লেখার ডাগর মাঠ


সোমবার, মার্চ ৬

অন্ধত্বও একটি গুন

আস্তিক নাস্তিক

আমি ঈশ্বর অস্তিত্ব সন্দেহে উন্নিদ্রা । অন্ধকারে চোখ কাঁদে । অবিশ্বাস্য আসক্তে । ঈশ্বর আমাকে বলেছে । আমাকে শুধু বিশ্বাস কর । আমিই একমাত্র কারণ । ঝড় , বৃষ্টি , জরায়ু , গাছ , সহবাস ,লিঙ্গ , উত্তেজনা সব আমি । আমাকে প্রশ্ন ক’র না ! আমাকে তুমি কেনো জিঞ্জেস করবে ! এইটি কেবল তোমার অন্ধত্ব সদ্গুণ । কেবল এটাই বিশ্বাসের.....। আমি তোমাকে ভালবাসি । তখন বিশ্বাস আর জ্ঞান দু’ পায়ে হাঁটে । চার পায়াদের মত আমি বন থেকে বনে প্রাচীন যুগ খুঁজি ।  প্রশ্নের আমিত্বে । তবে কি ঈশ্বর প্রেম সাজানো উত্তোলিত ! বিশ্বাসীদের চোখে চোখ রেখে ধ্রবযুদ্ধে ক্লান্ত হই । জীবন আবার ফিরে যায় পৌরানিক অদৃশ্য ভালবাসায় ডুবতে । হঠাৎ আবার বন্ধ দরজার পিঠে ঠকঠক শব্দ শুনি । টের পায়নি তিনি কে? অনন্ত দুর্বোধ্যতা । ঘাতক না বন্ধু ! আমার সত্য ছিদ্র খুঁজে নিরাপত্তা পেতে ।

নাস্তিক

আমি গাছের গন্ধ পাচ্ছি উজ্জ্বল সবুজ । আমি দেখতে পাচ্ছি আলো । রাতের আকাশে বিন্দু বিন্দু । ভীতরে এক জোড়া বাচ্চা ঘুমিয়েছে ।  নিভাঁজ আশা ,ঘুড়ির সূতোয় উড়িয়ে । আমি অসংখ্যা মুখ দেখি সক্রেটিসের চোখে । প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে সবাই । যে ঘন্টাটা বাজচ্ছে । ফায়ারব্রীগেটের ঘন্টা না ছুটির ঘন্টা ! অনুসন্ধিৎসা ।  ঘন্টা বাজে ; ঘন্টা বাজেই । কি বলবেন ? নেকড়ে না তোতা ? আমি কান পাতি । কান দিয়ে কর্ণ প্রসব করি । অনুর্বর মস্তিষ্ক কোষ হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে শিখে । জল আর বৃষ্টি এক ভাবি । মানব জাতিও এক । কন্যা ও পুত্র । আস্তিক আর নাস্তিক আমরা সবাই , ডাগর শাশ্বত আকাশ । প্রতিদিনই ভাঙে যে পুজারির মানবতা ।  তার দেওয়ালের নীচে শ্মশান বনিয়াদ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন