লেখার ডাগর মাঠ


বুধবার, ডিসেম্বর ২৩

শ্রী কৃষ্ণ হল সেই নায়ক


বাংলা ভাষার দ্বিতীপ্রাপ্ত নিদর্শন 'শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন' বড়ু চণ্ডীদাসের এই কাব্য মোটামোটি চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতাব্দিতে রচিত বলে ধরা হয় ৷ কেউ কেউ আর একুটু এগিয়ে কালসীমা নির্দেশ করেছেন ১৩৫০-১৪০০ খ্রীস্টাব্দ ৷ চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে দুটি মত-

ক) অষ্ট থেকে দশম শতাব্দী অথাৎ ৭০০ -৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ ৷

খ) দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী
অথাৎ ৯০০ - ১২০০ খ্রিস্টাব্দ ৷

শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে দেখা যাচ্ছে, বাংলা ভাষা অধিকতর বাংলা হয়ে এসেছে ৷ চর্যাপদের সন্ধ্যা ভাষা'র ব্যবধান এড়িয়ে যেতে হয় কাব্যাস্বাদে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন ভাষা তত বাধা নয় ৷

শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে পাওয়া যাচ্ছে ' মজুরিআঁ ' শব্দটি ' বেগার' পেরথার বদলে আরবি রীতি অনুযায়ী মজুরীদান সমাজে চালু হয়ে গেছে ৷ বোঝা যাচ্ছে ৷ সব মিলিয়ে ৪৩টি শব্দ পাওয়া যায় শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে ৷ রচনা কাঠামোর মধ্যে আরবি ফারসি সাবিত্য যে ভাবে দেবতার থেকে মানুষের প্রেমে জোড় দেওয়া হয় ৷ কিন্তু বড়ু চণ্ডিদাস তুর্কি শাসকদের বদান্যতা পেয়েছেন ৷ এমন কোন কথা শোনা যায়নি, প্রমান মেলেনি ৷

এই সময় বাঙলি হিন্দু সমাজ নায়ক খুঁজছিল ৷ সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য , শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের নাক ছিল প্রেমিক, কারো কারো মতে শরীরী ভালোবাসার প্রেমিক ৷ কিন্তু ' শ্রীকৃষ্ণবিজয় '- এর শ্রীকৃষ্ণ হলো ঐশ্বর্যভারের প্রতীক ৷ ভগবতের অনুসারী শ্রীকৃষ্ণ ৷ এই কাব্য যিনি রচনা করলেন তিনি কিন্তু শাসকের অনুগ্রহ পেলেন ৷ এবং এই প্রথম একজন কবি বাংলা ভাষায় লিখে পাজ সন্মান, খেতাব এবং অর্থ পেলেন ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন