলম্বীদের উপসানালয় কিংবা মূর্তির ক্ষতি সাধন করে থাকে যা আমাদের কাম্য নয়।

এটা দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে এক শ্রেণির আতেলরা একে মানবিক অপরাধবোধ না ভেবে সাম্প্রাদায়িক অপরাধবোধ হিসেবে চালাতে উৎসাহিত করে থাকে। তখন সরকার কে বে-কায়দায় পড়তে হয়, কারণ তারও সংখ্যাগরিষ্ঠের মনোভাব রক্ষা করতে হয়। ফলে বিষয়টি মানবিক না হয়ে হয়ে উঠে সাম্প্রাদায়িক।

এখন যদি সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা আইন করা হয় তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠের দিক থেকে দাবি উঠবে ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননাকর) আইন প্রণয়নের। তখন সরকারকে মেজরিটির দিকে লক্ষ রেখে সে আইনও তৈরী করতে হবে। ফলে আমাদের দেশে বিজ্ঞান মনস্কা কিংবা মুক্ত চর্চার নামে যারা অপরের বিশ্বাসের আঘাত করেন তখন তাদের কল্লায় ফাঁসির রশ্মি মোবারক জুটতে পারে।

তাই আমাদের উচিত এই ধরণের অপরাধগুলো সাম্প্রাদায়িক অপরাধ না ভেবে রাষ্ট্রীয় অপরাধ ভাবা। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পারছেন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫ ০
লেখক বলেছেন: চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার,
পশ্চিম ভূজপুর গ্রামের সেন বাড়ীর বাসন্তী মন্দিরে, গতকাল রাতে দূর্বৃত্ত নামক সন্ত্রাসীরা তালা ভেঙ্গে প্রতিমা ভাঙ্গচুর করেছে।।।
১৩. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪ ০
সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: রোহিঙ্গারা যে পজিশনে আছে তা বাংলাদেশের হিন্দুদের পজিশনের চাইতে ১০০০০০ গুণে নিচে। আমাদের দেশে অতীতে বেশিরভাগ হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নির্বাচনকালীন সময়ের পর। অর্থাৎ নির্বাচনী সহিংসতার শিকার। এই সহিংসতার শিকার , সে সময়ে হিন্দুদের চাইতে মুসলমানরাও বেশী স্বীকার হইছে। তখন কেউ বলেনি মুসলমানরা সাম্প্রাদায়িক সহিংসতার স্বীকার। এই নিয়ে অনেক তর্ক করা যায়।

একটা কথা মনে রাখা দরকার, হিন্দুরা এদেশে সংবিধান স্বীকৃত সমান অধিকার প্রাপ্ত নাগরিক।

আমার মতে,
প্রত্যেক মুসলামন- বাংলাদেশী
প্রত্যেক হিন্দু- বাংলাদেশী।

সুতরাং সবাই বাংলাদেশী। তাই সাম্প্রাদায়িক হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

কিন্তু মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা নাগরিকত্বহীন সংখ্যালঘু।
এবার ভেবে দেখুন কিসের সাথে কি তুলনা করছেন।
১৪. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২ ০
অেসন বলেছেন: @সত্যের ছায়া (সংস্করণ), সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের কোন প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনই যথেষ্ট যদি রাষ্ট্রের সদিচ্ছা থাকে। কিন্তু
মূর্তি ভাঙ্গা হলে যদি মানসিক রোগী বলে ছাড় দেওয়া হ্য় তাহলে আইনের দোষ কি ?
১৫. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২ ০
সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: http://www.somewhereinblog.net/blog/Asen , আমারও ভাষ্য সংখ্যালঘুদের জন্য কোন আলাদা আইনের প্রয়োজন নেই। তারা রাষ্ট্রের নাগরিক। তাদের অপরাধগুলো রাষ্ট্রীয় অপরাধ হিসেবে দেখা হউক। সাম্প্রাদায়িক নয়।

যদি সেটি করা হয় তাহলে বিচার পাওয়াটা আরো সহজ হবে।
সাম্প্রাদায়িক বললে দু’শ্রেণীর মানুষের চুলকানি উঠে।
এক। সু-চীল সমাজ।
দুই। মৌলবাদীরা।

রাষ্ট্রীয় অপরাধ হিসেবে দেখলে এদেশের আপাময় জনতার চুলকানি উঠবে। এবার ভেবে দেখুন কোনটা গ্রহন করবেন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩ ০
লেখক বলেছেন: Click This Link
১৬. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮ ০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন:

চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার,
পশ্চিম ভূজপুর গ্রামের সেন বাড়ীর বাসন্তী মন্দিরে, গতকাল রাতে দূর্বৃত্ত নামক সন্ত্রাসীরা তালা ভেঙ্গে প্রতিমা ভাঙ্গচুর করেছে।।।
১৭. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮ ১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার এলাকা ফেনীতে কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি। জেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ আর জেলা বড় মসজিদের মাঝে দূরত্ব ১০ফুট, দুটি পাশাপাশি। তার পরও হিন্দুরা দেশ ত্যাগ কর

সমস্যা হল আমাদের দেশের হিন্দুরা এদেশকে কখনো নিজের দেশ মনে করেনা, তারা কামায় এদেশে বাড়ী করে ইন্ডিয়া, বাড়ী না হলেও আমার এলাকার সকল সচ্ছল হিন্দুর ইন্ডিয়ায় এক খন্ড জমি হলেও আছে। তারা এক পা ওদেশে দিয়েই বসে থাকে।
আমার এক স্কুল শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলাম, স্যার কেন যাচ্ছেন। বললেন ওখানে বাড়ি, জমি আছে। এক ছেলে সেখানে চাকুরী করে তাই চলে যাচ্ছি ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮ ০
লেখক বলেছেন: সবাই আক্রান্ত হয়ে দেশ ত্যাগ করবে এমনটা ভাবলে কেনো বুঝতে পারলাম না । চারিদিকে যা ঘটছে সেটাকে কিভাবে হিন্দুরা ভুলে । তোমার ওখান থেকে যেসব হিন্দু দেশ ত্যাগ করছে তারা ভয়ে করছে আর এই সহজ কথা বুঝার জন্য বিজ্ঞ হতে হয় না । বাংলাদেশে এখন হিন্দু আছে ৭% । ছিল ৩৭% । আর হিন্দুরা বাংলাদেশ কে ভাল না বাসলে ৭১ তারা দেশকে স্বাধীন করতে অস্ত্র তুলে নিতেন না । তারপর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হিন্দুরা দেশে ফিরত না । তারা দেশকে ভালবাসে জন্যই তারা দেশে ফিরেছিলেন । তোমরা তাদের পাশে দাঁড়াও দেখবে একটা হিন্দুও ভারতে আসবে না । কেও শখ করে দেশ ছারে না । এই কথা ভেবে দেখার প্রয়োদন আছে
১৮. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১০ ০
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: বাংলাদেশে একাত্তর পরবর্তী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কত জন হিন্দু মরেছে ? নাসিরনগর সহ সারা বেশিরভাগ সংখ্যালঘু নির্যাতন কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে? আমার সাথে কয়েক শত হিন্দুর পরিচয় আছে যারা অন্তরে অখন্ড ভারতবর্ষ এন্ড বন্দে মাতরম এর স্বপ্ন দেখে। স্যার, আপনাকে আরেকটি বিষয়ে জ্ঞাত করতে চাই যে, বাংলাদেশের সব লোক কাঙ্গাল না। এখানে সম্ভাষনের ক্ষেত্রে আপনি, তুমি, তুই এর আলাদা আলাদা ব্যবহার আছে। আমার এলাকায় কয়েক'শ হিন্দু আছে যাদের কর্মস্থান বাংলাদেশে এবং বেশ বড় অংকের ব্যালেন্স বাহিরে। আমাদের শহরের বেশীরভাগ হিন্দু অন্যদের তুলনায় ধনী, কই তারা তো যায় না।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩ ০
লেখক বলেছেন: এটা সহজ হিসেব বুঝলে না ? হিন্দুরা এক তরফা মার খেয়েছে । দাঙ্গা এক তরফা হয় না । আজকেই হিন্দুরা হাতে লাঠি তুলে নেক প্রতিদিন দাঙ্গা হবে বাংলাদেশে , মরবেও কাতারে কাতারে ।
১৯. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩ ০
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমার একদম ঘনিষ্ট বন্ধু আছে যার বাবার সংগে কাকার জমি সংক্রান্ত সমস্যা দীর্ঘদিনের । তারা আর্থিক ভাবে দুর্বল হওয়ার কারনে কাকার সংগে পেরে উঠে না। আর যাদেরকে ভোট দেয় তারাই সবসময় উঠতে বসতে চাপে রাখে। তার বাবাকে বলতে শুনেছি যে, যদি শেষ পর্যন্ত তার ভাই তাকে চরম বিপদে ফেলে তবে কোন মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করে দিয়ে ইন্ডিয়া চলে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি কাকে দোষ দিবেন?

আপনি বলেছেন কেউ স্বপ্ন দেখে না। কথাটা মানতে পারলাম না। কারন আমি তাদের সাথেই দীর্ঘদিন ধরে উঠাবসা করি। একটা কথা বাস্তব যা সবাইকেই মানতে হবে যে, বাংলাদেশ হলো তথাকথিত মধ্যম আয়ের দেশ আর ইন্ডিয়া হলো উঠতি পরাশক্তি। তাদের অনেক কিছুই বাড়তি সুবিধা আছে। কিন্তু যারা বর্তমানে যাচ্ছে তারা বেশিরভাগই কষ্টে আছে। একথাটা ঠিক।

আমি তৃণমূল লেভেল থেকে কথাটা বলছি। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে। কোন কথা মিথ্যা নাই। কোন ত্বাত্তিক বাক্য নেই। আমার লেখা গুলো ব্লগের পাতায় দাপট বাড়ানোর জন্য নয়, একেবারে দীর্ঘদিনের জানা-শোনা থেকে।

সেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮ ০
লেখক বলেছেন: এই উদাহরণ সত্যটাকে আড়াল করে না । এসব উদাহরণ না দিয়ে নাসির নগর , দিনাজপুর ,গাইবান্ধা ,চট্টগ্রাম এসবের দাও তাতে সত্যটা উড্জ্বল হবে
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩২ ০
লেখক বলেছেন: গাইবান্দা জেলার গোবিন্দগন্জে ২৫০০ সাওতালের জামি দখল ও বসতবাড়ী লুটপাট ও পোড়ান। দিনাজপুরের কাহারোল ধানায় ২০ টি হিন্দু পরিবারের বসতবাড়ী পোড়ান, রাজবাড়ী জেলায় তিনটি মন্দির ভাঙ্গা,সহ প্রায় প্রতিদিনই চলছে।
চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার,
পশ্চিম ভূজপুর গ্রামের সেন বাড়ীর বাসন্তী মন্দিরে, গতকাল রাতে দূর্বৃত্ত নামক সন্ত্রাসীরা তালা ভেঙ্গে প্রতিমা ভাঙ্গচুর করেছে।।
এই সবের কথা বল
২০. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৬ ০
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমাদের লোকাল এলাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে।" ঘরে বসে মক্কা ঘরের কুত্তা তাড়ানো" । কয়েক শত হিন্দু পরিবারের সাথে আমার ঘনিষ্ট পরিচয় আছে। তাদের মাইন্ড সেটিং পর্যন্ত জানা আছে। পেপার পত্রিকা পড়ে একটা দেশকে, দেশের আপামর জনসাধারনকে হেয় করার মত লোক আমি নই্। তা ছাড়া কোন দেশে কি হয় তা বাংলাদেশের লোকেরাও জানে।

সরাসরিই বলি, বিগত সময়ে বা বর্তমানে যত প্রকারের সংখ্যলঘু নির্যাতন হয়েছে এবং সংখ্যালঘুদের দ্বারা সংখ্যাগুরা হ্যাস্ত-ন্যস্ত হয়ছে তার সিংহভাগই রাজনৈতিক কারণে। আর রাজনৈতিক কারণে সংখ্যাগুরুরা নিজেরা নিজেরা যে পরিমাণ হানা-হানি করে তা সংখ্যালঘুদের উপর হলে এতদিনে সংখ্যালঘুরা সব নিঃশেষ হয়ে যেত।
২১. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪১ ১
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এসব নির্যাতন কারা করছে? ভাল করে খোজ নিয়ে দেখেন স্যার। যাদের পায়ের তলায় উপুড় হয়ে দাদা দাদা করে পড়েন সারা দিন। ভোটের সময় মনে থাকেনা?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬ ০
লেখক বলেছেন: কে করছে এই প্রশ্ন না করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাটাই আসল ।
২২. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬ ০
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ভাল করে খোজ নিয়ে দেখ। নাসিরনগরের হিন্দুরের রক্ষায় যথাসাধ্য চেস্টা কারা করেছে। আরেকটা ঘটনা দিচ্ছি, পেপারের না, আমার এলাকার বাস্তব ঘটনা।

এক হিন্দু ছেলে ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন একছাত্রনেতার প্রধান চামচা হয়ে উঠে। নেতার কথায় সে সকল কাজ করতো। এমনকি পদ্মা সেতুর নামে রাস্তায় গাড়ী থামিয়ে চাদাবাজি পর্যন্ত করেছে। একদিন এ হলে গিয়ে চাদা চায় এক সাধারন শিক্ষার্থীর কাছে। চাদা না পেয়ে তার ঘরে রাখা কোরআন শরীফ নর্দমায় নিক্ষেপ করে। ঘটনা জানা জানি হয়ে গেলে সে গা ঢাকা দেয়।
বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ বিক্ষোভ হতে থাকে। তার মধ্যে তার নিজের গ্রামেও একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কয়েকজনকে ঢুকিয়ে দিয়েছিল যারা মিছিল থেকে দ্রুত বেরিয়ে গিয়ে ২০০ মিটার দুরের মন্দিরে ২ থেকে ৩ টা ঢিল ছুড়ে।

এলাকার পাতি নেতার এক হিন্দু ছেলেকে নিযুক্ত করেছিল মন্দিরে সন্ধার সময় আগুন দেওয়ার জন্য। সে আগুন দেয় কিন্তু সাধারণ লোকজন ধরে ফেলার আগেই পালিয়ে যায়। মামলা তাদের হয় তাদের নামে যারা কোনভাবেই মিছিল বা মন্দিরে আগুন দেওয়ার সংগে যুক্ত নয়। ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। উত্তর দে?
২৩. ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৮ ০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের এই এক সমস্যা। বাংলাদেশের হিন্দুরা যে তাদের পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের চাইতে অনেক বেশী ভালো আছে সেটা তারা মানতে পারে না। খালি উসকানি মূলক কথা বলে। কয়টা হিন্দু কষ্ট করছে বাংলাদেশে? মুসলমানরা নির্যাতিত হয় না বাংলাদেশে? পোস্টে মাইনাস...
২৪. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪ ০
রাসেদুল হায়দার বলেছেন: কোরান শরীফ অবমাননা, মসজিদে তালা দেয়া, তারাবীর নামাজের সময় হিন্দুদের পুজার কারনে নামাজের সময় নির্ধারন করে দেয়া, মুসলিমদেরকে চুড়ান্ত অপমান করার জন্যে আল্লাহ এবং রাসুল (স) এর নাম নিয়ে বিকৃত কথাবার্তা এবং প্রচার প্রচারনা ইত্যাদি ইত্যাদি এমন কোন কাজ আছে কি, যেটা বাংলাদেশের তথাকথিত সংখ্যালঘুরা করেনি?? এরপরেও এসবের জন্য বারবার হয়রানির শিকার মুসলিম সম্প্রদায়কেই হওয়া লাগছে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশে কারা যে সংখ্যালঘু আর কারা সংখ্যাগুরু এটা একটা বিশাল ধাঁধা। হিন্দুদের পূজা- পার্বন মোটামুটি জাতীয়ভাবে স্বীকৃত পেয়ে গেছে, আর মুসলিমরা দাঁড়ি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করাও দুষ্কর। প্রতি বছর কুরবানীর ঈদ আসলে নাস্তিকদের পাশাপাশি হিন্দুদের লম্পজম্প যথেষ্ট লক্ষনীয়। এক শ্রেনীর হিন্দুরা অলরেডি বাংলাদেশে কুরবানি বন্ধ করার জন্যেও উঠে পড়ে লেগেছে। হিন্দুদের যে পূজা মুর্তির কারবার চলে, একজন মুসলিম হিসেবে আমি বলতে পারি, তারা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করছে, এবং এই মূর্তি, পূজা বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেটা কখনোই বলি না। যথেষ্ট অপছন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও, আমরা এসব সহ্য করি। আর আপনি প্রতিবাদের কথা বলছেন, বাংলাদেশে একমাত্র হিন্দুদের উপর আক্রমন হলেই প্রতিবাদ হয়। এর বাইরে যেটা হয়,
এমন কোন কাজ আছে কি, যেটা বাংলাদেশের তথাকথিত সংখ্যালঘুরা করেনি?? এরপরেও এসবের জন্য বারবার হয়রানির শিকার মুসলিম সম্প্রদায়কেই হওয়া লাগছে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশে কারা যে সংখ্যালঘু আর কারা সংখ্যাগুরু এটা একটা বিশাল ধাঁধা। হিন্দুদের পূজা- পার্বন মোটামুটি জাতীয়ভাবে স্বীকৃত পেয়ে গেছে, আর মুসলিমরা দাঁড়ি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করাও দুষ্কর। প্রতি বছর কুরবানীর ঈদ আসলে নাস্তিকদের পাশাপাশি হিন্দুদের লম্পজম্প যথেষ্ট লক্ষনীয়। এক শ্রেনীর হিন্দুরা অলরেডি বাংলাদেশে কুরবানি বন্ধ করার জন্যেও উঠে পড়ে লেগেছে। হিন্দুদের যে পূজা মুর্তির কারবার চলে, একজন মুসলিম হিসেবে আমি বলতে পারি, তারা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করছে, এবং এই মূর্তি, পূজা বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেটা কখনোই বলি না। যথেষ্ট অপছন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও, আমরা এসব সহ্য করি। আর আপনি প্রতিবাদের কথা বলছেন, বাংলাদেশে একমাত্র হিন্দুদের উপর আক্রমন হলেই প্রতিবাদ হয়। এর বাইরে যেটা হয়, এটা খুবই এক্সেশনাল কেস। একজন হিন্দু টিচার অন্যায় করার পর কান ধরায়, আপনাদের মত অনেকেই কান ধরে প্রতিবাদ জানায়। আর কত শিক্ষক প্রায়ই লাঞ্চিত হয়, সেটা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য হয় না। বুয়েটের টিচার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি, কলেজ টিচার অসংখ্য লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা আছে, যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলা পেপারের ভেতরের পেজে ছোট হরফে স্থান পেয়েছে আর অসংখ্য মাটিচাপা। ডেইলি বাংলাদেশে কতজনকে হত্যা করা হয়, খুন ঘুম ধর্ষন তার কোন ইয়ত্তা নেই; যার সবই ভুক্তভোগী, তথাকথিত সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দুরাই সেফ। কালে অকালে, ভূলে ভালে একটু পিড়ীত হয় তারা, সেটা নিয়ে আপনারা এমন লাফালাফি করেন, মনে হয় যেন, তারাই একমাত্র অত্যাচারিত। বিশ্বজিত হত্যার বর্ননা দেন প্রায়ই, তাকেও মুসলিম ভেবে মারা হয়েছিল। এবং নিষ্ঠুরভাবে মেরেছিল, মুসলিম ভেবেই। হিন্দু জানলে নিশ্চিত ছেড়ে দিত, আপনিও ভাল বোঝেন ব্যাপারটা। আর বিচারের কথা বলছেন?? কিসের বিচার ভাই!! বাংলাদেশে আবার বিচার!! হাসান কেন আপনারা ভাই!! কালে ভদ্রে দুই একটা যে এক্সিডেন্টলি হয় না, সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু বাংলাদেশ ই তো একমাত্র দেশ, যেখানে ফাসির আসামীরা ক্ষমা পেয়ে সংসদে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। আপনারা একথা বারবারই সম্ভবত ইচ্ছে করে ভূলে যান। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৮ টি জেলার জেলা প্রশাসক হিন্দু। ৭০ % প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক হিন্দু নিয়োগ পায়, সব দেখে শুনে মনে হয়, হিন্দুরাই বাংলাদেশের ফার্স্টক্লাস সিটিজেন। এরপরেও যদি আপনাদের মন না ভরে, তো যান, ইন্ডিয়াই যান। নিজেরই যেখানে নিরাপত্তা নেই, সেখানে আপনার বাড়ি পাহারা কেমনে দিমু ভাই!!
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৩ ০
লেখক বলেছেন: “৬৪ জেলার মধ্যে ৪৮ টি জেলার জেলা প্রশাসক হিন্দু।”-এটা মিথ্যা কথা লিখেছ । 70% হিন্দু শিক্ষক এটা আরও ঢাহা মিথ্যা কথা ।
২৫. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১২ ০
কলাবাগান১ বলেছেন: @রাসেদুল হায়দার

আপনাদের ধর্মান্ধদের জন্যই এমন অবস্হা। কে হিন্দু আর কে মুসলিম এই নিয়েই পড়ে আছেন। যে ভাল পড়ালেখা জানে সে শিক্ষক হবে নাকি আপনার মত ধর্মান্ধরা শিক্ষক হবে যারা কচি মনের ছাত্রদের বিজ্ঞান না পড়িয়ে গোলাম আযমের বই পড়াবেন (আউট বই হিসাবে)

৬৪ জেলার ৪৮ জন ডিসি হিন্দু ... বিড়াল কালো না সাদা তার কোন দাম নাই বিড়াল ইদুর মারতে পারে কিনা সেটাই বেশী দেখা দরকার।

নামের তালিকা দেন... মিথ্যা বলতে তো জামাতি/রাজাকারদের জুড়ি নাই
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫ ০
লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছ
২৬. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬ ০
সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার কারণে বিডির হিন্দুরা সংখ্যার দিক থেকে তাঁরা দূর্বল হয়ে পরেছেন ।

এদ্বারা আপনি কি বুঝাতে চাইচ্ছেন? সাম্প্রাদায়িক শক্তি খর্ব হচ্ছে। তাহলে আমি বলব সেটিই ঘটুক। এবং তার দরকার আছে।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতীয়দের এত মায়া কান্না! কই? ভারতের দখলকৃত কাশ্মিরের মুসলমানদের জন্য তাদের এই কৃত্রিম কান্না আসে না কেন?
২৭. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯ ০
কলাবাগান১ বলেছেন: মিথ্যুক @রাসেদুল হায়দার বলল যে ৬৪ জেলায় ৪৮ জন হিন্দু ডিসি.......কত বড় মিথ্যুক..এরা নাকি আবার ইসলামের পতাকাধারী...এরা নিজের মা-বোনকে অস্বীকার করতে পারে এন্টি হিন্দু পলিটিক্স এর জন্য
নেন এখানে দেখুন বাংলাদেশের ডিসিদের নামের লিস্ট (আপডেটজাস্ট দুই সপ্তাহ আগে নভেম্বর ২০১৬)
Jamati/rajakar falsely claims 48 DC are Hindus in Bangladesh but the list shows
২৮. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯ ০
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: হিন্দু ভাইদের জুজূ'র ভয় ছাড়তে হবে ! আমি আমার এলাকা রায়েরবাজার থেকে কম করে হলেও ১০ টি হিন্দু পরিবার কে এ পথ থেকে ফিরি্য়েছি ! এখন তারা সবাই সসম্মানে বাড়ি গাড়ি নিয়ে বেশ আছেন ! যারা চলে গিয়েছিলেন ,কেউ কেউ আবার ফিরে এসেছেন ! তাদের কে আস্থায় আনতে হবে এদেশ কে মাতৃভূমি হিসেবে ! বিশ্বাস করতে হবে সাধারণ মুসলিম ভাইদের কে !
২৯. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯ ০
অেসন বলেছেন: @রাসেদুল হায়দার, মুসলিমদের ধর্মীয় অবমাননা করার যতগুলো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে তার বেশীরভাগই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য কতিপয় দুষ্কৃতি কারী(মুসলিম) ঘটিয়েছে। তা তদন্তে বা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।কিন্তু দুখজনক হলেও সত্য, আপনারা তার প্রতিবাদ করেন না, আপনার ধর্ম অপমানিত হলেও দুষ্কৃতি কারী(মুসলিম) দায়ী নয়। ্কা
৩০. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৮ ০
অেসন বলেছেন: @রাসেদুল হায়দার, চাকরিতে হিন্দু নিয়োগ নিয়ে প্রায়ই আপনার মত অনেক হিন্দু বিদ্বেষী লোক প্রশ্ন করেন, অথচ ধর্ম ছাড়াও যোগ্যতা বলে একটা কথা আছে তা বোধ হয় আপনারা ভ্ললে যান। নাকি হিন্দু হওয়াটাই অযোগ্যতা হওয়া উচিত!
আর দুর্ঘটনায় মারা গেলেও মনে হয় আপনারা ভাবেন হিন্দুর চেয়ে মুসলিম বেশি মরে কেন?
৩১. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭ ০
কলাবাগান১ বলেছেন: কবি লেখক রা নাকি অবিদ্বেষ নিয়ে বড় হয়। সবাইকে নিজের ভাবে। কিন্তু ব্লগের সেলিব্রেটি লেখক গিয়াস উদ্দিন লিটন এর এমন 'সাম্প্রদায়িক' প্রতিক্রিয়া দেখে বড়ই 'অপমানিত' বোধ করলাম
৩২. ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫১ ০
রাসেদুল হায়দার বলেছেন: দেবজ্যোতিকাজল সাহেব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি ঠিক বলেছেন, আমি দুইটা ডাহা মিথ্যা কথা বলেছি। আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন, বাকি সব আমি ডাহা সত্যি কথা বলেছি। খুব ভাল লাগল আপনি সত্যটা স্বীকার করে নিচ্ছেন। তারপরেও আপনি বলতে চান, হিন্দুদের দেশ নয়। মানুষ হলে লজ্জাবোধ বলতে কিছু একটা থাকে, সেটা আপনাদের নাই। এইজন্যই এইরকম কল্পনাপ্রসূত পোস্ট প্রসব করেন আপনারা।

কলাবাগান সাহেব! আপনারা ভাবেন, মিথ্যাকথা বলার ইজারাও আপনারা একাই নিয়ে নিয়েছেন। হাসি পায় আপনাদের কান্ড দেখে, আপনারা সদা মিথ্যুকের দল আমাদের কাছে সবসময় সত্য আশা করেন। তো এতগুলা সত্য নিয়া আপনারা কোন মাথাব্যথা নেই, এমনকি কল্পনাপ্রসূত পোস্ট প্রসব নিয়েও নয়। ৭০% এবং ৪৮ টা জেলা নিয়েই পড়ে থাকেন আপনি। এন্টি মুসলিম রাজনীতির জন্যে আপনারা কি করতে পারেন সেটা না ই বলি, মা বোন নিয়ে কথা বলা আমরা ব্যক্তিগতভাবে এড়িয়ে চলি। আপনাদের মা বোনদের প্রতি মর্যাদাবোধ না থাকতে পারে, তাই তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করতেও আপনাদের বিবেকে বাঁধার কথা নয়।

অেসন সাহেব! মিথ্যাচার করা আপনাদের স্বভাব আমরা জানি। আপনাদের থেকে কিছুটা আমিও ধার করে নিয়েছি, অস্বীকার করছি না। আপনাদের মত কিছু পাবলিক আছে, যাদের নাম রহিম উল্যা, করিম উল্যা, আবু বরকত, তারা এমনিতেই ইসলামের বিদ্বেষী। নামটা আর চেঞ্জ করে না। যত আকাম করবে, মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিতে সুবিধা হয়। আপনার তথ্য অনুযায়ী দুষ্কৃতিকারী (মুসলিম)। ডাহা মিথ্যা কথা। দুষ্কৃতিকারী নাস্তিক আওয়ামীলীগ, শাহবাগীয়তাবাদী এবং এদের মধ্য অনেক হিন্দুও আছে। আপনিও ভাল করেই জানেন, কিন্তু স্বীকার করবেন না, ভ্রাতাররা ঘোর্ষা হয়ে যাবে বা মিথ্যাচার আর ভন্ডামীই তো আপনাদের মূল ভিত্তি। বাংলাদেশে এসব ঘটনার কারন যতটা না ধর্মীয়, এর চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। এর খেসারত মুসলিমদেরকেই সবসময় দেয়া লাগে, ইদানীংকালে হিন্দু সাঁওতালও যোগ হয়েছে। ধর্ম ছাড়া আরো কিছু যে আছে, এটা আমরা নয় আপনারাই ভুলে যান। সবকিছুতেই ধর্মকে টেনে এনে পায়দা লুটতে চান আপনারা। হিন্দুদের কিছু হলেই আপনারা এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন দেখতে পান আর মুসলিম হলে রাজনীতি। দ্বিমুখীতা আপনাদের রক্তে মিশে গেছে। আমরা আপনাদের মত হলে, আপনারা বহুত আগেই লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতেন। আমরা কোথাও মুসলিম হত্যা করা হলে, দাবি করিনা, নাস্তিক বা হিন্দুরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। যেটা আপনারা সবসময় করে আসেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন
কি বোর্ড বেছে নিন: ভার্চুয়াল ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয় english