লেখার ডাগর মাঠ


বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৩

দেশ ও মৌলিক অধিকার

স্বাধীন সার্বভৌম ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নাস্তিক । কিন্তু তিনি নাস্তিক হলে কি হবেন । ধর্মের লাগাম তিনি টানতে পারেন নি । লাগাম যখন টানতে পারেন নি । তখন ধর্মের সুঁড়সুঁড়ি ঠিকই দিয়ে গিয়েছেন । দেশ স্বাধীন হলো । সঙ্গে একটা অংশ ভাগও হলো ধর্মের ভিত্তিতে । তারপর সংবিধান এলো । কি এলো ? না , ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হবে ভারত । এ পর্যন্ত ঠিকি ছিল । তারপর সংবিধানে দেওয়া হল । প্রত্যেক জাতিকে ধর্ম পালনের অধিকার । এই জায়গাটায় এসে ধর্ম নিরপেক্ষতার উপরে প্রশ্ন চিহ্ন বসলো । ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়ার পর আর একটা লাইন সংবিধানে জুড়লে বোধহয় ভাল হতো । কি সেই লাইন , ’ধর্ম যদি সমস্ত ভারতবাসির মৌলিক অধিকার পেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে । তবে রাষ্ট্র তাতে হস্তখেপ করতে পারবেন বিবেচনার সঙ্গে । ’

তাতে দেশ কুসংস্কার মুক্ত হত । রাষ্ট্র জাতিগঠনে পূর্ণ শক্তি পেতেন ।
ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ধর্মীয় তোষণ কতটা যুক্তি সংগত মাথায় ঢুকে না ।
নেতারা ভোটার লিস্ট দেখে তোষণবাজ রাজনীতি অটুট রেখেছেন । ভারতে উন্নত নয় কারা ? কারা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ? আধুনিক শিক্ষা সমস্ত ভারতীয় বাচ্চাদের জন্য ব্যর্ধতা মূলক করা হয় না কেনো ?
পারবেন না আপনি | কেননা আপনি করতে গেলেই , ধর্মীয় স্কুলের ধর্ম যাজকরা হাতে সংবিধান নিয়ে তেরে আসবেন |

আজকে যে বাচ্চাগুলো আধুনিক শিক্ষা পাচ্ছে না | তারা আধুনিক সমাজ ও আধুনিক পৃথিবী থেকে পিছিয়ে পরছে | শিক্ষাটা যেহেতু মৌলিক অধিকার তাই তারা মৌলিক অধিকার পেতে আজও বঞ্চিত | আর তাছাড়া বর্তমান ভারত ধর্মের চাপে পড়ে নাভিশ্বাসের কষ্টে জ্বলে পুড়ে মরছে । নারী অধিকার , পুরুষ অধিকার ধর্মের বেড়া জালে আলাদা আলাদা হয়ে গেছে । জাতীয় সঙ্গীত গাইতে ধর্মের কারণে আমাদের গলা রুদ্ধ হয়ে আসে ।

–নাস্তিক দেব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন