লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

ধর্ম ও নারী ।। পর্ব~১

সমাজ আজ অনেকটা পথ অতিক্রম করে সুসভ্যতার প্রথম আলোতে চোখ মেলেছে মাত্র ৷ এই পৃথিবীতে দুটি জাতি হিসেবে যারা, তাঁরা হলেন নারী ও পুরুষ ৷ আর এই সমাজে পুরুষকে বলা হয় সোনার আংটি, আর নারীকে বলা হয় জল ৷ জল এত প্রয়োজনীয়, যার নাকি কোনো মূল্যই নেই ৷ তবুও আমি নারীকে সোনার মত মূল্যবান বস্তু বলব না ৷ যেহেতু জলের আরেক নাম জীবন, সেহেতু জল নামেই নারীর নাম করণ করবো ৷ হ্যাঁ, যার জন্য জীবন, তাঁকে জল না বলে সোনা বলতে পারিনা ৷
সেই নারী ৷ হ্যাঁ, তাদের আজ এই ধর্ম ও সমাজ কোথায় টেনে হ্যাঁচরে নামিয়েছে ৷ চারিদিকে হাঁহাঁকারের মত চিৎকার নারী স্বাধীনতা চাই বা দিতে হবে ৷ তার জন্য চারিদিকে মিছিল, মিটিং, আলোচনা, সংযদ কতকিছু ৷ কিন্তু এই স্বাধীনতা কে দিবে ৷ শাসক, সমাজ না সংস্কৃতি ৷ না ৷ এরা কেউই বোধহয় দিবে না ৷ কেননা এরা ধর্মের বসে ফুলেফেপে পুরিপুষ্ট ৷
চীনদেশের একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে- জ্ঞানে যেমন পুরুষের শোভা বৃদ্ধি করে অজ্ঞানে তেমনী স্ত্রী লোকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ( মাদাম কুরী, ইন্দ্রাগান্ধী, বেগম রোকেয়া, লতা, এঁনাদের সৌন্দর্য জ্ঞানে, অজ্ঞানে নয়) ৷

আসল কথা স্ত্রীলোককে অজ্ঞান বানাতে পারলে ৷ নিজেদের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা যায় ৷ স্ত্রীলোককে অশিক্ষিত রাখার জন্য শাস্ত্রে হুকুম দিয়েছে ৷ মোজেজ, পল, শ্লোক বেঁধেছে, শাস্ত্র তৈরী করেছে ৷ তারা বলেছে স্বাধীনতা পুরুষের জন্য, স্ত্রীলোকের জন্য নয় ৷ নারীত্বের মূল্য পুরুষ মানুষ কখনও বোঝার চেষ্টা করেনি ৷ তোমরা ( স্ত্রীলোকেরা) যাদের ঈশ্বর ভেবেছো ৷ সেই ঈশ্বর তোমাদের কে অপমান, অত্যাচার ও ঘৃনা উপহার দিয়েছে ৷ তা না হলে ভগবান শঙ্কারাচার্য বলতে পারতেন -' নারী নরকের দ্বার '৷ ( সেই দ্বারে প্রবেশ করছে সমস্ত পৃথিবীর পুরুষ) বাইবেলে বলেছে- rood of all evil অর্থাৎ- সমস্ত অহিতের ( অমঙ্গলজনকের) মূল ৷ ৫৭৮ খৃষ্টাব্দে আহুত ওসিয়ায় ক্রীশ্চান ধর্মসঙ্গে স্থির করেন স্ত্রীলোকের আত্মা নেই ৷ ( তবে কি স্ত্রীলোক জড় পদার্থ? ) না ৷ এহলো পৃথিবীর সভ্যতা ও সমাজ বিকাশের নোংরা ইতিহাস ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন