লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

ধর্ম ও নারী ।। পর্ব~৪

ধর্মে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও , পুরুষকে দেওয়া হয়েছে লুচ্চামির সার্টিফিকেট
strong>
………………………………
………………………………
নারী ও পুরুষকে ধর্মে অসমতার বিভাজন দৃষ্টিকটু । নারীর সতীত্ব অন্যদিকে পুরুষের লাগামহীন জীবনের প্রকারভেদ । মনুর ছিলো একচোখা নীতি ।
মনু সংহিতা ৫ম অধ্যায়ে শ্লোক ১৫৪-এ লেখা আছে ।সতী নারী কারা ?

মনু বলেছেন-" স্বামী দুঃশীল , পরনারীতে উপগত হয় ( চরিত্রহীন ) , এক বিদ্যাদি গুণবর্জিত ( আমড়া কাঠের ঢেঁকি ) হলেও সতী স্ত্রী'র কর্তব্য সেই স্বামীকে উপেক্ষা না করে দেবতার মত তাঁর সেবা করা ।"
( মনু সংহিতা ৮ ম অধ্যায় ,শ্লোক৩৭১ ) বলেছেন- " যে নারী নিজের পতিকে পরিত্যাগ করে , পরপুরুষের সাথে মিলিত হবে , তাকে বহু লোকের সামনে কুকুর দিয়ে খাওয়াবে । " বাঃ বাঃ !! এইনা পুরুষ শাষিত সমাজের ঐতিহাসিক দলিল । আর , আমরা কি করছি ? এই সব ধর্মগ্রন্থকে দিব্য জ্ঞানে পুজো করছি । ভগবানে বাণী ভাবছি । নারী দুঃশ্চরিত্র হলে তাকে কুকুর দিয়ে খাওয়ানোর বিধান , অন্যদিকে পুরুষের দুঃশচরিত্রে দেবতা বানানোর বিধান । মনু নীজেকে কতটা ছোট করেছে ।আজ বিংশশতাব্দির মহিলার কাছ থেকে তিনি ঘৃণা ছাড়া আর কি আশা করতে পারেন । নারী সমাজের উচিত প্রতারক মনুকে ধিক্কার জানানো । ছিঃ ছিঃ মনু , আপনি না মানব জাতির বিস্তার পুরুষ ।আপনার নাম হিসেবে আমাদের নাম হয়েছে "মানুষ "। আর আপনেই করলেন দু'রকম নিয়ম । আপনাকে ধিক্ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন