লেখার ডাগর মাঠ


মঙ্গলবার, আগস্ট ২২

ধর্ম ও শোষণ

ধর্মমত মানুষকে শাসন করে না ; করে শোষণ । এইটি বহুল প্রমানীত ।  এই 2017 সালের সমাজ ও জীবন যাপন অনেক পরিবর্তনশীল । তাই যে কোন আইন বর্তমান সমাজ অনুযায়ী হলে সেখানে কারু অসুবিধা হওয়া উচিৎ না । বিশ্বাস আর বাস্তব পরিস্থিতী এক রকম হয় না । আমি বিশ্বাস করতে পারি । আমি ঈশ্বর কে সঠিক ভাবে মান্য করে । তার বানী ও নিয়ম অনুযায়ী চলার পরও যে আমি স্বর্গবাসি হব এই গ্যারেন্টি কে দিবেন ?

পৃথিবীর কোন ধর্মই নারীদের অধিকার দেয় নি । ধর্ম যদি নারীদের অধিকার দিত ,পুরুষরা আর যাই হোক ধর্ম নিয়ে এত মাতামাতি করতেন না । ধর্মের মূল ভিত নারী আর গরিবদের দুর্বল করার চেষ্টা ।
ধর্ম যদি গরিবদের অধিকার ফিরে দিতে বিধান দিত তবে তত কালীন রাজা বাদশারা ধর্ম কে আড়াল করেই তারা রাজ্য পাট চালাতেন । যেহেতু পুঁজিপতিদের অনুকূলে ধর্ম তাই তারা ধর্মরক্ষা নামে বিভিন্ন সময় সমাজকে কুক্খিগত করে রেখে ধর্ম কে হাইলাইট করেছেন । আমি ছোট্ট একটা উদাহরন দিলেই ব্যপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে । গরিবদের দান করা পূণ্যের কাজ ।  তার মানে , দান কখনও কারু স্থায়ী সমস্যার সমাধান দিতে পারে না । বরং গরিব গরিবই থাকে চিরকাল । এখন যদি বলত ধর্মশাস্ত্রে , গরিবদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা যে কোনো মূল্যে ফিরিয়ে দিয়ে তাকে সমাজে প্রতিষ্ঠীত করতে হবে । দান দেওয়া পাপ কাজ । প্রতি মানুষের মাথা পিছু পাঁচ বিঘা জমির বেশি থাকা মানে পাপ কাজ । আপনি বলুন তো এই রাজা জমিদারা ধর্ম প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতেন ? কখনই নয় । বরং উল্টে গরিবদের ধর্ম উপদেশ দিয়েছেন । লোভ করা মহা পাপ । লোভে পাপ ,পাপে মৃত্যু । টাটা বা পুঁজিপতিরা কিন্তু এই উপদেশ মানেন না । এই উপদেশ শুধু গরিবদের জন্য । গরিবদের ধর্ম অধিকার দিয়েছেন শুধু দান নিতে । তিনি দান গ্রহন করে যুগ যুগ ধরে পুঁজিপাতিদের তাবেদারি করে যাবেন । এই ছিল ধর্মের অনুসন্ধি ।

-নাস্তিক দেব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন