লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, জুন ৩০

আমার দেশ

আমাকে বসিয়ে রেখে
আসি ব’লে না-ফিরে আমার দেশ ।

অপেক্ষাবদ্ধ চোখ , স্ফুলিঙ্গ সূর্যাস্ত-
গড়িয়ে যখন ঠারেঠোরে অন্ধকার
তখন আমি বুঝতে পারি
আমার দেশ আমার বুকের বিছানায় ঘুমিয়ে ।

আমি আলতু আগুনে স্পর্শ করি বর্ষবলয় রোমাঞ্চে ।
ক্ষয় আর পবিত্র মনে । অপেক্ষার ঘুম ততক্ষণে চোখ বুজে ।

পাঁচটা ভারত আমার দেশ । দু’টি নদী তারাও আমার দেশ । ঋতু শিশুগাছগুলোও আমার দেশ । রহস্যের রোদন আর স্বরলিপি হাসি সেও আমার দেশ ।
রাজনীতিতে ধর্ম অধর্ম বুকবাজিয়ে আমার দেশ । ধর্মিয়তোষণ সেও আমার দেশ ।

বৈধব্যের কাপড়ে কাশেমালি চোখ মুছে বলে,
“ এত কেনো ঘৃণা....”
চাচা যে সংখ্যালঘু , ভারতীয় নয় নেতার কলমে । কাশেমালি বলো , এটা আমার দেশ । নৈতিকতার আমার দেশ ।

হাইপার সিৎজোফ্রেনিয়া সেও আমার দেশ
পাকিস্তান জিন্দাবাদ আমার দেশ
পাকিস্তান মুর্দাবাদ রক্তজবা শ্লোগান আমার দেশ
পূর্ব পশ্চিম ভাগ হয়ে যাওয়া দ্বিজাতি সত্তা আমার দেশ ।

আমার দেশের ভগ্নাংশ তৃতীয় নয়ন
প্রেমিক সকাল
মনুমেন্ট দুপুর
পঙক্তি বিকেল
আমার দেশের সপ্তমাশ্চার্য অন্তর নয়ন
পাহাড় । সমুদ্র । তীর্থ । মুগ্ধ ভ্রমন ।
বিশ্ব বাউলার তাপ্তি আলখাল্লায়-
সাত রঙের রাজ্য-ভাগ আমার দেশ ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন চুমু চুমু স্নেহ ঠোঁট
সে যেনো কেও পর্নোগ্রাফি বলা আমার দেশ
উড়ান ঈশ্বরকে হাতের মুঠোয় চেপে
নারীকে আকাশে উড়িয়ে দেওয়া আমার দেশ
আমার দেশ মহান । আলবাত মহান ।
মোল্লা পুরোহিতের এদেশ নয় বলছি ,
এ দেশ ভারতীয়দের । সিন্ধুবাসির ।

এদেশ তবুও কাঁদে । লজ্জায় নত ।
পুঁজিবাদের ২০৬ খানা হাড়ে বুক ঘামে
শ্রমিক , কৃষকের শ্রমের দগ্ধ তমিস্র বুকে ।
গোধুলির আশ্চর্য সুদূর ছাতিম ছায়ার-
মায়া ছড়ায় সেও তো আমার দেশ ।
আমার অপেক্ষা ভাঙে
বিনোদনীর মায়াবী ঠোঁটে ,
কে যেনো গান গেয়ে বলে , কবি ওঠে পড় তীর্থে যেতে হবে । অপেক্ষারত আমার দেশ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন