লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৯

পুজোর পাঁচালি

পুজোর আনন্দ মূলত মেয়ে-বৌ’রাই করে থাকেন । তারা চেটে-পুটে তার স্বাদ , গন্ধ পরিপূর্ণ ভাবে আস্বাদন করেন । আর ছেলেরা শুধুই সঙ্গে থাকেন । একদম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাদের মত । তাও আবার আনন্দ করার জন্য না । দেহরক্ষী হিসেবে পাছে পাছে থাকেন । আর বাকি অল্প বয়সের ছেলেগুলো ! ওদের দশা আরও খারাপ । মোবাইল আর মেয়েদের পিছে পিছে এগলি ওগলি ঘুরতে ঘুরতে কারু হয়ে যায় ভোর আবার কারু হয়ে যায় জুতোর সুখতলি ক্ষয় । এদের কাজ একটাই ধম্মের ষাঁড়ের মত ঘুরতে ঘুরতে শেষে কুলুর বদল হয়ে বাড়ি ফেরা ।

পুজোর আগে থেকে শেষ অবধি গবেষণা করলে এই চিত্র ধরা পরে । চিত্রটা হলো । ধরুন আপনি কাপড়ের দোকানে যাবেন । কি দেখবেন ! মেয়েদেরই ভিড় বেশি । জুতো কিনতে যাবেন । সেখানেও আপনার চান্স নেই । সেখানেও মেয়েদের ভিড়ে আপনি বেমালুম চোখে শষ্যের ফুল দেখবেন  । কসমেটিকের দোকানে যাবেন । মেয়ে আর মহিলা দিয়ে ভরা । সারা কসমেটিক দোকানটাতে পুরুষদের জন্য স্রেফ দুটো জিনিস থাকে । আর বাদবাকি সব মেয়েদের এক কোমর বেল্ড দুই পারফিউম । না না আর একটা জিনিস থাকে । তাহলো চুল কালো করার রং ।  যাই হোক । দর্জির কাছে যাবেন । মেয়েদের ব্লাউজ আর ফল্স প্যাড় লাগানোর ঠ্যালায় আপনার লাইন নেই । বিউটি পার্লারে যাবেন । আপনার চান্স নেই । সেখানেও দেখবেন, এমন কি ছেলেদের বিউটি পার্লারে ভিড় সামলে মেয়েদের আনাগোনা । খাবারের দোকানে যাবেন । নব্বই জন মেয়ে বসে খাচ্ছে পাশাপাশি দশ জন ছেলে । তাই পুজোর উৎসব মানেই মহিলাদের দাদাগিরি । মহিলাদের উৎসব । ওরা সারা বছরে যত উৎসব আছে সব চেটে পুটে খায় । আর আপনাকে শুধু সময় মত  ছাড়তে হবে মাল কড়ি । আর ভিড় , বাচ্চা ও অন্ধকার রাস্তা সামলাতে আপনি অঙ্গরকছক.........।


পুজোর পাঁচালি
দেবজ্যোতিকাজল

দূর্গা পুজোর আনন্দ মূলত মেয়ে-বৌ’রাই করে থাকেন । তারা চেটে-পুটে তার স্বাদ , গন্ধ পরিপূর্ণ ভাবে আস্বাদন করেন । আর ছেলেরা শুধুই সঙ্গে থাকেন । একদম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাদের মত । তাও আবার আনন্দ করার জন্য না । দেহরক্ষী হিসেবে পাছে পাছে থাকেন । আর বাকি অল্প বয়সের ছেলেগুলো ! ওদের দশা আরও খারাপ । মোবাইল আর মেয়েদের পিছে পিছে এগলি ওগলি ঘুরতে ঘুরতে কারু হয়ে যায় ভোর আবার কারু হয়ে যায় জুতোর সুখতলি ক্ষয় । এদের কাজ একটাই ধম্মের ষাঁড়ের মত ঘুরতে ঘুরতে শেষে কুলুর বদল হয়ে বাড়ি ফেরা ।

পুজোর আগে থেকে শেষ অবধি গবেষণা করলে এই চিত্র ধরা পরে । চিত্রটা হলো । ধরুন আপনি কাপড়ের দোকানে গেছেন । কি দেখবেন ! মেয়েদেরই ভিড় বেশি । জুতো কিনতে যাবেন । সেখানেও আপনার চান্স নেই । সেখানেও মেয়েদের ভিড়ে আপনি বেমালুম চোখে শষ্যের ফুল দেখবেন  । কসমেটিকের দোকানে যাবেন । মেয়ে আর মহিলা দিয়ে ভরা । সারা কসমেটিক দোকানটাতে পুরুষদের জন্য স্রেফ দুটো জিনিস থাকে । আর বাদবাকি সব মেয়েদের এক কোমর বেল্ড দুই পারফিউম । না না আর একটা জিনিস থাকে । তাহলো চুল কালো করার রং ।  যাই হোক । দর্জির কাছে যাবেন । মেয়েদের ব্লাউজ আর ফল্স প্যাড় লাগানোর ঠ্যালায় আপনার লাইন নেই । বিউটি পার্লারে যাবেন । আপনার চান্স নেই । সেখানেও দেখবেন, এমন কি ছেলেদের বিউটি পার্লারে ভিড় সামলে মেয়েদের আনাগোনা । খাবারের দোকানে যাবেন । নব্বই জন মেয়ে বসে খাচ্ছে পাশাপাশি দশ জন ছেলে । তাই পুজোর উৎসব মানেই মহিলাদের দাদাগিরি । মহিলাদের উৎসব । ওরা সারা বছরে যত উৎসব আছে সব চেটে পুটে খায় । আর আপনাকে শুধু সময় মত  ছাড়তে হবে মাল কড়ি । আর ভিড় , বাচ্চা ও অন্ধকার রাস্তা সামলাতে আপনি অঙ্গরকছক.........।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন