লেখার ডাগর মাঠ


বুধবার, এপ্রিল ১৮

ঈশ্বর আতঙ্ক

ঈশ্বর আতঙ্ক
দেবজ্যোতিকাজল

গভীর জঙ্গল হয়ে গিয়েছে ঈশ্বর
সুতরাং , ভয় আমার পিছু নিয়েছে ।
গাছ দেখলে আজ-কাল
ঈশ্বরের হাত নখ দেখি ।

আত্মরক্ষার অস্তিত্ব সংকটে ভুগি
শুনেছি, বনের হিংস্র পশুগুলো
না-কি ধার্মীক হয়ে গেছে
তাই , ভয় আমার পিছু নিয়েছে ।

বাবার দু’চোখে যে ঈশ্বর-কে
আমি দেখেছি প্রতিদিন
তা বাবার মৃত্যুতে মরে গেছে গাছ হয়ে ।

বাবার জন্মান্তরবাদটা
গহীন কর্কশ  দাবানল হয়ে-বন ,
পুড়ে যাওয়া পাতাপরা শব্দে
যা গজিয়ে ওঠে
তা হলো,
মেয়ে মানুষের শরীর
পুরুষ মানুষ নামক ধর্ষক ,
ঈশ্বর প্রেরীত দালাল চেলা

তাই ,
আজ-কাল ভয় পিছু নিয়েছে
আতঙ্ক তাড়া করছে
গাছ দেখলেই আঁতকে উঠি
শরীরটা কাঠ হয়ে যাওয়ার ঈশ্বরাতঙ্কে ।

সোমবার, এপ্রিল ১৬

প্রহসন বিজয়

প্রহসন বিজয়
দেবজ্যোতিকাজল

শান্ত একখানা রুগ্ন শরীর , প্রশান্তে দাঁড়ায়
সামনের যে রুক্ষ পথটা, বিদ্রুপে হারায় ।

কোথায় যাব আমি , এখনও ভাবিনি
বয়সি সংখ্যায় মৃত্যু , লেখা আছে জানি ।

মেঘে-মেঘে দল বাঁধে , নিভে যায় মোম
দেহটা দেহ নয় আমার , ধ্বংস স্তূপ রোম

আমার কোন দেশ নেই, নেই কোন পরিবার
সংগ্রহে আছে ব্যথা , নেই কিছু-আর হারাবার ।

সময়টা এখন অসময় , অধিকারে ধরেছে পচন
দেশ আর দেশ নেই , বিবেকে জমেছে প্রহসন ।

কবিতাঙ্গ


কবিতাঙ্গ
দেবজ্যোতিকাজল

আমার কবিরা আজ আর নেই
কবিতা রেখে চলে গেছে দেরাজে
কলমের নীচে চিঠির পৃষ্ঠারা সব
নিখোঁজ কবিদের ঠিকানা খোঁজে ।

মুঠোর মধ্যে লুকায় আলো,অন্ধচোখ
নাকের কাছে ঘ্রাণঈন্দ্র মৃত, সব ক্লীব
রাস্তা হারিয়ে গেছে র-এ ,অদৃশ্য নীলে
জড় কবিদের কলমে জন্মে কবিতাজীব

শিগগির এসো ! শহর দাঁড়িয়ে একলা কাঁদে
অগণতন্ত্র বাতাসে বিষ উন্নয়ণ দাঁড়িয়ে পথে
নানা রঙের মুখোশ ওড়ে , চেনা মুখের আদলে
শস্তা মানুষেরা সব ,অস্ত্র তুলে নেয় দুহাত পেতে ।

শনিবার, এপ্রিল ১৪

মিথ্যারা সব

মিথ্যারা সব
দেবজ্যোতিকাজল

এ পাড়ার খবর যে সব , ও পাড়াতে ভুল
ঘরের কোণে নীজের ছায়ায় , পরেছে অনেক ঝুল ।

পথের মাঝে বিব্রত সব , গালে মুখে লাগে
সুখগুলো সব ওদের হবে, নেই আমার ভাগে ।

গানের কানে গান গেয়ে যাই , ফুলের কাছে পাখি
পথের মাঝে ডায়েরী লেখা , চরিত্রে ঢেকে রাখি ।

পায়ে পায়ে সময় ওড়ে , কাধের উপর পেন্ডলিন
সূর্যটা মেঘে ফেরে , কু ঝিক ঝিক রেললাইন ।

বাতাস এখন ছেঁড়া চিঠি , খবর হয়ে ভাসে
মিথ্যারা সব ঐ পাড়েতে , ধরা পড়ে শেষে ।