লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

ধর্ম ও নারী ।। পর্ব~৩

নারী কি পুরুষের বিনোদন সঙ্গী ?
এবার আমরা নারী সৃষ্টির ধর্মীয় ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবো । ঋক্ বেদে বলা হয়েছে- " পুরুষ সূক্তে "'বিরাট নামে একজন পুরুষেরজন্ম হয় । আর এই 'বিরাট' নামক পুরুষটি নিঃসঙ্গতা নিবারনের জন্য তারই দেহ থেকে সৃষ্টি করেন নারী জাতিকে ।

এবার আসুন মহাভারতে কী বলেছে । ভীষ্ম যুধিষ্ঠিরকে বলেন- আদিকালে পুরুষ এতই ধর্মপরায়ণ ছিল যে , দেবতাদের ঈর্ষা হল । তারা তখন নারী সৃষ্টি করলেন ।পুরুষকে প্রলুব্ধ করে ধর্মচ্যুৎ করবার জন্য (১৩ : ৪২ ) । তবে বোঝুন দেবতরা কতটা বদবুদ্ধির ছিলেন । কত কুটিল ছিলেন । আসলে এখানে নারীকে নিকৃষ্ট বানানো হয়েছে । নারী কি শুধু খারাপ কাজেই ব্যবহারের যোগ্য ।

কোরানে বলেছেন- আল্লাহ্ প্রথমে পুরুষ সৃষ্টি করেছেন । সেই প্রথম পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছেন প্রথম নারী । হাদীস গ্রন্থে আছে যে , আল্লাই প্রথম মাটি দ্বারা হযরত আদমকে সৃষ্টি করেন । পরে আদমের দেহ থেকে আদি নারী হাওয়া বা ঈভকে সৃষ্টি করেন ।

এই হলো নারী সৃষ্টির ইতিহাস ।
সর্বধর্মই চেয়েছেন নারী পুরুষের গোলাম হয়ে থাকুক । তা না হলে যৌতুক প্রথার মত নিকৃষ্ট প্রথা আজও এ সমাজ সংস্কৃতির বুকে লালিত-পালিত হচ্ছে । বরং ধর্মই শিখিয়েছে এই সমাজকে । নারী রজঃস্বলা ও স্তন প্রকাশের আগেই ব্যাল্য অবস্থায় বিবাহ দিতে হবে । বিয়ে না দিলে , তার পিতা ভ্রূণ হত্যা পাপে লিপ্ত হয়ে নরগগামী হবেন ।

কন্যা পরের ঘরে চলে যায় বলে । ধর্মে বলেছেন- " কন্যা ফেলনা " । কি অদ্ভূত রীতি-নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই নারী জাতীর উপর । এ ছিল একধরনের ঘরবন্দির করার কলাকৌশল । ।

এবার আসব বৃহদারন্যক উপনিষদ থেকে । সেখানে ( ১ : ৯ : ২ : ১৪ ) বলেছেন- " লাঠি দিয়ে মেরে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ , যাতে নারী নীজের দেহ বা সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার না থাকে ।"

বৃহদারন্যক উপনিষদে আরও এক জায়গায় বলা হয়েছে- " স্ত্রী যদি স্বামীর সম্ভোগ কামনা চরিতার্থ করতে অসম্মত হয় , তাকে উপহার দিয়ে স্বামী তাকে কিনতে চেষ্টা করবে । আর তাতেও কাজ না হলে হাত বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের বশে আনবে ।"

কি অদ্ভূদ কথা । কোন নারীকে জোড় করে বা বলপূর্বক সহবাসে লিপ্ত করলে তাকে ধর্ষণ বলে । এই মনুর জানা ছিলো না । কেননা তিনি নারি কে সম্ভোগের যন্ত্র বানিয়ে গিয়েছেন । পুরুষ নারীকে ভোগ করবে । এইটিই বোধহয় সঠিক কথা ছিলো ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন