লেখার ডাগর মাঠ


সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৩

দুঃখ চাপা পড়ক আনন্দে

তোমার সাথে দূরত্ব থাক , একটি নতুন ঋতু
বসন্ত থাক বসন্ত সমকামী নরম নরম শৈশব
তোমার নিষিদ্ধ ফাগুন ছুটে আসুক রাজসাক্ষী হয়ে
বিপজ্জনক নীরবতায় বর্ণাশুদ্ধি সংজ্ঞা শব্দ নিয়ে ।

আমার ত্বক ছুঁয়ে সূর্য , তোমার ফাগুন বিদ্বেষ
বসন্ত বিন্দু বিন্দু বুকের মধ্যে সূর্য বোধ গুড়ো ।

শরীরে লিখছি তৃপ্ত কবিতা শ্বাস
ত্বকেও কিছুটা লুকিয়েছি পর্নোগ্রাফি নগ্নতা ।

তুমি যে শরীরটা উপহার দিয়েছিলে
তার বাম স্তনে আমার আকাশ ঠোঁট
                    তরুণ পাখি হয়ে ওড়ে ।

তুমি তো জানতে ! জানতে না !!
তুমি আমার একমাত্র গন্তব্য
দীর্ঘ সময়ের দীঘল অপেক্ষা ।

আমার বাড়ির প্রতিটা প্রাচীর , উঠোন-
নিশ্চুপ হয়েছিল ঠাণ্ডা শরীরে পাতন অন্ধকারে
পেতে তোমার অন্তিম বসন্ত এসরাজ পলাশ।

আবার এসেছে । দেখ ? অশ্রু আলো বসন্ত
চোখের উপর নরম রং-মেঘ ধূপ ছিটিয়ে ।
বার বার যেমনটি আসে । হলুদ শান্ত তরল রোদে ।
তোমার দরিদ্র যুবকটির বস্তাপচা স্বপ্ন নিয়ে ।

তোমার বসন্ত ! আমার বাসন্তী ফাল্গুন !
সংগ্রহ করছে তৈরি ভুলের জলন্ত শরীর ।

বসন্ত পশ্চিমে ! আলতো সন্মোহিত প্রস্থান-
অলস্য আনন্দ ছেড়ে পালিয়ে যেতে ডাকাত

অচিহ্নিত বিস্মৃতিতে যে রং অনুপস্থিত
তার কাছে বসন্ত আর ফাগুন
দুই প্রতিশব্দে জীবনব্যাপী বিসর্জন ।

              

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন