লেখার ডাগর মাঠ


সোমবার, ফেব্রুয়ারী ২৭

ফুল দুপুরে মুকুলিত

আকাশকে আমি চিৎকার করার জন্য ব্যবহার করি । আমি জানি তুমি একটা গন্ধ গন্ধ অপ্রচলিত মেঘ । আমার গলার মধ্যে তুমি মরুভূমি । থুতুতে দাঁড়িয়ে নিত্য অপেক্ষা কর পলাশ ঠোঁটে । ভূতের মত শ্বাসে প্রেম নিবেদন করি এতিম যতিচিহ্নে । সুর্য আমার শরীর স্পর্শ করতে দুঃসহসী । যখন আমি তোমার লাল উষ্ণ পেতে ঈশ্বর আকাঙ্ক্ষায় । যখন তোমার ঠোঁট আমার ঠোঁটে । একই গান সুর হয়ে বাজে ছন্দে । তোমার সন্মান আমার বাহুতে লেখা । প্রতিদিন তাকে নিয়ে হাঁটি ।  ছেঁটে ফেলা কথাগুলো তদন্তে হিসেব কষি । আমি আবেগে আসাড় । আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি । আমি দুঃখিত বা সুখি নই । পৃথিবীর কাছে আমি মৃত ,দরজার পেরেক । আমার ভাঙা মন মেরামত কর । যেটা আমার প্রতিদিন ভাঙে ।

অনুকবিতা











বিতর্ক টা থাক কার আগে বীর্য স্খলন হলো । ওর চেয়ে এসো তোমার পেটের মধ্যে ফুল ফুটায় । যে ফুল-বৃক্ষ ঈশ্বরের হাতে সৃষ্টি হয়নি । তুমি প্রশ্চয় দিয়েছিলে । আমি জিভ ঠোঁট দিয়ে চেটে তৈরিকার ঘরামি। আমারই দেহের মত একটি দেহ । শুধু তোমার দেহের যৌনাঙ্গ ছাড়া ।

অনুকবিতা










জলের মৃত্যু ঘটলে বৃষ্টি হয়ে ঝরে ।
ভিলেন মেঘ ঈশ্বরের দলে
এক দিঘি রোদ্দুর স্যাঁতস্যাঁতে সারাবেলা
গাছ ,গাছকে জড়িয়ে ধরে চলে
মাথার তলে আর পায়ের তলে
যত রাজ্যের প্রাকৃতিক তামাশা
মাঝামাঝি মানুষের বৈভব ওড়ে

ঠাঁই

এবার বলব , শোনো তবে
ভিতরে কার যেনো তপ্তাঙ্গুল-
ছোঁয়া অন্ধকার ঝিনুকে

ঠোঁটের উপরে ভাবনা বসে
হেঁটে পৌঁছায় বিকাল
আমার তীব্র সমুদ্রে শীতল
ঠাণ্ডা ঢেউ খেলে । সাদামাঠা ।

পঞ্চম শ্রেনীর লকলকে চেহারাটা
বাঁকা আল্ পথে অবহেলায় কাদা
পুরনো বন্ধুরা ছাড়াছাড়ি
স্বপ্ন দেখি কেবল উপোসি চোখে
অঘোর স্মৃতি কি ভাবে ফিরবে
তপ্ত ঠেলে ঠেলে কে যেনো ঢুকে পড়েছে
খুঁজতে গিয়ে ফিরে আসি দত্তপাড়া লেনে ।

অনেককে অনেক কিছু দিলে







এক সময় প্রতীক্ষায় থাকতাম । অনেক কিছু পাব বলে জীবনে । আমাকে অর্ধেক রেখে চলে গেলে । অনেককে অনেক কিছু দিলে । শুধু আমাকে ছাড়া । ফুল থেকে প্রজাপতি ধরে । গাছ থেকে নিশ্বাস নিয়ে । মাটি থেকে রঙ তুলে । অতিথির দিকে হাত বাড়িয়ে কফি চা । অনেককে অনেক কিছু দিলে । শুধু আমাকে ছাড়া । নখের আঁচড়ে আঁচড়ি উপহার দিলে । ঠোঁটে কাছে বসিয়ে বুকে পর্দা খুলে । রৌদ্রের দু ফোঁটা ছায়া দিলে । কথায় কথায় কত কথা দিলে । তবুও আমি অর্ধেক আকাশ রয়ে গেলাম । ঘুম থেকে ওঠে আয়নাকে লজ্জা দিলে । বুকের আঁচল টেনে লজ্জা মুছে দিনের আলোতে অবিকল রয়ে গেলে । অনেককে অনেক কিছু দিলে । শুধু আমাকে ছাড়া । ভুলের ঠিকানায় জ্বলে দেশলাই । আমার রৌদ্রে লেগেছে আগুন । যাবার সময় বৃষ্টি জলের রঙটুকুও নিয়ে গেলে ।

মেঘ ষড়যন্ত্র

মাঝে মাঝে আকাশটা বড় অচেনায় মেঘের মুখোশ । জল পরীদের ঘরে ভূতাসুর । মাঝে মাঝে ভয় পায় । মাঝে মাঝে কাধ বেকিয়ে সাহসি । আত্মবিশ্বাস ফিরতেই দাঁতাল মেঘের আগমন ।  আমি তখন অবাক হই । পালাবো পালাবো ভেবে । বুকের মধ্যে নিশ্বাস টানি । এই তো আর দু মাস । চোখে আর নাকে জ্বলবে মোশাল । আমি তখন আরও ভয় পেয়ে খাটের নিচে লুকাবো । বাচ্চা হতে যতটুকু সময় লাগে ।

অনুকবিতা











এখানে কেউ নেই বন্ধু ও বিশ্বাসী ।
সামনে যারা গাছের মত ।
পিছনে তারা লাঙ্গলের ফাল ।

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৬

এই , কি হলো

“তুমি যে আমার ওগো তুমি যে আমার । ” গীতা দত্ত । গ্লোবাল নয় । আঠারো ঊনিশ । শরীরে তখন সবুজ সবুজ গন্ধ । পড়াশোনো । বাবা-মা । শব্দ দূষণ । মন বলতে গাছ মাটি । সহিষ্ণু । সে থাকে মূর্ছা সুরে । কখনও বা হিন্দি গানে । মেট্রো থামে অন্ধ সুরঙ্গে । দম বন্ধে ডাকবাক্স । একটা তো প্রেম চাই । বুক দেখানো নরম মলাট । শরৎ কালের দীর্ঘ ছুটি । কলেজ তখন ডাস্টবিন । দু পাতা চিঠির বদলে জিও-র ফ্রী কল । এই তো সময় । যত পার প্রেম কর । তৃতীয় বিশ্বে ডিজিট্যাল জাদু । তবুও কেনো প্রেম শূন্য । ছেঁড়া নগরী । ক্লান্ত জেদ । ভিড়ের মধ্যে  ফস্ফরাস খোঁজো । সময় কম । ভাঙাচোরা মার্চ মাস । হাতে গোনা কয়েক দিন । সময় কম ধরা দাও । চাকরি আর প্রেম । আট লাখ । প্রথম ছোঁয়া । চটি ছেড়া সময় । সিগারাটের বদলে গনেশ বিড়ি । কানামাছি ফ্লাইওভার । ম্যাজিক জিও ফেলুদা । প্রেমের মত বাবা-মা ।

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২৫

মৃত মায়া , মৃত সন্ধ্যা


এই বাতাসে কিছু মায়া রয়ে গেল । ঘৃণাও রয়ে গেল একান্ত মায়ায় । সকল তাপ প্রতাপে জ্বলে ওঠে মাফিয়ায় । বাস করি বুকের মধ্যে নিষিদ্ধ পল্লীতে । দু’চোখ অন্ধকারে । শরীরটা আলোতে । তাই বেপরয়া হতে ভয় পায় । ভয়ের মানেটাও জানা হ’লো না । একবার ভেবেছিলাম,ছাদনা-তলা বসা যে মেয়েটি আমার প্রাক্তন তাকে জীঞ্জেস করব । বেপরয়া হলে মন না শরীরে হিংস্রতা হাঁটে । নষ্ট হয় কতটা বীর্য ! নাকি রক্তপাত ঘটে  ! না-কি সেনসেক্স পড়ে যায় !! পাড়ার কুকুরদের দেখলে গাছেদের প্রতি মায়া হয় । হরিণের মত চোখে । জানো , মানুষ আর গাছ বোধহয় এক । গাছের যৌন জীবন দেখেছে বলে কেউ আমার জানা নেই । মানুষেরও তাই ।ঈশ্বর আর একটু উদার হলেই ভাল হত । ধর্মগুরুদের মুখ দিয়ে বলিয়েছেন, কাম দমনের কথা । ঈশ্বর বোধহয় জানত । অবাধ যৌন মিলনে পাপী জন্মায় না । জন্মায় মানব সভত্যা । ঈশ্বর যে বাঁচতে চান পাপীদের মধ্যে । আমার বুকের ভেতরে যে মায়া মরে গেছে তার কাছে জেনেছি । তাই ,আমার হাতের মুঠোয় ধরা শক্ত লিঙ্গটা কখন যে অস্ত্র হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না । সাড়ে তিন হাত দেহটা এত ছোট হয়েছিল বলেই বেঁধেছিল কুরুক্ষেত্র ।

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৪

আর একটা প্রহর

শেরপুরের জন্য একটা মেঘ কিনবো
ভাবছিলাম , সময় সময় বৃষ্টি হয়ে ঝরবো
খরার জমিতে রসাল বীজ ধান ফলাতে
দরজার কাছে পা রেখে
তোমার দিকে ছাতা বাড়িয়ে ধরব
সে আমার রমনীর ভালবাসায়..

কাগজ পেলে একটা নৌক বানিয়ে
শেরপুরে জন্য একটা নদী কিনবো
শুনেছি আগের নদীটা না-কি
শত টুকরো হয়ে একাকীত্ব
বিষ বাঁকে আমার বৃদ্ধ বাবা হয়ে গেছে

শেরপুরের জন্য একটা নদী কিনব
সে নদীতে আমার শরৎ চোখ ভাসান দিব
চোখের মধ্যে বসে ব্যথার তাঁত বুনব
ভুল পথে নদীকে ভাসিয়ে
শতাধিক স্মৃতি বিছানায় সাজাব
তুমি যদি বন্ধু ভাব হে শেরপুর !

গান

গান
****
কথা-দেবজ্যোতিকাজল

তোমার বুকের কাছে আমি রোদ্দুর
চোখের কাছে বৃষ্টি শ্রাবন আকাশ
আনমোনা রাস্তা ভেজা গলি পথ
ট্রামে বাসে স্মৃতি বোঝায় দীর্ঘশ্বাস

ভালবাসি ভালবাসি
        এই সুরে কাছে দূরে  ।

গীটারের তারে রাত-দিন তুমি
প্রথম যে সুর , রেওয়াজি প্রতিদিন
স্বপ্ন বালিশ , ঘুম ভাঙা সকাল
তুমি এসে বাজাও বিষাদ ম্যাণ্ডলিন ।

ভালবাসি ভালবাসি
                  এই সুরে কাছে দূরে ।

তুমি এসো দূর্দিনে এই মনে
গন্ধ ছড়াক, মন খারাপের গানে ।

তোমার আমার কথা হোক তবু
     আবার আসুক নতুন পিছু টান
আমি আছি তুমি এসো পাশে
এই শহরে ফিরুক আমাদের অ্যাম্বিশান

ভালবাসি ভালবাসি
             এই সুরে কাছে দূরে ।

নীরব বোতাম















নীরব বোতাম
।। দেবজ্যোতিকাজল ।।

রোদেরা কথা বলে না । নিজের আত্মার সাথেও কথা বলে না । যত ভাব-ভালবাসা ছায়াদের সঙ্গে । পাতারা নড়লে ভালোবাসার বোতাম খুলে বুক দেখায় । বুক পেতে দেয় । বুকের লোমগুলো গাল ছুঁয়ে গেলে । শান্ত দিঘিতে ঝুপ করে জলের রিং-এ লাফিয়ে পড়ে শিকারী পাখি মাছরাঙ্গা হয়ে  । মাধবী তখন শীতল উচ্চস্বরে বলে , গায়ে যে লেপটে থাকে ছায়ারা তাকে সঙ্গে নিয়ে ডাল পাতা বানায় । আমার তোমার বুকের কাছে । তুমি তবুও দাও না তারে ধরা  । মাটির ছায়ায় বুকটা স্তন হয়ে ফুটে ওঠে । নীরব আর নিবিড়ের মাঝে আমি শুধু বানানে পার্থক্য । নিবন্ত রোদ আহ্বান করে সমুদ্রে ভাসা আগুন । রোদ গলে গিয়েছে সমুদ্রের নোনা জলে । মাধবী নিজের শরীরের ছায়া খোঁজে কৃত্রিম প্রকৃতিতে । রোদ মরে গেছে । প্রতিদিনের বেমানানো দিনের ধুলোবালিতে । কপালটাতে দাঁতাল বিকেল  । স্তব্ধবাগ ঠোঁটে সন্ধ্যামালতী ফোটে । মাধবীর বুকের মধ্যে একটা হাতের স্পর্শ । শরীরে আস্তিক কীটের কামোড় ।  উত্তেজনায় ঘর বাড়ি রোদের গায়ে দুমরে-মুচরে পড়ে । সেই প্রথম রোদ উচ্চস্বরে ডেকে বলেছিল, মাধবী !

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২৩

আঞ্চলিক ও প্রমিত ভাষা

আঞ্চলিক ও প্রমিত ভাষা ।

সর্বস্তরের বাঙালীর সাথে আমরা প্রমিত ভাষায় কথা বলব । আঞ্চলিক ও প্রমিত ভাষার গুরুপাকে বাংলা ভাষার বিকৃত রূপ নিয়েছে । শুদ্ধ আঞ্চলিক ও শুদ্ধ প্রমিত ভাষার চর্চার প্রয়োজন । আঞ্চলিক ভাষা একটা সল্প সীমাবদ্ধতার মধ্যে ঘোরপাক খায় । তাই প্রমিত ভাষার চর্চার বিশেষ ভূমিকা রাখে । একজন বগুড়া জেলার মানুষ সিলেটে গেলে ভাষার তিক্ততায় তাকে প্রবাসী মনে হবে । তাই আমরা যখন একজন অপরিচিত লোকের সাথে কথা বলব তখন আমাদের ভাষার আদান-প্রদান থাকবে প্রমিত ভাষায় । এই চর্চার মধ্যে দিয়ে সমস্ত বাঙালীর ভাষা হয়ে ওঠবে একটি । তাই আসুন আমরা অফিস ,আদালত , স্কুল ,কলেজ ,ট্রামে বাসে  সর্বস্তরের ভাষা হয়ে উঠুক প্রমিত ভাষা ।

ধর্ম করেছে বিভেদ

ধর্ম মানুষ কে বিভেদ করেছে । মানুষের বিবেকেও বিভেদ করেছে । সামাজিক নিয়ম নীতিকেও পাল্টিয়ে দিয়েছে । মানুষের অধিকারের তফাত ঘটেছে । মানুষ মৌলিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে । ধর্মের কৃত্রিম্মত্বে মানুষ তার বুদ্ধিকে কুবুদ্ধিতে পরিনত করেছে ।

মানুষের মধ্যে বরাবরি দুই শ্রেনীর মানুষের প্রভাব দেখা যায় । নির্বুদ্ধি মানুষ আর বুদ্ধিমান মানুষ । আর এই বুদ্ধিমান মানুষ সামাজে প্রভাব বিস্তার করে । সম্ভবত তাদের হাত ধরেই এই ধর্মের আগমন । ধর্ম সৃষ্টি থেকে আজ অবধি মানুষকে মানবিক করতে পারেনি । বরং মানুষকে করেছে ঘর ছাড়া , ভূমি ছাড়া , মাঝে মাঝেই ঘটেছে সামাজিক বিপর্জয় । তাই সব শেষে বলব , মানুষের বৈশিষ্ট কি ? তার গুন ও প্রকৃতই বা কি ? মানুষ কোন যাদু বলে আদিম যুগ কে অধুনিক যুগে পরিনত করল ?

      -নাস্তিক দেব

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৯

অনাবৃত ত্বক

জ্বালিয়ে দিয়ে বলছ , বৃষ্টি হবে ।
জ্বালিয়ে দিয়ে বলছ , বাতাস হবে ।

কোথায় আকাশ ? কোথায় জল ?
কোথায় বাতাস , যেখানে চিত্রাভ নীল ।

মেঘের মধ্যে মাছ উড়ে
সাঁতার কাটে ফুলের মধ্যে ফড়িং
তারার মধ্যে প’ড়ে ফোঁটাফোঁটা জল
নীল চিত্রাভ পাজরের হাড়ে ধুলো মিশে
বিক্ষিপ্ত ঝাড়ের বুকে জ্বলে নষ্ট ফিলামেন্ট

আমি একটি পুকুর চেয়েছিলাম
চেয়েছিলাম তার মুখের মধ্যে হৃদয়
তারপর তৃণভূমি , গাছ ,বন ,মেঘ ,আকাশ

যেখান থেকে বৃষ্টি বাতাস হাত ছানি দিবে
দিবে মাদল বাঁশি ঝর্ণা
তোমার চোখ ও চিবুক

জল কোথায় ? বাতাস কোথায় ?
কোথায় আঙুল ছোঁয়া নীচু ?
কোথায় পরাৎপর ?
আমার , “ ছায়া আমি ” নরম খণ্ডমেঘ সেতুতে
আজ রাতের বৃষ্টি আর বাতাস
অনাবৃত ত্বকে খুঁজে নেব

কবিতা










ভালবাসা নীল নদ , তরল গভীর চাঁদ জল
সবুজ ঘাস পালক পাখি , এক শো চুমু দীঘি ।

ভালবাসা পেলে নারী হয় উচ্ছ্বশৃঙ্খল ধূলো পথ
পুরুষরা মরে জ্বরে ,বুকের মধ্যে বাজে বেহালা

ভালবাসা অপঘাতে মরলে ঋতুর পর ঋতু আসে ঘরে
অন্য নারীর শরীর শতেক বছরের হেমলক শেকড় হয়

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৮

গোপনচারী

কাদম্বরী-ইন্দ্রিরা-রানু-ওকাম্প
ভোরের তারা সাঁঝের বেলা
লাল চিঠিতে হলুদ খাম
প্রেম প্রেম বালিকা বালা ।

বৌঠানের মুখের হাসি
তোমার টানে তোমার কাছে
রাত্রি মরু নিত্য অপেক্ষা
আমার শরীর খেললে মিছে ।

গোপনচারী অজীবন মিছে
কাব্য আকাশ রইল বাকি
রবি ঠাকুর মেঘলা ঝুলি
আর দিয়োনা আমায় ফাঁকি ।

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৭

আন্দোলন শরীর

আমার সকাল আর সন্ধ্যা-সুর গ্রীষ্মায়ু নারী
তার চেয়ে দীর্ঘ ,আদিম অস্তিত্ব লড়াই নিত্য

কাগজে মানচিত্রে ঠাণ্ডা শহর শিকড় উলঙ্গ
সুখ , অধিকার , হুই-হল্লার নেই শ্রেষ্ঠত্ব হাহাকার

একদিন সত্যিকারের সূর্য উঠবে শিউলী বোঁটায়
একদিন সত্যিকারের অস্ত যাবে দুর্গন্ধ বক্র রোদে

পলাশ কৃষ্ণচূড়া বুকের মধ্যে
যৌবন ফিরিয়ে দিবে সাঁচীস্তুপে
তুমিও আসবে নিরাপদ পরিচয়ে
অভিন্ন যুগের মত ম্যাজিক দেখিয়ে

প্রত্যাশারা সে-দিন ঘুমাবে না
রাত্রি জেগে শব্দগুচ্ছ সাজাবে
বিষের উত্তেজনা ভুলে প্রমোশন চাইবে
একটু নির্ভরতা চাই ভেবে দেঁতো-হাসি দিবে

আমি তোমার জঠরে ফসল ফলাব
বাবার সারাজীবনের সঞ্চয় গুচ্ছিত রেখে

নারী বিদ্বেষীর ব্যাখ্যা দিব -
যদি নারী সন্তান হয় স্কোরশীটে ।

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৬

জলের মত চোখ

প্রাচীন  আকাশ
পুরাতন সূর্য
দরজা খোলা সকাল
এক গুচ্ছ মেঘ তাপ্তি ঝুলিতে ।

তখন বর্ষা কাল
শুধু বৃষ্টি , ভিজতে চায়নি
ছাতার নীচে জল ভরা চোখ
ভাবলাম , আমি ঠিক আছি তো !

নস্টালজিয়া লাল চোখ
এক ঘেয়েমি কবিতা যুদ্ধ
মিথ্যা ঘৃণা , রক্ত , প্রতারণা
সকল কিছুই আজ রয়ালটি ।

শুধু একটি কালো প্রজাপতি
কিছু উপঘাতে ,বিশ্ব অন্ধ রং-এ ম্লান
আমার চারপাশে অভিন্ন আকার
কোথায় প্রেম !
কোথায় শান্তি !
শীতল মৌমাছি ডানা ভাঙ্গা মৃত বুক
আর একটা ভূতের মত অমাবস্যা শ্বাস

আমাকে ক্ষমা করবেন প্লীজ
সুস্বাদু আর মিষ্টি কবিতা লেখার জন্য...

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৫

উপুড় করা প্রান

সেই ছোটবেলা
বাগানে ফড়িং-এর সাথে পরিচয় ।
চোরে মত চুপি চুপি আঙুলে রঙিন অধ্যায়
মৌটুসি পাড়ার মেয়ে , মেয়েরা যেমনটি হয়

মাটির মধ্যে দাঁড়িয়ে ভেজা টাইট শরীর
এক একটা যন্ত্রণা গুলতি ছুঁড়া পাখি
রক্তাক্ত যন্ত্রণা , পাতা , মাটি ,বট দেহ মূল
মাটির নীচে ঝড় বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে ভিজে একশা

সেই ছোটো বেলা
বাগানে পাখির সাথে পরিচয়
সেই পাখি বলেছিল , “কেও নও তুমি ”
ভেজানো দরজা জং ধরা চাবি
প্রবেশ পথে লক্ষণ রেখা ,উপুর করা প্রাণ
গড়িয়ে চুঁইয়ে নদী , শহর গ্রাম যাযাবর পাখি

আমিও বলেছিলাম, তুমিও আমার কেও নও
চোখ গলে সমুদ্রের জল নোনায় মিষ্টি স্বাদ
ফড়িং , পাখি জেগে ঘুমায় বুড়ো ভামে

বাগানটা ,বাগানি আছে , শক্ত দুপুরে
তিক্ততা.রোদ জামার ভাজে ভাজে তুমি
প্রবাহিত উষ্ণ রঙের ত্বক আর-
সুগন্ধি মস্তিষ্কো বন্দি চামড়ার মানিব্যাগে ।

চেনটা অনেক আগেই হয়েগেছে বিকালঙ্গ
পাখি আর ফড়িংটা জাদুর রুমল থেকে বিড়াল

দুর-পাল্লা মেঘ

সুখ নেই মনে
ভেঙ্গে গেছে চশমার বাঁ-দিকের কানকো

সমুদ্রের কাছে দাঁড়িয়ে অসভ্য ঢেউ-এর
হৈ-হল্লার খ্যাপামিতে আমিষ মন অন্ধকারে সাঁতরায় ।

বাইশ বছর আগে হারিয়েছে ছাঁদনা-তলাবসা মেয়েটি
সন্ধেবেলা , সামনা-সামনি বসে যক্ষিনীদের ঠাট্টা-তামাশা
আড় চোখে সমুদ্র । কামিজের কোনায় তরল অক্সিজেন
সেই প্রথম ছুঁয়েছি , হাত দিয়ে নয় ,ঠোঁটে
                                     লুকানো বাঁ স্তন ।

তখন পর্যন্ত ঈশ্বরকে বন্ধু ভেবেছি সর্বাঙ্গে
আকাঙ্খার দলা পাকিয়ে ফিনকি বমি
সেই প্রথম বেরিয়ে যায় ঈশ্বর
বুক থেকে গলায় ,গলা থেকে বিশ্বাসে ।

বাইশ বছর অনেক কিছু ভেঙ্গেছি
চাপা পড়ে বালিশের তলায় তলিয়ে
অন্তর্বাস  স্বপ্ন , বিছানা গাছ-পাতার মত বাহির হয়ে ।

এখন একটা খুঁজতে হবে শুকনো স্মৃতি নদী
সেই কবে আভছা গোঁফে ভিজেছিল
                           বুক সাঁতারে বোতাম
ভেসে গিয়েছিল হাত পাখা গভীর তমসি গরমে ।

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৪

মেঘকে দেওয়া তোমার বুকের শব্দ











তোমার মুখের উপর রোদ,  হলুদ তাপ
তোমার বুকে ভাসে খটখটে পাহাড় যুবক
পাহাড়টা আর পাহাড় নেই
দূরত্ব বিকিয়ে মেঘের গালে চুইয়ে পড়ে
ভাস্কার্যের মধ্যে লুকাল বেস্বাদ লোমশ বুক
চমকে চমকে উঠছিলো তরপে তরপে কাঁদে
আমি তোমাকে ভালবাসা দেখাতে পারিনি ।

তুমি লাল হলে পাহাড়টা ফুল হয় সন্ধেবেলা
ফুলের গন্ধ তোমার পিঠের কাছে এসে দাঁড়ায়
গন্ধটা দহন নাকে কাব্যময় ওড়ে ম ম পুরুষালী
এত টুকরো টুকরো গন্ধ , রুখ্খ বনজ ফুল
পাহাড়ি পথে কুড়িয়ে আনি সে ছেঁড়া পাপড়ি
পাখি আর পালক নরম স্থাপত্যে পায় প্রেম

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৩

চতুর্থ লাইন

#কবিতা

চতুর্থ লাইনে তুমি কবিতা । অন্ধকার ঘরের হালকা হাল্কা ঘাস । প্রাচীর নিশ্চুপ হয়ে গেলে । ঠোঁটের উপর বাঁধাই ফটো নীরব হয়ে যায় । কবিতা শব্দে ,প্রতি শব্দে , তুমি থাকছ ।





আমি এখন প্রতি রাতের আন্ধকার । আমার চোখের প্রতিফলনে অন্ধকার শেষ হয় । নীরাবতার মধ্যে তার গান ডেকে আনে ইঙ্কলাইন । আমি সাদা শাড়ির মত শোকার্ত । স্বামী হারা নারীর উন্মুক্ত কপাল ।  আমাকে প্রতি রাতে এত অন্ধকার মনে হয় কেনো ? আমি ভাষার মধ্যেও অন্ধকার শব্দ । তুমি অন্ধকার হয়ে এসো পাতার সবুজ শিশিরে অপেক্ষা করব ।

দুঃখ চাপা পড়ক আনন্দে

তোমার সাথে দূরত্ব থাক , একটি নতুন ঋতু
বসন্ত থাক বসন্ত সমকামী নরম নরম শৈশব
তোমার নিষিদ্ধ ফাগুন ছুটে আসুক রাজসাক্ষী হয়ে
বিপজ্জনক নীরবতায় বর্ণাশুদ্ধি সংজ্ঞা শব্দ নিয়ে ।

আমার ত্বক ছুঁয়ে সূর্য , তোমার ফাগুন বিদ্বেষ
বসন্ত বিন্দু বিন্দু বুকের মধ্যে সূর্য বোধ গুড়ো ।

শরীরে লিখছি তৃপ্ত কবিতা শ্বাস
ত্বকেও কিছুটা লুকিয়েছি পর্নোগ্রাফি নগ্নতা ।

তুমি যে শরীরটা উপহার দিয়েছিলে
তার বাম স্তনে আমার আকাশ ঠোঁট
                    তরুণ পাখি হয়ে ওড়ে ।

তুমি তো জানতে ! জানতে না !!
তুমি আমার একমাত্র গন্তব্য
দীর্ঘ সময়ের দীঘল অপেক্ষা ।

আমার বাড়ির প্রতিটা প্রাচীর , উঠোন-
নিশ্চুপ হয়েছিল ঠাণ্ডা শরীরে পাতন অন্ধকারে
পেতে তোমার অন্তিম বসন্ত এসরাজ পলাশ।

আবার এসেছে । দেখ ? অশ্রু আলো বসন্ত
চোখের উপর নরম রং-মেঘ ধূপ ছিটিয়ে ।
বার বার যেমনটি আসে । হলুদ শান্ত তরল রোদে ।
তোমার দরিদ্র যুবকটির বস্তাপচা স্বপ্ন নিয়ে ।

তোমার বসন্ত ! আমার বাসন্তী ফাল্গুন !
সংগ্রহ করছে তৈরি ভুলের জলন্ত শরীর ।

বসন্ত পশ্চিমে ! আলতো সন্মোহিত প্রস্থান-
অলস্য আনন্দ ছেড়ে পালিয়ে যেতে ডাকাত

অচিহ্নিত বিস্মৃতিতে যে রং অনুপস্থিত
তার কাছে বসন্ত আর ফাগুন
দুই প্রতিশব্দে জীবনব্যাপী বিসর্জন ।

              

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১২

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১০

অঙ্কিত ষড়যন্ত্র

এ অন্তর্বেদনার নাম কি ?
ব্যথার স্তূপাকার , স্যাঁতস্যাঁতে ব্যর্থতা
ছোট ছোট শিরায় সংগ্রহ করা হবে
তার মহান স্মৃতিও সংরক্ষিত হবে
পরীক্ষার জন্য মেঘ স্রোতে আগমনীয় ।

এ বিরেচনের নাম কি ?
ভুলটা ছিল , অপরিবর্তীয় তৈরি ভুল
স্ববিরোধী মনে হলেও তৃতীয়বার ।
কারণটা ছিল
নিরবোধি লোকদের রক্ষা করতেই
স্নাতক প্রদর্শনী বাতায়নে চোখ রাখা ।

এ ভাষার নাম কি ?
যে বোবা হতেই , বিপজ্জনক নিরবতা ,
একটা দূর্বল জিম্মি , স্থানচ্যূত বিমুক্ত স্বপ্ন
তুচ্ছতার জৈব সংজ্ঞায় তা হয়েছে শেষ ।

এ ছিল - শিল্প ষড়যন্ত্র
স্ক্রল অভিবাদন ।

মাফ করবেন .....ফাঁকা নিঃসঙ্গতার মধ্যে
                       .......নিঃসঙ্গতা হারিয়েছে ।

অঙ্কিত ষড়যন্ত্র

অন্তর্বেদনার নাম কি ?
ব্যথায় স্তূপাকার , স্যাঁতস্যাঁতে ব্যর্থতা
ছোট ছোট শিরায় সংগ্রহ করা হবে
তার মহান স্মৃতিও সংরক্ষিত হবে
পরীক্ষার জন্য মেঘ স্রোতে আগমনীয় ।

বিরেচনের নাম কি ?
ভুলটা ছিল , অপরিবর্তীয় তৈরি ভুল
স্ববিরোধী মনে হলেও তৃতীয়বার ।
কারণটা ছিল
নিরবোধি লোকদের রক্ষা করতেই
স্নাতক প্রদর্শনী-বাতায়নে চোখ রাখা ।

ভাষার নাম কি ?
যে বোবা হতেই , বিপজ্জনক নিরবতা ,
একটি দূর্বল জিম্মি স্থানচ্যূত বিমুক্ত স্বপ্ন
তুচ্ছতার জৈব সংজ্ঞায় তা হয়েছে শেষ ।

ছিল - শিল্প ষড়যন্ত্র
স্ক্রল অভিবাদন ।

মাফ করবেন .....ফাঁকা নিঃসঙ্গতার মধ্যে
                       .......নিঃসঙ্গতা হারিয়েছে ।

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ৯

বাণী

মানুষকে মেরে ফেলা যায় কিন্তু তার সত ইচ্ছাকে পরাজয় করা যায় না ।

লড়াইটা জীবনের সাথে থাক কিন্তু আনন্দটা সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া যাক ।

যারা লড়াই-এর ময়দানে মারা যায় তারা বীর আর যারা পালিয়ে যায় তারা কাপুরুষ । যারা পিছন থেকে আঘাত করে তারা ভীতু আর যারা সামনে এসে লড়াই করে তারা জীতেন্দ্র ।

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৮

বই মেলা









কে জানে পথের ধূলো-বালিতে এত ক্লান্তি
বই মেলা ফিরে চেয়ে আছে গৃহিনীর মত ।

একুশ শতকের কুমারী হাসি মুখ টুপটাপ
মাছের বাজারের দূর্মূল্যে নেওয়া বাজারি
ভোজন রসিকরা যতটা খাদ্য রসিক রয়
বই পড়ার মেলায় তারা নেই কখন । তারা-
টিভির সিরিয়ালে ক্রিতদাসে বন্দি বন্দনায় ।

সুতরাং , আমি তাকিয়ে


সুতরাং, আমি তাকিয়ে
দেবজ্যোতিকাজল

আমি একটি বিক্ষিপ্ত গভীরতা খুঁজছি
ফিরি একটি সভার রুমে । কোথাও
সহজলভ্যতা নেই । এবং তারপর
একরকম কোণায় পরিচালিত হই ।

এই বিহিতক থেকে একটি অনুচ্ছেদ ।

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ৭

এটাই হবার কথা ছিল

আমরা অভিপ্রেত অনুরাগে চলছি
গ্রীষ্ম এবং সমুদ্রের মত ।

আমরা অভীষ্ট চুমু কাছাকাছি টানছি
যেমন সূর্য আমার ত্বক ছুঁয়ে জ্বলজ্বলে

তোমার আমার বাতাসে-ঠাঁসা গল্পসল্প পৃথিবী
আকাশ আর অভিন্ন মেঘের মত

আমি তোমাকে ছুঁয়ে আছি গৃহসজ্জায়
রাতের অভিরতিয় তারার মত

আমাদের প্রেম আকাঙ্খিত স্বপ্ন উপমা
অন্য কোন প্রেমের মত

কারন , আমি জানি যে আমরা জিতবোই
সবসময় নিজেদের যুদ্ধে ।

সৃষ্টি

সৃষ্টি ।। দেবজ্যোতিকাজল

মেয়েদের যতটা শরীরী সেক্স
কবিদের ফ্লোরাল কবিতা ভাষা

মেয়েদের যতটা শরীরী ঠোঁট
ভোকালারদের আওয়াজি পপ

মেয়েদের যতটা মেয়েলি পনা
আমাদের আমিটা ততটাই খোলা

পঞ্চগন্ধা











ঘরের মধ্যে লোডশেডিং পোয়াতি অন্ধকারে নাড়িভুরি
প্রসব তুমি ধন্য যখন প্রাচীন আলো ছুটে চলে রাজপথে ।

আজ গোলাপ দিবস , পচাগন্ধের জন্মান্তর ঋতুচক্র
গোলাপ জলে মিষ্টি মদ ,যুগের নামে রকি বর্জ্জাতি

কত সন্ধ্যা একলা থাকি , আশা’র গানে কান পেতে
সন্ধ্যা তুমি , সন্ধ্যা নীল , অন্যের সাথে বেডপার্টনার

গণতন্ত্রের শহর , পলাশ ফুলের রক্ত গুলি শেষ বসন্ত
এক শো শতক হেমলক শিকড় ছুটে এল প্রেম ছুঁয়ে

তোমায় বলছি , লিভটুগেদারে কুমারী থেকে মা নারী
বেশ করেছ , গুড়িয়ে সমাজ ,ভেঙ্গে যাক পুরুষ লিঙ্গ ।

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৬

তুমি ছিলে , তাই...

যতদিন তুমি ছিলে রৌদ্ররা জানত না তৃষ্ণা
জলের তোড়ে গভীর মেদ ,মেঘের জমাট-
বরফ তূলো-পেজায় উড়তো
গড়িয়ে হাসতো রাস্তা নদী ।

যতদিন তুমি ছিলে , ততদিন খিদে ছিল না
মেদহীন অনুভূতি দু'চোখ জেগে ওঠতো
রক্তের মধ্যে ঝড় আর স্বাদকোরক
স্বাভাবিক উষ্ণতা জিভ দিয়ে চেটে নিত ।

যতদিন তুমি ছিলে কলমে ছিল ভাষা
খিদের ভাষারা গাল বেয়ে খাতার স্রোতে
সাগর পাড়ি দিত ,ঠোঁট চুঁইয়ে
নতুন সাজে সেজে উঠতো স্মারক সকালে-
নিষিদ্ধ সেমিকোলন ছাড়িয়ে ।

যতদিন তুমি ছিলে ,ছিল না রাত জাগা
স্বপ্নের স্বাভাবিক ঢেউ ,তুরি মেরে উড়িয়েছি
মৃত্যুকে । এসেছে সবুজ সকাল রেখা চিত্রে ।
চায়নি কাছে আসুক ,থাপ্পরে তারিয়েছি ।

তুমি যতদিন কাছে ছিলে
দুঃসাহসের মুক্ত হয়ে গলায় ছিলে হাত বাড়িয়ে…