হাড়ের মজ্জায়
পাথরের কুঁচি গুটি গুটি ।
ঝিঁনুক মুক্ত হয়ে কাঁদে
দানা বাঁধে অকৃপণ ফোসকা উজ্জ্বলে ।
হাক্ দেয় দেহ মাঝে মাঝে
অটোল সূঁচের মত
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা-
হাক্ ছাড়ছে
হাড়ে হাড়ে
তিলে তিলে
পেরেকের মাথায় জব্দদিহিতে মৃন্ময় ঠোঁটে ।
যুবকটি বন্দি হয়ে আছে
পাহাড়ী রাত জাগা কালো চোখে ।
টিম টিম স্বর্গীয় প্রদীপটি
আলোর পদাঘাতে স্বপ্ন লাশ অলিতে-গলিতে ।
নির্বোধ চারপাশ
নির্দ্বিধায় কাঁদে
আলাপ-আলোচনায়
খসে পড়ে অদুরে জব্দদিহিতে বায়ু শূন্যাকারে ।
এখনও যুবকটি কিছু শব্দ খুঁজচ্ছে
ক্ষত-বিক্ষত দুষ্টব্রণ মুখের
লোমকূপ তামিলে
নষ্ট বরখাস্ত বয়ানে
বুকের মধ্যে চোখ রেখে ।
চিৎকার করে জমিয়ে বলছে ,
“কে-কেমন আছো ?”
তিলে তিলে
নিষ্প্রতিভ সংকলনে আকাশ চাতালে ।
চাতাল এখন হায়নার মত হলাহল
আসা-যাওয়া করে ক্লান্ত পাল্কিতে ।
শূন্য পাল্কিতে
যুবা একা । মধ্য রাত্রি । অন্ধ পথে
চোখের কোণে জেগে ওঠে মহাসাগর
ঘুম ভাঙা সকাল
শিরোনাম খোঁজে
তিলে তিলে
সেই পুরনো নারীর পুরুষত্বের ডাকে ।
জেগে ওঠে কবিতা পাগল গল্প
সহজলভ্য নাটকীয় চেহারায় ।
একটি স্বাদ
যার নাম অনুভূতি ।
অনুভূতিগুলো নড়ে-চড়ে ঝুলন্ত বাগানের মত
মেলোডির দোতারায় সুর তোলে গাংচিল
এখন আর , সেই সুর , ছন্দে কৌশর নেই
আছে পুরনো যুবক । নতুন মনে ,
মন আছে-সময়ের বিস্মৃত-সৌন্দর্যে ,
চোখ খোলা মোড়ানো ময়দান বরাবর
যেখানে তিলে তিলে
মৃত্যরা ঝরে পড়ে
উদাসীন জ্বলন্ত তাপে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন