লেখার ডাগর মাঠ


সোমবার, জুলাই ৩

পিঙ্গল দিন-রাত্রি

এক

এক মূহুর্ত , দুই মূহুর্ত , এভাবে চ’লে হাজার বছর ।

গোছানো দিনের পর , বহু দিন
অনাবাদী মেঘ ছিল , মত্ত রোদ ছিল
জল থেকে নেমে আসা ছায়া ছিল
একাকী পান্থ নদী ছিল, ছাতলা কূল ছিল
অভীক গাছ ছিল , কুমারী পাতা ছিল
চুড়ির শব্দ ছিল , বসন্ত চোখ ছিল ।

ছিল না শুধু নতুন ছলাকলার পরাহত নির্ণয় ;
অসীম শূন্যের মাঝমাঝি । মেদহীন অনুভূতি ।
শুরু থেকে দূরত্বের শেষ সিঁড়ির গন্তব্যে....

দুই

তারপর একদিন , ভিজে যায় পিঙ্গল রোদে ।

বুকের মধ্যে যারা ছিল , মস্তিস্ক ধরে টানে বেখাপ্পে ।
বিবর্ণ ইচ্ছেরা মদের গ্লাসে বিরহ ঢালে ।
সিগারেটের ধোঁয়া , চা , খৈনী , পান মশলায়
নিস্তব্ধতা ভেঙে দেয় নৈকট্যের মোহ ।

আমি বুড়ো আরশিতে মুখ দেখে কাঁদি
মুখের ভাজে কয়েক শো হাজার
রাত্রি লেগে আছে অপমানে
চামড়া থেকে বেরোয় না প্রণয়ী গন্ধ
আহ্লাদ ভালোবাসা জীবাণুর মত
উড়ে বেড়ায় যৌবনের মগডালে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন