হে শেরপুর
দেবজ্যোতিকাজ
শেরপুরের জন্য একটা মেঘ কিনবো-
ভাবছিলাম , সময় পেলে বৃষ্টি হয়ে ঝরবো ব’লে
খরার জমিতে রসাল বীজ ধান ফলাতে কখনো ,
দরজার কাছে পা রেখে , হাত উঁচিয়ে
তোমার দিকে ছাতা বাড়িয়ে ধরব ,
হে শেরপুর !
তুমি আমার রমনীয় ভালবাসা..
কাগজ পেলে একটা নৌক বানিয়ে
শেরপুরে জন্য একটা নদী কিনবো,
শুনেছি আগের নদীটি না-কি
শত টুকরো হয়ে একাকীত্বে-
বিষ বাঁকে
আমার বৃদ্ধ বাবা হয়ে গেছেন ।
শেরপুরের জন্য একটা নদী কিনব ।
কিনবো শত টুকরো মেঘ বিদ্যুৎ
সে নদীতে আমার শরৎ চোখ ভাসান দিব
চোখের মধ্যে বসে ব্যথার তাঁত বুনব
ভুল পথে নদীকে ভাসিয়ে দিয়ে
শতাধিক স্মৃতি বিছানায় সাজাবো
যদি তুমি বন্ধু হও “হে শেরপুর” !
★
এখনও স্মৃতিগুলো
আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়
দেবজ্যোতিকাজল
সকালটা ছিল
আমার নিয়ম বরাবর চমকে ওঠা জানলা
জানলার ফাঁকে সমস্ত পৃথিবী আমার চোখ ।
তাপ-উত্তাপের যন্ত্রণা বালিশে ঘুমায় ।
চমকে ওঠা চোখের চারপাশের আকাশে
অসংখ্য উষ্ণতা-
নুয়ে আছে কাছের নক্ষত্রের মত জ্বলে
রৌদ্রে লুকায় সে সব উষ্ণতা । কখনও-
দরজার ভাঁজে, খাটের নীচে, টুক্কি দেয় ।
ছোটবেলাগুলো
বাতাসে ভিজে ওঠা স্পর্শ ত্বক
কার আঙুল আলতু শিহরণ জাগায়
দত্তপাড়ার অলিগলিতে, ঘাটের পথে ।
কে যেনো ডেকে নিয়ে যায়
হারিয়ে ফেলা খেয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোয় ।
ফিরবে না আর কখনও , এ দেহ
শাখা নদীর স্রোতে করতোয়ার টানে
ফিরবে না আর কখনও , এ পা
চেনা শহরের প্রবেশ দ্বারে মনের ভুলে
ফিরবে না আর কখনও , এ মন
ঘোষপাড়া , তাম্বুলীপাড়া
গোস্বাই দাদুর হাওয়া খানার দুপুরে,
শীতলি তলার বটের মূলে খেলার ছলে ।
প্রতিদিন সকাল আসে
চলে যায় বিকেল অন্ধকার পথ ধরে
সূর্যের এই আসা-যাওয়ার জন্মান্তবাদ
আমার ত্বকে উষ্ণ আগুন জমিয়ে
রেখে যায় ।
সপসপে স্মৃতির কান্নাগুলো
সর্যাস্তে শুকোয় ।
এখন আর নেই
চিরতরে হারিয়েছে স্মৃতির স্পর্শ হলুদ
রয়েছে তার অগ্নিশিখার-চিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ।
আমার ভুল জন্ম এপাড়ে মুখ লুকায়
ক্ষুধার্ত জন্মভূমির অসহিষ্ণু অভিশাপে ।
★
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন