লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, অক্টোবর ৬

আধুনিক হিন্দু

আধুনিক হিন্দু :

বড্ড গোল-মেলে লাগে । বোঝনই যায় না , কোনটা এদের কাছে সঠিক । স্বর্গ সুখ কি এরা বিশ্বাস করে ? নাকি বংশানুক্রমে অভ্যস্ত হয়ে এসব করছে । গতকাল লক্ষ্মী পুজো গিয়েছে । যারা টিভিতে স্নো-পাউডার মেখে এসে সেক্যুলার গিরি দেখায় । তাদের অনেকের বাড়িতেই দেখলাম টিভিতে লক্ষ্মী পুজো হতে । টিভির পর্দাটা কি তবে মুখোশ নাকি বাজার গরম করতে টিভির সামনে বসেন ? জানি না , 500 কিলোমিটার দূর থেকে সব সত্য জানারও কথা না । কাছে থাকলে না হয় জিজ্ঞেস করে জেনে নিতাম । তার আর উপায় নেই । আবার দেখি , যে মেয়েটা নারী স্বাধীনতা বলে শ্লোগান দিচ্ছেন । সেই মেয়েটাও ধর্ম নিয়ে মাখা-মাখি করছে । আরে বাবা , ধর্ম মানার আগে ধর্ম বইগুলো পড়ো কেনো তোমরা সামাজিক ও মানুষ হবার অধিকার হারিয়েছিলে । সারা ভারতের ধর্মশালায় দেখবেন মেয়েরাই এক নম্বরে আছে । ওদের এই আচরণ দেখে মনে হয় ধর্ম রক্ষা করার জন্যই বোধহয় ওদের জন্ম হয়েছে । যে ধর্ম মেয়েদের অধিকার হরণ করেছে । সেই মেয়েরাই ধর্মশালাগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে । বড়ই অদ্ভূদ লাগে । শিক্ষিত সমাজের ধর্মীয় আচার-আচরণ দেখলে ।

আধুনিক হিন্দু :

বড্ড গোল-মেলে লাগে । বোঝনই যায় না , কোনটা এদের কাছে সঠিক । নাস্তিক্যবাদ না আস্তিক্যবাদ ? নাকি স্বর্গ সুখকেই এরা বিশ্বাস করে ? নাকি বংশানুক্রমে অভ্যস্ত হয়ে এসব করছে । গতকাল লক্ষ্মী পুজো গিয়েছে । যারা টিভিতে স্নো-পাউডার মেখে এসে সেক্যুলার গিরি দেখায় । তাদের অনেকের বাড়িতেই দেখলাম টিভিতে লক্ষ্মী পুজো হতে । টিভির পর্দাটা কি তবে মুখোশ নাকি বাজার গরম করতে টিভির সামনে বসেন ? জানি না , 500 কিলোমিটার দূর থেকে সব সত্য জানারও কথা না । কাছে থাকলে না হয় জিজ্ঞেস করে জেনে নিতাম । তার আর উপায় নেই । আবার দেখি , যে মেয়েটা নারী স্বাধীনতা বলে শ্লোগান দিচ্ছেন । সেই মেয়েটাও ধর্ম নিয়ে মাখা-মাখি করছে । আরে বাবা , ধর্ম মানার আগে ধর্ম বইগুলো পড়ো কেনো তোমরা সামাজিক ও মানুষ হবার অধিকার হারিয়েছিলে । তার বিস্তারিত জানো , তারপর না হয় এই মাখা-মাখিটা করো । তা না , উঠল বায় কটক যায় -গোছের স্বভাব আচরণে কি-আর নারী স্বাধীনতা পাওয়া যায় ।? যায় না । পুরুষের দেহ থেকেই না-কি নারীর জন্ম । ধর্মপুস্তকগুলো তো তাই বলে । তাও আবার পুরুষের একাকীত্ত নিরাময়ের জন্য । পুরুষটা পৃথিবীতে এসে বড্ড একাকীত্ত অনুভব করল । তখন নাকি তার দেহ থেকেই তৈরি করল স্ত্রীলোক । আর সেই পুরুষ কি করে  দেয় নারী স্বাধীনতা ?

আজকাল পেপার খুললেই চোখের সামনে ভেসে উঠে । মেয়ে চাকুরী করতেন । গায়ের রং কালো হবার জন্য বিবাহ ভেঙে গেল । তারপর মেয়েটি আত্মঘাতি । কত চাকুরীওয়ালা মেয়ে ধর্মকে অনুগত করায় স্বামীর অত্যাচার সহ্য করেও স্বামীর ঘর করছেন । তিনি যে চাকুরি করেন তবে কি তিনি বেমালুম ভুলে যান ? না , স্রেফ এটি ধর্মের কারণে ধর্য্য ও সহ্য শক্তি অর্জন করেন । পতি পরম গুরু । স্বামী মনে প্রভু । আর স্ত্রী হচ্ছেন ভৃত্য । তাই ধর্য্য সহকারে স্বামীর সংসারে মুখ বন্ধ করে সব অত্যাচার মেনে নেন । তারপর যখন অত্যাচার চরম আকার ধারণ করে । মেয়েটি দিক ভুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ।  এই হচ্ছে ধর্ম মানা শিক্ষিত মেয়েদের জীবন করচা ।

সারা ভারতের ধর্মশালায় যাবেন , দেখবেন মেয়েরাই এক নম্বরে আছে । ওদের এই আচরণ দেখে মনে হয় ধর্ম রক্ষা করার জন্যই বোধহয় ওদের জন্ম হয়েছে ।  যে ধর্ম মেয়েদের অধিকার হরণ করেছে এক সময় । তাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ ছিল ধর্মীয় শাস্ত্রে ।আর আজ ,  সেই মেয়েরাই ধর্মশালাগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে । বড়ই অদ্ভূদ লাগে । এই শিক্ষিত সমাজের ধর্মীয় আচার-আচরণ দেখলে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন