লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, জুলাই ২২

ঝোড়ো শ্লোক

জানলা খুলে দেই
নির্বাক বাতাস অলিগলি ঘুড়ে এসে
অন্ধকার রেখে যায় ঘরে
ছোট চাকার মত চাঁদটা
আমায় হতাশা ঢেলে দেয়
                        প্রসারিত সারাংশে
আমি একজন মানুষ নই
আমি একজন মানুষ নই
আমি একজন অনুভূতি ;
                   গণ্ডক বিষ বৃক্ষ ।

জীবনের দৈর্ঘ্য-প্রস্ত
নদীর এপাড়-ওপাড়

আমি তোমায় দেখেছি
নীরব থাকতে
শীতকালীন গাছে
বর্বর শাখায় ,
দেখেছি সেলুয়েট আঙুলে
দখল নিতে
গর্ভবতী চাঁদের কলঙ্ক ।

অনেক কথা শব্দের মধ্যে
মাছ হয়ে খেলে সৌখিন অ্যাকুরিয়ামে ।

চৈত্রধূলা আবির হয়ে উড়ে চলে
ঝড়কে কুড়িয়ে আনতে
বন , মরুভূমি , সমুদ্র চোরাবালি
ভেঙ্গেচূড়ে মনে করিয়ে দেয়
হাজার বৈশাখের মিষ্টি কাণ্ডকীর্তি

দূর্ভিক্ষ জ্যোৎস্না নিথর আল পথে
সমাবেশ আলো-ছায়া , দোলে পেণ্ডুলাম ।

বাতাসের শ্বাস-প্রশ্বাস ,কুমারী বায়ুতে
গল্প শুধিয়ে বলে ,
তুমি বাতাস
আমি শ্বাস ।

আর উঁকি দেয় না মরণ ।

জুতোর মধ্যে মোজার মত
লুকিয়ে থাকে ধুকপুক
আমি ছদ্মবেশি মরণ ,
অনেক আগেই সে দেহ
জীবনকে দিয়েছে তর্পন ।

আমি আছি
মায়ের আঁচলে আধুলি হয়ে বাঁধা
আমি আছি
সমাজের আড়ালে নুলো অক্সিজেনে

আমার দেহে-
আর উঁকি দেয় না মরণ
দীঘল চোখের মত ছলনায় হাসে
মরণের নাকে –
আমি খোদাই ক’রা নিঃশ্বাস নথ ;
আর-
এই আসা যাওয়া '
দরজায় ঝুলে থাকা শিকল
কখন তাতে তালা পড়বে
কে জানে ।

আমার সদর দরজা খোলা আছে
জন্মান্তরবাদের গীতার প্রচ্ছদে
আঠারো দিনে পাল্টে গেলো
জ্ঞাতীর অপমৃত্যুর ইতিহাস ।
বিধবাদের সিঁদুরে তাই-
আমি দেখতে পায় অর্জুনের মুখ
অর্জুনের তীরের ফালায়
আমি ছিলাম যুদ্ধ জয়ের রক্তাক্ত বাণ....।

বুকহীন অন্ধকার উড়ে গেল
রাত্রি যাপন প্রহরী পেঁচায়
তুমি জেগে আছ ,
আমাকে জাগিয়ে ,
শরৎ আকাশে চিমটি কেটে ।

যত প্রকারের “ তুমি ” আছে
তুমি আমার সেই দেহোজ তুমি
যে আমার দেহের সাধ আহ্লাদ ,
কাননবালা কাঁটাওয়ালা ফুল ।

আমি কবি হব ব’লে
কখনও কলম কিনি নি
পৃষ্ঠার সাদা গন্ধ
আমাকে কবি করে উড়িয়ে দেয়
সদ্যজাত বীর্য্যপাত আকাশে ।

আমি আজ কবিতা শ্রুতি ,
ফুল→গন্ধময়  শ্রোতা  খুঁজি
কবিতার গুহায় পালিয়ে ।

আমাকে কবিতারা একদিন বলেছিলো,
একটা সঙ্গী জুগিয়ে দিবে ,
বাঁকি সময়টা কাটাতে ।

তাই বিনা কারণেই
আজও সংসার করে যাচ্ছি ,
শারীরিক সম্পর্কটাকে
বালিশের নীচে চাপিয়ে রেখে ;
থেঁতলে যাওয়া সময়টাকে
বলছি , ছিঃ আমরা মধ্যবিত্ত কবি ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন