লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, ডিসেম্বর ২৫

ঈশ্বর ও বাবা

সবে সন্ধে হয়েছে ৷ গরমে দম যাবার জোগার ৷ আজ-কাল প্রকৃতি , ঋৃতু অনুযায়ী সায় দেয় না ৷ বাইরে মেঘ ডাকছে ৷ শ্যামল বাবু ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে, মেঘের দিকে তাকিয়ে বললো- ঈশ্বর আর আমাদের দিকে তাকাবেন নানা ৷ কিছু সময় থেমে ৷ প্রার্থনার ভঙ্গিতে শ্যামল বাবু বললেন- হা ঈশ্বর বৃষ্টি দাও ৷

তন্ময়, শ্যামল বাবুর ছোট ছেলে ৷ নাইনে পড়ে ৷ ভালো ছাত্র ৷ প্রতি বছর এক থেকে দশের মধ্যে রেজাল্ট থাকে ৷
বাবার আকুতি ভরা কথা শুনে, তন্ময় বাবার কাছে দাঁড়িয়ে ৷ বাবাকে প্রশ্ন করলো - বাবা ঈশ্বর কি আমাদের বৃষ্টি দেয়?
ৰাবা মহূর্ত দেরি না করে বললেন- হ্যাঁ বাবা, ঈশ্বরই আমাদের বৃষ্টি দেন ৷
তন্ময় অবাগ হয়ে বাবাকে বললো- ভূগোল বই-এ তো তা লেখা নেই যে, ঈশ্বরের কারনে ৰৃষ্টি হয় ৷

শ্যামল বাবু ব্যাপার খানা বুঝতে পেরে চুপ হয়ে গেলন ৷ তন্ময় বাবাকে আবার জীঞ্জেস করলো- কোনটা ঠিক ? তুমি না ভূগোল বই?

শ্যামল বাবু কথার পাশ কাটিয়ে ছেলে কে বললো- যাও পড়তে বসোগিয়ে ৷
তন্ময়ের বাবার আচরোনটা ভালোলাগেনি ৷ বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছে ৷ বাবার কথা সত্য হলে ভূগোল বই মিথ্যা ৷ তবে এই মিথ্যা শিক্ষার জন্য বাবা আমার পিছনে পয়সা খরচ করছেন কেনো?

তন্ময় নিজেকে বুঝে উঠতেই ৷ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো ৷ তন্ময় আরো একবার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো - জলচক্র জিন্দাবাদ ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন