লেখার ডাগর মাঠ


শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৫

নীরব বোতাম

রোদেরা কথা বলে না । নিজের আত্মার সাথেও কথা বলে না । যত ভাব-ভালবাসা ছায়াদের সঙ্গে । পাতারা নড়লে ভালোবাসা বোতাম খুলে বুক দেখায় । বুক পেতে দেয় । বুকের লোমগুলো গাল ছুঁয়ে গেলে । শান্ত দিঘিতে ঝুপ করে জলের রিং-এ লাফিয়ে পড়ে শিকারী পাখি মাছরাঙ্গা হয়ে  । মাধবী তখন শীতল উচ্চস্বরে বলে , গায়ে যে লেপটে থাকে ছায়ারা তাকে সঙ্গে নিয়ে ডাল পাতা বানাও । আমার তোমার বুকের কাছে । তুমি তবুও দাও না তারে ধরা  । মাটির ছায়ায় বুকটা স্তন হয়ে ফুটে ওঠে । নীরব আর নিবিড়ের মাঝে আমি শুধু বানানে পার্থক্য । নিবন্ত রোদ আহ্বান করে সমুদ্রে ভাসা আগুন । রোদ গলে গিয়েছে সমুদ্রের নোনা জলে । মাধবী নিজের শরীরের ছায়া খোঁজে কৃত্রিম প্রকৃতিতে । রোদ মরে গেছে, ওর কাছে । প্রতিদিনের বেমানানো দিনের ধুলোবালি । কপালটাতে দাঁতাল বিকেল হয়ে গলে পড়ে  । স্তব্ধবাগ ঠোঁটে সন্ধ্যামালতী ফোটে । মাধবীর বুকের মধ্যে একটা হাতের স্পর্শ । শরীরে আস্তিক কীটের কামোড় ।  উত্তেজনায় ঘর বাড়ি রোদের গায়ে দুমরে-মুচরে পড়ে । সেই প্রথম রোদ উচ্চস্বরে ডেকে বলেছিল, মাধবী !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন