লেখার ডাগর মাঠ


বুধবার, অক্টোবর ৪

কাশ্মীর ইতিহাস

কাশ্মীরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সম্রাট অশোক শ্রীনগর শহর প্রতিষ্ঠা করেন ।

অশোকের উত্তরাধাকিরী হিসাবে জালুক রাজা হন । কাশ্মীরে রাজধর্ম হিসেবে বৌদ্ধধর্ম প্রসারলাভ করে ।

কুষাণ বংশের রাজাত্বকাল ( 50 থেকে 250 খ্রিস্টাব্দ ) কাশ্মীরে বৌদ্ধধর্মের আরও প্রসার ঘটে ।

খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে কাশ্মীর হুণ দের অধিনে আসে ।

৬২৭ খ্রিস্টাব্দে কার্কোট রাজবংশ প্রতিষ্ঠাতা দুর্লভবর্ধন বিয়ের যৌতুক হিসেবে কাশ্মীর রাজ্য পান । এবং তাঁদের দ্বারা মার্তণ্ড মন্দির-সহ অনেক হিন্দু মন্দির এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে হিন্দু-ধর্মের নবজাগরণের প্রবক্তা শঙ্কারাচার্য কাশ্মীরে হিন্দু ধর্মের প্রচারে আসেন । তারপর থেকে কাশ্মীরে হিন্দুদের মধ্যে শৈবরাই সংখ্যাগুরু ।

বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মের পর মুসলিম ধর্মের আগমন ঘটে । শাহ্ মীর্জা কাশ্মীরের একাংশ দখল করে লোহার বংশের রাজত্বের সূচনা করেন ১৩৩৯ খ্রিস্টাব্দে ।

( ৪৭শে দেশ ভাগের দ্বিজাতি তত্ত্বের মধ্যে কাশ্মীর ছিল না । আব্দুল্লা দ্বিজাতি তত্ত্বের বিরোধী ছিলেন ।)
এখন কথা হচ্ছে :

-----------------------------------------------
কাশ্মীর নিয়ে স্থায়ী সমাধানের বর্তমান উপায় তিনটি :

এক : দুই দেশের দখলে থাকা কাশ্মীর অংশ কে সেই দেশেরই অংশ বলে মেনে নেওয়া ।

দুই : দু-দেশের দখলে থাকা কাশ্মীরবাসিরাই ঠিক করুক তাদের ভবিষ্যৎ । তারা স্বাধীন থাকবে , অথবা ভারত বা পাকিস্তানের রাজ্যবাসী হিসেবে থাকবে । তা সে স্বায়ত্তশাসন নিয়ে হোক , কী রাজ্য হিসেবেই হোক ।

তিন : কাশ্মীরবাসীদের স্বাধীনতার দাবি মেনে নেওয়া ।

তা না হলে দু-দেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । আর এই দু-দখলদারি দেশ কাশ্মীরিদের  ছলেবলে পরাধীন করে রেখেছে । কেননা , কাশ্মীরি সমাধান কখনই জঙ্গীবাদের মধ্যে সমাধান হতে পারে না ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন