লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

ধর্ম ও নারী ।। পর্ব~ ৬

পিতা রক্ষতি কৌমারে ভার্ত্তা রক্ষতি যৌবনে রক্ষতি স্থবিরে পুত্রা না স্ত্রী স্বাচন্ত্র্যমর্হতি ৷ - মনু সংহিতা ( ৯:৩)
বৈদিক সমাজেও পিতৃশাসিত ছিল ৷ বৈদিক সমাডে পিতার সম্পত্তিতে বিবাহিত নারীদের অধিকার ছিল না ৷ এখানে আর একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ঋকগুলিতে পুত্রলাভের জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে ৷ কন্যা লাভের জন্য নয় ৷ আমরা এথেকে ভেবেনিতে পারি পিতৃশাসিত সমাজ নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি ভেদাভেদ আরও প্রকোপ হয় ৷ নারীদের বেদ পাঠ, যজ্ঞ করা নিষেধ ছিলো ৷ বাল্য বিবাহ শুরু হয়, বহু বিবাহ চালু হয় এবং বিধবা বিবাহ বন্ধ হয় ও সতীদাহ প্রথা প্রচলন করে ৷ এসব ঘটনার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ৷

এমন কি ঋতুকালীন নারীর অপবিত্র হয় কেনো তারাও উদ্ভ কারণ দর্শিয়েছে বশিষ্ঠ ৷ বশিষ্ঠের বক্তব্যে আছে ৷ ইন্দ্র যখন ত্বশত্রির ত্রি-মুণ্ড সমন্বিত ৷ পুত্র বৃত্রকে বধ করেন তখন তিনি পাপ ভারাকান্ত হয়ে পরলে সকলে তাকে ব্রাহ্মণ হত্যার নিন্দা করে ৷ তিনি তখন এই পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্ত্রী লোকদের কাছে ছুটে জান ৷ এবং তাদের বলেন- " ব্রাহ্মন হত্যা জনিত পাপের তৃতীয়৷ অশং তোমারা বহন কর ৷ তখন তারা জীঞ্জাসা করেন, তোমার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমরা কী লাভ করবো ? ইন্দ্র বলেন- তোমরা বেছে নাও ৷ তাঁরা ( নারীরা) বলেন যখন স্বামীরা ইচ্ছা করবে , আমরা যেনো ঠিক ঋতুতে সন্তান উৎপাদন করতে পারি, আমরা যেনো সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত আনন্দ উপভোগ করতে পারি ৷ তিনি বললেন- তাই হবে ৷ ( তখন) তাঁরা ( পাপের তৃতীয় অশং) নিজের উপর দিলেন, ব্রাহ্মণ হত্যার ঐ পাপ প্রতিমাসে ঋতুস্রাব হিসেবে নিঃসৃত হয় ৷তাই ঋতুকালীন কোনো নারী কর্ত্বক প্রদত্ত খাদ্য ভক্ষন করা যায় না ৷ কাৱন নারী তখন ব্রাহ্মন হত্যা জনিত পাপের রূপ ধারণ করেন ৷

এসব বশিষ্ঠের শরীরবিদ্যা বিরোধি ও বিজ্ঞান বিরোধী মনগড়া গাঁজা খোড়ি কথা ৷ আর তাছাড়া বিজ্ঞান বারবার ধর্মের এসব কথাকে বারবার মিথ্যা প্রমান করেছেন ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন