লেখার ডাগর মাঠ


সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৫

আমার ছোটবেলার পুজো

চারিদিকে উৎসবের গন্ধ । শহরের মধ্যে ঢুকলেই বিভিন্ন প্যান্ডেলের খুটখাট শব্দ পাচ্ছি । শহর এখন পুজোময় । অলিতে গলিতে , পাড়ায় পাড়ায় পুজোর শেষ টান চলছে । এখন তো আবার থিমের পুজো । সারা পৃথিবীটা চলে আসে পুজো প্যান্ডেলে । কিন্তু আমাদের সময় ? না । আমাদের ছোটবেলায় এসব ছিল না । তবুও সেসব আনন্দ বুকের ভিতর , চোখের ভিতর মমি হয়ে আছে ।

করতোয়া ঘেষা যে শহরটা আমার ছিল । তার নাম ছিল বগুড়া , শেরপুর ।ছোট্ট শহরটাতে ছিল গ্রাম আর শহরের উভয় আমেজ । নদীমুখী দুই পাড় জুড়ে ছিল ক্ষেত আর বাবুদের আম বাগান । পুজোর মুখে বর্ষার শেষ বাতাসে হেলে দুলে কাশফুল ঈশারায় জানান দিত । শরৎ উৎসবের আগমনী সুর । রোদের উত্তাপে টের পেতাম দূর্গা পুজোর আগমনী আনন্দ । বুঝতাম পুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই । তুলোর মত সাদা মেঘ যখন কালো হতো । তখন মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হতো । সঙ্গে ঝড়োহাওয়া আর মেঘের গর্জন থাকত । যখন মেঘ ডাকত আকাশে । আমরা ছোটোরা বলাবলি করতাম , দূর্গা বাপের বাড়ি আসবে বলে মহাদেব দূর্গা কে আসতে দিবেনা , আর তারজন্যই মহাদেব রাগে গর্জন করছেন । পুজোর আগে আকাশে মেঘ গর্জন করলেই এ সব বলতাম । আমরা ছোটরা ।

পুজো আসা মানে , মা-ঠাকুমাদের কাজ ফর্দি তৈরি হওয়া । ঘর ঝাড়া ,  কাপড় কাচা , নাড়ু , মোয়া বানানোর ধুম পড়ে যেত । সে কত রকমের নাড়ু - ক্ষিরের তক্তি , নারকেলের তক্তি , নারকেলের নাড়ু , মূগডালের নাড়ু , তিলের নাড়ু , খৈয়ের মোয়া , চাল ভাজার মোয়া , ভূষার নাড়ু । বাবা বস্তায় করে নারকেল নিয়ে আসত ।  তখনকার দিনে বরিশাল , নোয়াখালি থেকে বড় বড় নৌকা করে নারকেল  বিক্রি করতে নিয়ে আসত বারোদোয়ারী হাটে । বারোদুয়ারী ছিল আমাদের শহরের একমাত্র হাট । করতোয়ার পাড় ঘেষে লাগত সে হাট । আর সেই করতোয়ার পাড়ে সে-সব নৌকা বড় বড় মাস্তুল দিয়ে আটকে রাখত । নৌকায় উঠার জন্য বাঁশের সেঁতু বানিয়ে দিত । এক একটা নৌকা ছিল দেখার মত । বড়োরা বলত ওসব নাকি গহনার নৌকা । সারা শহর ও আশে-পাশের গ্রামের লোক সেখান থেকে নারিকেল কিনত ।

খুব ভাল মনে আছে । হ্যাজাক জ্বালিয়ে পুজো হতো । মন্ডপ সাজানো হতো পাড়ার কাকিমা, জেঠিমা ও ঠাকুমাদের পড়ার কাপড় চেয়ে নিয়ে এসে  । তবুও আনন্দটা ছিল মহামারির মত । পাড়ায় বড়দের মিটিং বসলে বুঝতে পারতাম পুজো হবে । তখন থেকেই চলতো মনের ভিতর পুজোয় কে কি করব ও কে কি নিব । আমাদের সময় এত বাহারি পোশাক-আশাক ছিল না । এত রকমের ফাস্ট ফুডও ছিল না । ছিলো , চপ , পেঁয়েজি ও সিংগাড়া । আমরা ছিলাম মিষ্টি খাওয়ার পোকা । পায়েস , লুচি , বেগুন ভাজা । এ সব ছিল সকালের খাবার । সঙ্গে মুড়ি , মুড়কি ,নাড়ু ও মিষ্টিও থাকত ।

চারিদিকে অন্ধকার তবুও খুশীর ইমেজ ছিল ঝাড়বাতির মত । প্রতিমার কাঠাম কাটা শুরু হলেই । প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে হাতের তালুতে দাঁত মাজার গুড় নিয়ে দেখতে যেতাম প্রতিমার কাজ কতটা হলো । আমাদের পাড়ার প্রতিমা বানানো হতো । মৃগেন দত্তের ঠাকুর দালানে । এই কম্মটা চলত প্রতিমা রং হয়ে যতক্ষন না আসনে উঠত ।  প্রতিমা যখন টিন দিয়ে বানানো মন্ডপে নিয়ে যেতো । সে ছিল এক অদ্ভূত ফ্লিংস । মন্ডপের সামনে ঝুলানো থাকত চটের পাতলা পর্দা । আর চটের পর্দাটা থাকতো চারিদিকের খুটির সাথে বাঁধা । আমরা সেই চট ফাঁক করে উঁকি ঝুকি দিয়ে প্রতিমা দেখতাম । তখন চলত মন্ডব সাজানোর কাজ । বড় দাদারাই সে সব কাজ করত । মন্ডপের ভিতর থেকে বড়রা যখন বলত , কেরে । তখন দৌঁড়ে পালাতাম । এসব কিন্তু আমার একদম ছোটবেলার কথা বলছি । তখন কত বয়স হবে , আট কি দশ ।

এবার আসি মহালয়ার ভোরের কথায় ।  আমাদের একটা রেড়িও ছিল । রেডিওটার নাকি অনেক বয়স । যখন সবে রেডিওর চল শুরু হয় ঠিক সেই সময়কার । মা বলত ,আমাদের পাড়ায় নাকি আমাদের রেড়িও দিয়ে আর দু তিনটা ছিল । সেই রেডিও’র ব্যাটারি চেক করা থেকে সাউন্ড বারানোর জন্য তাঁরগুনা  দিয়ে এনট্রিনা লাগানোর কাজটা আগের দিনেই করে রাখতাম । সারারাত ছটফট করতাম কখন ভোর হবে । কান দুটো সজাগ থাকত কখন মহালয়ার আওয়াজ পাব । কেননা আগের দিনে অনেক মন্ডবেই মাইক লাগিয়ে মহালয়া বাজানোর রেওয়াজ ছিল । রেডিওটা চালু করে ভোর হওয়া অবধি মহালয় শুনতাম । তারপর রাস্তায় বেরিয়ে সোজা ঠাকুর দালানে যেতাম ।  আমার বেশ মনে আছে । মহালয়ের সকালে পাড়ার অনেকেই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ত । পুজোর আনন্দ শুরুটা ছিল মহালয়ার দিন থেকেই । কোন এক রবিবারে আসত পুজোর জামা প্যান্ড জুতো । রোববারের রহস্যটা আর বললাম না । ছোটবেলাটায় রোববারেই আসত প্রতি বছর  আমাদের জামা , জুতো , প্যান্ড । আমরা দুপুর বেলা ঠাকুর দেখতে যেতাম বন্ধুরা মিলে । শুরু হতো পাড়ার ঠাকুর দিয়ে । তারপর ঘোষপাড়ার । তারপর চণ্ডিমন্ডব । তারপরের গল্প আর মনে নেই ।

আমার ছোটবেলার পুজো
---------------------------------
দেবজ্যোতিকাজল

চারিদিকে উৎসবের গন্ধ । শহরের মধ্যে ঢুকলেই বিভিন্ন প্যান্ডেলের খুটখাট শব্দ পাচ্ছি । শহর এখন পুজোময় । অলিতে গলিতে , পাড়ায় পাড়ায় পুজোর শেষ টান চলছে । এখন তো আবার থিমের পুজো । সারা পৃথিবীটা চলে আসে পুজো প্যান্ডেলে । কিন্তু আমাদের সময় ? না । আমাদের ছোটবেলায় এসব ছিল না । তবুও সেসব আনন্দ বুকের ভিতর , চোখের ভিতর মমি হয়ে আছে ।

করতোয়া ঘেষা যে শহরটা আমার ছিল । তার নাম ছিল বগুড়া , শেরপুর ।ছোট্ট শহরটাতে ছিল গ্রাম আর শহরের উভয় আমেজ । নদীমুখী দুই পাড় জুড়ে ছিল ক্ষেত আর বাবুদের আম বাগান । পুজোর মুখে বর্ষার শেষ বাতাসে হেলে দুলে কাশফুল ঈশারায় জানান দিত । শরৎ উৎসবের আগমনী সুর । রোদের উত্তাপে টের পেতাম দূর্গা পুজোর আগমনী আনন্দ । বুঝতাম পুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই । তুলোর মত সাদা মেঘ যখন কালো হতো । তখন মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হতো । সঙ্গে ঝড়োহাওয়া আর মেঘের গর্জন থাকত । যখন মেঘ ডাকত আকাশে । আমরা ছোটোরা বলাবলি করতাম , দূর্গা বাপের বাড়ি আসবে বলে মহাদেব দূর্গা কে আসতে দিবেনা , আর তারজন্যই মহাদেব রাগে গর্জন করছেন । পুজোর আগে আকাশে মেঘ গর্জন করলেই এ সব বলতাম । আমরা ছোটরা ।

পুজো আসা মানে , মা-ঠাকুমাদের কাজের ফর্দি তৈরি হওয়া । ঘর ঝাড়া ,  কাপড় কাচা , নাড়ু , মোয়া বানানোর ধুম পড়ে যেতো । সে যে কত রকমের নাড়ু - ক্ষিরের তক্তি , নারকেলের তক্তি , নারকেলের নাড়ু , মূগডালের ভূষা  নাড়ু , তিলের নাড়ু , খৈয়ের নাড়ু , চাল ভাজার মোয়া , চিরা ভাজার নাড়ু ও ভূষার নাড়ু । বাবা বস্তায় করে নারকেল নিয়ে আসত । মা ঠাকুমারা খৈ বাড়িতেই ভাজত । খৈ দিয়ে তৈরি করতো মুড়কি । তখনকার দিনে বরিশাল , নোয়াখালি থেকে বড় বড় নৌকা করে নারকেল  বিক্রি করতে নিয়ে আসত বারোদোয়ারী হাটে । বারোদুয়ারী ছিল আমাদের শহরের একমাত্র হাট । করতোয়ার পাড় ঘেষে লাগত সে হাট । আর সেই করতোয়ার পাড়ে সে-সব নৌকা বড় বড় নোংগর দিয়ে আটকে রাখত । নৌকায় উঠার জন্য বাঁশের সেঁতু বানিয়ে দিত । এক একটা নৌকা ছিল দেখার মত । বড়োরা বলত ওসব নাকি গহনার নৌকা । সারা শহর ও আশে-পাশের গ্রামের লোক সেখান থেকে নারিকেল কিনত ।

খুব ভাল মনে আছে । হ্যাজাক জ্বালিয়ে পুজো হতো । মন্ডপ সাজানো হতো পাড়ার কাকিমা, জেঠিমা ও ঠাকুমাদের পড়ার কাপড় চেয়ে নিয়ে এসে  । তবুও আনন্দটা ছিল মহামারির মত । পাড়ায় বড়দের মিটিং বসলে বুঝতে পারতাম পুজো হবে । তখন থেকেই চলতো মনের ভিতর পুজোয় কে কি করব ও কে কি নিব । আমাদের সময় এত বাহারি পোশাক-আশাক ছিল না । এত রকমের ফাস্ট ফুডও ছিল না । ছিলো , চপ , পেঁয়েজি ও সিংগাড়া । আমরা ছিলাম মিষ্টি খাওয়ার পোকা । পায়েস , লুচি , বেগুন ভাজা । এ সব ছিল সকালের খাবার । সঙ্গে মুড়ি , মুড়কি ,নাড়ু ও মিষ্টিও থাকত ।

চারিদিকে অন্ধকার তবুও খুশীর ইমেজ ছিল ঝাড়বাতির মত । প্রতিমার কাঠাম কাটা শুরু হলেই । প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে হাতের তালুতে দাঁত মাজার গুড় নিয়ে দেখতে যেতাম প্রতিমার কাজ কতটা হলো । আমাদের পাড়ার প্রতিমা বানানো হতো । মৃগেন দত্তের ঠাকুর দালানে । এই কম্মটা চলত প্রতিমা রং হয়ে যতক্ষন না আসনে উঠত ।  প্রতিমা যখন টিন দিয়ে বানানো মন্ডপে নিয়ে যেতো । সে ছিল এক অদ্ভূত ফ্লিংস । মন্ডপের সামনে ঝুলানো থাকত চটের পাতলা পর্দা । আর চটের পর্দাটা থাকতো চারিদিকের খুটির সাথে বাঁধা । আমরা সেই চট ফাঁক করে উঁকি ঝুকি দিয়ে প্রতিমা দেখতাম । তখন চলজ মন্ডব সাজানোর কাজ । বড় দাদারাই সে সব কাজ করত । মন্ডপের ভিতর থেকে বড়রা যখন বলত , কেরে । তখন দৌঁড়ে পালাতাম । এসব কিন্তু আমার একদম ছোটবেলার কথা বলছি । তখন কত বয়স হবে , আট কি দশ ।

এবার আসি মহালয়ার ভোরের কথায় ।  আমাদের একটা রেড়িও ছিল । রেডিওটার নাকি অনেক বয়স । যখন সবে রেডিওর চল শুরু হয় ঠিক সেই সময়কার । মা বলত ,আমাদের পাড়ায় নাকি আমাদের রেড়িও দিয়ে আরও দু তিনটা ছিল । সেই রেডিও’র ব্যাটারি চেক করা থেকে সাউন্ড বারানোর জন্য তাঁরগুনা  দিয়ে এনট্রিনা লাগানোর কাজটা আগের দিনেই করে রাখতাম । সারারাত ছটফট করতাম কখন ভোর হবে । কান দুটো সজাগ থাকত কখন মহালয়ার আওয়াজ পাব । কেননা আগের দিনে অনেক মন্ডবেই মাইক লাগিয়ে মহালয়া বাজানোর রেওয়াজ ছিল । রেডিওটা চালু করে ভোর হওয়া অবধি মহালয় শুনতাম । তারপর রাস্তায় বেরিয়ে সোজা ঠাকুর দালানে যেতাম ।  আমার বেশ মনে আছে । মহালয়ের সকালে পাড়ার অনেকেই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ত । প্রাতঃভ্রমনও হত সঙ্গে মহালয় শুনার পর্বটাও চলত । প্রত্যেক বাড়ির ভিতর থেকে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের দরাজ কন্ঠের মহালয়া ভেসে আসত ।  পুজোর আনন্দ শুরুটা হতো মহালয়ার দিন থেকেই ।

মহালয়া আসা মানেই পুজোর পোশাক ।  কোন এক রবিবারে চলে আসত পুজোর জামা প্যান্ড জুতো । রোববারের রহস্যটা আর বললাম না । ছোটবেলাটায় রোববারেই আসত প্রতি বছরের পুজোর জামা , জুতো , প্যান্ড । আমরা দুপুর বেলা ঠাকুর দেখতে যেতাম বন্ধুরা মিলে । শুরু হতো পাড়ার ঠাকুর দিয়ে । তারপর ঘোষপাড়ার । তারপর চণ্ডিমন্ডপ । তারপরের গল্পটা আর মনে নেই ।

এবার আসব বিজয় দশমীর কথায় । চারিদিকে বিষাদের একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি হত । ঠিক বুঝতে পারতাম পূজোর আজ থেকে শেষ । সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখতাম বাবা দাঁড়িপাল্লা ও বাটকারা ধুয়ে তাতে সিঁদুর দিতে । মা অথবা ঠাকুরমাকে দেখতাম যাত্রার থালা সাজাতে । যাত্রার থালায় থাকত পুঁটি মাছ , দাঁড়িপাল্লা-বাটকারা , গাছ কৌটে , পুরোনো দিনের কাঁচা টাকা , আমের পল্লব সহ ঘট , বই ও বিভিন্ন মসলা । আর থালার মাঝে জ্বলত তেল প্রদীপ । বিজয় দশমী মানেই যে বিষাদ ছিল । তা কিন্তু একদম না । বিকেল না হওয়া অবধি বোঝা যেতো না বিজয় দশমীর আনন্দটা কতটা মধুর । সেই করতোয়ার পরিচিত রূপ অন্য এক করতোয়ায় সাজত । বাবা আর ভূপেন জেঠু মিলে নৌক ভাড়া করত । সেই নৌকতে থাকত আমাদের দুটি পরিবারের সবাই । সারা শহরের প্রতিমা শ্মশান ঘাট পেরিয়ে বারোদুয়ারীর ঘাটে গিয়ে নৌকায় প্রজিশন হতো । ছোট খাটো নদীর পাড়ে মেলাও বসত । নদী সেদিন মহা মিলনের আনন্দ ধাম হয়ে সেজে উঠত । সন্ধ্যে লাগার আগেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া শুরু হতো । আগে মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হতো । তারপর শুরু হতো বারোয়ারী প্রতিমা । শ’য়ে শ’য়ে নৌকা ভাসত সেদিন নদীটির বুকে । ঢাক আর মাইকের আওয়াজে নদী’র জল কেঁপে উঠত । শত শত হ্যাজাকের আলোতে সে এক দেখবার মত দৃশ্য । সব শেষে যখন বাড়ি ফিরতাম । তখন মনটা ভার হয়ে আসত । বাড়ি ফিরে হাত-পা ধূয়ে আগে ঠাকুর ঘরে যেতে হতো । কেননা আমাদের নিয়ম ছিল যাত্রার থালা দেখে । তারপর সবাইকে প্রনাম করে তারপর ঘরে প্রবেশ ।ঠাকুরমা ততক্ষণে প্লেটে করে বিভিন্ন রকমের নাড়ু , তক্তি ও মিষ্টি দিয়ে আমাদের হাতে হাতে দিত । এখানে থেকেই শুরু হতো দূর্গাউৎসবের শেষ টানের নতুন পর্ব । সকাল হলেই চলত প্রনাম আর কোলাকোলি । একদম শেষ হত বিজয়ার চিঠি লেখার পর্ব দিয়ে । এই চিঠির পর্বটা চলত কালী পুজো অবধি ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন