লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, অক্টোবর ১২

বৈদিক সমাজের নারী

বৈদিক সমাজও পিতৃশাসিত ছিল । বৈদিক সমাজে পিতার সম্পত্তিতে বিবাহিত নারীদের অধিকার ছিল না ।এখানে আর একটা বিষয় লক্ষনীয় যে, ঋকগুলিতে পুত্র লাভের জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে ।কন্যা লাভের জন্য না । আমরা এথেকে ভেবে নিতে পারি পিতৃশাসিত সমাজ নারী ও পুরুষের মধ্যে মর্যদাষ একটা ভেদাভেদ ছিল বৈদিক সমাজেও । পরবর্তীকালে এই ভেদাভেদ আরও প্রক্রোব হয় । নারীদের বেদ পাঠ ও যজ্ঞ করা নিষিদ্ধ ছিল । বাল্যবিবাহ শুরু হয় ।বহুবিবাহ চালু হয় । বিধবা বিবাহ বন্ধ হয় । সতীদাহ প্রথা প্রচলন করে এসবের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ।

এমন কি ঋতু কালীন নারীরা অপবিত্র হয় কেন তারও উদ্ভট কারন দর্শিয়েছে বশিষ্ঠ । বশিষ্ঠের বক্তব্যে আছে - ইন্দ্র যখন ত্বশত্রির ত্রি-মুণ্ড সমন্বিত পুত্র বৃত্রকে বধ করেন তখন তিনি পাপ ভারাকান্ত হয়ে পড়লে সকলে তাকে ব্রাক্ষণ হত্যার নিন্দা করে । তিনি তখন এই পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্ত্রী লোকদের কাছে ছুটে যান এবং তাদের বলেন- ব্রাহ্মণ হত্যা জনিত পাপের তৃতীয় অংশ তোমরা বহন কর ।
তখন তারা জিজ্ঞেস করলেন , তোমার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমরা কী লাভ করব ?
ইন্দ্র বলেন, তোমরা বেছে নাও ।
নারীরা বলেন , যখন স্বামীরা ইচ্ছা করবে । আমরা যেনো ঠিক ঋতুতে সন্তান উৎপাদন করতে পারি । আমরা যেনো সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত আনন্দ উপভোগ করতে পারি ।
ইন্দ্র বলেন ,তাই হবে । ( তখন ) তাঁরা ( পাপের তৃতীয় অংশ ) নিজেদের উপর দিলেন , ব্রাহ্মণ হত্যার ঐ পাপই প্রতিমাসে ঋতুস্রাব হিসেবে নিঃসৃত হয় । তাই ঋতুকালীন কোন নারী কর্ত্বক প্রদত্ত খাদ্য ভক্ষণ করা হয় না । কারণ নারী তখন ব্রাহ্মণ হত্যা জনিত পাপের রূপ ধারণ করেন ।

বশিষ্ঠের এসব শরীরবিদ্যা বিরোধী গাঁজাখোড়ি কথা । আর বিজ্ঞান এসব ধর্মের কথাকে বারবার মিথ্যা প্রমান করেছে । ধর্ম নারীকে ঘৃণা করে ।ধর্ম নারীকে প্রতারক ভাবে । আর আজ সেই নারী রক্ষা করছেন ধর্ম । নারীর হাতে এই চক্রান্তকারী পুরোহিতরা তুলে দিয়েছে  নানা ব্রত ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন