লেখার ডাগর মাঠ


বুধবার, অক্টোবর ৩১

আসুন হিসেবটা মিলিয়ে নিই

#ধর্ম

বশিষ্ঠ ধর্মশাস্ত্র এবং মনু সংহিতায় জাতপাতের প্রথা ও ভেদাভেদকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দেওয়া হয় এবং জাতিভেদ অনুযায়ী মানুষের পেশাকেও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় । বশিষ্ঠ ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ীঃ-

১) জাত ( বর্ণ ) চার প্রকার , ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র ।
২ ) তিনটি জাত ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের বলা হয় দ্বিজ ।
৩ ) তাদের প্রথম জন্ম হয় তাদের মাতার দ্বারা , দ্বিতীয় জন্ম হয় পবিত্র সূত্রের দ্বারা তার অভিষেকের পর...

বশিষ্ঠের বিধান অনুযায়ী  প্রথম তিন বর্ণের পৈতা ধারণ করার অধিকার আছে , শূদ্রদের নেই ।

মনু তাঁর বিধানে এই চার জাতের মানুষের পেশা জন্মগতভাবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন : মনু সংহিতা অনুযায়ীঃ~
‘ ৮৮ ’ ব্রাহ্মণদের জন্য তিনি ( অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা-লেখক ) নির্দিষ্ট করেন শিক্ষা প্রদান এবং অধ্যায়ন ( বেদ ) , নিজের ও অপরের মঙ্গলের জন্য যাগ-যজ্ঞাদি পরিচালনা করা , ( ভিক্ষা ) প্রদান ও ভিক্ষা গ্রহন করা ।

‘ ৮৯’ ক্ষত্রিয়কে তিনি আদেশ করেন জনগণকে রক্ষার জন্য, উপহার প্রদান করার জন্য , যাগ-যজ্ঞাদি অনুষ্ঠান করা , অধ্যায়ন করা ( বেদ ) , এবং ইন্দ্রিয় সুখভোগ থেকে বিরত থাকবার জন্য ।

‘৯০’ বৈশ্যকে আদেশ করেন পশুপালন করা উপহার প্রদান করা , যাগ-যজ্ঞাদি করা , অধ্যায়ন করা ( বেদ ) , ব্যবসা করা , অর্থ ঋণ দেওয়া এবং কৃষিকার্যে লিপ্ত হওয়ার জন্য ।

‘৯১’ শূদ্রদের জন্য সৃষ্টিকর্তা একটিই পেশা সুনির্দিষ্ট করেছেন , তা হলো অপর তিন জাতিকে নীরবে সেবা করা ।

মনু এখানেই ক্ষান্ত হননি । তিনি ব্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং শূদ্রদের নীচত্ব পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠা জন্যও কতকগুলি বিধান দিয়ে গেছেন । ব্রাহ্মণদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘৯৮’ একজন ব্রাহ্মণের জন্মই হলো পবিত্র শাস্ত্রের চিরন্তন মুর্ততা , কারণ তাঁর জন্ম হয় পবিত্র শাস্ত্রের পরিপূর্ণতার জন্য এবং তিনি যান ব্রাহ্মণের সঙ্গে একাত্ব ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন