লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, অক্টোবর ২৯

চাকা

চাকা
দেবজ্যোতিকাজল



বাংলা কবিরা গরীব হয় বলেই জানি 
তাই নতুন করে স্বপ্ন দেখা হয় নি ।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বাদ নেওয়া হয়নি মানুষের
সহজ পাচ্য খাবারে আপস করেনি পেট
ক্ষুধার  ইতিহাস শ্বাস নিয়েছে বারবার জানলা দিয়ে আসা আলোর ফুরুৎ ।

চাকার সময়ে ,পালক খসে পড়ে
পাখির গলা থেকে । বুঝতে পারি
চলে যেতে হবে
থেমে যেতে হবে
আইসক্রিমের গলা-পচা রসে ,
ভালবাসা যতটা পেলাম-
কলঙ্ক হয়ে ,পকেটে রয়ে গেল,
তার দু চার ফোঁটা 
কালি হয়ে বয়ে গেল কাব্যগ্রন্থে । ও
স্বপ্ননীল কভার পেজের প্রচ্ছদে ;
কখনও আবার
বাগনের অচেনা নাকফুল হয়ে ।

তাই আর ছুটাছুটি করি নে
চেষ্টা নেই বাঁচার স্বভাবগত ,
অনেক সম্ভাবনা কে 
কাগজের মত ছিঁড়েছি উড়িয়ে
ঠিকানা বা চিঠি মত ,
ছেঁড়া কাগজগুলো,কাগজ ছিল না
ছিল আমার  সুখ-দুঃখের 
নাবালক হৃদয় ।

একটা অসম্ভব অপ্রত্যক্ষ ধিক্কার
আপন সততায় মরা আলো হয় ,
ছায়ার দেয়ালে গতর ব্যথা যুদ্ধে নাচে
কত কাল হলো অভ্যস্ত সে সৈনিক আমি         আজও দাঁড়িয়ে মাঠে পেশীর শক্তি খুঁজি।

বয়সের সাথে সাথে
আমি যেনো আরও ক্ষ্যাপামী
ভালবাসা আর যুদ্ধ
এই প্রথম দেখলাম সন্ধি করতে ।
ভুল বোঝাবুঝি এ সংসার
              অবিবাহিত বয়ে গেল ।
তবুও কে যেনো টানে লাটায়ে
ভাটার মত সাগরের ঐপাড়ে ।

আমি যে শহরটায় জন্মেছিলাম
আমার মায়ের প্রসব ব্যথায় ,
সে শহরটা আজ মরে গেছে
 চোখ থেকে , মাটি থেকে ,
পাহাড়ের এ পাশে আমি
যত চেনা পচা গন্ধ ওপাশে ,

শহরটা  মৃত ,আমার অশ্রুহীন-
দুই পল্লব , গাছের শাখের মত মরা পাতা ,
 শেষ চৈত্রে 
                    আমার উরুর মাংস পেশী                              প্রলাপ বকে । পথ হারিয়ে।


আমার কোন জন্মভূমি নেই 
আমার কোন প্রতিবেশি নেই
আমার কোন চেনা পাখি নেই

আছে একখানা আদিম হাড়ে’র বাঁশি
যার গান শুনে বাংলা বেঁচে আছে
গরীব কবিদের কবিতা অনুকম্পে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন