লেখার ডাগর মাঠ


বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১১

বাংলাদেশের জন্য ইন্দ্রাগান্ধী কে অপমান হতে হয়েছিল

৪ নভেম্বর ১৯৭১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আমেরিকার  প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে বৈঠক করেন।ওই বৈঠকে ইন্দিরা গান্ধী মন্তব্য করেন,এই বিশাল ট্র‍্যাজেডির বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিতান্তই নগন্য। নিক্সনের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।রাজনৈতিক সমাধান বলতে ইন্দিরা গান্ধী বোঝাতে চেয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি।নিক্সন জোর দিয়ে বলেন,অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি ও উভয় দেশের  সৈন্যদের সীমান্ত থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পরিস্কার ভাবে বলেন,পুর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান একত্রে থাকার আর কোনো অবকাশ নেই।৫ নভেম্বর নিক্সন পাশের ঘরে কিসঞ্জারের সঙ্গে আলাপকালে বলেন,ওই বুড়ি ডাইনিকে আমরা মাত্রাতিরিক্ত প্রশ্রয় দিয়েছি এবং ইন্দিরা গান্ধী কে তিনি কুক্কুরী বলে গালাগালি করতে থাকেন।তিনি ইন্দিরা গান্ধী কে অবহেলা করার জন্য নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর নিক্সন আলোচনায় বসেন।আলোচনা ভেঙ্গে যায়।ইন্দিরা গান্ধীকে সতর্ক করে নিক্সন বলেন,সামরিক ব্যবস্থা কারও  জন্য ভালো হবেনা। এর জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন,তিন--চার হাজার মাইল দূর থেকে শুধু বর্ণগৌরবে কোনো দেশ ভারতকে তাদের ইচ্ছামতো আদেশ দেওয়ার ক্ষমতার দিন শেষ হয়ে গেছে।
ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালীর জন্য কী অবদান রেখেছেন, তা বলার অবকাশ রাখে না। আমরা গর্বিত এমন বন্ধু রাষ্ট্র আমাদের সাথে ছিল এবং আগামী তেও থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন