লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, মে ২৬

আমার কথা

আমার এখানে বৃষ্টি হচ্ছে । সকাল থেকেই সূর্যটা আলো আঁধারি খেলছে । প্রকৃতির অনেক শব্দ অনেক গন্ধ আর খুঁজে পায় না । সে অনেক বছর হলোই পায় না । না পায় , তাতে কি যাই আসে । স্বপ্নে ভাবনায় তো অনুভব করি । এই অনুভূতি তো মরে নি । তার জন্য দেহ কে ইন্দ্রিয় কে ধন্যবাদ জানাই ।
আজ কাল কি হয়েছে । হঠাৎ হঠাৎ করেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় । বুড়ো হচ্ছি বলে কি-না কে জানে । তাই আজ সকালে একটা খবর শুনে , আমার একটা গান মনে পড়ে গেল....কি সেই গান ?

প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে
প্রতিদিন তোমায় দেখে হৃদয় জাগে
সে আমার দেশ
সে আমার বাংলাদেশ...”

সত্যি কি বাংলাদেশটা আমার বা আমার প্রতিবেশির , মানে যাদের ছেড়ে এসেছি তাদের ? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে হলে বাঁচতে হবে অনেক দিন আর সুস্থ থাকতে হবে । তবে আশা করি এ প্রশ্নের উত্তর পার ।

আমার শিশু শিক্ষার হাতে খড়িটা এক মুন্সির কাছে হয়েছে । সে আমাকে পড়াতেন । অ আ ই ঈ .... । আমিও মুন্সি চাচার সাথে গলা মিলিয়ে বলতাম , অ আ ই ঈ......। মুন্সি চাচা আমাদের দোকানে সরিষার তেল দিতেন । ঘানির তেল । চাচা খুব সত লোক ছিলেন । থুতনিতে ছোট একটা দাঁড়ি ছিল । আমাকে দেখলেই কিছু একটা বলতেন । আমার কেনো জানি এখন এত ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে । জানি মুন্সি চাচা মারা গেছেন । তাঁর শিক্ষাকে জীবিকা করে বেঁচে আছি । কিন্তু বাংলাদেশ আজ অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে । চাচারা এখন খাঁটি চাচা হয়ে গেছে । ভক্তি শ্রদ্ধায় পরিবর্তন ঘটেছে । কিন্তু আমি সেই অতীত আর বর্তমানের মাঝে একাকীত্বের প্রহর গুনছি । বন্ধু হাড়িয়েছি , প্রতিবেশি হাড়িয়েছি , শিক্ষা জীবন হাড়িয়েছি , মাথার মধ্যে কার শব্দ হাড়িয়েছি  । শুধু রয়ে গেছে হিন্দু আর মুসলমানের বাংলাদেশ । যারা ধর্ম মানে তাদের কাছে ছোট খাটো আবেগের মূল্য নেই । কার কি গেল কার কি এলো তাদের যায় আসে না । জিন্না সাহেব ওদের বলে গেছেন এটা মুসলমানের দেশ । বঙ্গবন্ধু পাকামো মেরে বলেছিলেন , এটা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীঃ দেশ । মাঝে মাঝে মনে হয় এই বঙ্গবন্ধুর বেঁচে থাকাটা খুব প্রয়োজন ছিল তাহলে হাসিনার মত বঙ্গবন্ধু কেও আমরা চিনতে পারতাম । কেনো তিনি ঢাল তরয়াল ছাড়া যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন