লেখার ডাগর মাঠ


শনিবার, অক্টোবর ৬

আত্মা’র ক্যারিক্যাচাল

নাগা ও অও নাগাদের বিশ্বাস প্রত্যেক মানুষেরই একটি করে স্বচ্ছ আত্মা আছে । এই স্বচ্ছ আত্মা থাকে আকাশে ।

অসমের লোখে উপজাতির বিশ্বাস করে , প্রতিটি মানুষের আত্মা দেখতে তারই মত , এবং একই আয়তনের ।

ছোটনাগপুর ও মধ্যপ্রদশের আদীবাসীদের বিশ্বাস আত্মা হল মানুষটির ছায়া ।

কুকি ও মণিপুরের পুরুষ সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের বিশ্বাস, প্রতিটি মানুষের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি করে আত্মা ।

বীরহোড়রা মনে করে মানুষের মধ্যে রয়েছে তিনটি করে আত্মা । তিনটি আত্মার একটিকে প্রায়ই দেখা যায় , সে হলো মানুষটির ছায়া ।

নীলগিরির টোডা সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশ্বাস অসমের লোকের কাছাকাছি ।

ইহুদিরা মনে করে প্রাণই আত্মা ; আত্মাই প্রাণ ।তাদের বিশ্বাস জেহোবা  মানুষের নাকে ফুঁ দিয়ে দেহে প্রানময় আত্মার সঞ্চার করেছিলেন । এ বিষয়ে তাদের বিশ্বাস আত্মার অবস্থান হৃদপিণ্ডে ।

গ্রিস দেশের অধিবাসীরা বিশ্বাস করতেন শ্বাসই হল আত্মা ।

নব প্লেটোপন্থীরা আত্মা বিষয়ে যে বিশ্বাসের কথা প্রচার করেছিলেন , তাই গ্রিসবাসীদের বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছিল ।তাদের মতে- আত্মাই চিন্তা বা চেতনা  এবং আত্মাই অমর ।

প্রাচীন  জার্মানরা বিশ্বাস করত , আত্মাই শ্বাস । দেখতে ছায়ার মত । থাকে হৃদপিণ্ডে ।

মালয়ের বহু মানুষের বিশ্বাস, আত্মার রং রক্তের মত লাল । আয়তনে ভুট্টার দানার মত ।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অনেকের ধারণা , আত্মা তরন ।

অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদের অনেকে আজও বিশ্বাস করে , আত্মা থাকে বুকের বাঁ দিকে হৃদয়ের গভীরে ।আয়তনে খুব ছোট ।

বহু জাপানি আজও এই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে আছে, আত্মার রঙ কালো ।

প্রাচীন মিশরীরা বিশ্বাস করত , প্রত্যেক মানুষের ভেতর হাত , পা  ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে আর একটা ছোট্ট মানুষ বাস করে । সেটা হল  “ দ্বিতীয় সত্ত্বা বা আত্মা ” । তারা এও মনে করত , শরীরের কোনো অঙ্গ হানি হলে আত্মাও অঙ্গহানি হয় ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন