লেখার ডাগর মাঠ


সোমবার, নভেম্বর ২০

ধর্ম ও চিন্তা ভাবনা

এমন একটা সময় আসবে । ধর্ম সামাজিক বিপর্যয় ঘটাবে । ধর্মটা আসলে জাতিগত অধিকারের লড়াই । একাত্ববাদ আর বহুত্ববাদের লড়াই । বর্তমান বিশ্বে ধর্মই বড় সমস্যা । যা মৌলিক জীবনকে পিছিয়ে দেবার ক্ষেত্রে ধর্ম বড় ভূমিকা নিচ্ছে । ধর্ম  মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্ব পূর্ণ ? ধার্মীকরা বলে , মানুষের চরিত্র গঠনে না-কি ধর্ম খুবই গুরুত্ব পূর্ণ ও অপরিহার্য । কিন্তু সত্যি কি তাই ? বর্তমান সমাজের সমস্ত ধর্মের ধার্মীকদের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে অনেক ক্ষেত্রেরেই তা সন্দেহ জনক । যেমন ধরুণ , ধর্ম সন্ত্রাস , দাঙ্গা , প্রার্থণালয় ভাঙ্গা , ধর্মীয় জাতিগত লুট , ধর্ষণ ও জাতিগত ভেদাভেদ ইত্যাদি । এসবই ধর্মীকদের দ্বারা সংগঠিত হয় ।

সমাজেই বা সেই সব ধর্ম কি ভূমিকা রেখেছে ? নাকি ধর্ম অনুশাসন হয়ে জেকে বসে আছে সমাজে ? আমি একটা কথা বারবার বলে থাকি , ধর্ম যদি আপনার জীবনের মৌলিক অধিকারের বাধাপ্রাপ্ত ঘটায় তবে সে ধর্ম আপনি ত্যাগ করুণ । কেননা ধর্ম একটি পুরনো রীতি নীতি । বর্তমান সময় কে ধরতে গেলে । বর্তমানকেই অনুসরণ করতে হবে । তানা হলে আজকের যুগ ও আধুনিকতা থেকে আপনাকে পিছিয়ে থাকতে হবে ।

ধর্ম কি মানুষের ক্ষুধা মেটায় ? ধর্ম কী মানুষ কে একতাবদ্ধ করায় ? না । ধর্ম পৃথক পৃথক সমাজ গঠন করে । সভত্যতা বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত ঘটায় । সবচেয়ে অদ্ভূত ব্যপার হলো এই যে , এই পৃথিবী কেও পৃথক করেছে ধর্ম । মানুষের অবাধ চলাচলকে শিকল দিয়ে বেঁধেছে ।

আবার , মানুষের প্রতি ঈশ্বরেরই বা ভূমিকা কি ? আমরা তো জানি , ঈশ্বর সর্বশক্তিমান , দয়ালু ও ন্যায় বিচারক । পৃথিবীতে বহু ন্যায়-অন্যায় যুদ্ধ হয়েছে । ঈশ্বরের ভূমিকা বিশ্লেষণ করলে ফলাফল জিরো আসবে । ক্ষুধার্ত্ব শিশুর শরীরে ঈশ্বর কি পুষ্টি যোগান দিতে পারেন ? নিরিহ ধর্ষিতার সহায়ক হতে পারেন ? শিশু শ্রম লাঘব করতে পারেন ? মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক সাম্য নিয়ে আসতে পারেন ? প্রশ্নবিদ্ধ ঈশ্বর নির্বেকারোই থাকবেন ।

ঈশ্বর এবং ধর্মকে এক জায়গায় নিয়ে এলে যা বুঝা যায় । তা হলো ধর্মীয় ও জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ছাড়া আর কিছু নয় । মানুষ এই একটাই মিথ্যা মিথ আঁকড়ে ধরে হাজার হাজার বছর ধরে জীবন-যাপন করছেন । সভ্যতা বিকাশের মধ্যে দিয়ে ।

                         – নাস্তিক দেব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন