লেখার ডাগর মাঠ


রবিবার, জুলাই ১৬

বৃষ্টির উপকথা

বৃষ্টি উপকথা
দেবজ্যোতিকাজল

এখনি বৃষ্টি আসবে, একদম বেপরোয়া।

ভেসে যাবে বিবেকানন্দ রোড,
আষাঢ় গর্ভপাত মাতৃযন্ত্রণার মত,
কুকুর ভেজা বর্ষাতি আর থুবড়ীর মত।

জলের সেলফিতে দেখা যাবে ঈশ্বর ,
ঈশ্বর বড় নির্দয়,
আপন শক্তিহীন শ্রেষ্ঠ-
শূদ্র-গরিব লোক কাঁদে,
আপনার অর্জুন বিধবা পরিজনের মত
ঈশ্বর তবুও জলের সেলফিতে
গরীবের চোখ খোঁজে,
দুর্বলতা দেখে মুচকি হাসেন ।

যুবতি এসেছে-
পায়ের কব্জি ডোবা জলে দাঁড়ায়ি
অপেক্ষা করে আছে,
সে আসবে, পার্কে যাবে
পর্দা ফেলা রেস্টুডেন্টে লাঞ্চ শেষে
শক্ত হবে প্রতীক্ষা।

বৃষ্টি মাতাল হবে, নিংড়ে নিবে শরীর।

ঐ যে একজন তাকিয়ে আছে-
আড় চোখে, দ্বিতীয় বারের মত
মেয়েটিকে দেখছে-
যুবকটি তার চোখে হারায়।

মেঘে মেঘে দাঙ্গা বাঁধে
বুকের কাছে লালিত তৃষিতরক্ত বেরয় ,
যুবকটির অসভ্য নির্লজ্জ শার্টের বোতামে রক্ত দাগ।

বৃষ্টি আসে, বৃষ্টি যায়, রক্ত মুছে না।

বিবেকানন্দ রোড, অসভ্য বৃষ্টি উলঙ্গ হয়
পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষিত মেয়েটির
আত্মনাদ মেঘের সেলফিতে ।

বেশ্যাদের গলিতেও বৃষ্টি পড়ে,
তাতে বেশ্যাদের গা ঘামে,
প্রসাদনির কড়া গন্ধে
মেয়েটি প্রতীক্ষা করে
বর্ষায় ভেজা জুঁই সাদা মেঘে
কতটা বৃষ্টি হলে সে আসবে
বুঝতে পারে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন