লেখার ডাগর মাঠ


বুধবার, জুলাই ১১

ঝোড় শ্লোক

যখন জীবনের প্রত্যেকটি সুন্দর দিন কাটানোর জন্য কেউ রবে না

তখন নগ্ন পরিসংখ্যান কবিতারা
আমার পা জড়িয়ে সন্তান হবে

আমি তখন মাটিতে বসে কবিতা লিখব

আমাদের বিদায়ী কবিতা

কেননা ,
কবিরাই শুধু জানেন
কবিতারা কাঁদেন কিভাবে....


একজন কবি মানে
যিনি প্রত্যেক লেখায়
তাঁর হৃদয়ের অংশ রাখেন


তোমার প্রবাহ ভালবাসা
একটি সহজলভ্য নদী
তুমি যদি
কখনও আমাকে ছেড়ে যাও
তখন আমার হৃদয় কাঁদবে উচ্ছ্বাসে


একটি মৃত দেহ

শেষ রাস্তার সঙ্কেত


নিঃশ্বাস নাও ,
নিঃশ্বাস ছাড়

ঠাণ্ডা বাতাসের বাইরে মেঘের ঝাঁক
এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয় মৃত্যু ।

শ্বাস নাও ,
শ্বাস ছাড়ো

আমরা সবাই মৃত্যুর অস্তিত্ব
আমরা কখনই অপরাজেয় নই ।


চাঁদ থেকে গড়িয়ে পরে শূন্যচিন্তা
জ্বলন্ত মোমের মত
আমার গায়ের গন্ধে
মাঠের গায়ে মাঠ লেগেছে
নশ্বর জামা-প্যান্টে

আমি জানি
চলে যাওয়া সময় আর ফিরে না
যেমন ফিরবে না
আমার পড়ন্ত যৌবন

এই ভাবেই হারিয়ে যায়
শত শত সত্য ও ভালবাসা


আমার আগ্রহ
ব্যর্থ হয়ে শুরু
আমার হিসেব
অন্ধকারে হয়েছে হত্যা

আমি উড়ে যেতে চাই
খালি কক্ষের মত ,
নিঃসঙ্গ ফুলের গন্ধ থেকে


তুমি রোদ ছিলে
      বৃষ্টি-কে ভালবেসে ;
আমি বৃষ্টি ছিলাম
      আমার সূর্যস্নানে ,
রোদ-কে ভালবেসে ।

আমরা বিপরীত টানে
মিলিত হতে পারি না
                প্রেমের আর্কাইভে ।

কখনও যদি প্রানবন্ত ঘটনা ঘটে
            তবেই আমরা ভাগ্যবান ,
             তৈরি করতে রামধনু ।

সর্বস্বান্ত ভোরে
এলো একটি গঙ্গা-ফোড়িং
আমার জানালার পাথরে
বদল নিয়ে সমান্তরাল অনুবাদে
আরও বৃষ্টি পড়ে যখন

যারা সত্য দেখে পালায়
তারা অনিবার্য মৌলবাদী

যে সমাজে ধর্ষক থাকে না
সে সমাজ ঈশ্বর হীন সমাজ

আমি নিজেকে দেখতে চাই
প্রতিটি শেষ সূর্যাস্ত পর্যন্ত জ্বলতে

যদি আমি এইটি বুঝাতে পারি
তবে একদিন হয়ে যাব
আকাশের অংশ

ভালবাসা হলো বিবর্তন জানলা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন