লেখার ডাগর মাঠ


বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৭

আমার অসুস্থ জীবন

দে ব জ্যো তি কা জ ল
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আমার অসুস্থ জীবন । তখন 1984 সাল । সবে আমি নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন-টপ্ন দেখতে শুরু করেছি । ভীষণ ইচ্ছা ছিল বড়ো আটিস্ট হবো । কিন্তু স্বপ্নটা স্বপ্নই রয়ে গেলো । জয়নাল আবেদীন আর্ট কলেজে ভর্তির ফাইনালটাও হয়ে গিয়েছিল ।  আমার আঁকা জোঁকা নিয়ে কখনই মাথা ব্যথা ছিল না । আমার মেজ দা ভাল আঁকতেন । একটা তুলিওয়ালা রংয়ের বাক্স ছিল । মেজ দা আঁকত । আমি দেখতাম । আমার বেশ মনে আছে । রাশিয়ায় একবার দাদা কি সব এঁকে পাঠিয়েছিলেন । শুধু এটুকুই মনে আছে । তারপর কি হয়েছিল তা আর মনে নাই । মেজ দা বলতে পারবেন হয় তো পরের ঘটনাটা । মেজ দা বারো ক্লাস শেষ করে বাড়ি ছাড়লেন । তার সব কিছু আমার হাতে চলে এলো । আমার বেশ মনে আছে । গোপাল ভাঁড়ের হাঁড়ি হাতে নেওয়া ছবিটা প্রথম এঁকেছিলাম । তারপর রবি ঠাকুরের । ছবি দুটো যেই দেখত সেই ভাল বলত । সেখান থেকে ছবি আঁকার ঝোকটা বেরে গেল । তারমধ্যে মেজ দার রঙের বক্স , পেনসিল ও তুলির প্রতি , আমার এক্কোছত্র ব্যবহারের সুযোগটাই আরও প্রেরণা দিত আমাকে ছবি আঁকতে । সারাদিন ছবি আঁকতাম । অঙ্ক খাতায় অঙ্ক না করে ছবি আঁকতাম ।

যাই হোক । যে কথা বলছিলাম । আমার অসুস্থ জীবন । সে দিনগুলো মনে পড়লে ভীষণ কষ্ট পাই । কত রকম কষ্ট আর ব্যথাময় জীবন । আমি যেনো আর আমি ছিলাম না । কিছু করার ছিল না । অসুখ আর জীবন । এই দুজনের মধ্যে টাগোফায়ার বেধে গেলো । অসহ্য যন্ত্রণায় আমি বিষের পেয়ালা হয়ে গেলাম । বিছায় শুয়ে শুয়ে খাওয়া । বিছানাতেই পলিথীন পেতে স্নান করা । হাগু-মুতু সব বিছানায় ।

সময় কাটত না । স্বপ্ন ভংগ্নের জ্বালাটাও যোগ নিত দৈহিক জ্বালার সঙ্গে । আমার মা সব সময় আমার সাথে লেগে থাকত । সংসার আর আমাকে নিয়ে তিনিও ছিলেন জের-বার । বাবাও হেল্প করত মাঝে মাঝে মাকে । ঠাকুর মা মারা যাবার পর । সংসারে মহিলা বলতে একমাত্র মা । বোনেরা ছিল ছোট । এক বোন বাড়িতে থাকত না । মামার বাড়ি থাকত । তাই মাও এক সময় ধর্য্য হারিয়ে ফেললেন । কিন্তু ঐ যে পালাবার পথ নেই । দায়িতঅব আর কর্তব্যের কাছে ।
আমাকে নিয়ে তাঁরা দুজনই একটা বীভিষিকায় পড়ে গেলেন । সঠিক চিন্তা ভাবনায় পৌঁছাইতে পারতেন না । মানে আমি চিকিৎসার কথা বলছিলাম ।

চিকিৎসা বলতে ছিল , ঝাড় ফুঁক , তুঁক তাক , কবিরাজ , সন্ন্যাসী । ওঝা ছিল এই চিকিৎসা মেনুতে । বাবা যাকে পেতো তা কেই ধরে নিয়ে আসত । আমার চিকিৎসার জন্য । কখনও কবিরাজ । কখনো ওঝা । কখনও আবার সন্ন্যাসী ।  তাঁরা ধর্মভীরু ছিলেন । ঈশ্বর কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন । ঈশ্বরের প্রতি এতই বিশ্বাসী ছিলেন । এখন মনে হয় , ঈশ্বর নামে যদি কেউ থাকতেন তবে বাবাকে বিফল করতেন না । বাবার মৃত্যুটাও আমাকে কষ্ট দেয় । সে যে পরের বাড়িতে মরবেন । এটা মনে হয় তিনিও কখনও ভাবেন নি । মানুষকে বোধহয় এই সব কষ্টবাদ কে অনুসরণ করেই ভাগ্যবাদ ও কর্মবাদের চিন্তা করতে শিখিয়েছেন । বাবার সেই শেষ মূহুর্তের দিনগুলোর ছবি আমার আজও মনে পড়ে । উত্তর বাহী শ্মশানকে তিনি ভুলতে পারেন নি । আমাকে বলতেন । আমাকে উত্তরবাহী শ্মশানে পোড়াস । তিনার পূর্বপুরুষ নাকি সেখানেই আছেন । কিছু কিছু মানুষ আছেন । তাঁরা সারা জীবন কষ্ট করে যান । আমার বাবা ছিলেন তেমনি একজন মানুষ ।

বাবা একটা কমন কোটেশন বলতেন । “ আমি কারু অন্যায় করি নি । আমার ক্ষতি হবে না । এসব ভগবানের পরীক্ষা ।” আমার অসুখ নিয়ে । বাবা ও মায়ের আত্মবিশ্বাস ছিল আমি এক দিন না একদিন ভাল হবোই । বিশ্বাস তো জ্ঞানের মৃত অংশ । বাবার আত্মবিশ্বাস আর কুসংস্কারমনা বলে বাবাকে তাঁর- ভগবান ভুল পথে নিয়ে গিয়েছেন । নিত্য নতুন কবিরাজ , ওঝা , সন্ন্যাসী দেখতে দেখতে আমিও ক্লান্ত হয়ে যেতাম । তারা আশ্বাস  দিতেন আমি ভাল হয়ে উঠব । তারপর টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দিতেন । এদের পয়সা নেওয়ার কৌশলটাও ছিল অদ্ভূদ । একটা ফর্দি দিয়ে বলতেন , এসব লাগবে । ফর্দিতে যা থাকত তার ফিফ্টি % ছিল অপরিচিত । আর তার কারণেই বাবাকে বলত হতো । কত টাকা লাগবে আপনি বলুন । আপনি কিনে ঔষদ বানিয়ে দিবেন । বেশ মোটা দাগের একটা এমাউণ্ড নিতেন তারা । এই ভাবেই বাবা এক বছর ঠকেছেন । তারপর মেডিকেল জীবন ।

আমার বাবা-মা কুসংস্কার মনা ছিলেন বলেই ঠকেছেন । কুসংস্কার একধরনের বিশ্বাস । কুসংস্কার মানা মন নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দেওয়ায় । ভাল বা মন্দের বাস্তব জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় । আর সেই কারণেই আমার চিকিৎসা বিভ্রাট হয়েছিল ।

আমার এক পা থেকে যখন দু পায়েই অসুখটা অ্যাটাক করল । তখন আমি বিছানা থেকে একদম উঠতে পারতাম না । কি সব দিন গিয়েছে ভাবলে মনে হয় কেনো বেঁচে আছি । কেনোই বা বেঁচে থাকতে এত লড়াই । আমি কখনই মানসিক বা শারীরিক সুখ বোধ করতে পারি নি । আজও তাই । আত্মবিশ্বাস সম্বল । জীবন মানে ভেবে নিয়েছি কিছু সংখ্যা বা কিছু সময় । একটা সময় অসুস্থ থাকা সত্তেও ভালো থাকতাম । আমার একটা রাস্তা লাগোয়া ঘর ছিল । বন্ধুরা সেই ঘরে আসত । বন্ধুরা যখন আমার ঘরে এসে আড্ডা দিত । এমন বন্ধু প্রীতি কম মানুষের জীবনেই আসে । আমার বন্ধুরা আমার সব রকম অসুবিধায় আমাকে হেল্প করত । সেই ছোট্ট একটা পলেস্টার চটানো ঘর । সকাল সন্ধ্যে বন্ধুদের অনাগোনা । তাস , দাবা আর গল্পের বাহারে কেটে যেত দিন । বুঝতাম না অসুস্থ থাকার কষ্টটা । তারপর ছিল নিজের কিছু শখ পুরনের চেষ্টা । আর্ট , গীটার ও ছোট একটা বইয়ের লাইব্রেরী । এই নিয়েই কাটত সারাবেলা ।  কিন্তু সেটিও বেশিদিন জীবনে থাকল না । তার তাল কেটে গেল। আবার নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লাম । কিছু ভালবাসা আর মাতৃত্ব টানের কষ্টটা ভিতরে নতুন করে জেকে বসল । সারাদিন নিসঙ্গ । ঘর আর ঘর । চোখের সামনে থেকে খোলা আকাশটা হারিয়ে গেল । ছাদ পর্যন্ত দৃষ্টি । স্বপ্ন নেই । ভবিষ্যৎ নেই । ভাল নেই । মন্দ নেই । শুধু ছিল বেঁচে থাকার তাগিদ । কিছু হারালাম । আবার না পাওয়ার মত অল্প কিছু পেলাম ।

আমার অসুস্থ জীবন । তখন 1984 সাল । সবে আমি নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন-টপ্ন দেখতে শুরু করেছি । ভীষণ ইচ্ছা ছিল বড়ো আটিস্ট হবো । কিন্তু স্বপ্নটা স্বপ্নই রয়ে গেলো । জয়নাল আবেদীন আর্ট কলেজে ভর্তির ফাইনালটাও হয়ে গিয়েছিল ।  আমার আঁকা জোঁকা নিয়ে কখনই মাথা ব্যথা ছিল না । আমার মেঝ দা ভাল আঁকতেন । একটা তুলিওয়ালা রংয়ের বাক্স ছিল । মেঝ দা আঁকত । আমি দেখতাম । আমার বেশ মনে আছে । রাশিয়ায় একবার দাদা কি সব এঁকে পাঠিয়েছিলেন । শুধু এটুকুই মনে আছে । তারপর কি হয়েছিল তা আর মনে নাই । মেজ দা বলতে পারবেন হয় তো পরের ঘটনাটা । মেঝ দা বারো ক্লাস শেষ করে বাড়ি ছাড়লেন । তার সব কিছু আমার হাতে চলে এলো । আমার বেশ মনে আছে । গোপাল ভাঁড়ের হাঁড়ি হাতে নেওয়া ছবিটা প্রথম এঁকেছিলাম । তারপর রবি ঠাকুরের । ছবি দুটো যেই দেখত সেই ভাল বলত । সেখান থেকে ছবি আঁকার ঝোকটা বেরে গেল । তারমধ্যে মেঝ দার রঙের বক্স , পেনসিল ও তুলির প্রতি , আমার এক্কোছত্র ব্যবহারের সুযোগটাই আরও প্রেরণা দিত আমাকে ছবি আঁকতে । সারাদিন ছবি আঁকতাম । অঙ্ক খাতায় অঙ্ক না করে ছবি আঁকতাম ।

যাই হোক । যে কথা বলছিলাম । আমার অসুস্থ জীবন । সে দিনগুলো মনে পড়লে ভীষণ কষ্ট পাই । কত রকম কষ্ট আর ব্যথাময় জীবন । আমি যেনো আর আমি ছিলাম না । কিছু করার ছিল না । অসুখ আর জীবন । এই দুজনের মধ্যে টাগোফায়ার বেধে গেলো । অসহ্য যন্ত্রণায় আমি বিষের পেয়ালা হয়ে গেলাম । বিছায় শুয়ে শুয়ে খাওয়া । বিছানাতেই পলিথীন পেতে স্নান করা । হাগু-মুতু সব বিছানায়

সময় কাটত না । স্বপ্ন ভংগ্নের জ্বালাটাও যোগ নিত দৈহিক জ্বালার সঙ্গে । আমার মা সব সময় আমার সাথে লেগে থাকত । সংসার আর আমাকে নিয়ে তিনিও ছিলেন জের-বার । বাবাও হেল্প করত মাঝে মাঝে মাকে । ঠাকুর মা মারা যাবার পর । সংসারে মহিলা বলতে একমাত্র মা । বোনেরা ছিল ছোট । এক বোন বাড়িতে থাকত না । মামার বাড়ি থাকত । তাই মাও এক সময় ধর্য্য হারিয়ে ফেললেন । কিন্তু ঐ যে পালাবার পথ নেই । দায়িতঅব আর কর্তব্যের কাছে ।
আমাকে নিয়ে তাঁরা দুজনই একটা বীভিষিকায় পড়ে গেলেন । সঠিক চিন্তা ভাবনায় পৌঁছাইতে পারতেন না । মানে আমি চিকিৎসার কথা বলছিলাম ।

চিকিৎসা বলতে ছিল , ঝাড় ফুঁক , তুঁক তাক , কবিরাজ , সন্ন্যাসী , ওঝা কি-না ছিল । এই চিকিৎসা মেনুতে । বাবা কোথা থেকে কাকে ধরে নিয়ে আসত । আমার চিকিৎসার জন্য । কখনও কবিরাজ । কখনো ওঝা । কখনও আবার সন্ন্যাসী ।  তাঁরা ধর্মভীরু ছিলেন । ঈশ্বর কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন । ঈশ্বরের প্রতি এতই বিশ্বাসী ছিলেন । এখন মনে হয় , ঈশ্বর নামে যদি কেউ থাকতেন তবে বাবাকে বিফল করতেন না । বাবার মৃত্যুটাও আমাকে কষ্ট দেয় । সে যে পরের বাড়িতে মরবেন । এটা মনে হয় তিনিও কখনও ভাবেন নি । মানুষকে বোধহয় এই সব কষ্টবাদ কে অনুসরণ করেই ভাগ্যবাদ ও কর্মবাদের চিন্তা করতে শিখিয়েছেন । বাবার সেই শেষ মূহুর্তের দিনগুলোর ছবি আমার আজও মনে পড়ে । উত্তর বাহী শ্মশানকে তিনি ভুলতে পারেন নি । আমাকে বলতেন । আমাকে উত্তরবাহী শ্মশানে পোড়াস । তিনার পূর্বপুরুষ নাকি সেখানেই আছেন । কিছু কিছু মানুষ আছেন । তাঁরা সারা জীবন কষ্ট করে যান । আমার বাবা ছিলেন তেমনি একজন মানুষ ।

বাবার একটা কমন কোটেশন বলতেন । “ আমি কারু অন্যায় করি নি । আমার ক্ষতি হবে না । এসব ভগবানের পরীক্ষা ।” আমার অসুখ নিয়ে । বাবা ও মায়ের আত্মবিশ্বাস ছিল আমি এক দিন না একদিন ভাল হবোই । বিশ্বাস তো জ্ঞানের মৃত অংশ । বাবার আত্মবিশ্বাস আর কুসংস্কারমনা বলে বাবাকে তাঁর- ভগবান ভুল পথে নিয়ে গিয়েছেন । নিত্য নতুন কবিরাজ , ওঝা , সন্ন্যাসী দেখতে দেখতে আমিও ক্লান্ত হয়ে যেতাম । তারা আশ্বাস  দিতেন আমি ভাল হয়ে উঠব । তারপর টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দিতেন । এদের পয়সা নেওয়ার কৌশলটাও ছিল অদ্ভূদ । একটা ফর্দি দিয়ে বলতেন , এসব লাগবে । ফর্দিতে যা থাকত তার ফিফ্টি % ছিল অপরিচিত । আর তার কারণেই বাবাকে বলত হতো । কত টাকা লাগবে আপনি বলুন । আপনি কিনে ঔষদ বানিয়ে দিবেন । বেশ মোটা দাগের একটা এমাউণ্ড নিতেন তারা । এই ভাবেই বাবা এক বছর ঠকেছেন । তারপর মেডিকেল জীবন ।

আমার বাবা-মা কুসংস্কার মনা ছিলেন বলেই ঠকেছেন । কুসংস্কার একধরনের বিশ্বাস । কুসংস্কার মানা মন নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দেওয়ায় । ভাল বা মন্দের বাস্তব জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় । আর সেই কারণেই আমার চিকিৎসা বিভ্রাট হয়েছিল ।

আমার এক পা থেকে যখন দু পায়েই অসুখটা অ্যাটাক করল । তখন আমি বিছানা থেকে একদম উঠতে পারতাম না । কি সব দিন গিয়েছে ভাবলে মনে হয় কেনো বেঁচে আছি । কেনোই বা বেঁচে থাকতে এত লড়াই । আমি কখনই মানসিক বা শারীরিক সুখ বোধ করতে পারি নি । আজও তাই । আত্মবিশ্বাস সম্বল । জীবন মানে ভেবে নিয়েছি কিছু সংখ্যা বা কিছু সময় । একটা সময় অসুস্থ থাকা সত্তেও ভালো থাকতাম । আমার একটা রাস্তা লাগোয়া ঘর ছিল । বন্ধুরা সেই ঘরে আসত । বন্ধুরা যখন আমার ঘরে এসে আড্ডা দিত । এমন বন্ধু প্রীতি কম মানুষের জীবনেই আসে । আমার বন্ধুরা আমার সব রকম অসুবিধায় আমাকে হেল্প করত । সেই ছোট্ট একটা পলেস্টার চটানো ঘর । সকাল সন্ধ্যে বন্ধুদের অনাগোনা । তাস , দাবা আর গল্পের বাহারে কেটে যেত দিন । বুঝতাম না অসুস্থ থাকার কষ্টটা । তারপর ছিল নিজের কিছু শখ পুরনের চেষ্টা । আর্ট , গীটার ও ছোট একটা বইয়ের লাইব্রেরী । এই নিয়েই কাটত সারাবেলা ।  কিন্তু সেটিও বেশিদিন জীবনে থাকল না । তার তাল কেটে গেল। আবার নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লাম । কিছু ভালবাসা আর মাতৃত্ব টানের কষ্টটা ভিতরে নতুন করে জেকে বসল । সারাদিন নিসঙ্গ । ঘর আর ঘর । চোখের সামনে থেকে খোলা আকাশটা হারিয়ে গেল । ছাদ পর্যন্ত দৃষ্টি । স্বপ্ন নেই । ভবিষ্যৎ নেই । ভাল নেই । মন্দ নেই । শুধু ছিল বেঁচে থাকার তাগিদ । কিছু হারালাম । আবার না পাওয়ার মত অল্প কিছু পেলাম ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন