লেখার ডাগর মাঠ


শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৭

আমার ৫১ লাইনের গল্প

হাড়ের মজ্জায়
পাথরের কুঁচি গুটি গুটি ।

ঝিঁনুক মুক্ত হয়ে কাঁদে
দানা বাঁধে অকৃপণ ফোসকা উজ্জ্বলে ।

হাক্ দেয় দেহ মাঝে মাঝে
অটোল সূঁচের মত
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা-
                 হাক্ ছাড়ছে
                 হাড়ে   হাড়ে
                 তিলে  তিলে
পেরেকের মাথায় জব্দদিহিতে মৃন্ময় ঠোঁটে ।

যুবকটি বন্দি হয়ে আছে
পাহাড়ী রাত জাগা কালো চোখে ।

টিম টিম স্বর্গীয় প্রদীপটি
আলোর পদাঘাতে স্বপ্ন লাশ অলিতে-গলিতে ।
                              নির্বোধ চারপাশ
                                নির্দ্বিধায় কাঁদে
                        আলাপ-আলোচনায়
খসে পড়ে অদুরে জব্দদিহিতে বায়ু শূন্যাকারে ।

এখনও যুবকটি কিছু শব্দ খুঁজচ্ছে
ক্ষত-বিক্ষত দুষ্টব্রণ মুখের
লোমকূপ তামিলে
নষ্ট বরখাস্ত বয়ানে
বুকের মধ্যে চোখ রেখে ।

চিৎকার করে জমিয়ে বলছে ,
              “কে-কেমন আছো ?”
                তিলে    তিলে
নিষ্প্রতিভ সংকলনে আকাশ চাতালে ।

চাতাল এখন হায়নার মত হলাহল
আসা-যাওয়া করে ক্লান্ত পাল্কিতে ।

শূন্য পাল্কিতে
যুবা একা । মধ্য রাত্রি । অন্ধ পথে
চোখের কোণে জেগে ওঠে মহাসাগর
                              ঘুম ভাঙা সকাল
                             শিরোনাম খোঁজে
                                তিলে     তিলে
সেই পুরনো নারীর পুরুষত্বের ডাকে ।
জেগে ওঠে কবিতা পাগল গল্প
সহজলভ্য নাটকীয় চেহারায় ।

একটি স্বাদ
যার নাম অনুভূতি ।

অনুভূতিগুলো নড়ে-চড়ে ঝুলন্ত বাগানের মত
মেলোডির দোতারায় সুর তোলে গাংচিল
এখন আর , সেই সুর , ছন্দে কৌশর নেই
আছে পুরনো যুবক । নতুন মনে ,
মন আছে-সময়ের বিস্মৃত-সৌন্দর্যে ,
চোখ খোলা মোড়ানো ময়দান বরাবর
                        যেখানে তিলে তিলে
                          মৃত্যরা ঝরে পড়ে
                    উদাসীন জ্বলন্ত তাপে  ।
      
                   

                

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন