লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

ভারতের সেকুলারবাদীরা কি ক্লীর ?

ভারত সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ । তা সত্ত্বেও তোষণ ভিত্তিক রাজনীতির ধারা স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই গান্ধী-নেহেরু-কংগ্রেসের তোষণ রাজনীতির পথ ধরেই এগিয়ে চলছে ভারত । তা এখন বল্গাহীন তোষণের জন্ম নিয়েছে । কেননা মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী মনে করতেন , ভারতের হিন্দু সমাজকে মুসলিম সম্প্রাদয়ের কাছে সর্বতোভাবে আত্মসমর্পন করাতে হবে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি মেনে নিলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরে আসবে ভারতে । গান্ধীজীর এই ভুল তত্ত্বটি আজও অনেকেই বিশ্বাস করেন । আর বিশ্বাস রাখেন রলেই জন্ম নিয়েছে তোষণের রাজনীতি ।

১৯৩১ সালের ৯ মে আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকারে নরবি ঠাকুর বলেছিলেন-" যদি আন্তরিক ভাবে কোন জিনিষ অন্যায় বলিয়া বুঝা যায় , আপোষ নিষ্পত্তির খাতিরে তাহা মানিয়া লওয়াতে স্থায়ী শান্তি ঘটিতে পারে বলিয়া আমি মনে করিনা । ব্যক্তির অথবা সম্প্রদায়ের অসঙ্গত দাবি মানঘয়া লওয়া কিম্বা ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে অনুচিত সুবিধা দান করা আমি সমভাবে ভ্রান্ত নীতি বলিয়াই মনে করিয়া থাকি । উহাতে শুধু ক্ষুধাই বৃদ্ধি পাইবে এবং আরও আধিক পাইবার জন্য দাবি বাড়িবে , শেষটাতে আমরা দেখতে পাইব যে , আমাদের অবস্থার একটুও পরিবর্তন ঘটে নাই , অথবা অবস্থা আরও খারাপ হইয়া উঠিয়াছে ।
তা হলে তোষণের রাজনীতি আমাদের ক্লীবত্বেরই পরিচয় । সেই ক্লীবত্বেরই সুযোগ নিয়ে ইসলামীক মৌলবাদীরা আমাদের বাধ্য করেছে । তাদের কাছে মাথা নীচু করতে ।
তারা ভাবেন ইসলামীক মৌলবাদদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা ধিক্কার জনালে সামগ্রিক মুসলিম সমাজকেই বিরোধিতা করা হয় । তারা ভুলেগিয়েছে সে আঁচ তাদের গায়েও লাগতে পারে । কেননা বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশি দেশ ।
এসব বলার একাটাই কারণ ।অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে একমুক্তমনা ব্লগার নিলয় চক্রবর্তী ইসলামীক মৌলবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে । তাকে কুপিয়ে খুন করেছে বাড়ির ভিতর গিয়ে । অবশ্য তার আগে ছ-সাত মাসের ভিতরে আরও চার জন মুক্তমনা ব্লগারদেরকে ইসলামিক মৌলবাদিরা হত্যা করেছেন । এই হত্যাগুলির প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয় । এমন কি অ্যামনেসিট ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠও এর নিন্দা ও ধিক্কার সঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ।অথচ বাংলাদেশের প্রতিবেশি রাষ্ট্র । ভারতের লেফটলিবারাল এবং নেহেরুপন্থী স্বঘোষশত সেকুলার ,ইতিহাসবিদ , অর্থনীতির পণ্ডিত , লেখক , শিল্পী , বুদ্ধিজীবিকুল এই ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে টু শব্দটিও করলেন না । এমন কী নরেন্দ্র মোদির মুখ থেকেও না , যারা নাকি হিন্দু মৌলবাদের ছায়া দর্শন করছেন । অথচ এরাই আবার প্যালেস্তাইনের জন্য কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন , নিয়ম করে লেফট লিবারালরা সেপ্টেম্বর মাসের পয়লাতেই শান্তি মিছিল বের করছেন । তারাও কিন্তু ইসলামিক মৌলবাদিদের হাতে মুক্তমনা ব্লগারদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ও অদ্ভূদ ভাবে নীরব । যে সব পণ্ডিতেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্যদিন হিন্দুত্বের বাপ-বাপাও করতে অভস্ত । তারাও ইসলামীক মৌলবাদীদের হিংস্র কাজ-কর্ম দেখার পরও তারা বোবা হয়ে আছেন ।
তবে ভাবনার বিষয় হলো ভারতের এই সেকুলারবাদীদের কেন ক্লীবত্ব ? তারা কেন ভাবছেননা ।এই ইসলামীক মৌলবাদের দাপট মেনে নেওয়া মানে হিন্দু পাশাপাশি মুসলিম সমাজেরও ক্ষতি করছেন । ইসলামিক মৌলবাদের এই বাড়-বাড়ন্ত যতদিন মেনে নেবেন - ততদিন তাঁরা মুসলিম সমাজকেও মধ্যযুগীয় অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ।এই সত্যটা সেকুলারবাদীদের বুঝতে হবে । তার সঙ্গে মুসলিম সেকুলার বুদ্ধিজীবিদেরও সে দায়িত্ব পালন করতে হবে । তাতে হিন্দু সমাজ তাদের উপর আস্তা রাখতে পারবেন ।
পরিশেষে বলব ভোটের রাজনীতি আর যাই করুক সমাজ থেকে দুর্বৃত্তায়নকে নির্মূল করতে পারে না ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন